![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সবার থেকে আলাদা থাকতে চাই কিন্তু পারি না। আমি সবার মাঝে মিশে থাকতে চাই কিন্তু তাও পারি না। আমি আমাকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত।
চলতি বছর বিএসএফের হাতে এ পর্যন্ত নিহত ২৮ জন
সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হত্যা থামছে না
সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গত জুলাই মাসে নয়াদিল্লিতে দুই প্রতিবেশী দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে রাজনাথ সিং এই আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন। এরপরও থামছে না সীমান্তে হত্যা। সর্বশেষ গতকাল রোববার ভোরে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাহারুল ইসলাম নামে ২৫ বছরের এক তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে অন্তত পাঁচজন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাবেক প্রধান ও কূটনীতিকদের মতে, সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারত প্রতিশ্রুতি দিলেও তাতে আন্তরিকতায় ঘাটতি আছে। কারণ সর্বোচ্চ পর্যায়ের আশ্বাসের উল্টোটা মাঠপর্যায়ে ঘটতে থাকলে সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে সংশয় থেকে যায়।
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী মাসে দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধানদের সম্মেলনে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা বন্ধের বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে। গত কয়েক দিনে সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সাধারণত সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার পর প্রথমে বিজিবি মৌখিকভাবে ও পরে লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে থাকে। এরপর বিজিবির কাছ থেকে হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও তদন্তের দাবি জানায়।
গত রাতে কূটনৈতিক একটি সূত্র এই প্রতিবেদককে জানায়, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) সইয়ের পর দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সমন্বিত টহল, তথ্য বিনিময়সহ নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে আস্থা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে মাঠপর্যায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সংবেদনশীল করার চেষ্টাও আছে।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র সীমান্ত, যেখানে দুই দেশের মধ্যে লড়াই হচ্ছে না; অথচ নিরস্ত্র লোকজনকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ঘনিষ্ঠ দুই নিকট প্রতিবেশী দেশে সীমান্ত হত্যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দুঃখ লাগে, ভারতের মানবাধিকারকর্মীদের এ নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা যায় না।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের হাতে অন্তত ২৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাটের বুড়িরহাট সীমান্তে মহিবুর রহমান (৩৮), ১৮ সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের তেলকুপি সীমান্তে মো. আবির (২৩), ২৩ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে দুখু মিয়া (২৫) ও ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে জসিম উদ্দিন (২৭) এবং গতকাল রৌমারিতে বাহারুল ইসলাম বিএসএফের হাতে প্রাণ হারান।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিএসএফের হাতে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা যথাক্রমে ২৬ (গুলিতে ১২), ৩৩ (গুলিতে ১৬) ও ৪৬ (গুলিতে ৩২) জন।
গত ১৬ মে ঢাকায় বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠকে সীমান্ত হত্যার প্রতিটি বিষয়ে যৌথ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গতকাল এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, অতীতে সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার পর ভারতের পক্ষ একতরফাভাবে বলা হতো, বিএসএফ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ার কারণে বাংলাদেশের নাগরিক নিহত হয়েছেন। মে মাসের বৈঠকের পর সীমান্তে কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। কাজেই যৌথ তদন্তের সিদ্ধান্তের পর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আজিজুর রহমান গতকাল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারতের পক্ষ থেকে বারবার যে আশ্বাস দেওয়া হয়, তা পূরণে তাদের সদিচ্ছার অভাব আছে। এ কারণেই এ ধরনের বিয়োগান্ত হত্যা অব্যাহত আছে।
আজকের প্রথম আলো থেকে নেওয়া
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
ক্যামেরার প্রতিবাদ বলেছেন: দু:খজনক তো বটেই । রাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিরা যখন বলে এটা স্বাভাবিক ঘটনা তখন আপনি আমি আর কি বলব।
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: শিরোনামে যা লিখছেন তাতেই পুরো বিশ্লেষন পরিষ্কার, ইন্ডিয়ানরা আসলেই আমাদেরকে মানুষ বলে মনে করেনা,, না হলে কি বাচ্চা মেয়ে ফেলানী কে নৃশংস ভাবে মেরে কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখতে পারে?!! আর আমাদের প্রশাসন টিনের চশমা চোখে দিয়ে রাখছে, কিছু হলেই স্বাভাবিক ঘটনা,, প্রতিদিন সীমান্তে এরকম মৃত্যুর দুঃসংবাদ পাওয়া যায় তারপরও কোন সমাধান নেইই।।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭
ক্যামেরার প্রতিবাদ বলেছেন: সমাধান চাইলেই তো বিপদ। বর্তমান নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সুতরাং সমাধান না চাওয়াটাই ভাল। চলছে গাড়ি যাত্রবাড়ি।
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩০
আদর্শ সৈনিক বলেছেন: রেন্ডিয়ানরা খুবই ভালো মানুষ। সীমান্ত হত্যা বলে কিছু নেই। ওসব বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র । বর্তমান সরকারের ইজ্জত নষ্ট করার জন্য সীমান্ত এলাকার মানুষ নিজেরাই নিজেদের গুলি করে ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯
ক্যামেরার প্রতিবাদ বলেছেন: একেবারে সত্য কথা কইছেন। এসব আসলে বি এন পি জামায়াতের ষড়যন্ত। সীমান্তে মানুষ আছে আছে বি এস এফ তাই বিএসএফ মানুষ মারবে এটাই তো স্বাভাবিক। এতে দোষের কি আছে?
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
মার্কো পোলো বলেছেন:
আমাদের রৌমারীতে এর আগে সীমান্ত হত্যা ছিল না বললেই চলে, কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই ২ জন হত্যা! গতবছর একবার গুলি করে হত্যা করার পর বিএসএফ এর সাথে পতাকা বৈঠক হয়েছিল। তখন তারা কোনভাবেই স্বীকার করেনি যে তারা গুলি করেছে, উল্টো বলেছিল বাংলাদেশের সাথে তাদের গুড রিলেশন। তারা হত্যা করতেই পারে না। খুবই দুঃখজনক।