নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুর্ব বাংলা

কণ্ঠ আমার দেশের তরে, এ কলম আমার দেশের তরে

ইঞ্জিনিয়ার শাহারিয়ার

একজন সাধারণ ছাপোষা মানুষ। সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে, আড্ডা মারতে, খেলাধুলা করতে আর মাঝে মাঝে একাকী সময় কাটাতে। জীবিকার প্রয়োজনে একজন পেশজীবি, তবে পেশাকে তার জায়গায় রেখে ব্যাক্তিগত আমি একেবারেই আমার মত থাকতে চাই। ভালবাসি দেশ, ভালবাসি দেশের মানুষ।

ইঞ্জিনিয়ার শাহারিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে এসব কি লেখা???

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে।

এর আগে ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। পবিত্র কোরান তেলওয়াতের পর বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং নবগঠিত সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।



কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পড়ে এ কি দেখলাম???



যুদ্ধের কারন গুলো এই ঘোষণাপত্রের শুরুতেই পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যদি ওই সব কারনেই যুদ্ধ হয়ে থাকে তবে জাতীয়তাবাদ, চেতনা এসব কোথায়? ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়নি কেন? এটি বললে সাধারণ ধর্মপ্রান মানুষ যুদ্ধ করতে আসতোনা তাই?? নাকি এগুলো স্বাধীনতার পরে পাশের দেশ থেকে ইম্পোর্ট করা হয়েছিল??



যাই হোক,

বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, আচ্ছা, সেটা নাহয় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এটা অবশ্যই যুক্তিযুক্ত। আমরা বাঙ্গালী, কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।







কিন্তু কোথায় ধর্মনিরপেক্ষতা??? এর তো কোন নাম গন্ধ পাচ্ছিনা কোথাও।



আর, সমাজতন্ত্র কোথায় ছিল??



খুঁজতে খুঁজতে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা পর্যন্ত গেলাম, যে ৬ দফাই নাকি বাঙালীর মুক্তির সনদ, স্বাধীনতার বীজ। কিন্তু সেখানে গিয়ে তো আরো বড় টাস্কি খেলাম !!!!

৬ দফার ভিতরে ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব মেনে নেবার কথা বলা হয়েছে।



কি ছিল লাহোর প্রস্তাবে??

লাহোর প্রস্তাবের মূল বৈশিষ্ট্যঃ

" প্রথমত: নিখিল ভারত মুসলিম লীগ দৃঢ়তার সাথে পুণ:ঘোষণা করছে যে, ১৯৩৫ খ্রীস্টাব্দের ভারত শাসন আইন-এ যে যুক্তরাষ্ট্রের (Federal) পরিকল্পনা রয়েছে, তা এ দেশের উদ্ভূত অবস্থার প্রেক্ষিতে অসঙ্গত ও অকার্যকর বিধায় তা ভারতীয় মুসলমানদের জন্য অগ্রহণযোগ্য।



দ্বিতীয়ত: সমস্ত সাংবিধানিক পরিকল্পনা নতুনভাবে বিবেচনা না করা হলে মুসলিম ভারত অসন্তুষ্ট হবে এবং মুসলমানদের অনুমোদন ও সম্মতি ব্যতিরেকে সংবিধান রচিত হলে কোন সংশোধিত পরিকল্পনা ও তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না।



তৃতীয়ত: নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সুচিন্তিত অভিমত এরূপ যে, ভারতে কোন শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা কার্যকর হবে না যদি তা নিম্নবর্ণিত মূলনীতির উপর ভিত্তি করে রচিত না হয়: (ক) ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী সংলগ্ন বা সন্নিহিত স্থানসমূহকে 'অঞ্চল' হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে, (খ) প্রয়োজন অনুযায়ী সীমানা পরিবর্ত করে এমনভাবে গঠন করতে হবে যেখানে ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান এলাকাগুলো 'স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ'(Independent States) গঠন করতে পারে, (গ) 'স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের' সংশ্লিষ্ট অঙ্গরাষ্ট্র বা প্রদেশসমূহ হবে স্বায়ত্বশাসিত ও সার্বভৌম।



চতুর্থত: এ সমস্ত অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের ধর্মীয়,সাংস্কৃতিক,রাজনৈতিক,প্রশাসনিক ও অন্যান্য অধিকার ও স্বার্থরক্ষার জন্য তাদের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে সংবিধানের কার্যকর ও বাধ্যতামূলক বিধান রাখতে হবে। ভারতবর্ষের মুসলমান জনগণ যেখানে সংখ্যালঘু সেখানে তাদের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথেও আলোচনা সাপেক্ষে সংবিধানে কার্যকর বিধান রাখতে হবে।


"

---



এবার ছয় দফা দেখুন। না, সব না, ৬ দফার ১ নং দাবিটাই দেখুন

১৯৬৬ সালের ছয় দফা দাবিসমূহ:

প্রথম দফা:

শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি: ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকারের বৈশিষ্ট্য হবে Federal বা যুক্তরাষ্ট্রীয় ও সংসদীয় পদ্ধতির; তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যায় অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচন হবে প্রত্যক্ষ এবং সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে। প্রদেশগুলোকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার প্রতিনিধি নির্বাচন জনসংখ্যার ভিত্তিতে হবে।





লাহোর প্রস্তাব তো দেখি সাম্প্রদায়িকতায় ভর্তি!!! এই প্রস্তাবে ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠন করার কথা বলা হয়েছে।

তাহলে ছয় দফায় লাহোর প্রস্তাবের কথা আসে কেন?



যাই হোক, এরপর গেলাম এগারো দফায়, তার পর যুক্তফ্রন্টের ২১ দফায়। কোথাও আমাদের চেতনা খুঁজে পেলামনা। শেষমেশ বঙ্গবন্ধুর লেখা আত্ত্বজীবনি পড়ে শেষ করলাম। আবারো হতাশ। চেতনার দেখা তো পেলামইনা আরেকবার টাস্কি খাইলাম। ওই বইয়ের প্রথম ১০০ পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু স্বগৌরবে তার পাকিস্তান আন্দোলনের কথা লিখেছেন। মুসলমানদের অধিকার আদায়ে তার অবদানের কথা আর হিন্দুদের দারা সৃষ্ট বাধা বিপত্তির কথা লিখেছেন।



সমাজতন্ত্র আর গণতন্ত্র একই সাথে আমাদের সংবিধানে আছে। কিভাবে সম্ভব হইল? এই দুইটা তো পরস্পর বিরোধী জিনিস।

আর ধর্মনিরপেক্ষতা??



বঙ্গবন্ধুর কোন ভাষণ, কোন লেখা, কোন দলিলে কেউ এই সমাজতন্ত্র আর ধর্ম নিরপেক্ষতার সন্ধান দিতে পারলে বড়ই উপকৃত হইব।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: :(

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩০

রিয়াজ৩৬ বলেছেন: চেতনাধারীরা লাঠি নিয়ে এলো বলে!!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪

ইঞ্জিনিয়ার শাহারিয়ার বলেছেন: আমি ইতিহাস জানতে চাইছি। দলিলপত্রের মাধ্যমে সঠিক ইতিহাস জানতে চাই। কারো প্রতি আমার হিংসা বিদ্বেষ নাই। সবাই তো আমার পুর্ববাংলার মানুষ।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

মদন বলেছেন: জয়বাংলা

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

ইঞ্জিনিয়ার শাহারিয়ার বলেছেন: জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.