![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মুসলিম এবং আমি মুসলিম হিসেবে গর্বিত। এবং পাল্টে দিতে চাই ইসলাম ধর্মকে নিয়ে যত অমূলক ধারন। ইসলাম শান্তির ধর্ম। আসুন ইসলাম সম্পর্কে "পুরোপুরি" জানি এবং তা সত্য বলে মেনে নিই, আর দলে দলে এই শান্তির ধর্মে যোগ দিই।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও খ্যাতনামা আলেমে দ্বীন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আন-র্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা সব অভিযোগই মিথ্যা। তিনি বলেন, একাত্তরে আমি কোনো অপরাধ করিনি। কোনো রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার তো দূরের কথা পদেও আমি ছিলাম না। মানবতাবিরোধী নয়, মানবতার পক্ষে বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশে বক্তব্য দিয়েছি। আমাকে অন্য কেউ রাজাকার বলে না। কেবল ভারতের রাজাকাররাই আমাকে রাজাকার বলে। আর বলে কিছু কলামিস্ট। যারা মিডিয়াকে ব্যবহার করছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ শতাব্দীর নিকৃষ্ট মিথ্যাচার।
গতকাল সোমবার ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের পর আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধে অভিযোগের আদেশ ঘোষণার পর তাকে এজলাসে হাজির করা হয়। এ সময় চেয়ারম্যান তাকে বলেন, ‘আমি অর্ডার ইংরেজিতে দিয়েছি এখন আপনার সুবিধার্থে বাংলায় বলব। আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, আপনি (সাঈদী) যদি দোষী বা নির্দোষ হন তা হলে বলবেন।
জবাবে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বলেন, ‘বাংলায় দেওয়ার দরকার নেই আপনার ইংরেজি অর্ডার আমি বুঝতে পেরেছি’। এ সময় তিনি তার আইনজীবীর সাথে কথা বলতে দেয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানান।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান তখন বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সুযোগ নেই। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘সুযোগ না থাকলে আমি দু-তিন কথায় এর জবাব দেবো’। এরপর মাওলানা সাঈদী প্রথমেই সবাইকে সালাম দিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘আপনি তখন হজ করে এসেছিলেন। হজের নূরানি আভা চেহারায় তখনো নষ্ট হয়নি। আমাকে এখানে আনার পর একজন প্রসিকিউটর আমার নাম বিকৃত করে বলেছিলেন। আমি আশা করেছিলাম, আপনি জিজ্ঞেস করবেন, এইটা কোথায় পেয়েছেন? উনার সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট বা অন্য কোনো দলিলপত্র থেকে পেয়েছেন কি না?
কিন' আপনি তা করলেন না। বরং অর্ডারে ওই নামে আমাকে উল্লেখ করলেন।
আপনি একদিন বলেছিলেন, আল্লাহ আপনাকে অনেক বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। আপনি সেই দায়িত্ব পালন করতে চান। আসলেই বিচারকের দায়িত্ব অনেক বড়। হাশরের দিনে সাত শ্রেণীর মানুষ আল্লাহর আরশের নিচে ছায়া পাবেন। এর প্রথম হচ্ছেন, ন্যায়বিচারক। তাই আমি আশা করি আপনি ন্যায়বিচার করবেন।
বিচারকের দায়বদ্ধতা আল্লাহ ও বিবেকের কাছে। তৃতীয় কোনো স'ানে দায়বদ্ধতা থাকলে ন্যায়বিচার করা যায় না। বরং যেটা করা হয়, সেটা জুলুম হয়ে যায়। আর জুলুমের পরিণাম জাহান্নাম। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার পর মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো অভিযোগ আসেনি। ১৯৮০ সালে জামায়াতের মজলিসে শূরার সদস্য হওয়ার পর এটা আসতে শুরু করে। যখনই এ ধরনের অভিযোগ এসেছে, আমি প্রতিবাদ করেছি, সংসদে বলেছি, মামলা দায়ের করেছি। যার অনেকগুলো এখনো বিচারাধীন রয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ করা তো দূরে থাক, বিগত অর্ধশতাব্দী ধরে দেশে-বিদেশে মানবতার রক্ষায় কাজ করেছি। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে চার সহস্রাধিক পৃষ্ঠার একটি রচনা তৈরি করা হয়েছে। যারা এটা রচনা করেছেন, তাদের মনে আল্লাহর ভয় ছিল না। তাই তারা এটা করতে পেরেছেন। রাজাকারের কমান্ডার হওয়া তো দূরে থাক, তাদের সাথে আমার কোনোই সম্পর্ক ছিল না। আমি শান্তি বাহিনীর সদস্য ছিলাম না, রাজাকার ছিলাম না। পাকবাহিনীর সাথে আমি এক মিনিটের জন্যও বৈঠক করিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি চাই, আপনি আমাকে এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেবেন। দিতে পারবেন। আমি একজন নিরীহ মানুষ। এই অবিচার করা হলে, আল্লাহর আরশ কাঁপবে। আল্লাহর লানতে পড়বে। সারা পৃথিবী তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে।’
মাওলানা সাঈদী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সহস্রাধিক রচনা লেখা হয়েছে। ‘এর প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি লাইন মিথ্যা। এমন মিথ্যা প্রতিবেদনের জন্য আল্লাহর আরশ কাঁপবে। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে যারা এমন প্রতিবেদন তৈরি করেছে তাদের ওপর আল্লাহর গজব নেমে আসবে। আমি সেই লানত দেখার অপেক্ষায় আছি।’
তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, তিনি কখনোই শান্তি কমিটিতে বা রাজাকার- আলবদর ছিলেন না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে এক দিনের বা এক মিনিটের জন্যও আমার সাথে কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক। সূরা হুজরাতের ১১ নম্বর আয়াতের কথা উল্লেখ করে মাওলানা সাঈদী বলেন, ‘ওই সূরাতে নামের বিষয়ে বলা আছে- কোনো মানুষকে বিকৃত করে ডেকো না।’
আবু হুরাইরা রা: থেকে বর্ণিত একটি হাদিস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর আরশের নিচে সাত শ্রেণীর মানুষ ছায়া পাবে। তার মধ্যে ন্যায়বিচারকরা প্রথমেই রয়েছেন। আপনাদের (ট্রাইব্যুনাল) কাছ থেকে সেই ন্যায়বিচার আশা করি। তাই আপনি ন্যায়বিচার করবেন। তিনি বলেন, বিচারকদের নিরপেক্ষতা, বিবেক, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা না থাকলে সুবিচার নিশ্চিত হয় না।
তিনি বলেন, ‘৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক যুগের বেশি সময় আমাকে নিয়ে কোনো কথা হয়নি। ১৯৮০ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেয়ার পর আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় আমাকে গ্রেফতারের পর। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ১৯৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে সরকার গঠন হয়। সেই সংসদে আমি ২০ মিনিটের বক্তব্য দিয়ে বলেছিলাম, আমি রাজাকার নই। সেই ২০ মিনিটের বক্তব্যের একটি কথাও এক্সপাঞ্জ করা হয়নি।’
তার বক্তব্য শেষে ট্রাইব্যুনাল সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির বলেন, ‘সাঈদী সাহেব তারা (রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর) যদি আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারে, তাহলে আপনি মুক্তি পাবেন।’ তখন সাঈদী ‘আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ’ এই বলে তার বক্তব্য শেষ করেন। মাওলানা সাঈদীর বক্তব্যের সময় আদালত প্রাঙ্গণে ছিল পিনপতন নীরবতা। প্রসিকিউটর কিংবা সরকার পক্ষে নিযুক্ত কেউই এ বক্তব্যের বিরোধিতা কিংবা দ্বিমত পোষণ করেননি। সবাই সম্মোহিতের মতো এই খ্যাতনামা আলেমে দ্বীনের বক্তব্য শোনেন। বক্তব্য শোনার পর ট্রাইব্যুনাল ৩০ অক্টোবর থেকে অভিযোগের ওপর শুনানি শুরুর দিন ধার্য্য করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। এর পরপরই আদালত তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন ছাড়াও অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ উপসি'ত ছিলেন।
খবরের লিংক।
আমার ও কেন জানি মনে হচ্ছে ওনি অবিচার পাচ্ছেন। আমি জামাত করিনা এবং বাংলাদেশের কোন রাজনীতি পছন্দ ও করিনা এবং আমি রাজনীতির ঘোর সমালোচক। আল্লাহই ভাল জানেন। আল্লাহ তুমি উত্তম ফয়সালা কর।
কারও কাছ থেকে কোন খারাপ মন্তব্য আশা করি না। আপনার ভিন্নমত থাকতেই পারে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০৩
শিকদার বলেছেন:
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:১৮
ShusthoChinta বলেছেন: সাঈদীর ব্যাপারটা কেমন যেন মনে হয়! সরকার আবার ধরা খেয়ে যাবে না তো?
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০৫
শিকদার বলেছেন: হতে পারে।
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:২০
কলাবাগান১ বলেছেন: "আমার ও কেন জানি মনে হচ্ছে ওনি অবিচার পাচ্ছেন। " উনি ১৯৭১ এ কি করতেন তাকি এলাকার লোকজন জানে না???
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০৭
শিকদার বলেছেন: বর্তমানে এলাকার লোক ও কিনতে পাওয়া যায় জানেন না। টাকার জোরে নয়তো ক্ষমতার জোরে।
যদি ওনি খারাপ কিছু সত্যিই করে থাকেন তবে অবশ্যই তার বিচার করা উচিত।
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:২১
কলাবাগান১ বলেছেন: "আমার ও কেন জানি মনে হচ্ছে ওনি অবিচার পাচ্ছেন। " উনি ১৯৭১ কি করতেন এলাকার লোকজন এখনও মনে রেখেছে
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১১
শিকদার বলেছেন: হতে পারে। তবে গতবার ক্ষমতায় যখন আওয়ামি ছিল, তখন কিন্তু এই অভিযোগ ছিলনা। বা যখন জামাতী আওয়ামীলিগের সাথে ছিল তাখন কিন্তু এরা যুদ্ধাপরাধী ছিলনা (আওয়ামীদের মতে)। আমার মতে যারা ঘৃনিত তারা সবসময়ই ঘৃনিত।
৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:১৩
জানালার বাইরে বলেছেন: shokalbelai mejajta kharap holo.
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১২
শিকদার বলেছেন: আমার ও মেজাজ খারাপ হয় যখন শুনি, শেখ হাসিনা আপার আত্নীয় রাজাকার হয়েও পার পেয়ে যায়।
৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:২৩
িময়াজী বলেছেন: নিসন্দেহে আনীত অভিযোগ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাচার
৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:৫১
খইকাঁটা বলেছেন: লেখকের সাথে সহমত। শুধু জামায়াত করাটাই বর্তমানে একটি বিশেষ অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংগঠন সংশ্লিষ্ট সকলেই সরকারের রোষের শিকার হচ্ছেন।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১৭
শিকদার বলেছেন: আমি দুঃখিত যে আমি জামাত কে সমর্থন করিনা। একদমই না। বর্তমানে সত্য বললেই লোকজন বিএনপি ও জামাতে জড়িয়ে ফেলে। ছিঃ ছিঃ। কারন এরা আসলে এই নোংরা দল গুলো ছাড়া কিছুই চিন্তা করতে পারেনা।
বক্সের বাইরে এরা কখনই চিন্তা করেনা। করলে দেশ অনেক উন্নত হত ইনশাল্লাহ্।
এই দল গুলোর উদাহরন হচ্ছে এই রকম যে, একজন চাঁদা বাজ দাবী করল ১০০ টাকা, আরেক জন সেই একই কাজের জন্য দাবী করল ২০০ টাকা ও আরেক জন দাবী করল ৪০০ টাকা। মুদ্দা কথা এরা আসলে সবাই চাঁদাবাজ।
৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৩৫
নিশাচর নাইম বলেছেন: আমারো তাই মনে হচ্ছে।উনার ওয়াজগুলো ভাল লাগত।কোথাও ওয়াজ মাহফিল হলে শুনতে যাওয়ার চেষ্টা করতাম।উনি ছাড়া আরো কয়েকজন প্রিয় বক্তা ছিল যাদের কোন ওয়াজ মাহফিল হলে শুনতে চেষ্টা করতাম।কিন্তু আম্বারা ক্ষমতায় আসার পর এদের কোন ওয়াজের খবর শুনি না।সাইদী না হয় জামাতী তাই করতে পারছে না কিন্তু অন্যদের কি সমস্যা আল্লাহ্ ভাল জানেন।এখন কনসার্ট এর অনুমতি দেয়া হয় কিন্তু মাহফিল এর অনুমতি দেয়া হয় না।আল্লাহ তুমি উত্তম ফয়সালা কর।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৪৫
শিকদার বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ নাইম ভাই এসে গেছেন। আপনার সাথে আমি চরম সহমত। বিশ্ব ইজতেমা শেষ হওয়ার কিছু দিন পরেই, এর পাশের মাঠে কনসার্টের আয়োজন করেছিল, অনেক আন্দোলন করে তা বন্ধ করা হয়। আর এখন মহফিল হলে জাতির আফারা আগেই বন্ধ করে আব্বার স্বপ্ন পুরন করে।
আর অন্যদের সমস্যা হচ্ছে তারা তো হক্ব কথা বলেন। আর আমাকেই দেখুন না, আমি একটা কথা বললাম ওমনিতেই বলা শুরু হইছে আমি জামাতি!!! এই হল সোনার বাংলা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:৪৯
রাশেদ হাসান নোবেল বলেছেন: ভাই সম্মোহিত হইয়েন না।