![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"তোমার মনের মইধ্যে আলেকের বাস, সে না কাউরে শোনে, না কাউরে বোঝে। তুমি যা বোঝাও সে তাই বোঝে।"
আগেও বলেছি, আবারো বলি; লালন সাঁইয়ের গানের কথাগুলোর অর্থ তরজমা করার সামর্থ্য আমার নাই, চেষ্টা মাত্র। আমি যা বুঝি ততটুকুর চেষ্টা। মাঝে মাঝে মানসিক বিকার ঘটলেই এই কাজ করি। কোথাও ভুল ধারণা থাকলে যে কেউ সংশোধনের জন্যে এগিয়ে আসলে খুশি হব।
//অমাবস্যায় পূর্ণিমা সে
পূর্ণিমাতে অমাবস্যে
সে কথা কি কবার কথা
জানিতে হয় ভাব আবেশে
অমাবস্যায় পূর্ণিমার যোগ
অসম্ভব সম্ভব সম্ভোগ
জানতে খণ্ডে এ ভবরোগ
গতি হয় অখণ্ড দেশে
রবি শশী রয় সে মুখা
মাস অন্তে হয় একদিন দেখা
সেই যোগের যোগ লেখাজোখা
সাধনে সিদ্ধি হয় অনাসে
দিবাকর নিশাকর সদাই
উভয় অঙ্গে উভয় লুকায়
ইশারাতে কয় সিরাজ সাঁই
লালন তোর হইল না দিশে//
অমাবস্যায় পূর্ণিমা সে
পূর্ণিমাতে অমাবস্যে
সে কথা কি কবার কথা
জানিতে হয় ভাব আবেশে
অমাবস্যা আর পূর্ণিমা দুইটাই প্রায় একে অপরের থেকে আলাদা দুটো জিনিষ। দুই মেরুর দুই জিনিষের মাঝে সংযোগ করা অসম্ভব মনে হলেও সেই অসম্ভব সম্ভব হয় কেবল মাত্রই ভাবের আবেশে। এখন ভাব আবেশ বলতে কি বুঝায় বলতে গেলে ছোট খাট রচনা লিখতে হতেই পারে। অল্প কথায় বুঝাতে গেলে বলতে পারি সাঁই এর খোজ করার প্রক্রিয়াকে অনেক শব্দেই উল্লেখ করেছেন লালন সাঁই। এইটাও তারই প্রতি শব্দ প্রায়।
এক গানের সাথে আরেক গানের মিল রয়েই যায় অনেক ক্ষেত্রেই আর যখন গান গুলোর বিষয় বস্তু হয় এক তখন তো অবশ্যই কিছু মিল থাকে। এই রকমই আরেকটা গানের কথা ছিলঃ
"অমাবস্যায় পূর্ণিমা হয়, মহাযোগ সেইদিনে উদয়"
অর্থাৎ, অমাবস্যায় যেদিন পূর্ণিমা সম্ভব হবে তখনই মহাযোগের উদয় হবে।
কথাগুলোর মূল ভাব বস্তু কাছাকাছিই প্রায়। ভাবের আবেশে যখন অমাবস্যায় পূর্ণিমার উদয় ঘটবে তখনই মহাযোগের দেখা পাওয়া সম্ভব।
“অমাবস্যায় পূর্ণিমার যোগ
অসম্ভব সম্ভব সম্ভোগ
জানতে খণ্ডে এ ভবরোগ
গতি হয় অখণ্ড দেশে”
অমাবস্যায় পূর্ণিমা সম্ভব নয় যদি চিন্তা করা হয় তবে সে ক্ষেত্রে এই কথা গুলো বলা হয়েছে বোধহয়। বোধহয় বলার কারণ আমার নিজের কিছু ব্যাপারে দুই রকমের মনে হয়। যেদিক্টা বেশি শক্ত ভাবে দখল নেয় সেটাই বলা। অসম্ভব সম্ভবের সম্ভোগ তখনই হবে যখন ভবমায়া ত্যাগ করে খন্ড আকারে মানে ক্ষুদ্র আকারে চিন্তা না করে অখন্ড ভাবে চিন্তা করা সম্ভব হবে। আর ভবমায়া আসলে ত্যাগ করা কতটা কঠিন সেইটা ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। তবে প্রতি ঘরেই একটা বাউল থাকতো এইটুকু বুঝতে পারি।
রবি শশী রয় সে মুখা
মাস অন্তে হয় একদিন দেখা
সেই যোগের যোগ লেখাজোখা
সাধনে সিদ্ধি হয় অনাসে
এই ব্যাপারে আগেও অনেক বার বলা হয়েছে আসলে শুধু রূপক গুলো আলাদা। অপেক্ষা আর ধৈর্য্য। চাঁদ আর সূর্য্যের মাসে একবার এক স্থানে মানে ঘুরতে ঘুরতে পাশা পাশি অবস্থান করে, এবং তা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত এবং লিখিত। এই কথা গুলো দিয়ে বুঝানো হয়েছে অপেক্ষা আর সাধনের মাধ্যমেই সিদ্ধি অনায়াসেই অর্জন সম্ভব।
দিবাকর নিশাকর সদাই
উভয় অঙ্গে উভয় লুকায়
ইশারাতে কয় সিরাজ সাঁই
লালন তোর হইল না দিশে
এই অংশে আসার পরেই পুরাটাই উলটাপালটা লাগে আমার কাছে। দিবাকর নিশাকর, সূর্য্য এবং চাঁদ সব সময়েই একে অপরের কাছে লুকায়। চাঁদ সূর্য্যের আলো না পেলে আলোকিত হয় না। কিন্ত্য সূর্য্যের ক্ষেত্রে এমন কিছু জানা নাই আমার।
এইখানে এসেই আটকে আছি প্রায় অনেক দিন। কারো জানা থাকলে বা বুঝে থাকলে জানালে খুশি হব।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৩
পুরোনো পাপী বলেছেন: ভুল ভাল যা মাথায় আসে তাই বকি -_- বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা হয় নাই এখনো -_-
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০২
এম মিজান রহমান বলেছেন: ভালোই লিখেছেন ।শুভেচ্ছা রইলো...
০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৮
পুরোনো পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৭
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: +++++
০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৮
পুরোনো পাপী বলেছেন:
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ভালো বিশ্লেষণ করছস ।