নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুচকুন্দ চাঁপা
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : মুচকুন্দ বা মুসকান্দা, মুচাকুন্দা, মুছকুন্দা, কুসুম ফুল, কাঠচম্পা, কলাচম্পা, কোয়াকলা (মণিপুরী) ইত্যাদি।
সংস্কৃত নাম : মুচুকুন্দ, ক্ষত্ৰবৃক্ষ, চিবুক ও প্রতিবিষ্ণুক।
Common Name : Bayur Tree, Banana peels flower, Dinner Plate flower, Flame Tree, Flamboyant tree, Karnikara tree, Maple-leaved Bayur tree, Mayflower, Oleander, Peacock flower, Royal Poinciana, Roseberry Spurge, Torch Tree.
Scientific Name : Pterospermum acerifolium
মুচকুন্দ চাঁপাকে ভারতের কয়েকটি এলাকায় কনক-চাঁপা নামে ডাকা হয়। তাই বাংলাদেশের অনেকেই এই মুচকুন্দ চাঁপা কেই ভুল করে কনক-চাঁপা মনে করেন। যদিও কনক-চাঁপা নামে আরো একটি ফুল রয়েছে আমাদের দেশে।
ভারতীয় ৫ রুপির ডাকটিকিটে স্থান পেয়েছে এই মুচকুন্দ চাঁপা ফুল।
মুচকুন্দ বিশাল আকারের ঘন পাতাবিশিষ্ট বৃক্ষ। এই গাছের উচ্চতা ৫০ থেকে ৬০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। মুচকুন্দ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ভারত থেকে বার্মা পর্যন্ত জন্মায়। মুচকুন্দ চাঁপার আদি নিবাস হিমালয়ের পাদদেশ, মিয়ানমার, আসাম ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল।
একসময় দেশের গ্রামাঞ্চলে মুচকুন্দ গাছ হরহামেশাই চোখে পরলেও বর্তমানে এর গাছ খুবএকটা চোখে পরে না। বেশ আশঙ্কাজনক হারেই এই গাছটি প্রকৃতি থেকে কমে গেছে। পুরান ঢাকা বলধা গার্ডেনে আমি প্রথম মুচকুন্দ গাছ এবং ফুলের দেখা পাই। শিল্পী এস এম সুলতানের প্রিয় ফুল ছিল মুচকুন্দ চাঁপা। তাই তিনি সাতটি মুচকুন্দ চাঁপা গাছ যশোরের মাইকেল মধুসূদন কলেজ ক্যাম্পাসে রোপণ করেছিলেন।
মুচকুন্দ গাছের পাতা অনেকটা উলটকম্বলের পাতার মত দেখতে। পাতা গুলি বেশ বড়, প্রায় ৮ ইঞ্চির চওড়া হয়। পাতার আকৃতির জন্যই মুচকুন্দ গাছ চেনা সহজ।
মুচকুন্দ চাঁপা ফুল ফোটে বসন্ত কালে, তবে বর্ষা কালেও ফুল ফোটে। ফুলগুলি বেশ বড় লম্বাটে আঙুলাকৃতির, অনেকটা খোসা ছাড়ানো কলার মতো দেখতে। ফুলের রং সাদা ও ফ্যাকাশে হলুদ, সিল্কি, বৃতিতে সোনালী রোম থাকে। ফুটে যাওয়া মুচকুন্দের পাঁচটি মুক্ত মাংসল পাপড়ি থাকে।
মুচকুন্দ চাঁপা গাছ গুলি বেশ বড় এবং ফুলগুলি মগ ডালে ফোটে বলে খুব চোখে পরে না। তবে বাংলার সকল জংলী ফুলের মধ্যে সবচেয়ে সুগন্ধি, মনমাতানো মিষ্টি নেশাধরা গন্ধ এই মুচকুন্দ চাঁপা ফুলের। তাই ফুল চোখে না পরলেও তার সুগন্ধি আপনাকে আকৃষ্ট করবেই। সুগন্ধের উৎস ফুলের বৃতি। শুকনো ফুলের বৃতিতেও সুগন্ধ অটুট থাকে। ফুলগুলি বেশ উঁচুতে ফোটে বলে এর ঘ্রাণও অনেক দূর পর্যন্ত ছড়াতে পারে।
মুচকুন্দ ফুল বাসি হলে ঝরে পড়ে। পুরো মুচকুন্দ গাছের তলা বাসি ফুলে ছেয়ে যায়।
ফুল ঝরে যাওয়ার পরেই গাছে ফল আসে। ফল অনেকটাই মেহগিনি ফলের মত, আকারে ৬ ইঞ্চি প্রায়। ফল পরিপক্ব হলে পাঁচ খণ্ডে বিভক্ত হয়ে ফেটে গিয়ে বীজ চারিদিকে ছড়ি পরার সুযোগ পায়।।
ঔষধি গুণ
শ্বেতপ্রদর, টিউমার, আলসার, বসন্ত, রক্ত রোগ, পাকস্থলীর ব্যথা, কুষ্ঠ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
ফুল জীবাণু ও কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গাছের বাকল ও পাতা বসন্ত রোগের মহৌষধ হিসেবে পরিচিত।
পোকামাকড় কামড়ে দিলে এই গাছের পাতার রস লাগালে ব্যথা ভালো হয়।
সতর্কতা : অভিজ্ঞ চিকিৎকের পরামর্শ ছাড়া এইসব ব্রবহার করা বিপদজনক হতে পারে।
তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া, অন্তর্জাল।
ছবি ও বর্ণনা : মরুভূমির জলদস্যু
ছবি তোলার স্থান : বলদা গার্ডেন, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবতো কয়েকবার তার লিখনিতে "মুচুকুন্দ চাঁপা"র উল্লেখ করেছেন। মুচুকুন্দ-চাঁপা নামে একটি গল্পাংশ আছে সম্ভবতো।
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৭
শায়মা বলেছেন: আমিও এই ফুল দেখেছি ছোটবেলায়। অন্যরকম একটা ভাব আছে। তবে এই ফুল প্রিয় যাদের তাদের মনে হয় ফলও প্রিয়। কারণ কলার খোসা টাইপ লাগে দেখত. শুকিয়ে ঝরে পড়ে যখন তখন আরও লাগে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কলার মতো দেখতে বলেই আরো দুইটি নাম আছে - কলাচম্পা ও কোয়াকলা।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: মুচকুন্দ কোনো নাম হলো?? পচা নাম।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সকলের সৌন্দর্যবোধ একই রকম হইবে তাহা ভাবা উচিত নহে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সমরেশ বসুর যুগ যুগ জিয়ে বইতে প্রথম পড়েছিলাম এই ফুলের নাম ত্রিদিবেশ আর শিউলির মিলন স্থান। অনেক খুঁজেছি অবশ্য পেয়েও গেছি, ক্যাবল নাম জানতাম না।
ধন্যবাদ।