নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কতা

রপিকুল ইসলাম

রপিকুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নির্বাচন সম্পর্কিত কিছু বাণী

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নির্বাচন সম্পর্কিত কিছু বাণী আপনাদের কাছে আমি পৌছে দিলাম, কেননা এটা আমার দায়িত্ব।

মহান আল্লহ তা'আলা "বলেছেন যে লোক সৎকাজের জন্য কোন সুপারিশ করবে, তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে লোক সুপারিশ করবে মন্দ কাজের জন্যে সে তার বোঝারও একটি অংশ পাবে। বস্তুতঃ আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।" (সূরা আন নিসা:৮৫) / (আপনি/আমি যার জন্য সুপারিশ করবো, সে যদি নেতৃত্ব লাভের পর ভালো কাজ করে সেই কাজের জন্য আমরাও সওয়াব পাবো। অপরদিকে যদি সে খারাপ কাজ করে সেই কাজের জন্য আমরাও পাপী হবো)

রাসূলুল্লাহ্ স. বলেছেনঃ যখন আমানত নষ্ট হয়ে যাবে তখন ক্বিয়ামাতের অপেক্ষা করবে। সে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমানাত কিভাবে নষ্ট হয়ে যাবে? তিনি বললেনঃ যখন কোন দায়িত্ব অযোগ্য ব্যক্তির উপর ন্যস্ত করা হবে, তখনই ক্বিয়ামাতের অপেক্ষা করবে। সহীহ বুখারী হা/৫৯, ৬৪৯৬ হাদীসের শব্দাবলী)

★ রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম মানুষ হবে যারা নেতৃত্বে ও শাসন ক্ষমতায় জড়িয়ে না যাওয়া পর্যন্ত একে অত্যন্ত অপছন্দ করবে। মানুষ খণির মত। যারা জাহিলীয়্যাতের যুগে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম, ইসলাম গ্রহণের পরও তারা শ্রেষ্ঠ ও উত্তম। (সহীহ বুখারী হা/৩৫৮৮, ৩৪৯৩ হাদীসের শব্দাবলী )

★ একদা রাসূলুল্লাহ স. আমাকে বলেন যে, হে আবদুর রহমান ইবন সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চাবে না। কেননা যদি তোমার চাওয়ার প্রেক্ষিতে তা তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়িত্ব তোমার উপর বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ব্যতীত তা তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তুমি তাতে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে (অর্থাৎ আল্লাহ্‌ তোমাকে সাহায্য করবেন) । (আবু দাউদ হা/২৯১৯ হাদীসের শব্দাবলী)

★ আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, আমি ও আমার কওমের দু’ব্যক্তি নাবী স. -এর নিকট আসলাম। সে দু’জনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে (কোন বিষয়ে) ‘আমীর নিযুক্ত করুন। অন্যজনও ঐরূপ কথা বলল। তখন তিনি বললেনঃ যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদেরকে এ পদে নিয়োগ করি না। (সহীহ বুখারী হা/২২৬১, ৭১৪৯)

★ নাবী স. বলেছেন, তোমরা নিশ্চয়ই নেতৃত্বের লোভ কর, অথচ ক্বিয়ামাতের দিন তা লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কত উত্তম দুগ্ধদায়িনী এবং কত মন্দ দুগ্ধ পানে বাধা দানকারিণী (এটা) (অর্থাৎ এর প্রথম দিক দুগ্ধদানের মত তৃপ্তিকর, আর পরিণাম দুধ ছাড়ানোর মত যন্ত্রণাদায়ক)। (সহীহ বুখারী হা/৭১৪৮ হাদীসের শব্দাবলী)

★ আমি নাবী স. থেকে শুনেছি যে, কোন বান্দাকে যদি আল্লাহ্ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন, আর সে কল্যাণ কামনার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তাহলে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।[1] (সহীহ বুখারী হা/৭১৫০ হাদীসের শব্দাবলী) [1] নেতাদের জন্য জনগণের তত্ত্বাবধান করা ইসলামে একটি ফরয কাজ বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

তট রেখা বলেছেন: একদা রাসূলুল্লাহ স. আমাকে বলেন যে, হে আবদুর রহমান ইবন সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চাবে না। কেননা যদি তোমার চাওয়ার প্রেক্ষিতে তা তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়িত্ব তোমার উপর বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ব্যতীত তা তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তুমি তাতে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে (অর্থাৎ আল্লাহ্‌ তোমাকে সাহায্য করবেন) । (আবু দাউদ হা/২৯১৯ হাদীসের শব্দাবলী)

উপরোক্ত হাদীসের আলোকেই বলি, গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা কি ইসলামে কাংখিত ? যেখানে প্রার্থী বলবেন, আমাকে নেতা বানান আপনাদের এত এত এত ------- দেব !!!!! অথচ তার দেয়ার কিংবা করার কোন ক্ষমতাই নেই।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

রপিকুল ইসলাম বলেছেন: গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা ইসলামে নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.