![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাজের ফাঁকে গল্প পড়তে ভালবাসি। আর বেশী সময় পেলে লিখার চেষ্টা করি।
তপু খুব ছোট থেকেই দেশের ইতিহাস জানার জন্য তার দাদার সাথে বসে থাকতো। দাদা তাকে শুনাতো। কীভাবে বাঙালীদের শোষণ করেছিলো পাকি হানাদাররা। তপু ভয় পায়। তাকে জড়িয়ে ধরে দাদু বলে, তখন আমাদের এক করেছিলো বঙ্গবন্ধু। হানাদারেরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। রাতের আধারে নির্মম ভাবে মারতে থাকে নিরস্ত্র বাঙালীদের। তারা তাদের এদেশীয় দোসরদের দিয়ে খুজে খুজে মারতে থাকে পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, সাধারণ মানুষদের। সেদিন জীবন বাজি রেখে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়। বাঙালী একত্রিত হয়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে স্বাধিকার আন্দোলনে। তখন রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি মিলিটারিরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। পিপড়ের মত মানুষ মারতে থাকে। ধর্ষণ করতে থাকে মা বোনদের। রাজাকারেরা নিজেরাও ধর্মের দোহাই দিয়ে লুট করতে থাকে সম্পদ। হরণ করতে থাকে সম্ভ্রম। আর মারতে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের।
তপু জান্তে চায় রাজাকার কি? দাদু উত্তর দেয় এরা একধরণের পশু। তবে এদের মানুষের মত হাত, পা চোখ আছে। এরা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। তাদের হিংস্রতায় রক্ত দিয়েছে বহু বাঙালী। সম্ভ্রম হারিয়েছে অনেক মা। অনেক বোন। বাঙালী জাতি তখন জান প্রাণ লড়ে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা। কিন্তু রাজাকারেরা তখন মানুষের চোখ ফাকি দিয়ে বেচে যায়। আবার তারা দেশের মানুষকে ধোকা দেয়। ধর্ম ব্যাবহার করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে তারা। আমরা সব পেরেছি দাদুভাই। কেবল যারা পাকিস্তানীদের সহায়তা করে ছিলো, তাদের শেষ করতে পারিনি। এই কথা বলে দাদু কাদতে থাকে। তপু বলে দাদু তুমি কেদোনা। আমি বড় হলে রাজাকারদের শেষ করবো। দাদু মুখ তোলে। তপুকে জড়িয়ে বলে তাই যেন হয় দাদু ভাই।
১৫ বছর পর ২০১৩ সাল। আজ তপু টগবগে তরুন। ফুসে উঠেছে সেও আজ। তার একটাই দাবি। আর তা হল রাজাকারের ফাসি। প্রজন্ম চত্তরে সে আজ লাখো তপুর একজন। ফাসি না দিয়ে ঘরে ফির বেনা বলেই সে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তার এক্টাই চাওয়া। ফাসি চাই। ফাসি চাই। বীর বাঙালীর বাঙলায়, তুই রাজাকারের ঠাই নাই।
©somewhere in net ltd.