নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটা আধাপাগলা....!!

রাহাত জামান

আমি একটা আধাপাগলা.......!! চলতে চলতে ঘুমাই, ঘুমাতে ঘুমাতে চলি...............

রাহাত জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুলনার লোকজন এরকম ক্যান? X(

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

খুলনার মানুষজন বড় অদ্ভুত!

কয়েক মাস আগে মোটরের কয়েলের তার কিনতে খুলনা শহরের এক ইলেকট্রিক্সের দোকানে গেছি। দোকানদার কয়েলের তারের নম্বর জানতে চাইল। আমার কোনো আইডিয়া ছিল না কয়েলের তারের নম্বরের ব্যাপারে, তাই বললাম, আপনি আমাকে কয়েল দেখান, আমি দেখি আমার কোনটা লাগবে। দোকানদার আমাকে বলল, এভাবে হবে না ভাই, আপনি অন্য দোকানে যান।

গেলাম। সেখানেও একই ব্যবহার। দোকানে উপস্থিত এক কাস্টোমার আমাকে কয়েলের তারের নম্বরের ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিল। ঐ কাস্টমারের অনুরোধেই দোকানদার বাধ্য হয়ে বিরক্ত মুখে আমাকে কয়েকটা নম্বরের কয়েলের তার বের করে দেখাল। আমি দেখে বললাম, এত আর এত নাম্বারের তার দেন। কত গ্রাম লাগবে জিজ্ঞেস করল। বললাম। দোকানদার বলল, এখন ব্যস্ত আছি, আপনি আধা ঘণ্টা পরে আসেন।

আমি আধা ঘণ্টা এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করে দোকানে গেলাম। এবারও ব্যস্ততার অযুহাত দেখিয়ে আমাকে দাঁড়াতে বলল। আমি ১০-১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম, তারই কিনব না। দোকান থেকে বের হয়ে চলে যাচ্ছি, পাশের আরেকটা ইলেকট্রিক্সের দোকান থেকে আমাকে ডাক দিল। গেলাম। জিজ্ঞেস করল কী লাগবে। আমি বললাম, এত আর এত নাম্বারের এত গ্রাম করে মোটরের কয়েলের তার দেন। এই দোকানদার ৩ মিনিটের মধ্যে আমাকে জিনিস বুঝিয়ে দিল।

আমি তো টাকা দিয়েই কিনতে গেছি, মাগনা তো নিতে যাইনি। তাহলে আগের দোকানদার আমাকে জিনিস দিলে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হত? যদিও ঐ তার পরবর্তীতে কোনো কাজেই লাগেনি।

ঠিক এক বছর আগে ডিপার্টমেন্টের ইলেকট্রনিক্স প্রজেক্টের জন্য আমি বন্ধু জিসানকে নিয়ে খান জাহান আলী হকার্স মার্কেটে গেছি লাল, সবুজ আর নীল পলিথিন কিনতে। মার্কেটের শুরুতেই একটা দোকানে লাল আর সবুজ পলিথিন পেলাম, ১২ টাকা পিস। নীল পলিথিনের জন্য খুব সম্ভব পিকচার প্যালেসের পাশের কোনো একটা দোকানে খোঁজ করতে বলসিল দোকানদার। আমার আগেই সেই দোকানসহ পুরো খুলনা খোঁজা হয়ে গেছে, তাই আমি মার্কেটের ভেতরের দোকানগুলোতে খোঁজা শুরু করলাম। একটা দোকানে পেয়েও গেলাম। দোকানদার আমার ১ পিস নীল পলিথিন লাগবে শুনে বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকে বলল, ১ পিস বিক্রি হয় না। আমি বললাম, আমার জরুরি দরকার, লাগবে, আপনি আমাকে দেন। দোকানদার বলল, পরে আসেন, এখন ব্যস্ত আছি।

আমি আর জিসান কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আবার গেলাম ঐ দোকানে। আমাকে কিছুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রেখে বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকে ১ পিস নীল পলিথিন বের করতে করতে বলল, ১৫ টাকা দেন। আমি কিছু না বলে ১৫ টাকা বের করে দিলাম।

এবারের ঘটনাটা আজকেরই। একই প্রজেক্টের জন্য বন্ধু অভীকেরও লাল, সবুজ, নীল পলিথিন লাগবে। আমাকে নিয়ে অভীক গেল পলিথিন কিনতে। আমি সোজা গত বছরের ঐ প্রথম দিকের দোকানটাতে গিয়ে দেখলাম, এবারও শুধু লাল আর সবুজ পলিথিন আছে, ১২ টাকা পিস। নীল পলিথিন আছে কিনা জিজ্ঞেস করাতে দোকানদার এবারও পিকচার প্যালেসের ঐ দোকানের কথা বলল।

কিন্তু আমার জানা আছে নীল পলিথিন কোথায় পাওয়া যায়। সোজা ঐ দোকানে গিয়ে ১ পিস নীল পলিথিন চাইতে দোকানদার বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকে বলল, এভাবে পলিথিন বিক্রি হয় না, পলিথিন বিক্রি হয় দিস্তা দিস্তা। আমি বললাম, আমার জরুরি দরকার, লাগবে, আপনি আমাকে দেন। দোকানদার বলল, ১০ মিনিট দেরী হবে, এখন ব্যস্ত আছি।

আমি নড়লাম না, ১০ মিনিট ঠায় দাঁড়িয়ে থাকব। দোকানদার এর মধ্যে টিভি দেখতে লাগল, মোবাইল টিপতে লাগল। আমি কীসের ব্যস্ততা, বোঝার জন্য ভ্রু কুঁচকে দোকানদারের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। কয়েক মিনিট পরে বললাম, মামা দেন, আমরা নিয়ে চলে যাই। দোকানদার ভ্রু আরও কুঁচকে বলল, ১৫ টাকা দেন। আমি অভীককে বিরক্ত মুখে বললাম, দিয়ে দে। অভীকও বিরক্ত মুখে ১৫ টাকা দিয়ে ১ পিস নীল পলিথিন নিল।

খুলনার লোকজন এরকম ক্যান? X(

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৪

ঠকচাচা বলেছেন: খুচরা বিক্রি করে লাভ নাই---তাই হয়ত!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১১

রাহাত জামান বলেছেন: লাভ নাই- এই জন্যে কি আমার মত খুচরা ক্রেতাদের খুচরা কেনা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়ে যাবে? খুচরা ক্রেতাদের ব্যাপারটা তাহলে কে বুঝবে?

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

হামিদ আহসান বলেছেন: হা হা হা .......................

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০০

সুমন কর বলেছেন: মজার একটি লেখা পড়লাম।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ভাই , শ্বশুর বাড়ি খুলনা। তাই আর কিছু বললাম না । :(

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

এসব চলবে না..... বলেছেন: এক তারের দোকানদারকে দিয়ে পুরো খুলনাকে বিচার করে ফেললেন?

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: :#) দুই একজন দোকানদারের মাধ্যমে গোটা এলাকার লোকজন চিইনা ফেললেন কি করে?

আর দোকানদারদের ওরিজিনাল ডিস্ট্রিক কি ছিলো? অধিকাংশ দোকানদার এই ডিস্ট্রিকের না। দোকানে যে কাস্টোমার আপনাকে কয়েলের তারের নাম্বার চিনালো তাকে দিয়ে খুলনার লোকজন বিচার করলে ভাল হতো না? নাকি আপনি অর্ধেক গ্লাস খালি দেখেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.