![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ ক্রমাগত উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তার ছুটি।
একই সঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত কক্সবাজারের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার নিয়ে কূলে ফিরতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, শনিবার একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উৎপত্তিস্থল থেকে তিনশ’ কিলোমিটারের বেশি অগ্রসর হয়েছে, যা আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ফলে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর সতর্কতা বহাল রয়েছে। এটি রোববার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫২০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৮৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক বৈঠক রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, “দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা (মাইকিং) পাশাপাশি সব প্রকার ট্রলার সাগরে না যাওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”
সভায় কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. কাজল কান্তি বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ১১৩টি জরুরি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, রোববার সন্ধ্যা থেকে কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি জেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুরুল বাসির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত কক্সবাজারের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার নিয়ে কূলে ফিরতে শুরু করেছে। রোববার সন্ধ্যার মধ্যে সব ট্রলার ফিরবে বলে আশা করছেন ট্রলার মালিকরা।
©somewhere in net ltd.