তাফসীর: يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

৩১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:০৪

সরল অনুবাদ: হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।

তাফসীর : উপরক্ত আয়াত দ্বারা বুঝা যায়, রোজা শুধু আমাদের উপর নয় বরং পূর্বের লোকদের উপরেও ফরজ ছিল,যদিও তা ভিবিন্ন নামে । রোজার আসল উদ্দেশ্য হল লোকদের কে পরহেযগার বানানো ।

এখন প্রশ্ন হল আমরা কি রোজার মাধ্যমে পরহেযগার বা মুত্তাকী হতে পারতেছি , যদি না হইতে পারি তবে কেন?

উত্তর: প্রথমে জানতে হবে পরহেযগারী কাকে বলে ।

যদিও এর অনেক গুলো সংজ্ঞা আছে ১। কোরানের ভাষায় الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ (3) وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَبِالْآَخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ ২।তবে সহজ সংজ্ঞা হল تركه ما لا يعني তথা অনুহুত বা অনার্থক কাজ থেকে বিরত থাকাকে পরহেযগারী বলে । যারা পরহেযগারী অর্জন করবে, কোরান তাদের কে صراط المستقيم তথা সরল সঠিক রাস্তা বা জান্নাতে পৌছিয়ে দেবে যাকে ايصال الي المطلوب বলে। ইরশাদ হচ্ছে ذَلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ

এখন আসেন সিয়াম পালনের মাধ্যমে আমরা পরহেযগার হইতে পারি? উত্তর হবে না । রোজার আগে যে রকম আমরা গুনার কাজে লিপ্ত থাকি রোজার পরেও ঠিক ঐ রকম গুনাহের কাজে লিপ্ত আছি কোন ক্ষেত্রে তার থেকে বেশী । তার কারন হল আমরা রোজার প্রকৃত অর্থ জানিনা এবং সঠিক ভাবে তা পালন করি না ।

আমরা অধিকাংশ লোকে রোজা বলতে বুঝি الامساك عن الاكل والشرب والجماع من طلوع الفجر الي غروب الشمس তথা সোবহে সাদেক হতে সূর্যস্থ পযর্ন্ত খাওয়া, পান করা ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলে।

বাহ্যিক ভাবে যদিও এই সংজ্ঞা মেনে নেওয়া যায় কিন্তু প্রকৃত সংজ্ঞা হল সোবহে সাদেক হতে সূর্যস্থ পযর্ন্ত খাওয়া , পান করা ও শরীরের সমস্ত অ কে যাবতীয গুনাহের কাজ থেকে বিরত রাখাকে রোজা বলে । যে কারনে রাসুল সা: বলেছেন

০ টি +০/-০