![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোপালগঞ্জে উত্তাল জনরোষ ও একটি পূর্বপরিকল্পিত অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্র।
==============================================
গতকাল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নে যেভাবে জনরোষের বিস্ফোরণ ঘটে গেল, তা ছিল না শুধু একটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বরং এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে বৃহৎ একটি রাজনৈতিক অশুভ পরিকল্পনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে তাঁকে কটাক্ষ করে কথা বলা মানে শুধু একজন নেতা নয়, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও জাতিসত্ত্বার ওপর সরাসরি আঘাত।
ঘটনাপ্রবাহ সংক্ষেপ
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ উলপুর হাইস্কুল মাঠে এক সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতা বক্তৃতার মাঝে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননাকরভাবে উপস্থাপন করেন। সভাস্থলের বাইরের সাধারণ মানুষদের মধ্যে তাৎক্ষণিক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। মূহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। জনতা হামলা করে মঞ্চ ভেঙে ফেলে, গাড়িতে আগুন লাগায় এবং বক্তব্য প্রদানকারীকে ঘিরে ধরে। পুলিশ হস্তক্ষেপ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খায়।সে সময় ক্ষমতা লিপ্সুদের বাচাতে সেনাবাহিনী গুলি করে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫), কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮), টুঙ্গীপাড়ার সোহেল মোল্লা (৪১) ও সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন (২৪)।
অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত ১০ জন।
এছাড়া অন্তত ১৫ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
পূর্বাভাস জানা সত্ত্বেও প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা
সরকার অবগত ছিল যে গোপালগঞ্জের মাটি বঙ্গবন্ধুপ্রেমে গড়া। এই অঞ্চলে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললে তা হবে 'আগুনে ঘি ঢালার' মতো। তবুও কেন এই সভার অনুমতি দেওয়া হলো? কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না? এমনকি বক্তার পরিচয়, অতীত কর্মকাণ্ড সবই জানা সত্ত্বেও প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা ও কে লাভবান?
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুরো দেশ জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম, খুলনা, কিশোরগঞ্জ ও রংপুরে এনসিপির কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। কিছু এলাকায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষও হয়েছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে এই পরিস্থিতি কার জন্য লাভজনক?
মানুষ মনে করে- এটি হতে পারে একটি পরিকল্পিত 'ক্রাইসিস পলিটিক্স' এর অংশ। যেখানে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকার দেশে পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এই মর্মে প্রচার করতে পারে দেশে নির্বাচন আয়োজনের মতো পরিবেশ নেই।
স্মরণ রাখা দরকার, ড. ইউনূস দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার জন্য নানা ধরনের কৌশল প্রয়োগ করে আসছেন। একদিকে বিদেশী লবিং সহায়তায় ক্ষমতায় বসা, অন্যদিকে দেশে ‘নিরাপত্তাহীনতা’র অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করে চলা সবই যেন এক ছকে বাঁধা পরিকল্পনা।
জনগণের বার্তা: বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ
এই ঘটনার মাধ্যমে গোপালগঞ্জের জনগণ আবারও প্রমাণ করেছে, বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষা করতে তারা যে কোনো আত্মত্যাগে প্রস্তুত। অথচ একটি গণতান্ত্রিক দেশের সরকারের উচিত ছিল সেই আবেগের প্রতি সম্মান দেখানো, উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া।
সমাপ্তি: শান্তির পথে না ষড়যন্ত্রের পথে?
এই ঘটনা শুধু একটি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি নয়, বরং ভবিষ্যতের একটি সংকেতও বটে। আমরা কি আরও গভীর সংকটে যাচ্ছি? রাষ্ট্রক্ষমতা ধরে রাখার জন্য পরিকল্পিত নৈরাজ্য কি আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে? নাকি দেশের জনগণ তাদের সচেতনতা ও ঐক্য দিয়ে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে?
সরকার ও প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দেওয়া, জনগণের আবেগ ও নিরাপত্তার প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া। অন্যথায় ইতিহাস কিন্তু কখনো ক্ষমা করে না।
সালাউদ্দিন রাব্বী
সমাজকর্মী
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব কিছুই ইলেকশন যাতে না হয় সে কারণে করছে। এনসিপি নেতা মাসুদ শুরুতেই বলে ফেলে সিচুয়েশন ভালো না কিসের ইলেকশন ।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: গোপালগঞ্জের ঘটনা প্রমান করে এই আর্মি পাক আর্মির দোষর।এরা জনগনের বন্ধু না।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ধূসর সন্ধ্যা বলেছেন: উত্তাল জনরোষ? পাগলা আওয়ামীলীগ কুকুরদের হামলা বলেন
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:০৪
শাহাদাত নোমান ০২ বলেছেন: গোলা বারুদ, ট্যাংক, বন্দুক নিয়ে কেউ মার্চ টু গোপালগঞ্জ গেলো নাপা। মরলো সাধারণ মানুষ। তারা প্রতিরোধ করতে চাইলো। এই প্রতিরোধ করবার অধিকার তাদের আছে। যখন আপনি জাতির পিতাকে অপমান করবেন, মুজিববাদ মুছে ফেলতে চাইবে- তো আপনার আগ্রাসী ভূমিকার বিপরীতে আপনাকে প্রতিরোধ করাটাই দেশপ্রেমের অংশ। কেননা মুজিববাদই স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ। সশস্ত্র বাহিনী আপনাকে কেন প্রটোকল দিচ্ছে? এরা কি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান নাকি নাপার? সেনাবাহিনিকে অপব্যাবহার করছে নাপা। এই খুন এবং সশস্ত্র বাহিনিকে অবৈধ ব্যাবহার করার অপরধের বিচার করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭
আমি নই বলেছেন: আমিও মনে করি এটা পুর্বপরিকল্পিত, সাদ্দামের কথায় সেটা প্রমানিতও হয়। এনসিপির নেতাদের হত্যাই হয়ত মুল উদ্দেশ্য ছিল। গোপালগঞ্জের মানুষের উচিৎ ছিল তারা কি বলে শোনা, ভাল না লাগলে সমর্থন দেবে না, তাদের ডাকা সমাবেশে আসবেনা, সিম্পল!! গোলিগুলি করবে কেন? অন্যদেশে আরাম-আয়েসে থাকা নেতাদের কথা শুনে নিজেদের জংগী হিসেবে প্রমান করার কোনো দরকারই ছিল না।
আর ভাই গোপালগঞ্জ মানেই বাংলাদেশ নয়। সুতরাং গোপালগঞ্জের মানুষ কি করল না করল তাতেই বাংলাদেশের মানুষের বার্তা দেয়া হল, এই ভুল ধারনা থেকে বের হয়ে আসেন।