![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮২ সালে জেনারেল নে উইন'র মিয়ানমার সরকার ''বার্মিজ নাগরিকত্ব আইন'' পাশ করার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব নিষিদ্ধ করে, কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্র বলে, রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাংলা ভাষা-ভাষী অঞ্চল গুলো থেকে স্থায়ী অভিবাসন শুরু করে এবং তারা কোনরকম পরিবার পরিকল্পনা ছাড়াই নিজেদের বংশবিস্তার ধুম গতিতে শুরু করে। ফলে স্থানীয় জনসংখ্যার ঘনত্বে রোহিঙ্গা মুসলিমরা রাজত্ব শুরু করে এবং স্থানীয় জনগণ সংখ্যালঘূ হয়ে পড়ে। ফলে তারা স্থানীয় জনগণ অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছিল এবং এক পর্যায় রাষ্ট্র উক্ত আইন পাশ করলে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে একদল উগ্রবাদি কর্মকাণ্ড শুরু করে। এছাড়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে মুজাহিদি সংগঠন গুলো মায়ানমারের রাখাইনের কিছু অংশ পশ্চিম পাকিস্তানের অংশ করার জন্য ১৯৪৭ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত যুদ্ধ করে।
পক্ষান্তরে রোহিঙ্গা মুসলিমরা দাবি করে, তারা মিয়ানমারের রাখাইনে অনাদিকাল থেকেই বসবাস করে আসছে, কিন্তু রাষ্ট্র তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করেছে। এই ইস্যু নিয়েই মূলত তাদের সংগ্রাম। বর্তমানে রোহিঙ্গা আন্দোলন পরিচালনা করছে 'আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)'। উক্ত সংগঠনটির বর্তমান মুখপাত্র 'আব্দুল্লাহ' সম্প্রতি এক সাক্ষাৎ কারে জানান, আরসা ২০১৩ সাল থেকে রাখাইনে তাদের কাজ শুরু করেন।
তবে ২০১৬ থেকে যেই দাঙ্গা রোহিঙ্গা এবং বার্মিজদের মধ্যে হয়ে আসছে, তার মূল কারণ হল, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে এক রোহিঙ্গা পুরুষ কর্তৃক একজন বার্মিজ নারী ধর্ষিত হয়। উক্ত নারীর সতীত্বনাশের খবর ছড়াছড়ি হলে পরে বার্মিজরা উক্ত রোহিঙ্গা পুরুষকে খুন করে। প্রতিশোধ স্বরূপ রোহিঙ্গা মুসলিমরা আবার দুমাসের মধ্যে ১৯ জন বার্মিজ বৌদ্ধ খুন করে। বার্মিজ বৌদ্ধরা এই হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ করতে শুরু করে। শুরু হয় এক দাঙ্গার পরিবেশ এবং উক্ত উগ্রবাদী লোক গুলোর জন্য শুরু হয় আবার রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা। যা বিকট রূপ ক্রমশ ধারণ করতে শুরু করে দেয়। তবে সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমরাই বেশি খুন হয়। নির্বিচারে নিষ্পাপ রোহিঙ্গারাও খুন হয়।
সম্প্রতি গত ২৪শে আগস্ট ২০১৭'র রাতে, আরসা রাখাইনের ৩০ টি পুলিশ পোস্ট এবং ১টি সেনা ক্যাম্পে হামলা চালায়, ফলে মিয়ানমার সেনাদল ও চড়াও হয়ে ওঠে রোহিঙ্গাদের ওপর এবং এখন পর্যন্ত চলছে তাদের অভিযান। যাদের পাচ্ছে, হয়তো গুলি করে মারছে, নাহয় বন্দি করে রাখছে। এমনি থমথমে পরিস্থিতি চলছে এখনো।
তবে আরসা'র মুখপাত্র 'আব্দুল্লাহ' জানিয়েছে, তাদের এই হামলা আত্মরক্ষার জন্য ছিল। তবে বিষয়টা তারা একেবারেই ক্লিয়ার করেনি।
[তথ্যসূত্র; প্রথম আলো,
কাণ্ডারি হুশিয়ার (ইস্টিশন ব্লগ)view this link এবং
Religion Mind
৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭
রাফিন জয় বলেছেন: কেন দিবে? কেন দিবো?
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: মিয়ানমারে শান্তি ফিরে আসুক, নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধ হোক।
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
অভি চৌধুরী বলেছেন: রোহিঙ্গা নারী শিশুদের জন্য খারাপ লাগছে তবে ওদের যুবক পুরুষের জন্য লাগছেনা, ওরাই সকল সমস্যার মূল। বার্মিজ সরকার অনেক চেষ্টা করেছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য। প্রতিবারেই রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকেই ঝামেলা আসে। রোহিঙ্গারা ভুলের মধ্যে পা দিয়ে ফেলেছে বহু বছর আগ থেকেই, যার মাশুল বাংলাদেশ দিয়েছে দিচ্ছে দিবে আর কতকাল কে জানে,
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৮
কানিজ রিনা বলেছেন: মায়ানমার সরকার বার্মিজ নাগরিকত্ব আইন
পাশ করে। রহিঙ্গা মুসলিম নাগরিকত্ব নিশিদ্ধ
করে। কোনও রকম পরিবার পরিকল্পনা ছাড়া
বংশবিস্তার করে স্থানীয় বার্মিজদের থেকে
জনসংখ্যা পরিমানে বেড়ে যাচ্ছে। ওএজন্য
আইন পাশ করে ওদের নাগরিকত্ব নিশিদ্ধকরা
হয়েছে। এযেন মামার হাতের মোয়া।
রহিঙ্গাদের হাজার হাজার বছরের জন্মভূমি
মামার হাতের মোয়ার মত নাগরিকত্ব নিশিদ্ধ
করা হয়েছে বাঃ।
রহিঙ্গা একজন মুসলিম যুবক বার্মিজ মেয়েকে
ধর্ষন করেছে আইন কোথায় বার্মায় কি আইন
নাই ধর্ষনের বিচারের। বার্মিজরা এত সভ্য
ধার্মিক? এখন রহিঙ্গা মুসলিম মেয়েদের
গনহারে ধর্ষন করে খুন করছে।
শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা না করলেই
ভাল। বার্মার সরকার মানবতা লঙ্ঘন সীমা
অতিক্রম করেছে। যা আন্তজাতীক ভাবে
সমাধানে না আসলে আরও ভয়াবহ অবস্থা
বিরাজ করবে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪
রাফিন জয় বলেছেন: একপাক্ষিক ভাবে দেখছেন কেন, বার্মিজ আর রোহিঙ্গা, উভয়েরি দোষ রয়েছে। বার্মিজ নাগরিকত্ব আইন তো ১৯৮২ সালে করা হয়, সেখানে রোহিঙ্গারা রাখাইনকে পূর্ব-পাকিস্তান করার জন্য তো ১৯৪৭ থেকেই যুদ্ধ শুরু করেছে। এটাও যেন মঘের মুল্লুক!
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাফিন জয় ,
রোহিঙ্গা আর বার্মিজ দাঙ্গার কথা তুলে আপনি আসলে কি বোঝাতে বা বলতে চাইছেন ??
ওদের দাঙ্গার মাশুল তো বাংলাদেশ দেবেনা । দেবে কি ? ? ?