![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর কত নতজানু প্রবণতা? জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে গত সাড়ে চার বছর এ সরকার ভারতকে শুধু উজাড় করে সবকিছু দিয়েই গেছে। অর্জন করতে পারেনি কিছুই এখন।
দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের কাছে ভিক্ষা প্রার্থনা করেছে। “আপনারা দিলে আমরা নির্বাচনে জিততে পারব আর না দিলে নির্বাচনে ফেল মারব”- এ ধরনের কথায় কী প্রতিভাত হয়না যে, সরকার মনে করছে এদেশের নির্বাচনী ফলাফলের নিয়ন্তা ও নিয়ন্ত্রক ওরাই? অতীব দুঃখজনক ও লজ্জাজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় তাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
আর কত ঔদ্ধত্য প্রবণতা!
অপরদিকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রার্থনার জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছে যে, ভারত বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ দেখতে চায়। কিন্তু কেন দেখতে চায়? ভারত দেখার কে? খোদ ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা কতটুকু আছে? ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা কী ভারত আর বাংলাদেশের জন্য আলাদা? ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা কী ভারতের জন্য মুসলিম শহীদ আর নির্যাতন? আর বাংলাদেশের জন্য ৯৭ ভাগ মুসলমানদের বঞ্চিত করে মাত্র ২ ভাগের কম হিন্দুদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান ও তোষণ?
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতে ৫০ হাজারবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছে এবং লাখ লাখ মুসলমানদের শহীদ করা হয়েছে। হাজার হাজার ধনী মুসলমানদের বাস্তুহারা করা হয়েছে।
ভারতের স্বাধীনতার রূপকার এবং স্বাধীন ভারতের জনক মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী। সে ছিল কট্টর গোঁড়া হিন্দু। সে বলতো, হিন্দুধর্মের আদর্শ তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাসে উদ্বুদ্ধ হয়েই সে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে এবং তার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসে সে হিন্দুধর্মের প্রতিফলন ঘটাতে সমর্থ হয়েছে। তার একমাত্র উদ্দেশ্য ভারতে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা।
গান্ধী বলেছিল, পবিত্র গো-মাতার জীবন রক্ষা করা প্রত্যেক হিন্দুর ধর্মীয় কর্তব্য। সে মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সাথে একযোগে আন্দোলন পরিচালনা করেছিল মুসলমানদের ছুরির নিচ থেকে গো-মাতার জীবন রক্ষার লক্ষ্যে। অবশ্য তার উদ্দেশ্য সাময়িকভাবে হলেও সফল হয়েছিল। কারণ, ১৯২১ সালে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মুসলমানরা গরু কুরবানী দেয়নি। পরে অবশ্য মাওলানা মোহাম্মদ আলী মুসলমানদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, তারা যেন গান্ধীকে অনুসরণ না করে। কারণ, গান্ধীর উদ্দেশ্য ভারতীয় মুসলমানদের হিন্দুদের দাসে পরিণত করা, ভারতের স্বাধীনতা নয়।
‘ফ্রিডম অব মিডনাইট’ বইতে উল্লেখ আছে যে, ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির আগের দিন রাতে ভারতীয় কমিউনিস্ট অ্যাসেম্বলীর সভাপতি ড. রাজেন্দ্র প্রাসাদের বাড়িতে বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণরা বেদের মন্ত্র পড়া একটি মন্ত্রপূত প্রদীপ জ্বেলে অনবরত সরবে বেদমন্ত্র পড়তে থাকে। যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ স্বাধীন ভারতের প্রথম মন্ত্রিত্বের পদ অলঙ্কৃত করতে যাচ্ছে তারা প্রদীপটি প্রদক্ষিণ করতে থাকে। একজন ব্রাহ্মণ প্রত্যেকের মাথায় পবিত্র পানির (তাঞ্চুব নদীর পানি যা নাকি হিন্দুদের নিকট অতি পবিত্র) কয়েক ফোঁটা ছিটিয়ে দিতে থাকে। অতঃপর তারা এক রমণীর সামনে দিয়ে যাবার সময় সে তালপাতায় মুখ ঢাকা একটি তামার পাত্র হতে তর্জনীর মাথা দিয়ে সিঁদুর তুলে প্রত্যেকের কপালে ফোঁটা দিতে থাকে। এ ফোঁটাটি তৃতীয় নয়ন হিসেবে বিবেচিত। যা নাকি কোষধারীদেরকে সব রকমের আপদ-বালাই হতে নিরাপদ করবে। অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি কপচালেও ভারত জন্মলাভ করে একটি কট্টর হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘১৯৪৭ সালে যখন দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয় তখন দেশের সরকারি চাকরিতে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব ছিল ৩৪%, আজ এটা দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ শতাংশে। এমনকি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মসংস্থানে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব দলিতদের থেকেও কম। বোঝা যাচ্ছে স্বাধীনতার পর থেকে মুসলিমদের সাথে শুধু শোষণ হয়েছে। তাদের অবস্থার একটু উন্নতি হয়নি বরং মহাঅবনতি হয়েছে।
সাচার কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের ৪৯.৯% মুসলিম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে; যা জাতীয় গড়ের থেকে অনেক বেশি। কথিত ধর্মনিরপেক্ষ দেশের জন্য এটা খুবই লজ্জার। সঙ্গতকারণেই এ প্রশ্ন জোরদার হয়- ভারত কি সত্যিই ধর্মনিরপেক্ষ দেশ?
অপরদিকে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মুসলিমদের বিপিএল অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি। অথচ সারা দেশের প্রায় ২৭% দরিদ্রদের সেই সুবিধা দেয়া হয়েছে। ফলে তারা অতিরিক্ত রেশন, কমদামে খাদ্যদ্রব্য, বিনা খরচে বিদ্যুৎও পাননা। গ্রামীণ মুসলিমদের ৬০% ভূমিহীন। ভিটেমাটি ছাড়া চাষ-বাস করার জন্য কোন জমি নেই। অথচ ১৯৫০ সালের সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী জমিদারী প্রথা বিলোপ করা হয়েছিল এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক সম্পত্তি ছেড়ে, অতিরিক্ত জমি সরকার গরিবের মধ্যে বেটে দেয়। তাহলে কি মুসলমানরা এই জমি থেকে বঞ্চিত হয়েছিল? তাদের কোন জমি দেয়া হয়নি? কেন আজ ৬০% মুসলিম ভূমিহীন? সরকারের কাছে এসব প্রশ্নের কোন উত্তরই নেই।
সর্বভারতীয় ইংরেজি নিবন্ধকার Dr. S. Ausaf Saied Vasfi লিখেছে, Muslim Condition is worse than that of Dalits. The only ÔsectorÕ where Indian Muslims are more than adequately represented in Jail. (মুসলিমদের অবস্থা দলিতদের থেকেও সঙ্গীন। একমাত্র সেক্টর যেখানে ভারতীয় মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে ব্যাপকতর, তা হলো জেল)।
অত্যন্ত স্পর্শকাতর প্রশ্ন উঠে, কথিত ধর্মনিরপেক্ষতাহীন ভারত বাংলাদেশে কোন ধরনের ধর্মনিরপেক্ষতা দেখতে চায়? আজকে সচিবালয়ে, সিভিল প্রশাসনে, পুলিশ প্রশাসনে সব জায়গায় হিন্দু আর হিন্দু। ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে আজ সাধারণ মুসলমান সংখ্যালঘিষ্ঠ হিন্দুদের তোয়াজ করে চলতে বাধ্য হচ্ছে। জানা গেছে কোনো কোনো জেলার ডিসি হিন্দু, এমপি হিন্দু, ম্যাজিস্ট্রেটরা হিন্দু। সেখানে চলছে মুসলিম নিপীড়ন। বাধ্য হয়ে সাধারণ মুসলমানরা সেখানে হিন্দু সমাজকে তোয়াজ ও ভয় করে চলছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
অপরদিকে মন্ত্রী, সচিব এবং বাংলাদেশ সরকারের স্পর্শকাতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অনেক হিন্দু থাকার ফলে তাদের দাদার দেশে বাংলাদেশের গোপন তথ্যাদি পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন- ভারতের চাপে ট্রানজিট, ট্রানশিপমেন্ট ইত্যাদি আত্মঘাতী চুক্তির পর এখন শুধু কাগজ-কলমে দেশটিই দিয়ে দেয়ার বাকী আছে। আরো ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ভারতের করদ রাজ্য হিসেবেই কী ভারত বাংলাদেশকে দেখতে চায়? ভারতের ফেনসিডিল, মাদক ভারতে আকাশ সংস্কৃতি এদেশের যুব সমাজকে তিলে তিলে নিঃশেষ করছে। দ্বীন ইসলাম থাকলে এসব কিছুই হতো না। এ কারণেই দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি ভারতের এত বিদ্বেষ। আর ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য এত চাপ। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ইহুদী-নাছারারা ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীকা গ্রহণ না করবে।”
কাজেই ভারতীয় প্রেসক্রিপশন ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে এদেশের প্রত্যেকটা মুসলমানকে সতর্ক, সচেতন ও প্রতিবাদী তথা জিহাদী হতে হবে।
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৪
পুকুরপাড় বলেছেন: চরম খবর ।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১২
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভারত হইল শক্তরে ভক্ত নরমেরে যম! ২০০৯ সালে লংকানরা শুধু তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী এলটিটিইকেই দমন করেনি বরং দিল্লীকে কষে চড় দিছে। আমাদের র্দূভাগ্য যে আলীগের মোনাফেকী ও ভাদাগিরির জন্য বাংলাদেশ শুধু ঠকে।
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৬
পুকুরপাড় বলেছেন: ভারতীয়রা ভীতুর জাত ।
নতজানু আর হীনমন্যতার কারনে এদেশের সরকারেরা ভারতের কাছে নিজেদের সপে দেয় । যতদিন এইসকল অথর্ব মেরুদন্ডহীন সরকার ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এমন চলতেই থাকবে।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১৮
মিত্রাক্ষর বলেছেন: এই ব্যাপারে বব মারলে'র একটি কোট ভারতের উদ্দেশে ডেডিকেট করতে চাইঃ
"Before you start pointing fingers, make sure your hands are clean"
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৯
পুকুরপাড় বলেছেন: ভারত হল পৃথিবীর সবছেয়ে বড় অগনতান্ত্রিক ও মুসলমান নির্যাতনকারী দেশ ।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৩
জিপসি মেহেদি বলেছেন: ভাই, কি কইলেন এগুলা !??!
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৭
পুকুরপাড় বলেছেন: অবাক হওয়ার মতই কথা ।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩৯
ইকবাল পারভেজ বলেছেন: বাংলাদেশ এখন আসলেও ভারতের দাস রাস্ট্রে পরিনত হয়েছে, আবারো আম্লীগ কি ভোট দিয়ে ক্মতায় আনা দরকার !!!!
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
পুকুরপাড় বলেছেন: একদম পুরাই দেশ ভারতের হইবে ।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: গান্ধী সম্পর্কে আপনার সকল কথায়ই আমি একমত না হলেও ভারত সম্পর্কে প্রতিটি কথায় সহমত জানাচ্ছি। ভারতের কাছে ধর্মনিরপেক্ষতা শেখার মতো কিছুই নেই, বরং বাংলাদেশ থেকে তাদের অনেক কিছুই শেখার আছে।
বিশ্বের মানচিত্রে ভারত একটি বৃহৎ এবং শক্তিধর দেশ এবং বাংলাদেশের প্রতিবেশি। দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনার জন্য কাউকে আগে শুরু করতেই হয়। এখানে নতজানু হবার কিছু নেই - বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বাংলাদেশের কোন সরকারই নতজানু হয় নি, হবার প্রয়োজনও নেই।
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০১
পুকুরপাড় বলেছেন: গান্ধীর সব আন্দোলনই ছিল হিন্দু রাজত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিবেদিত
কংগ্রেসের লক্ষ্য ছিল সংখ্যাগুরু হিন্দুদের পরিকল্পিত, নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত এমন এক হিন্দু ভারত প্রতিষ্ঠা, যেখানে মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের স্বতন্ত্র কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। হিন্দু ও কংগ্রেসের সাথে তিক্ত অভিজ্ঞতার ফলে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ মুসলিম নেতৃবৃন্দ এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এ আন্দোলনের বিরোধিতা করেন এবং একে মুসলিম স্বার্থের পরিপন্থী বলে ঘোষণা করেন। মওলানা মোহাম্মদ আলী কংগ্রেসের আন্দোলন সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “গান্ধী উগ্র সাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান হিন্দু মহসভার পক্ষে কাজ করছেন। তার যাবতীয় কার্যক্রমের লক্ষ্য হলো হিন্দু রাজত্ব স্থাপন এবং মুসলমানদের পদানত করে রাখা।”
ভারতে বিখ্যাত কম্যুনিস্ট নেতা মোজাফফর আহমেদ যথার্থই লিখেছেন, “বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী আন্দোলন নিঃসন্দেহে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ছিল। কিন্তু তা হিন্দু উত্থানের আন্দোলনও ছিল। উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু রাজত্বের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।” (আমার জীবন ও ভারতে কম্যুনিস্ট পার্টি, মোজাফফর আহমদ, উদ্ধৃত : আবুল আসাদ, একশ বছরের রাজনীতি, পৃষ্ঠা ১১৭)।
গান্ধীর অসহযোগ, স্বরাজ, আইন অমান্য আন্দোলন প্রভৃতি সবই ছিল এই হিন্দু রাজত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিবেদিত। একই কারণে বাংলার জননেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে গান্ধী, সূর্যসেনদের এই আন্দোলন তৎপরতাকে ‘গ-গোল’ বলে অভিহিত করেছিলেন। সূর্যসেনদের অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ১৭ দিন পর গান্ধী গ্রেফতার হলে এই বিষয়ের ওপর এক আলোচনা সভায় শেরে বাংলা বলেন, “ভারতের ৭ কোটি মুসলমানের ৭০ জনও কংগ্রেসের সমর্থক নয়। মি. গান্ধী যে রকম গ-গোল সৃষ্টি করেছেন তাতে তাকে গ্রেফতার করে রাখার জন্যে আমি ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।” (১৯৩০ সালের মে মাসে কলকাতা করপোরেশনের এক সভায় গান্ধীর গ্রেফতারকে নিন্দা করার জন্যে আনীত এক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় শেরে বাংলা এ কথা বলেন ‘ভারত কি করে স্বাধীন হলো’ পৃষ্ঠা ১০৯; উদ্ধৃত : আবুল আসাদ, একশ বছরের রাজনীতি, পৃষ্ঠা ১১৮)।
চট্টগামে সূর্যসেনের আন্দোলন ছিল গান্ধীর পদাঙ্ক অনুসরণে গান্ধীরই আইন অমান্য আন্দোলনের একটা অংশ। সূর্যসেন ছিলেন কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে একাত্ম। একই সাথে তিনি ছিলেন উগ্র সাম্প্রদায়িকতাবাদী হিন্দু মহাসভার কর্মকা-ের সাথে যুক্ত। ১৯২৮ সালে যে কলকাতা কংগ্রেস সম্মেলনে নেহেরু রিপোর্ট পাস করা হয়, যে সম্মেলনের মাধ্যমে মুসলিম লীগ কংগ্রেসের মধ্যকার বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ হয় এবং যে সম্মেলন থেকে জিন্নাহ অশ্রুসজল চোখে বিদায় নেন, সে সম্মেলনে সূর্যসেন ছিলেন চট্টগ্রাম থেকে কংগ্রেসের প্রতিনিধি ও গান্ধী হার্ডলাইনারদের একজন। পূর্ণেন্দু দস্তিদার লিখেছেন, “১৯২৮-এর কংগ্রেস সম্মেলনে চট্টগ্রাম থেকে যারা বিপ্লবীদের প্রতিনিধিত্ব করে, তার মধ্যে ছিলেন-সূর্যসেন, অম্বিকা চক্রবর্তী, অনন্ত সিংহ ইত্যাদি।” (স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম, পূর্ণেন্দু দস্তিদার, অনুপম প্রকাশনী, ঢাকা, প্রকাশকাল, ফেব্রুয়ারি ২০০৯, পৃষ্ঠা ৭১)।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
৭১বাংলা বলেছেন: আম্বালীগ সরকার ভেবেছে দাদাদের পা চাটলেই আবার ক্ষমতায় যাওয়া যাবে, দেশের জনগন সেটা সিটি নির্বাচনে বুজিয়ে দিয়েছে । আর কত বাশ খেলে যে আম্বালীগ সরকার এর হুশ হবে আমার বুজে আসেনা
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
পুকুরপাড় বলেছেন: আর কত বাশ খেলে যে আম্বালীগ সরকার এর হুশ হবে আমার বুজে আসেনা
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
সোহানী বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: গান্ধী সম্পর্কে আপনার সকল কথায়ই আমি একমত না হলেও ভারত সম্পর্কে প্রতিটি কথায় সহমত জানাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১১
রাইয়ান ইসলাম অঙ্কন বলেছেন: বেকুব দেখছি, মাগার ইন্ডিয়ানগো মত দেখি নাই