নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যখন রক্ষকই ভক্ষকে পরিণত হয়।

০৫ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৪


যখন রক্ষকই ভক্ষকে পরিণত হয় ।
বাংলাদেশ আজ এক অন্ধকার সময়ে দাঁড়িয়ে আছে।
যেখানে আইনের শাসনের কথা বলা হয় মুখে, কিন্তু রাস্তায়-বাজারে, গ্রামে-শহরে যা চলছে তা এক নির্মম, নিষ্ঠুর, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই নয়।

রাতের আঁধারে পুলিশের পোশাক, ভোরে রক্তাক্ত লাশ
পুলিশ যাদের কাজ মানুষকে রক্ষা করা, নিরাপত্তা দেওয়া, বিচার নিশ্চিত করা। আজ তাদেরই একাংশ রাতের অন্ধকারে পরিণত হয়েছে ছায়ামূর্তি। নিরীহ ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, বিরোধী দলীয় নেতা বা কর্মী কারো ঘর আজ নিরাপদ নয়। পুলিশের পোশাক পরে, পুলিশ পরিচয়ে রাতে দরজা ধাক্কানো মানেই আতঙ্ক “এবার হয়তো আমার পালা”।

এক শ্রেণির পুলিশ এবং শাসকদলের গুন্ডারা আজ একাকার হয়ে গেছে। যারা মানুষ ধরে নিয়ে যায়, মিথ্যা মামলা দেয়, নির্যাতন করে, অর্থ আদায় করে, এমনকি লুটতরাজ চালায়। ভুক্তভোগীরা যখন থানায় যায়, তখন সান্ত্বনার নামে মেলে চরম অবজ্ঞা: “দেখছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
তারা জানে না, যে ব্যবস্থা ‘নেওয়া’ হবে, সেটাই হয়তো পরেরদিন তাদের নিখোঁজ হওয়ার প্রস্তাবনা।

রাষ্ট্র এখন আতঙ্কের আরেক নাম
যে রাষ্ট্র মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেছিল, সেই রাষ্ট্র এখন নাগরিকদের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। ভিন্নমত মানেই রাষ্ট্রদ্রোহ! সরকারকে প্রশ্ন করা মানেই জিজ্ঞাসাবাদ, গুম, বা মামলা। রাজনীতি করা আজ ভয়ংকর অপরাধে পরিণত হয়েছে, যদি না তা সরকারদলীয় হয়।

কর্মসংস্থানের কথা বললে মামলা,
ভোটের অধিকার চাইলে লাঠি,
দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ালে গুম।
এই যদি হয় রাষ্ট্রের চরিত্র, তবে এর নাম কি গণতন্ত্র? না কি আধুনিক লেবাসে পুরনো রাজতন্ত্র?

শক্তিমান রাষ্ট্র নয়, ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র চাই
একটি রাষ্ট্র তার জনগণের সমর্থনে টিকে থাকে, ভয় বা হুমকির ওপর নয়। পুলিশ বা প্রশাসন যখন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে পড়ে, তখন বিচারব্যবস্থা মরে যায়, মানুষের ভরসা হারিয়ে যায়, এবং রাষ্ট্র নিজেই হয়ে ওঠে জুলুমের কারখানা।

বিচারবহির্ভূত হত্যা, মিথ্যা মামলা, গুম, নির্যাতন এসব কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চিহ্ন হতে পারে না। এসব বর্বরতার চিহ্ন, যা ইতিহাসে একদিন দায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। যারা আজ ক্ষমতায় আছে, তারা ভুলে যাচ্ছে—ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, কিন্তু অন্যায়ের দায় ইতিহাসে চিরস্থায়ী।

গণমানুষের প্রশ্ন: কোথায় যাবে আমরা?
এই দেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে, ভোটাধিকার ছিনিয়ে এনেছে, একনায়কের পতন ঘটিয়েছে। তারা ভীত নয়, কিন্তু ক্লান্ত। তারা প্রতিবাদ করতে চায়, কিন্তু আজ এতটাই বন্দী যে তাদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে মিডিয়ার কণ্ঠ স্তব্ধ করে, সমাজের নেতাদের কেনাবেচার মাধ্যমে, বিচারালয়ের চেয়ারে ভীতি বসিয়ে।

কিন্তু মানুষের মনের কণ্ঠ থামানো যায় না।
লেখার কালি শেষ হলেও ক্ষোভের আগুন নিভে না।
আজ যে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে, তা যদি এখনই বন্ধ না হয়, তবে সময় ইতিহাসকে চুপ থাকতে দেবে না।

শেষ কথা
যখন রক্ষকই ভক্ষকে পরিণত হয়, তখন একমাত্র ভরসা হয় জনগণ।
একটি জাতির বিবেক কখনো চিরকাল ঘুমিয়ে থাকে না।
যারা আজ রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাস চালায়, তারা ভুলে যায় ভোর নামবেই।
আর সেই ভোরের আলোয় বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে আজকের দানবেরা।

এখন সময়, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের মনে প্রশ্ন তোলার
"এই কি ছিল আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন?"
"নিরাপত্তার নামে ভয়, ন্যায়ের নামে নিঃশ্বাসরোধএ কোন বাংলাদেশ?"

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৩৪

যামিনী সুধা বলেছেন:




আমাদের জাতির স্বপ্ন ( স্বাধীনতার সময়ের ) কি ছিলো আপনি জানেন নাকি, নাকি শুধু বকবক করেন?

২| ০৫ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৩৫

যামিনী সুধা বলেছেন:



রক্ষক তো শেখ হাসিনাও ছিলেন? উনার সময় আপনি কোথায় ছিলেন? উনার ভুল নিয়ে এইভাবে বকবক করেছিলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.