![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সোহেল খন্দকার, মুক্ত চিন্তার অধিকারী। নিজে স্বাধীনতা পছন্দ করি, অন্যের জন্যও স্বাধীনতা আদায়ে সচেষ্ট।
আমাদের রাজধানী শহর ঢাকা। দেশের সব কিছুর কেন্দ্র বিন্দু এই শহর। শত বছরের ঐতিহ্যের ধারক এই রাজধানী শহর। পুরান এই শহরের সবচেয়ে পুরান অংশ হলো পুরান ঢাকা। সেই পুরান ঢাকার সবচেয়ে জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ন অংশ হলো চকবাজার।
চকবাজার, কাপড়, কসেমটিক, জুয়েলারী, ব্যাগ, কেমিক্যাল সহ অন্যান্য ববসার পাইকারী বাজার। দেশী ব্যবসার লেনদেনের বিশাল একটা অংশ এখানেই সংগঠিত হয়। সারাদেশ হতে চাকুরী ও ব্যবসার উদ্দেশ্যে আসেন হাজার হাজার মানুষ । কিন্তু এই সব মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
এখানে আগত ও এখানে বসবাসকারী মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। শত বছরের পুরানো স্টাইলে গড়ে উঠা বিল্ডিং, ছোট ছোট গলির মতো মূল রাস্তা, ঝুকিপূর্ণ বিল্ডিং, আইন না মেনে গড়ে উঠা বিভিন্ন গোডাউন, বিশেষ করে অনুমোদনহীন কেমিক্যাল গোডাউন ও অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা বিল্ডিং এর কারণে চকের পুরো পরিবেশটাই বেশ ঘিঞ্জি। ঘিঞ্জি এই পরিবেশ এর কারনে যখন তখন ঘটে দুর্ঘটনা।
এই দুর্ঘটনার একটি হলো অগ্নিকান্ড, প্রায়শই ঘটছে এটা। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রশস্ত রাস্তা হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস সময় মতো ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে পারে না। আবার ঘিঞ্জি পরিবেশের কারণে তরিৎ কোন পদক্ষেপও নিতে পারেনা। সেই সাথে নেই ফায়ার সার্ভিসের আধুনিক কোন সুবিধা। সব মিলিয়ে অগ্নিকান্ডের সময় আসলে তেমন কোন সার্ভিস দিতে পারে না এই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাহিনী।
কয়েক দিন আগে ঘটে গেলো একটি দুর্ঘটনা। হারিয়ে গেলো তাজা ৬টি প্রাণ। মৃত্যু মানুষের জীবনের অবধারিত। সেটা নিয়ে দু:খ নেই, মানুষ তার রবের ডাকে স্থায়ী ঠিকানায় ফেরত যাবেই।
কিন্তু সেই জন্য ইচ্ছাকৃত বা আত্মহত্যার মতো মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। চকে যা হচ্ছে এটা আত্মহত্যারই শামিল। তবে এর জন্য দায়ী রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের ব্যর্থতায় হারিয়ে যাচ্ছে এসব ব্যক্তিরা। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কিছু পরিবার। দেশের বিভিন্ন জায়গা হতে জীবিকার সন্ধানে আসা মানুষগুলো হারিয়ে যাচ্ছ এই মৃত্যু কুপে। হারিয়ে যাচ্ছে কারো স্বপ্ন, কারো বেচে থাকার অবলম্বন, কারো উপরে উঠার সিড়ি, কারোবা ভাই, বাবা, সন্তান।
প্রায় একই সময় ঢাকার উত্তরায় গার্ডার পড়ে মারা যান একই পরিবারের ৫ জন। আল্লাহ হায়াত রাখায় নবদম্পতি দুজন বেচে যান। জনবহুল রাস্তায় গাড়ী চলাচল চালু রেখে কিভাবে করে এসব কাজ? কে দিবে এর কৈফিয়ত? ফিরিয়ে দিতে পারবে রাষ্ট্র এই সব পরিবারের আনন্দ? ফিরিয়ে দিতে পারবে রাষ্ট্র অবুঝ দুটি শিশুর জীবন? যাদের জীবন শুরুর আগেই নিভিয়ে দেওয়া হলো?
এটা দুর্ঘটনা নয়। এটা রাষ্ট্রীয় হত্যা। দুর্ঘটনা একবার দুবার ঘটে, তার ব্যবস্থা নেওয়া হয় যেন আর না ঘটে। কিন্তু আমাদের দেশে বার বার একই ঘটনা ঘটছে। কোন প্রতিকার নেই, কোন শাস্তি নেই। আছে শুধু লোক দেখানো তদন্ত কমিটি, যার রিপোর্ট কোন দিনই প্রকাশ পায় না। লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায় তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত। কয়দিন পর যখন সবাই ভুলে যায়, আবার সব আগের মতো।
এভাবে কতদিন? আর কত রাষ্ট্রীয় হত্যার শিকার হবে সাধারণ মানুষ? আর কত মানুষ হত্যা করলে প্রশাসনের খুনের নেশা কাটবে? আর কত সাধারণ মানুষের রক্ত পেলে তাদের তৃষ্ণা মিটবে?
এসব প্রশ্নের কোন উত্তর নেই। দরকারও নেই। চাই শুধু স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি। চাই এইসব সমস্যার প্রতিকার্ এবং যাদের কল্যানে এসব হচ্ছে তাদের শাস্তি।
২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৪
রযাবিডি বলেছেন: ঘটনা হলো আসলে লেখালেখির বিশাল শখ ছিলো। কিন্তু সময় পাই না। বর্তমানে পুরাই বেকার। তাই আবার নুতন করে চেষ্টা শুরু করলাম।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৩
পোড়া বেগুন বলেছেন:
শুধু ঢাকা নয়; জীবনের প্রতি পদে পদে বিশ্বের সর্বত্র আছে মৃত্যুকূপ।
সময় হলে সবাইকে সে কূপে নিপতিত হতে হবে। ঢাকার দোষ দিয়ে
লাভ নাই।
২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৫
রযাবিডি বলেছেন: এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু ঢাকায় যেটা হচ্ছে সেটা রাষ্ট্রীয় খুন। ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ঢাকাকে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নততর বস্তি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদাণ করার জন্য তিব্র দাবী জানাচ্ছি।
ঢাকার অধিকাংশ এলাকা ভিজিট করলে আমার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করে, একেবারে যা তা অবস্থা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ৯ বছর ৪ মাসে পোস্ট করছেন ১৪টা।
যার মধ্যে আজকেই প্রথম পাতায় ৪টা।
ঘটনা কি ভাই?