নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাখাইন ইস্যুতে করিডোর: ইউনূসের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি!

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:০৬

রাখাইন ইস্যুতে করিডোর: ইউনূসের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি!
বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোর দেওয়ার যে "নীতিগত সিদ্ধান্ত" নিয়েছে, তা গভীর উদ্বেগ ও চরম আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। আমরা জাতি হিসেবে মানবিকতা এবং শান্তির পক্ষে তবে কোনো অবস্থাতেই নিজের ঘরের দরজা খুলে রেখে আগুনের মধ্যে লাফ দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে আমাদের সম্পৃক্ততা চাওয়া মানে এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলা, সীমান্ত অখণ্ডতা হুমকির মুখে ফেলা, এবং সবচেয়ে বিপজ্জনকভাবে বাংলাদেশকে একটি অঘোষিত যুদ্ধে টেনে নেওয়া। ইউনূস ও তার নীতিনির্ধারকেরা কি সত্যিই বুঝতে পারছেন, এই করিডোর খুলে দিলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যদি সেখানে হামলা চালায়, তার দায় কে নেবে? বাংলাদেশের ভূখণ্ড তখন সরাসরি যুদ্ধের ময়দান হয়ে উঠবে।
আরাকান আর্মি কোনো শান্তি বাহিনী নয় এরা সশস্ত্র বিদ্রোহী। জাতিসংঘের মুখ চেয়ে তাদের নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে সহায়তা পাঠানো মানে তাদের অবস্থানকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ কূটনৈতিক বিপদ বয়ে আনতে পারে।
আজ প্রশ্ন উঠে, ইউনূস সাহেব আসলে কী চাচ্ছেন? এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে কি তিনি একটি সীমান্ত সংঘাতকে উস্কে দিতে চান, যাতে তিনি নিজে জাতীয় সংকটের আড়ালে ক্ষমতায় টিকে থাকার সুযোগ পান? রাষ্ট্রক্ষমতা চিরস্থায়ী করার এই কৌশল জনগণ বুঝে গেছে। জনগণ চায় স্থিতিশীলতা, জাতীয় স্বার্থে সুস্পষ্ট ও দৃঢ় অবস্থান।
বাংলাদেশের ভূমি, সীমান্ত, এবং স্বার্বভৌমত্ব নিয়ে এক চুল আপস করা যাবে না। এই করিডোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এখনই প্রতিবাদ জানাতে হবে। নইলে এই আত্মঘাতী নীতির চূড়ান্ত মূল্য দিতে হবে পুরো জাতিকে।
রাখাইন সমস্যা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাংলাদেশের কাজ সীমান্ত রক্ষা, না যে কোনো মূল্যে 'মানবতা’র মুখোশ পরে পরোক্ষ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া। এখনই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন, নয়তো ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৫১

কাঁউটাল বলেছেন: আপনাদের প্রিয় বন্দু রাস্ট্র "ভঁড়ত" যদি ইুউনুস সাহেবের পিছনে উঠে পড়ে না লাগত, তাইলে হয়তো ভঁড়ত কে োয়ামারা দেওয়ার জন্য উনি আমেরিকাকে ডেকে আনতেন না। বেশি ফটকামি করলে এইরকমই হয়।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: অস্থির হবেন না। সময় দিন। সব ঠিক হয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.