নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিঠা পানি

পুকুরপাড়

সহজ কথা

পুকুরপাড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কম দামের খদ্দরের লুঙ্গি ও পাতলা শাড়ি কাপড় যাকাত হিসেবে দিলে যাকাত কস্মিনকালেও আদায় হবে না।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

কম দামের খদ্দরের লুঙ্গি ও পাতলা শাড়ি কাপড় যাকাত হিসেবে দিলে যাকাত কস্মিনকালেও আদায় হবে না। কারণ শরীয়ত তথা কুরআন ও সুন্নাহর ফতওয়া হলো যেটা সবচেয়ে ভালো, পছন্দনীয় ও মূল্যবান সেটাই দান করতে হবে। আর যেটা খারাপ, নিম্নমানের ও নিম্নমূল্যের সেটা দান করা যাবে না। অর্থাৎ যাকাত তথা দান-ছদকার বস্তু যেমন হালাল হওয়া শর্ত তেমনি তা উৎকৃষ্ট ও সবচেয়ে মূল্যবান হওয়াও শর্ত। অন্যথায় তা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আদৌ কবুলযোগ্য নয়।



মহান আল্লাহ পাক তিনি তা পরিষ্কার কালাম পাকে জানিয়ে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে-

অর্থ: তোমরা কখনই নেকী, কল্যাণ হাছিল করতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের প্রিয় বা পছন্দনীয় বস্তু দান করবে। এবং তোমরা যা কিছু দান করো সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক অবশ্যই পূর্ণ খবর রাখেন। (সূরা আলে ইমরান: আয়াত শরীফ-৯২)



মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেন-

অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে যা উৎপন্ন করেছি তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করো এবং নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয় করতে নিয়ত বা মনস্থ করো না। কেননা তোমরা তা অনিচ্ছাকৃত ব্যতীত গ্রহণ করবে না। জেনে রাখ, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।” (সূরা বাক্বারা: আয়াত শরীফ-২৬৭)



এখানে সম্পদের যাকাত, ফিতরা ও জমির ফসলের উশর ইত্যাদি ফরয, ওয়াজিব, নফল সকল প্রকার দান-ছদক্বার কথাই বলা হয়েছে। অর্থাৎ যেটা উত্তম উৎকৃষ্ট, মূল্যবান সেটাই দিতে হবে। যেটা নিকৃষ্ট, নিম্নমানের, নিম্নমূল্যের সেটা দেয়া তো দূরের কথা সেটা দেয়ার কল্পনা বা চিন্তা করাও যাবে না। কেননা খারাপটা কেউই গ্রহণ করতে চায় না। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা কি করে গ্রহণ করবেন। এখন কেউ যদি চোখ বন্ধ করে নিজের খেয়াল খুশি মতো সেটা দিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়েছেন দেখো, মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের এসব দানের মুখাপেক্ষী নন। তিনি গণী বা অভাবমুক্ত এবং হামীদ বা চরম প্রশংসিত।



অতএব, যেটা সবচেয়ে ভালো, পছন্দনীয় ও মূল্যবান সেটাই যাকাত হিসেবে দান করতে হবে। অন্যথায় তা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আদৌ কবুলযোগ্য হবে না। (সমূহ হাদীছ, তাফসীর ও ফিক্বাহর কিতাব দ্রষ্টব্য)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

রাসেল মাহমুদ মাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ .।.।.। প্লাস প্লাস প্লাস

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

কৃষি এবং কৃষক বলেছেন: সাধারণ বিবেচনায় এটাই মনে হয় আমার।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৪

আহলান বলেছেন: হুমম যারা নাম কামানোর জন্য যাকাত দেয় তারা দেখে কোয়ান্টিটি, আর যারা যাকাত আদায় করতে চায় তারা দেখে কোয়ালিটি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.