নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখি না। তবে, মানুষ হয়ে মানুষকে ভুল বোঝা আমার স্বভাবে নেই, আপনার পেশা যাই হোক না কেন।

প্রসেনজিৎ হালদার

প্রসেনজিৎ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভণ্ডের অভাব নেই...

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৩

সত্যিই তাই দুনিয়াজোড়া ভণ্ডের অভাব নেই। আন্তর্জাতিক অংশ না হয় বাদই থাক। দেশের কথা বলতে গেলেই পাতা শেষ হয়ে যাবে। আধুনিক যুগে, আধুনিক প্রযুক্তিতে মানুষের ভণ্ডামিও নতুন মাত্রা পাচ্ছে। সামনে আসছে অত্যাধুনিক যুগ। সে যুগে ভণ্ডামি যে কি মাত্রায় পৌছাবে তা কে জানে। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথাই ভাবুন। ভণ্ডামির এক স্থলভূমি এটি। লেখা, ছবি, ভিডিও- সবকিছুতেই ভণ্ডামি। যারা এর বিরুদ্ধে কাজ করবে, তারাও ভণ্ড। তাই বলে ব্যাপারটি এমন নয় যে, আমি এর বাইরে। জানি আপনিও আছেন। কিন্তু, আপনি যে ভণ্ড নন, তাতো নিশ্চিত। যদি হয়ে থাকেন, তবে কেন?

ভাল-খারাপ দুই সমান। দাড়িপাল্লায় ওজন দিলে কোনটিই কম ওজনের নয়। তবে, আমি কোন দলে সেটাই মূখ্য বিষয়। একটু যাচাই করে দেখুন। যদি ভালোর দলে থাকেন, তবে ভালো। আর যদি খারাপ হন, তাও ভালো। কেন জানেন? কারণ, আপনি দলেই আছেন। যাই হোক, ডিজিটাল যুগে ভণ্ডামিও যে ডিজিটাল হবে, তা বলাই বাহুল্য। সেদিন দেখলাম, নামিদামি এক পত্রিকার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হলো। তা মিথ্যা ছিল। বানানো হয়েছিল। যে প্রকাশ করেছিল, তারও ক্ষমতা ছিল। তাই, ব্যাপারটি এখানেই ধামাচাঁপা পড়ে গেল। অথচ, আপনার যদি ক্ষমতা না থাকে, আপনি এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে পাকড়াও করবে আরো বেশি ক্ষমতাশালীরা। বুঝতেই পারছেন, কাদের কথা বলছি। হ্যাঁ, তারাই এখন ভণ্ডামির শীর্ষে। মানে, যে সরিষা ভূত দূর করবে, সে নিজেই ভূত সেজে বসে আছে।

জানতে পারলাম, এ বছর ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা। ভেবে দেখুন, এরা কি মাত্রায় ভণ্ড। টাই-স্যুট পড়ে বসে আপনাকে একদিকে আপনার কাজ করছে। আবার আপনারই টাকা কেঁটে কেঁটে খাচ্ছে। ভণ্ডামি কি নয়। স্যার-হুজুর আপনি-আমি , আবার চাকর-মজুরও আপনি আমি। মানে হচ্ছে, আকাশে ওড়া ঘুড়ি। ছিড়ে যেতে পারে যে কোন সময়। শুনেছি, ব্যাংকাররা অনেক ভালোভাবে জীবনযাপন করে। কিন্তু, যদি ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কোন লাভ না হয় তবে তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাভ হয় কিভাবে? মানে, ভণ্ডামি। খোঁজ নিয়ে দেখুন, নামি-দামি ব্যাংকগুলো চাকররা (চাকরীজীবী) ঠিক সব কাজ করে দেয়। অথচ, সেখানে মুনাফা হয় না।

নিজেও যে খুব সাধু তাও নয়। মুখে বলি ভণ্ডদের কথা, নিজেও একজন ভণ্ড। কেন জানেন, বলতে পারি না। ‘আপনি ভণ্ড কেন?’ এইই ভণ্ডামি। আমাদের মাথাকাঠ বলছেন, তরুণরাই দূর্নীতি রুখবে। রুখবে কিভাবে, সে বড় হচ্ছে ভণ্ডামি করে, দূর্নীতি করে। কখনো অর্থের পেছনে, কখনো সম্মানের পেছনে। ভণ্ডামি করে হলেও তা পাওয়া জরুরী। একটি ছেলের সামনে যদি পিতার কাছে ছেলের প্রশংসা করা হয়। তখন ছেলেটি দাবি করে, প্রশংসা নয় বরং খারাপ কিছু বলুন। এ খুব সহজ কাজ নয়। কিন্তু ভণ্ডদের ভিড়েও এমন কাজ হয়। বিষয়টি হচ্ছে। ভণ্ডামি না করাই আসল মানুষের সত্ত্বা। যদি ভণ্ডামি বাদ দিয়ে ভালো কিছু করতে পারেন তবেই সার্বিক উন্নতি।

মুখে মুঁখোশ লাগালে যেমন আসল চেহারা দেখা যায় না। ভণ্ডামিও তেমনই একটি অদৃশ্য মুঁখোশ। দয়া করে এটি পড়বেন না। তাতে, ক্ষতি আপনারই। কারণ, এতে আপনাকে কেউ চিনতে পারবে না। দূরের লোকতো নয়ই, কাছের লোকও আপনাকে অচেনা ভাববে। আপনি যদি কাছের লোকের অচেনা না হতে চান, তবে এক্ষুনি ছেড়ে দিন। আর যদি, তা হয়েই থাকেন বা মুঁখোশটি পড়েই থাকেন তবে খোলার চেষ্টা করুন।

শান্তির খুব অভাব। যদি মনে করে থাকেন, আপনার দীর্ঘস্থায়ী শান্তি দরকার তবে এপথ পরিহার করুন। শান্তি সহজে মিলবে। লোকজনও আপনাকে চিনতে পারবে। আসল আপনাকে। বিশ্বাস করুন, আসলেই ভন্ডের অভাব নেই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: মিরজাফর পবিত্র কুরআন স্পর্শ করে অঙ্গীকার করেছিলেন যে, তিনি শরীরের একবিন্দু রক্ত থাকতেও বাংলার স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন হতে দেবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.