নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

sohel sodeshi

রযাবিডি

আমি সোহেল খন্দকার, মুক্ত চিন্তার অধিকারী। নিজে স্বাধীনতা পছন্দ করি, অন্যের জন্যও স্বাধীনতা আদায়ে সচেষ্ট।

রযাবিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

চা শ্রমিকদের আন্দোলন, দেখার কেউ নেই।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫১

১৭ দিন পার হয়ে গেলো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে চা দাসেরা (আমার দেওয়া নাম)। নিজের অধিকার আদায়ে ন্যায্য আন্দোলন। ১৬৮ চা বাগানের ৬ লাখের বেশী চা দাসরা আন্দোলনে একাত্ম। ১২০ টাকায় কাজ করা শ্রমিকরা ঠিকমতো খেতেই পারেনা, সেখানে কাজহীন ১৭ দিনে কিভাবে তাদের সংসার চলছে? চলছে না, না খেয়ে-দেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
সারাদেশের মানুষ এ আন্দোলনের খবর রাখলেও প্রশাসন নীরব, নীরব চা বাগান কর্তৃপক্ষ, নীরব দেশের একছত্র অধিপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ( কারণ উনার কোন সিদ্ধান্ত ছাড়া কেউ কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, সব ব্যাপারেই উনাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। না করলেই সেই বিষয়ে ভজকট লাগিয়ে দেয় সবাই)।
তাহলে কি এই ৬ লক্ষের উপর মানুষ দেশের নাগরিক নয়? কিসের অপেক্ষায় সবাই? ১৭ দিন ধরে এসব নাঙ্গা-ভূখা মানুষগুলো না খেয়ে আছে তাদের জন্য কেউ নেই কেন? না কি ওরা অস্পৃশ্য বলে কোন অধিকার নেই?
মালিকরা জানে এসব অস্পৃশ্য ভূমিহীনদের যাওয়ার জায়গা নেই, নেই ঘরে কোন ভাত। তো কয়দিন না খেয়ে থাকবে? একসময় কাজে যোগ দিতেই হবে। আলোচনায় বসে বেতন বাড়িয়ে লাভ কি?
কিন্তু প্রশাসন কেন নীরব? ৬ লক্ষ মানুষ আজ অনাহারে, এই দায় কার?
প্রশাসনিক লোকজন কিন্তু এই ৬ লাখ মানুষের আয়ের টাকার অংশে কিন্তু বেতন হচ্ছে। হতে পারে এরা ভূখা জনগন, কিন্তু এরা দেশের আইন মেনে চলা মানুষ। এসব শ্রমিকের হাত সচল বিধায় প্রশাসনের কর্তা-কর্মীদের বেতনও সচল। কর্তৃত্ব থাকবে না যদি এসব শ্রমিকের সাথে প্রবাসে থাকা সুবর্ণ শ্রমিক এবং দেশের অন্যান্য শ্রমিকরাও রাস্তায় নাম তবে কিন্তু কর্তাদের কর্তৃত্ব কর্পুরের মতো উবে যাবে। দেশের শ্রমজীবি মানুষকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করিয়েন না। তাহলে আর এসি রুম, এসি গাড়ী আর মোটা ভুরি সাথে সুন্দরী নারী সব হাওয়া হয়ে যাবে স্যার! তাই এসব স্যারদের বলছি, সময় আছে তড়িৎ ব্যবস্থা নিন। না হলে একদিন আপনাদেরও এমন নাঙ্গা-ভুখা হতে হবে। চুরির জমানো টাকায় কয়দিন চলবে গো? বেশী দিন চলবে না, একদিন ফুরিয়ে যাবে। তখন বুজবা চান্দু কত পাতায় কত চা?
সব কাজে প্রধানমন্ত্রীকে কেন সিদ্ধান্ত দিতে হবে? তাহলে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বেতন দিয়ে রাখা হয়েছে কেন? তাদের কাজ কি শুধুই দেশের সম্পদ নষ্ট করা? সাধু সাবধান।
বৃহত্তর সিলেট এলাকার জন প্রতিনিধিগন কিসের অপেক্ষায় আছেন? উনারা চুপ কেন? এই ৬ লক্ষ জনগন কি আপনাদের ভোট দেয়নি? না কি বিএনপি-জামায়াতের অভিযোগকে প্রমান করতে চান আপনারা ভোটার বিহীন নির্বাচনের জয়ী প্রতিনিধি? বৃটিশরা রক্ত চুষে খেয়েছে মানতে কষ্ট হয়নি, পাকিস্তানীরাও তাই করেছে মেনে নিয়েছি কারণ ওরা সবাই পরদেশী। কিন্তু বাঙ্গালী হয়ে এদের রক্ত খাচ্ছেন কেন? না কি ওরা বাঙ্গালী নয় বলে ওদের রক্ত অনেক মিষ্টি? ওরা অস্পৃশ্য বলে ওদের কথা চিন্তা করার সময় নেই?
এখনো সময় আছে, আপনারা এসব শ্রমিকদের দাবী মেনে নিন। কষ্ট লাঘব করুন। ওদের দাবী খুব কঠিন কিছু না। এই দূর্মূল্যের বাজারে মাত্র ৩০০ টাকা মজুরী চাইছে। খুব বেশী কিছু নয়। ন্যায্য ও ন্যায় সংগত দাবী। দ্রুতই মেনে নিন। কারো দূর্বলতার সুযোগ নিয়েন না। এটা উনিশ শতক নয়, ২০২২।
শ্রমিকরা হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে পুরো চা শিল্প। তাই এসব শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা মেনে নিন। চা শিল্পকে ও শ্রমিকদের বাচিয়ে রাখুন।
যত দ্রুত শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, ততই পুরো জাতির জন্য মঙ্গল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.