নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

sohel sodeshi

রযাবিডি

আমি সোহেল খন্দকার, মুক্ত চিন্তার অধিকারী। নিজে স্বাধীনতা পছন্দ করি, অন্যের জন্যও স্বাধীনতা আদায়ে সচেষ্ট।

রযাবিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধুর অবদান!

২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৪


ভাদ্র মাসের তীব্র গরমে নদীর পাশ দিয়ে হেটে চলার সময় দেখা গেলো নদী ভাঙ্গনের প্রভাব। হয়তো প্রবল স্রোতে ভেঙ্গেছে এই পাড়। কতটুকু ভেঙ্গেছে তা বুঝার উপায় নেই, কারণ কোন চিহ্ন নেই। কত পরিবার যে নিস্ব হয়েছে তার বালাই নেই। কত সম্পদ যে নদী গ্রাস করেছে তার কোন শেষ নেই। নদীর এই রাক্ষুসে ক্ষুধার শেষ নেই। আবারো হয়তো কখনো শুরু হবে এই ভাঙ্গন। পুরো বর্ষাকাল জুড়ে চলে এই অবস্থা। প্রতি বছর ভাঙ্গনের ফলে হাজারো পরিবার হয় নি:স্ব। ধ্বংস হয় সম্পদ।

নদীর দিকে তাকিয়ে দেখি অনেক নৌকা। মাঝিরা মাছ ধরতে ব্যস্ত, নদীর বুক চিরে চলছে মৎস্য উৎসব। ছোট বড় অনেক নৌকায় মাছ ধরছে। পাল তোলা কিছু নৌকা ছুটে চলছে তার গন্তব্যে। ইঞ্জিন চালিত নৌকাগুলো পণ্য পরিবহনে ব্যস্ত।

নদীর আরেকটু গভীরে একটা চর। চরের চতুর্দিকে ফসলেরর মাঠ, মাঝখানে গড়ে উঠেছে বসতি। মোটামুটি অনেক লোকের বাস। টিনের ঘর দেখা যাচ্ছে অনেকগুলো। এক দিকে কিছু গরু মহিষ চড়ে বেড়াচ্ছে। ছোট বড়, বাছুর, ষাড় আর বলদ মিলিয়ে সংখ্যায় অনেক। মহিষের একটি বড় দল নদীতে নেমে ডুব দিয়ে বসে আছে, হয়তো এই গরমে শান্তির পরশ খুজছে। মনে হয় গরু বা মহিষের বাথান আছে আশেপাশে। বাথানকে কেন্দ্র করেও ব্যস্ত অনেক লোক। কৃষকরা জমিতে চাষ করছে। ফসলে সেচ দিচ্ছে নদী হতে। তাদের কর্ম চঞ্চল মুখখানা দেখলেই বুঝা যায় অনেক আশা নিয়েই তারা বেচে আছে, সংগ্রাম করে চলেছে। নদীর বুক চিতিয়ে গড়ে উঠা চরের উদর হতে সম্পদ বের করে আনতে বদ্ধ পরিকর তারা।
নদীর পারে কর্মচঞ্চল গোদারী ঘাট। নৌকা দিয়ে মানুষ ও মালামাল পারাপারে ব্যস্ত ইজারাদার। ঘাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছোট্ট একটা বাজার। বড় একটি বহু বছরের পুরানো বট গাছের নীচে ঘাটের ইজারাদারের ঘর, চায়ের টং দোকান বেশ কয়েকটা, মুদি দোকান, মোবাইল রিচার্জের দোকান সহ অনেক কিছুই আছে। ইজারাদারের লোকেরা ব্যস্ত পারাপার রত লোকজনের নিকট হতে টাকা আদায় করতে। মানুষজনও ব্যস্ত তাড়াহুড়ো ও ভাড়া নিয়ে বচসায়। পারাপার রত মানুষের মাঝে আছে কর্মব্যস্ত কেউ, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, কৃষক-শ্রমিক, মালামাল পারাপার কারী, বেড়াতে যাওয়া কেউ।
নদীর পারে ব্যস্ত দূরন্ত কিশোর গোসল সাতার নিয়ে, রাখাল তার গরুকে নিয়ে এসেছে নদীতে গোসল করতে, কেউ ব্যস্ত কাপড় ধোয়ার জন্য কেউ ব্যস্ত গরুর জন্য কেটে আনা ঘাস ধোয়ার জন্য।
নদীর ভয়ংকর সেই রূপের কথা সবাই আজ ভুলে গেছে তার বদান্যতায়।
নদীর এখন পিক আওয়ার কানায় কানায় পূর্ন। অফ পিক আওয়ার অর্থাৎ শীতের শুরু হতে বর্ষার পূর্ব পর্যন্ত রবী ঠাকুরের ছোট নদীর মতোই মৃত প্রায় থাকে। তখন খালি হয়ে যায় গোদারা ঘাট, হেটেই পাড় হয় সবাই। জমিতে চাষ করা দুস্কর হয়ে যায় পানির অভাবে, জীবনের স্বাভাবিকতা খায় হোচট।
প্রমত্তা নদী তখন হয়ে যায় মরুভূমি।
বন্ধুর আটকিয়ে দেওয়া পানি তখন হয়ে যায় বহু আরাধ্য। তথাপি মিলে না পানি। বর্ষায় যখন নদী তার পূর্ণতা পায় তখন উত্তর হতে বন্ধুর খূলে দেওয়া বাধের কারণে দু কূল উপছে পরে পানি, ডুবে যায় জনপদ, বিধ্বস্ত হয় গ্রাম।
্গ্রামের পর গ্রাম পানির নীচে তলিয়ে যায়, ধ্বংস হয় সম্পদ, নি:স্ব হয় মানুষ।
কোন সমস্যা নেই, সবই বন্ধু বরের অবদান। ভুলবো কেমনে? বন্ধু কষ্ট পাবে বলবো কেমনে? বন্ধুর এই ঋণ কবে শোধ হবে?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.