![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নীল নদ (Nile) পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী। ছয় হাজার ছয়শ পঞ্চাশ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদ। আর পৃথিবীর সব চেয়ে বড় নদী হচ্ছে (Amazon) আমাজন নদী। একটি নদী কি পরিমাণ পানি প্রবাহিত করে তার উপর ভিত্তি করেই বড় নদী নির্বাচিত করা হয়। সেই হিসেবে আমাজন নদী প্রতি সেকেন্ডে ১,৮০,০০০ কিউবিক মিটার (cubic metres) পানি প্রবাহিত করে পৃথিবীর সব চেয়ে বড় নদী হিসেবে নিজের স্থান দখল করে আছে।
আসুন তাহলে দেখা যাক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ১০টি নদীর সামান্য তথ্য উপাত্ত।
১। নীল (Nile) নদের দৈর্ঘ্য ৬,৬৫০ কিলোমিটার।
ইথিওপিয়া , ইরিত্রিয়া , সুদান , উগান্ডা , তাঞ্জানিয়া , কেনিয়া , রুয়ান্ডা , বুরুন্ডি , মিশর , কঙ্গো, দক্ষিণ সুদান ইত্যাদি দেশের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে ভূমধ্য সাগরে।
২। আমাজন (Amazon) নদীর দৈর্ঘ্য ৬,৪০০ কিলোমিটার।
ব্রাজিল , পেরু , বোলিভিয়া , কলোমবিয়া , ইকুয়েডর , ভেনিজুয়েলা , গিয়ানা ইত্যাদি দেশের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে আটলান্টিক মহাসাগরে।
৩। Yangtze নদীর দৈর্ঘ্য ৬,৩০০ কিলোমিটার।
চীনে মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে পূর্ব চীন সাগরে।
৪। মিসিসিপি (Mississippi) নদীর দৈর্ঘ্য ৬,২৭৫ কিলোমিটার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে মক্সিকো উপসাগরে।
৫। Yenisei নদীর দৈর্ঘ্য ৫,৫৩৯ কিলোমিটার।
রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়ার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে (Kara Sea)কারা সাগরে।
৬। Yellow River বা হলুদ নদীর দৈর্ঘ্য ৫,৪৬৪ কিলোমিটার।
চীনের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে Bohai Sea তে।
৭। Ob নদীর দৈর্ঘ্য ৫,৪১০ কিলোমিটার।
রাশিয়া, কাজাখিস্তান , চীন, মঙ্গোলিয়া ইত্যাদি দেশের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে Ob উপসাগরে।
৮। পারানা (Paraná) নদীর দৈর্ঘ্য ৪,৮৮০ কিলোমিটার।
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, বোলিভিয়া, উরুগুয়ে ইত্যাদি দেশের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে Río de la Plata এ।
৯। কঙ্গো (Congo) নদীর দৈর্ঘ্য ৪,৭০০ কিলোমিটার।
কঙ্গো, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র , এ্যাঙ্গোলা, তাঞ্জানিয়া , ক্যামেরুন , জাম্বিয়া , বুরুন্ডি , রুয়ান্ডা ইত্যাদি দেশের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে আটলান্টিক মহাসাগরে।
১০। আমুর (Amur)নদীর দৈর্ঘ্য ৪,৪৪৪ কিলোমিটার।
রাশিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ইত্যাদি দেশের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে Sea of Okhotsk এ।
সূত্র : Click This Link
২৬ শে মে, ২০১২ সকাল ১১:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৬ শে মে, ২০১২ সকাল ১১:১২
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: +
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১২:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৬ শে মে, ২০১২ সকাল ১১:১৯
এস এইচ খান বলেছেন: + এবং প্রিয়তে।
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১২:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ২৬ শে মে, ২০১২ দুপুর ১২:৪০
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: ভাই আপনি এই তালিকায় পৃথিবীর দীর্ঘতম লাগান ঠিক আছে কিন্তু বৃহত্তম লাগাইয়েননা। বৃহ্ত্তম বলতে নদী দিয়ে প্রবাহিত পানির পরিমাণ, প্রশস্ততা আর গভীরতা বুঝানো হয়। যা এই তালিকায় থাকা নদীগুলোর মধ্যে কেবল আমাজন এবং কঙ্গো ছাড়া আর কোন নদীরই এইসব ক্রাইটেরিয়ায় আমাদের পদ্মা, মেঘনা বা যমুনাকে পিছনে ফেলার ক্ষমতা নাই। যেই নাইলের নাম আসে সবার উপরে সেই নাইলও তো মনে হয় স্রোত প্রবাহে আমাদের মৃতপ্রায় বুড়িগঙ্গার কাছে পাত্তা পাবেনা আর সেখানে তো পদ্মা, মেঘনা বা যমুনা ছাড়াও আমাদের আরো গোটা ত্রিশেক বড় বড় নদী আছে। একসময় আমাদের তিস্তা, করতোয়া আর মধুমতিও বিশাল নদী ছিল। এখানে এমন কিছু নদী আছে যা আমাদের এখানে হয়ত খাল হিসেবে মর্যাদা পাইতনা। আমাদের এখানকার তালতলার খাল যা গুলশান লেকও অনেকগুলির চেয়ে চওড়া এবং গভীর।
আমরা আমাদের নদীগুলি নিয়ে সচেতন না এবং যারা এই সব র্যাংকিং করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদটাও করিনা। অবশ্য এসব ক্ষেত্রে তাদের দোষও দেয়া যায়না কারণ আমাদের তরফ থেকেই তো কোন প্রতিবাদ নেই তারা কেন সংশোধন করবে কেন? নিজেদের এই অসচেতনতাটা আমাদের কে প্রতিনিয়তই যে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে সে সম্বন্ধে ও আমরাও উদাসীন। আমাদের অনেক নদীর উৎসই ভারতে কিন্তু তারাও এক্ষেত্রে নিশ্চুপ কারণ তারা এই ব্যাপারে সচেতন যদি এইসব নদীর বাস্তব চিত্র আমরা তুলে ধরি তাহলে নদীতে বাধ দিয়ে তারা যে একতরফা অন্যায় করছে সেটা বিশ্ববাসীর সামনে চলে আসবে। তখন এইসব ফোরামেই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে সব সাদা, নিগ্রো, হলদে জাতের মানুষজন। তারা বলবে বিশ্বের তৃতীয়, চতুর্থ আর পন্চ্ঞম বৃহত্তম, চওড়া নদী যথাক্রমে মেঘনা, যমুনা বা পদ্মার কি হাল ভারত করেছে?
আমাদের নদীগুলোর বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়মিত বিশ্ব ফোরামে জানানো উচিৎ এবং এমনকি নিজেদের ব্লগগুলিতেই আগে সেটা শুরু করা উচিৎ। কারণ আমরা নিজেরাই এই ব্যাপারে সচেতন না। আমি ভাবতেই পারিনা বৃহত্তম নদীর ক্ষেত্রে নীল বা আমুর নদীর নাম আসবে তবে অবশ্যই দৈর্ঘের বিচারে নাম আসতেই পারে। আপনি আপনার শিরোনাম চেন্জ করে দিন তা না হলে ব্যাপারটা নদী দখলের মতই দৃস্টিকটু লাগছে আমার কাছে আমি এটাও বিশ্বাস করি পুরো ঘটনাটা জানার পর আপনারও তেমন লাগবে। আর যদি আমার কথা আপনার বিশ্বাস না হয় ইউটিউবে এইসব নদীগুলোর ভিডিও সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন আপনার নিজের কাছেই খারাপ লাগবে। মিশরীয়রা, চাইনীজরা তাদের নদীগুলোতে যতটা ভালবাসে তার সিকি পরিমাণ ভালোবাসলেও আমাদের দেশে পর্যটকে ভরে যেত শুধু নৌ ভ্রমণের জন্য।
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১২:৪৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি, আপনার সাথে আমি এক মত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এই মন্তব্যের জন্য।
শিরনামটি ঠিক করে নিচ্ছি।
৫| ২৬ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৩৯
শহিদুল বলেছেন: জেনে রাখলাম
সুন্দর পোষ্টের জন্য
ধন্যবাদ
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১২:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২৬ শে মে, ২০১২ রাত ৯:৪৪
জেমস বন্ড বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ভাইয়া
২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১২:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০১২ সকাল ১১:০৪
হিমালয়ের মাস্তান বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।সরাসরি প্রিয়তে।