নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূজার ছবি – ০৪ : দূর্গা দেবী

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩০



“দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ।
উকারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত।।
রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ।
ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিত।।”


অর্থাৎ, ""দ" অক্ষরটি দৈত্য বিনাশ করে, উ-কার বিঘ্ন নাশ করে, রেফ রোগ নাশ করে, "গ" অক্ষরটি পাপ নাশ করে এবং অ-কার শত্রু নাশ করে। এর অর্থ, দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা।"



"যিনি দুর্গতি বা সংকট থেকে রক্ষা করেন""যে দেবী দুর্গম নামক অসুরকে বধ করেছিলেন" তিনিই দুর্গা দেবী। হিন্দুধর্মে হিমালয়দুহিতা দেবী দুর্গা শিবের স্ত্রী পার্বতীর উগ্র রূপ, কার্তিক ও গণেশের জননী, এবং কালীর অন্যরূপ। হিন্দুরা তাকে মহাশক্তির একটি উগ্র রূপ মনে করেন। তার অন্যান্য নামসমূহ হল চণ্ডিকা, যোগমায়া, অম্বিকা, বৈষ্ণবী, মহিষাসুরসংহারিণী নারায়ণী, মহামায়া, কাত্যায়নী ইত্যাদি। তিনি জয়দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, গন্ধেশ্বরী, বনদুর্গা, চণ্ডী, নারায়ণী, শিবানী, কালী, গৌরী, উমা প্রভৃতি নামে ও রূপে পূজিতা হন।




হিন্দু মতে দূর্গা কখনো নিমুণ্ডমালিনি চামুন্ডা, তিনিই আবার তমোময়ী নিয়তি। শত্রুদহনকালে তিনি অগ্নিবর্ণা, অগ্নিলোচনা। তিনিই জগদীশ্বরী, আপন মহিমায় এই পৃথিবীতে পরিব্যাপ্ত হয়ে আছেন প্রতিটি জীবের শরীরে। তিনি ঘটন -অঘটন পটিয়সী, দূর্গা দুর্গতিনাশিনী। তিনিই জগৎকে চালান ও প্রতিপালন করেন জগদ্ধাত্রী রূপে, আবার প্রলয়কালে তিনিই হয়ে উঠেন প্রলয়ংকারী দেবী কালিকা। দেবী দুর্গা শাক্ত ধর্মে সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবী, বৈষ্ণব ধর্মে তাকে ভগবান বিষ্ণুর অনন্ত মায়া হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয় এবং শৈবধর্মে দুর্গা শিবের অর্ধাঙ্গিনী ।




দেবী দুর্গার অনেকগুলি হাত। তার অষ্টাদশভুজা, ষোড়শভুজা, দশভুজা, অষ্টভুজা ও চতুর্ভূজা মূর্তি দেখা যায়। তবে দশভুজা রূপটিই বেশি জনপ্রিয়। তার বাহন সিংহ (কোনো কোনো মতে বাঘ)। মহিষাসুরমর্দিনী-মূর্তিতে তাকে মহিষাসুর নামে এক অসুরকে বধরতা অবস্থায় দেখা যায়।




পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড সহ ভারতের বিভিন্ন অংশে এবং বাংলাদেশে দুর্গাপূজা বহুলভাবে উদযাপন করা হয়। উত্তর ভারতে এটি নবরাত্রি হিসাবে পালন করা হয়।

সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন তথা ষষ্ঠীর থেকে আরম্ভ করে দশমী পর্যন্ত হয়ে থাকে এই দুর্গোৎসব। এই পাঁচ দিন যথাক্রমে দুর্গা ষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। এই পক্ষটিকে দেবীপক্ষ এবং মহালয়া বলে। পূর্ববর্তী অমাবস্যার দিন এই দেবীপক্ষ বা মহালয়ার সূচনা হয়। পরের পূর্ণিমার দিনটিকে লক্ষ্মী পূজার দিন হিসাবে গণ্য করা হয়।


সূত্র : উকিপিডিয়া
ছবি তোলার স্থান : নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ০৫/১১/২০১১ ইং

=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
পূজার ছবি – ০১ : দূর্গা দেবী
পূজার ছবি – ০২ : দূর্গা দেবী
পূজার ছবি – ০৩


=================================================================

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আজকে তো পুজা শুরু হয়েছে, কোন ভাংচুর?

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দশমীর পরে হবে

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৩

*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: ভালো লাগে যখন দুর্গা মহিষাসুরের বুকে তীরশুল ঢুকিয়ে দেয়, জুলুমের মূলোৎপাটন করে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: প্রতীকী বিষয়টা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় না এটাই আপসুস।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩৫

কামাল১৮ বলেছেন: পত্রিকায় দেখলাম,চট্টগ্রামে মুর্তি ভাংগা শুরু হয়ে গেছে।কেন যে হিন্দুরা এতো টাকা পয়সা খরচ করে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য মুর্তি বানায় আমার মাথায় আসে না।বিশর্জন দিতে হবে পানিতে ডুবিয়ে।মন থেকে পাপ কুসংস্কার বিশর্জন দাও।

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধর্মের বিষয় গুলি যুক্তি দিয়ে বিচার সব সময় করা যায় না।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: ছেলে বেলায় দূর্গা পুজা দেখতে যেতাম বিভিন্ন যায়গায়। বরাবরের মতো ঢাকেশ্বরী মন্দির, রমনা কালীবাড়ি পুজা হতো জমকালো। আমাদের কলাবাগান মাঠেও পুজা মণ্ডপ হতো এবং ধানমন্ডি কলাবাগান লেকেই বিষর্জন হতো। প্রধান বিষর্জন হতো হাজারীবাগ এলাকার বুড়িগংগায়।

আপনার লেখা ভালো লেগেছে। ছবিও সুন্দর হয়েছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আমার এলাকায় কখনোই হিন্দু ছিলো না বলে এই সবের সাথে পরিচয় ছিলো না কখনো।
২০১০-১১-১২-১৩ এর দিতে নারায়ণগঞ্জে গিয়ে পূজা দেখেছি।
বিসর্জন দেখেছি একবার, পতেঙ্গায়।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

বিটপি বলেছেন: গ্রীক ধর্মে আছে জিউস যখন টাইটানদের সাথে লড়াইয়ে প্রায় হেরে যাচ্ছিল তখন জিউসের মাথা বিদীর্ণ করে দেবী এ্যাথিনার জন্ম হয়, এবং তিনি একাই বলতে গেলে সকল টাইটানদেরকে হারিয়ে পিতা জিউসকে রক্ষা করেছিলেন।

সমুদ্র মন্থনে দেবতারা তখন অসুরদের হাতে প্রায় বধ হতে যাচ্ছিলেন তখন দধীচি নামের সাধকের দান করা হাড়ে দেবতাগণ মন্ত্রপূত পবিত্র জল নিক্ষেপের ফলে সেই অস্থি হতে জন্ম নেয় দেবী দূর্গা। তিনি তখন দশচক্রের মাধ্যমে অসূরদের নেতা মহিষাসূরকে পরাজিত করার মাধ্যমে দেবতাকুলকে রক্ষা করেন।

গ্রীক এবং ইন্ডীয়ান মিথলোজির মধ্যে কোথায় যেন একটা মিল আছে। যদি জিউসের জায়গায় দেবরাজ ইন্দ্রকে কল্পনা করেন।

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এই মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.