![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম নয়, ধ্বংসের হাতিয়ার: মৌলবাদীদের ছদ্মবেশে ধর্মের অপমান।
ধর্ম বিশ্বের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতি, আশ্রয়, বিশ্বাস ও আত্মার শান্তি।
বিশেষ করে আমাদের মত একটি ধর্মপ্রাণ সমাজে ইসলাম কেবল একটি বিশ্বাস নয়, বরং জীবন পরিচালনার এক পবিত্র নির্দেশনা।
এই ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় সহানুভূতি, সহনশীলতা, এবং শান্তির পথ।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আজ কিছু মানুষ ধর্মের নাম নিয়ে, সেই পবিত্র অনুভূতিকে ভুল পথে চালিত করছে।
এই মানুষগুলো হল মৌলবাদী যারা ইসলামের সৌন্দর্য নয়, শুধুমাত্র ভয়, ঘৃণা, এবং বিভাজনকেই সামনে আনে।
ধর্ম নয়, তাদের উদ্দেশ্য রাজনীতি ও ক্ষমতা
মৌলবাদীরা ধর্মের ব্যাখ্যাকে নিজের মতো করে রচনা করে, এবং সেই ব্যাখ্যাকে অন্ধ অনুসরণের দাবিতে চাপিয়ে দেয় সমাজের ওপর।
তারা ভিন্নমতকে শত্রু বলে, নারীর স্বাধীনতাকে গুনাহ বলে, এবং প্রগতিশীল চিন্তাকে ধর্মবিরোধিতা বলে দাগিয়ে দেয়।
তাদের চোখে:
একটি প্রশ্ন করা মানেই ধর্মকে অপমান করা,
একটি বই লেখা মানেই ঈমানহীনতা,
একটি মেয়ে উচ্চশিক্ষা নিলে সেটা ধর্মত্যাগ।
আসলে, তারা জানে ভয়ের নামে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাই তারা ধর্মের আবরণে ক্ষমতার রাজনীতি করে।
পবিত্র ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে গড়ে ওঠে সহিংসতা
আমরা প্রায়ই দেখি, কেউ কোনো সামাজিক প্রশ্ন তুললে, কেউ নারীর অধিকারের পক্ষে কথা বললে, কেউ বিজ্ঞান বা ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করলে তাকে ধর্মদ্রোহী বানিয়ে তার বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকি বা সহিংসতা শুরু হয়।
এই পরিস্থিতিতে মৌলবাদীরা ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ভুলভাবে উত্তেজিত করে। তারা বোঝাতে চায়, যেন সেই লেখক বা বুদ্ধিজীবী ইসলাম ধ্বংস করতে চায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো এইসব মৌলবাদীরাই ইসলামের আসল সৌন্দর্যকে আঘাত করে।তারা সত্যিকারের ইসলামের বদলে ভয়ভীতির ইসলাম তুলে ধরে।
কীভাবে আমরা সচেতন হবো?
আমাদের বুঝতে হবে সমালোচনা আর অপমান এক নয়। কেউ যদি সমাজের অন্যায় দিক নিয়ে কথা বলে, প্রশ্ন তোলে, সেটা ইসলামবিরোধিতা নয় বরং ইসলামিক চেতনার অংশ, কারণ ইসলাম প্রশ্ন করার অধিকার দিয়েছে। কোরআন নিজেই মানুষকে চিন্তা করতে, গবেষণা করতে, বারবার উৎসাহ দিয়েছে।
আমাদের দায়িত্ব:
ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে যাতে কেউ রাজনৈতিক স্বার্থে খেলা না করে, সে বিষয়ে সচেতন থাকা। অন্ধ আবেগের বদলে যুক্তি ও জ্ঞানের আলোয় পথ চলা। ধর্মকে ভালোবেসে, মৌলবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া।
উপসংহার
ইসলাম শান্তির ধর্ম, প্রেমের ধর্ম, মানবতার ধর্ম।
মৌলবাদীরা সেই ধর্মকে বিকৃত করে, নিজেদের মতলব হাসিলের হাতিয়ার বানায়।
আমাদের পবিত্র ধর্মীয় অনুভূতি তখনই সুরক্ষিত থাকবে, যখন আমরা সচেতনভাবে বুঝবো ধর্মের নাম করে কে বিভ্রান্ত করছে, আর কে সত্যিকারের আলো দেখাচ্ছে।
এই সময়ে দাঁড়িয়ে, মৌলবাদের মুখোশ খুলে, ইসলামের আসল সৌন্দর্য রক্ষায় আমাদেরই কলম চালাতে হবে, মুখ খুলতে হবে, দাঁড়াতে হবে।
২| ০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩৭
কামাল১৮ বলেছেন: কোন হুমকি ধামকি পেয়েছেন কি।শুর একটু অন্য রকম লাগছে।ইসমাল শান্তির ধর্ম হলে অশান্তির ধর্ম কোনটি।সারা দুনিয়ায় অশান্তি করছে কারা।
৩| ০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭
ধুলো মেঘ বলেছেন: আমার কাছে যেটা অদ্ভুত লাগে, সেটা হল নারীদের সাথে মোল্লাদের দ্বন্দ্ব। দেশে যখন নারীর অবমাননা হয়, ধর্ষণ হয় তখন এদেরকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়না। এমনকি কোন কোন মোল্লাকে ওয়াজ করতে দেখা যায় যে, ধর্ষকের আগে ধর্ষিতার বিচার হওয়া উচিত।
কিন্তু নারী অধিকার বা নারী কমিশন নিয়ে কোন ইস্যু সামনে এলেই এরা দল বল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কেন বাবা? আগে দেখ না সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে সরকার কিভাবে মুভ করে, তারপর না হয় লাফালাফি করিস! কে শোনে কার কথা? এরা নারীর কুশপুত্তুলিকায় জুতা পেটা করে স্বর্গারোহনের স্বপ্নে বিভোর থাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: দেখা যাচ্ছে ধর্মই সব নষ্টের মুল!!