নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ

রবি০১৯

আমি একজন যাযাবর

রবি০১৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটা বিদ্রোহ না হত্যা কান্ড

০২ রা মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪

আজ আমরা যাদের দেশের সিমান্ত রক্ষায় দায়িত্বে পাঠাবো তারা কি আসলেই দেশের জন্য কাজ করবে তারা কি দেশের সিমান্ত রক্ষার জন্য নিজের জীবন বাজী রেখে কাজ করবে। তা নিয়ে আমার যেমন সন্দেহ হয় আমার মনে হয় আজ দেশের সকল মানুষের মনে একই কথা।



আমার মনে হয় যারা দেশকে ভালবাসে তারা কখনও দেশের এত বড় ক্ষাত করতে পারেনা। বিডিআর যে ইসুতে এই বিদ্রোহ করেছে সেই ইসুর জন্য এভাবে বাংলাদেশের সূর্যতরুন সন্তানদের নির্মম ভাবে খুন করতে পারেনা। এটা কোন ভাবেই অধিকার আদায়ের রাস্তা হতে পারেনা।



আজ আমরা যাদেরকে হারিয়েছি তাদের শূন্যস্থান বাংলাদেশ কখনও পূরুন করতে পারবেনা। কারন বিশ্বের কোন যুদ্ধের ইতিহাসে একদিনে এতবেশী পরিমান সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়নি। অথচ নিজের দেশ রক্ষার্থে যাদের সুযোগ দেয়া হয়েছে তারাই আজ বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম কাজটি করেছে। আমরা কিভাবে তাদের হাতে আবার দে রক্ষার দায়িত্ব দেব।



২৫ তারিখ আনুমানিক ৯.৪৫ মিনিটে একটি লাইনের ব্লগ ছিল

যে পিলখানায় প্রচুর গোলাগুলি হচ্ছে। আমরা অনেকে মনে করেছি যে বিডিআর সপ্তাহে তাদের কোন অনুষ্ঠানের অংশ বিশেষ। কিন্তু আমার এক বন্ধু ফোন করে বলল যে বিডিআর রা বিদ্রোহ শূরু করছে। তাদের ভার্সিটি রাইফেল স্কয়ারের পাশে। কিন্তু কখনও ভাবিনি যে এটা কোন বিদ্রোহ নয় এটা হতে যাচ্ছে আরেকটি ২৫ মার্চ যে রাতে পাকিরা আমাদের নিঃসঙ্গসহ ভাবে হত্যা করে।



এটাকি আসলেই বিডিআর দের কাজ ছিল, এটাকি তাদের ভাষায় অধিকার আদায়ের আন্দোলন ছিল। আজ আমরা সকলে এই একটি প্রশ্ন নিয়েই ভাবছি। তারাকি আসলেই সঠিক ভাবে নিয়োগ পেয়েছিল নাকি কোন ঘুষ্ঠি তাদেরকে কাজে লাগানোর জন্য নিয়োগ দিয়েছিল। এটা নিয়ে তদন্ত করে দেখা উচিত বলে আমি মনে করি।



আমার মনে হয় কোন এক দেশদ্রোহি ঘূষ্ঠি একাজের জন্য দায়ি। যারা কখনও চায়না যে বাংলাদেশ একটি শান্তির দেশ হিসাবে বিশ্বে পরিচিতি পাক। যেমন চায়নি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামের একটি দেশ গঠন করুক, বিশ্বে বাংলাদেশের একটি আলাদা পতাকা থাকুক।



আজ পত্রিকাতে দেখলাম যে তৌহিদ সাহেব যে জঘন্য হত্যা কান্ড করার সময় সরকারের সাথে আলোচনা করেছে সেই একাজের প্রধান। তার মোবাইলে অনেক বার্তা আছে যা তার যথেষ্ট প্রমান বলে বিবেচিত হয়। একসময় কি একটি ছাত্র সংগঠনের কর্মী ছিলেন যা পরবর্তীতে ঐ সংগঠনের তার এলাকার নেতৃত্ব দিতেন।



গত কয়েকদিন পত্রিকা খুললে চোখের পানি ধরে রাখা আমাদের মত সহজ সাধারন মানুষদের কঠিন ছিল। আজকের প্রথম আলো পত্রিকায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী সহ সকল সেনা অফিসারদের কান্না আবার চোখের পানি ঝরতে বাধ্য করেছে। আমরা আর এভাবে কাদতে চাইনা। আমরা আর সাথিহারা হতে চাইনা। এতিম হতে চাইনা।



আমরা চাই এই হত্যা কান্ডের সঠিক এবং কম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্ত মূরক বিচার যা দেখে পরবর্তীতে এধরনের কাজ করতে একবার ভাবতে হয়। আর যারা একাজের মদদ দাতা তাদেরকে অভিলম্বে গ্রেফতার করে উপযুক্ত সাস্তি দিতে হবে। যা হতে হবে মাশার্ল আইনে। আমরা আর চাইনা যে আমাদের ভাই,বাবা,মা.বোনদের বিনা কারনে মৃত্যু বরন। যা দেশের জন্য হুমকি হয়ে আসবে।



বিদ্রোহ চলাকালিন সময়ে সেনাবাহিনীর ধর্য্যধারন আবার প্রমান করল যে সেনা বাহিনী দেশের আদর্শ সন্তান তারা দেশের জন্য সব দিতে পারে। পারে সব কষ্ঠ মেনে নিতে। তারা আমাদের সম্পদ।



আমরা সকলে নিহত সকল কর্মকর্তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে পরম করুনাময় আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি।

এবং বাংলাদেশ যেন এই সংকট থেকে সহজে কাটিয়ে উঠতে আল্লাহ যেন আমাদের সাহায্য করে।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-১

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:০১

বুড়া শাহরীয়ার বলেছেন: খুব ভাল লাগল।
+

২| ০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:০৭

মাহাফুজ বলেছেন: -

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.