নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

sohel sodeshi

রযাবিডি

আমি সোহেল খন্দকার, মুক্ত চিন্তার অধিকারী। নিজে স্বাধীনতা পছন্দ করি, অন্যের জন্যও স্বাধীনতা আদায়ে সচেষ্ট।

রযাবিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিকিৎসাহীন জাতি।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:২১


ৱগুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা।
আজকের খবর এটি।
দেশের মানুষের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রনালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা যখন নিজের চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে যান, তখন বুঝে নিতে হবে সেই দেশের চিকিৎস ব্যবস্থা শ্রীলংকা (দেউলিয়া) হয়েগেছে।
ঢাক-ঢোল পিটানো উন্নয়নের আসর সমূহ গাল-গল্প হিসাবেই মেনে নিতে হবে।

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা চমৎকার ভাবে করেছেন এবং সেটাতে সফলও হয়েছেন। তবে সেটা নিজের উন্নয়ন। কারণ সিঙ্গাপুরে ব্যয়বহুল চিকিৎসাই তার প্রমাণ।
এভাবেই চলছে, আর আমরা সামর্থ্যহীনরা দেশে চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাই। মৃত্যু, সেটা অবধারিত কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু ্‌আমাদের টাকা ধ্বংস করে সিঙ্গাপুরে চিকিসা নেওয়া লোকজনের কষ্ট হয় না ক্যান?
শুধু এই ডা. মীরজাদী নয় দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদের সকল মন্ত্রী, সরকারী সকল আমলা, শীর্ষ ব্যবসায়ী, রাজনিতীবিদ সহ সামর্থ্যবান সকলেই দেশের বাহিরে চিকিৎসার জন্য যান।
দেশের প্রধানগন যখন দেশের বাহিরে চিকিৎসার জন্য যায় তখন প্রমানিত দেশের চিকিৎসা কোন মানুষের জন্য পর্যাপ্ত নয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০
বছর এর বেশী পার করা প্রশাসন কি করছে? বছর বছর হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় যায়?
ডা. মীরজাদী এর মতো নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড় গড়ার জন্য? যেন শেষ জীবনে দেশের বাহিরে চিকিৎসা ও সহজ জীবন পার করতে পারেন?
স্বাধীনতার ৫২ বছরে আজ বাঙ্গালী চিকিৎসাহীন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন কি এটাই ছিলো? বড়ই অসহায় আমরা বাংলাদেশের জনগন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩১

ককচক বলেছেন: এরা দেশের টাকা লুটপাট করে চিকিৎসা, ভ্রমণ, কেনাকাটা ইত্যাদিতে খরচ করে আসে। দেশ ডলার সংকটে আছে, এমনবস্তায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বা সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যায় কেন?
তার বিদেশে যাওয়া প্রমাণ করে, দেশের চিকিৎসা সেবার মান অনুন্নত।

সরকারি কর্মকর্তাসহ দেশের পয়সাওয়ালাদের বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথ বন্ধ করা গেলে, দেশে মান সম্মত চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এদের বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথ বন্ধ করা উচিত৷

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫০

রযাবিডি বলেছেন: এদের বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথ বন্ধ করা উচি কিন্তু করবে কে? স্বয়ং রাষ্ট্র প্রধান চিকিৎসার জন্য বিদেশ যান।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বেশ কিছু কারণে: এই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা; হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডাক্তার, নার্স এসবের উপর আমার একদমই আস্থা নেই, এদের চেয়ে গ্রাম্য কবিরাজরাই ভাল চিকিৎসা পদ্ধতি জানে। একান্তই বাধ্য না হলে আমি ডাক্তারের কাছে যাই না।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫১

রযাবিডি বলেছেন: যে দেশের রাষ্ট্র প্রধানগন চিকিৎসায় বিদেশ যান, সে দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো হবে কেমনে?

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৩৮

কামাল৮০ বলেছেন: সমাজ যেখানে পচেগেছে।ডাক্তার আর ভালো থাকে কিভাবে।ডাক্তার সমাজেরই অংশ।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫১

রযাবিডি বলেছেন: দু:খজনক।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩০

খাঁজা বাবা বলেছেন: একটা ব্যপার হতে পারত দেশে মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই চিকিৎসার জন্য।
তাহলে অন্তত্ ভি আই পি রা দেশে চিকিৎসা নিতে পারত।
কিন্তু ব্যপার হচ্ছে দেশের চিকিৎসাই নেই।'
তাই তো তাদের কথায় কথায় বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন ।
ঠান্ডা জরের চিকিতসায় ও তারা দেশে আস্থা রাখতে পারে না।

কি হবে এই উন্নয়ন দিয়ে যদি বেচেই না থাকি।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫২

রযাবিডি বলেছেন: কি হবে এই উন্নয়ন দিয়ে যদি বেচেই না থাকি। ঠিক।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
মৌলিক কয়েকটা জিনিস থেকে আমরা বঞ্চিত।
আকা দিয়ে উনারা সেটি কিনে নিচ্ছেন বাইরে থেকে। আমাদের যাদের সেই পরিমান টাকা নেই তাদের জন্য সেগুলি ধরা ছোয়ার বাইরে।

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: দেশের চিকিতসা ব্যাবস্থা যে কতটা দেউলিয়া সেটা ভুক্তভোগী ছাড়াও বোঝার উপায় ঢেড় আছে।
১৯৯৭ সালে সলিমূল্লাহ মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে আমার বন্ধুর রুমে এক রাত ছিলাম। ভোর বেলে জানালা দিয়ে বাইরে চেয়ে
দেখি হোস্টেলের পেছনে পতিত মাঠে ফেন্সিডিলের বোতলের পাহাড় জমে আছে। এইসব ফেন্সিডিলখোর ডাক্তারেরা (সবাই নয়)
কিভাবে জাতির সেবা করবে? অন্য সব হোস্টেলের ব্যাপার সহজেই অনুমেয়

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ২০০৫ সালের থেকে আজকের চিকিৎসা ব্যাবস্থা অনেক উন্নত। আরো উন্নত হবে।

৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৬

অক্পটে বলেছেন: হা ২০০৫ সাল থেকে আজকের ব্যবস্থা অনেক উন্নত। ২০০৫ সালের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন পিয়ন যিনি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পোলা ঐ জলহস্থিটা যিনি নাকি টাকা অবৈধপাহার গড়ে তুলেছেন। বাপবেটা মিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২টা বাজি চলে গেছেনে পরপারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.