![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্ধ শিলালিপিকার
একজোড়া সেন্ডেল, টিশার্ট, ঢাকাক্লাবের প্রেসকনফারেন্স ও ড্রেস কোড কালচার। বিষয়টি তেমন কিছুই নয়। তবে আজ আমাকে অসর্তকতার জন্য নিজের কাছে অপমানিত হতে হওয়ায় দমে যাচ্ছি। তাই এ লেখার পক্ষে শক্ত যুক্তি না থাকায় শুরুতেই ক্ষমা চাচ্ছি।
আজ ঢাকা ক্লাবের সুরমায় চিত্রশিল্পী মাহামুদুল হকের ডাকা সংবাদ সেন্মেলন কভার করতে গিয়েছিলাম আমি এবং সমকালের আজিজুল পারভেজ। সময় বেলা ১টা। অনুষ্ঠান সুরমায়। বিষয় কোরিয়ায় বাংলাদেশী শিল্পীদের প্রদর্শনী।
সুরমার অভ্যার্থনায় আমাদের আটকে দেয়া হল - ড্রেস কোডের কথা বলে। পারেভজ ভাই আমার দিকে তাকিয়ে দেখল আমার গায়ে টি-শার্ট। পরনে সেন্ডেল। দারোয়ান আমাকে বলল, আপনি যেতে পারবেন না। ড্রেস কোড মিলছে না। পারভেজ ভাইর পরনে ও সেন্ডেল, কিন্তু গায়ে কলার ওলা পলো শার্ট। তাই তাকে দেখাতে হলো সেন্ডেলে ফিতা আছে কী না। তিনি উৎরে গেলেন।
আমার মন খারপ হলো। ঢুকতে না পারার জন্য নয়। ঢাকার এলিটরা স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরও বৃটিস নিয়মে চলছে দেখে ও নয়। পারভেজ ভাই যখন ঘোসনা করলেন, চলেন মাসুদ! আমরা এ প্রোগ্রাম কভার করবনা। এটা শুনে। বেচারা আমার অসর্তকতার জন্য ভোগান্তিতে পড়ল এজন্য।
আমরা হাটতে হাটতে রিপোটার্স ইউনিট চলে গেলাম। সারা পথ আমার মন খারাপ। পারভেজ ভাই আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। আমার ৫ বছরের সাংবাদিকতায় এই প্রথম ড্রেস কোডের কবলে পড়া। আমি বুঝতে পারছিলামনা এমন জায়গায় সংবাদ সম্মেলন করা সাংবাদিকদের অভিজাত করার প্রয়াস কিনা!
আমার ভুল পরে বুঝেছি। যখন সবাই বলছিল ভুল আমারই। ওই ড্রেস কোড ভাঙ্গার চেষ্টা একটুও ঠিক নয়। কারণ ঢাকা ক্লাবের সদস্যরাই দেশ চালান গণতান্ত্রিক ও তত্ত্বাবধায়ক আমলে।
২| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৮:০৪
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আপনার ব্যাথায় আমি সমব্যথী। কিন্তু একটা কথা বলি। প্রত্যেকটা অফিসেই কিন্তু ড্রেসকোড আছে, আপনার অফিসেও আছে। সমস্যা হইলো আমরা সাংবাদিকরা খুব ক্যাজুয়াল থাকি, অন্যদের থাকতে দেখি তাই। কিন্তু আপনি এই চপ্পল-টি শার্ট কোনো কর্পোরেট অফিসে পিওনের গায়েও দেখবেন না। আপনি দোষ স্বীকার করছেন ঠিকাছে, কিন্তু ঢাকা ক্লাবের উপর চাপায়া লাভ নাই। তাইলে অরূপ রাহী তার বিখ্যাত লুঙ্গী পইড়া সব খানেই যাইতে পারতো
৩| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৮:০৭
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: একটু যোগ করি : আপনি পাসপোর্ট করবেন যখন, তখন টি শার্ট পড়া ছবি তুলবেন না, চপ্পল পইড়া বিয়াশাদী খাইতে যাইবেন না- এমন কিছু নিয়ম নিশ্চয়ই মানেন। তাইলে আপনার মতো ঢাকা ক্লাবের দারোয়ানেরও আসলেই দোষ নাই- সে তার দায়িত্ব পালন করছে
৪| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৮:১৪
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: অমি পিয়ালের সাথে একমত।
৫| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৮:২৬
সোজা কথা বলেছেন: অমি রহমান পিয়াল এবং রন্টির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি।
স্কুলে অভিভাবক বেড়াতে গেলে অবশ্যই ইউনিফর্ম পড়া উচিৎ?
পুলিশের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের পুলিশের পোষাক পরা উচিৎ?
না।
যে ঘটনা ঘটেছে সেটি ঢাকা ক্লাবের ড্রেস কোড বা কোড ইম্পলিমেনটেশনের ভুল। কারণ একটি ভাল ড্রেস কোডে অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে যে এই কোড মানবে কে মানবে না।
ঢাকা ক্লাবের নিজেদের মধ্যে এটি বাধ্যতামূলক হোক। কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যে সাংবাদিক সে তার পেশায় যাচ্ছে সে আউটসাইডার । সে তার পেশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পোষাক পরিধানই যথেষ্ট।
অবশ্য সাংবাদিকদের অফিসের কিছু পোষাকের নিয়ম কানুন যদি থেকে থাকে তবে সাংবাদিক সেইটি মানতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু যে খানে যে যাবে তার ড্রেসকোড মানবে কেন?
(বোঝাতে পারলাম কিনা জানিনা, কিন্তু সংশয় থাকলে বিস্তারিত লিখবো পরের কমেন্টে)
৬| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৮:৪১
দূরন্ত বলেছেন: নিউইয়র্কে এক লোককে (নামটা ভুলে গেছি) একবার পার্কে ঢুকতে দেয়া হয়নি পোশাকের কারণে। সে সময় সে চিন্তা করেছিল এর উপযুক্ত জবাব আমি দিব। তার কয়েক বছর পরে সে টাকা জমিয়ে নিজে পার্কটি কিনে নিয়েছিল।
আপনিও তেমন কোনো ঘোষণা দিতে পারেন
৭| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৯:০৬
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: সোজাকথা @ প্রত্যেকটা সংবাদপত্র অফিসে ড্রেসকোড আছে, তবে সেগুলো খুব একটা জোর দিয়ে মানা হয় না। আর যে কোনো এসাইনমেন্টে যাওয়ার সময় সেখানকার ড্রেসকোড মানা জরুরী কারণ আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ঢাকা ক্লাবের তরফে যখনই কোনো ইনভাইটেশন আসে, তারা ড্রেসকোডের ব্যাপারটা বিশেষভাবে উল্লেখ করে। আমি অন্তত সেটাই জানি। আপনাকে আমি আমার বাসায় দাওয়াত দিলাম, দাওয়াতপত্রে লিখলাম লুঙ্গি পড়ে আসবেন না, সেক্ষেত্রে মানতে না পারলে আপনার না আসাই উচিত। কিন্তু আমাকে লুঙ্গীবিদ্বেষী প্রমাণ করার মাধ্যমে যদি নিজের দূর্বলতা ঢাকার চেষ্টা করেন সেটার দায় আপনারই
৮| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৯:০৭
সাহোশি৬ বলেছেন: @লেখক: ঢাকা ক্লাব একটি প্রাইভেট ক্লাব, সুতরাং আমাদের মতো আম-জনতার তাদের উপর কর্তৃত্ব ফলানোর কোন অধিকার নেই। আইনুনযায়ী তারা যে কোন ধরনের নিয়মই তৈরি করতে পারে - ড্রেস কোডের নামে এও বলতে পারে যে সোনায় মোড়ানো জুতা পড়ে তবেই ঢাকা ক্লাবে ঢুকতে হবে। প্রাইভেট ক্লাব বিধায় ঢাকা ক্লাবের অধিকার আছে যে কোন নিয়ম তৈরি করার (অবশ্যই আইনসম্মত ভাবে) এবং আমাদের কোন অধিকারই নেই ঐ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানোর।
আমার মনটাও আমার একান্ত নিজস্ব। সুতরাং যতবার আমি ঢাকা ক্লাবের নাম শুনি ততবার ঐ ক্লাবের এলিট সদস্যদের দিকে মনে মনে থুতু ছিটাই, মনে মনে তাদেরকে গালি দেই, আর এমন একটা ক্লাব এখনো টিকিয়ে রাখার জন্য মনে মনে সরকারের চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করি ।
প্রাইভেট বিধায় ঢাকা ক্লাবের বিরুদ্ধে যেমন কোন একশন নেয়া যায় না, আমার মনটাও তেমনি প্রাইভেট, একান্তই আমার নিজস্ব, সুতরাং এর বিরুদ্ধেও কোন রকম একশন চলবে না। আপনার লেখাটা পড়ে আবারো ঢাকা ক্লাবের এলিটদের দিকে মনে মনে ছুড়ে দিলাম একদলা নোংরা থুতু, মনে মনে এমন জঘন্য গালি দিয়েছি যে তা লেখায় প্রকাশ করা সম্ভব না।
@দূরন্ত: আপনার লেখার রেফারেন্স জানানো উচিৎ ছিল। গল্পটার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে, কারন সাধারনত পার্ক সরকারী সম্পত্তি হয়। আর সরকার কেন কোন পার্ককে হঠাৎ বিক্রি করে দেবে? আপনার লেখার রেফারেন্সটা জরুরী ছিল।
৯| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৯:১০
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: সোজা কথা বলেছেন:স্কুলে অভিভাবক বেড়াতে গেলে অবশ্যই ইউনিফর্ম পড়া উচিৎ?
পুলিশের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের পুলিশের পোষাক পরা উচিৎ?
না।
ঠিক বলেছেন। না। অভিভাবকের যোগ্য ইউনিফর্ম পড়তে হবে যাতে মনে হয় আপনি একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক। একইভাবে থানায় পুলিশের ছবি তোলার সময় তার গায়ে যেনো এমন পোষাক থাকে যাতে তাকে সাংবাদিক মনে হয়
১০| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৯:১০
পুংটা বলেছেন: সাংবাদিক যে কোন যায়গায় তার পছন্দ মত পোশাকেই প্রবেশের অধিকার রাখে........
কথাটা ঠিক না।
সাংবাদিকের বিয়ের দিন লুঙ্গি গেঞ্জি পরে গেলে সবাই তাকে সাংবাদিক বলে মাফ করে দেবে না। সাংবাদিক মানেই উরাধুরা ড্রেস পরবে এটা ঠিক না। রুচি একটা বিশেষ গুন।
১১| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৯:১০
সাহোশি৬ বলেছেন: @ অমি রহমান পিয়াল, আমি আপনার সাথে সম্পূর্ন একমত। আর তাই লেখককে উদ্দেশ্য করে উপরের মন্তব্যটা করেছি।
১২| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৯:৩৪
অগ্নির বলেছেন: ব্লগার দূরন্তের উল্লেখ করা ব্যক্তিটি হচ্ছেন দানবীর এ্যান্ড্রু কার্নেগী , ইস্পাতের ব্যবসা করে যিনি কোটিপতি হয়েছিলেন।
১৩| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৯:৫৫
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত মত হল আমি এই সব ড্রেস কোড মানি না। পোষাকের ২ পয়সা মূল্যও আমি দেই না। এটা আমার ছোটবেলার থেকে গড়ে ওঠা মানসিকতা। আমি নিজেই নিজের শিক্ষক। আমার বাবা মা অনেক চেষ্টা করেছেন আমাকে স্মার্ট বানানোর জন্য। কিন্তু আমি অনেক বিদ্রোহী। আমি নিজে যা বুঝেছি তাই করেছি। তখন ক্লাস এইট অথবা নাইনে পড়ি। তো গেলাম এক বিয়ে বাড়িতে গেলাম দাওয়াত খেতে। সাধারন পোষাকে। বিয়ে বাড়ীর গেইট হয়েছে আবার রাস্তা বন্ধ করে। সাধারন লোকজনকে চলাচল করতে দিচ্ছে না। আমাকে গেটে আটকালো। বলল যে রাস্তা বন্ধ। আমি বললাম আমি দাওয়াতে এসেছি। তারপর আমাকে ঢুকতে দিল। আমি আরো বেশী বিদ্রোহী হয়ে গেলাম সেই দিন থেকে। আরে বেটা আব্দুল কালাম স্যান্ডাল পরে অফিস করে মিসাইল ম্যান হয়েছে, মহাত্মা গান্ধী তার পোষাক পরে ব্রিটিশদের সাথে লড়েছে। আর তুই কি না কি হইছস, দুই পয়সা কামাইয়া একেবারে ড্রেস কোডের বন্যায় ভাসাইয়া দিতাছস। আরে ভাই লুঙ্গি পরেই যান কোন অনুষ্ঠানে আপনাকে বাপ বাপ করে অভ্যর্থনা দেবে খালি একটা হেলিকপ্টার থেকে নামেন। এই ভালো ভালো ড্রেস পরে কোন বিজ্ঞানী, কোন মহামানব মাথা ঘামায় নাই। আর তাদের অবদানের উপর বইসা আমরা ড্রেস কোড চর্চা করছি।
১৪| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ১০:৩৭
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী@ শেখ সাদীর কবিতা পাঠ্যবইয়েই আছে, বাস্তবে আর নাই।
১৫| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ১০:৫২
সাহোশি৬ বলেছেন: @রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন "আরে ভাই লুঙ্গি পরেই যান কোন অনুষ্ঠানে আপনাকে বাপ বাপ করে অভ্যর্থনা দেবে খালি একটা হেলিকপ্টার থেকে নামেন।"
একদম খাঁটি কথা। এর সাথে আরো একটু যোগ করি, কোন সেলিব্রিটি যদি লুঙ্গি আর চপ্পল পায়ে ঢাকা ক্লাব তথা যেকোন এলিট ক্লাবে ঢুকে, তখন লুঙ্গি আর চপ্পলই হয়া যাইব এলিটগো ফ্যাশন।
১৬| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ১১:০৫
আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: লুংগীর সাথে টি-শার্ট আর চপ্পলের তুলনা মনে হয় ঠিক হচ্ছেনা।
ঢাকা শহরের চলতি পথে শিক্ষিত লোকজনদের প্রায় ৯৯,৯৯%(অরুপ রাহী লুংগী পড়ে;তাই ১০০% বল্লাম না)এর কাছে টি-শার্ট, স্যান্ডেল স্বাভাবিক পোষাক।
সাংবাদিকের কাজ সংবাদ কাভার করা;তাকে কেন ড্রেস কোড মানতে হবে।এখন কোন চুনকামের মিস্তিরি যদি ঢাকাক্লাবে চুনকাম করতে যায়, তাকেও কি ড্রেস কোড মানতে হবে নাকি!
ঢাকা ক্লাবে নিমন্ত্রিত অতিথী আর সাংবাদিকের মধ্যে পার্থক্য আমরা ওভারলুক করছি মনে হয়।
আমি নিজে কারো বিয়েবাড়িতে লুংগি পড়ে যাবনা; কারন এইটা আমার জন্য স্বাভাবিক না কিন্তু আমার গ্রামবাসী নানা যদি লুংগী পড়ে যায়, কারন এইটা খুব
স্বাভাবিক।টিশার্ট স্যান্ডেল খুব স্বাভাবিক পোষাক কর্মজীবিদের জন্য।
১৭| ০৫ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:০৫
পথহারা আমি বলেছেন: "অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: কিন্তু আপনি এই চপ্পল-টি শার্ট কোনো কর্পোরেট অফিসে পিওনের গায়েও দেখবেন না।"
খুব ই অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসংগিক মন্তব্য।
১৮| ০৫ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:১০
নকীবুল বারী বলেছেন: রহমান মাসুস সাহেব, আপনার পেশার মূল গোল হলো সংবাদ আহরণ। সংবাদ কাভার না করতে পারাটা একটা ব্যর্থতাই বটে। এ ক্ষেত্রে ভালো না লাগলেও ড্রেসকোড ফলো করা আপনার উচিত ছিলো।
১৯| ০৫ ই মে, ২০০৯ রাত ৩:২১
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: @অমি রহমান পিয়ালঃ বাস্তবে আনার দায়িত্ব আমাদের। আমি নিজের দায়িত্ব পালন করতে চেষ্টা করি আপ্রাণ।
২০| ০৫ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৩২
রহমান মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে এ কারণে যে সবাই বুঝতে পেরেছেন এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কেউ কেউ রুচীর কথা বলেছন। ভালো। আমার ব্যাক্তি রূচী নিশ্চয়ই টি-শার্ট, জিন্স প্যান্ট, সাইকেল সুর সঙ্গে বেমানান বলে মনে করিনা। দাোয়াত পত্রের কোথাও অবশ্য ড্রেসকোড বিষয়ে কিছু লেখা ছিলনা। সাংবাদিক হিসেবে আমার অফিস আমাকে নিউজ সংগ্রহ করাকেই কাজ হিসেবে দিয়েছেন। ড্রেসকোড এর বোঝা বা অফিসকে রিপ্রেজন্ট করার দায় দেয়নি।
আমি পিয়ালকে বলি রুচী লুঙ্গীতে নয়। মনে। আমরা সবাই সবাইকে চিনি। কমবেশি রুচী জ্ঞানও রাখি। অরুপরাহীর সঙ্গে শেরাটন, সোনারগাঁয়ে পার্টিতে গেছি। কেউ না করেনি তার লুঙ্গির জন্য। সমস্যাতো বিদেশীদের নয় এটা কারো কারো মানষিক সমস্যা। সমস্যা মেনে নেয়ার। হীনমন্নত্যার এবং বশ্যতা স্বীকার করার।
তবে হ্যা নিউজ আমি ঠিকই করেছিলাম। আমি পেশাদর। পোশাকী নয়। সবাইকে ধন্যবাদ। আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য।
২১| ০৬ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:১১
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আপনারে রুচি নিয়া কিছু বলি নাই। জিন্স-টিশার্ট-চপ্পল আমার অলটাইম ফ্যাভ। কথা বলছি আপনার পোস্টের ড্রেস কোড প্রসঙ্গে। দ্যাটস অল। আর বস এইটা কি কইলেন আপনে, অফিস রিপ্রেজেন্ট করার দায়িত্ব দিতে হয় না, এইটা নিজে থিকাই নিতে হয়, এই লয়ালটিটুকু না থাকলে পয়সাটা হালাল হইবো না, নিজেরে কামলা মনে হইবো। যাউগ্গা, ভুজুঙ দিয়া লাভ নাই। আপনার কাটা ঘায়ে নুন ছিটাইয়া থাকলে স্যরি। মাফ কইরা দিয়েন। এই নিয়া আর কথা বলবো না
২২| ০৬ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:১৫
নাজিম উদদীন বলেছেন: ব্লগার অরুপ রাহী তো সব জায়গায় লুঙী পরেই চলাফেরা করেন। আসলে ভাব দরকার!!
২৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০১
সর্বদাবেলায়েত বলেছেন: ড্রেস কোড থাকলে মানাই উচিত। আপনার নিজস্বতায় কেউ আঘাত করলে যেমন আপনার খারাপ লাগে অপরপক্ষের জন্যও তাই।
আর ড্রেসকোড বৃটিশ বা বাঙালির কোন আবিস্কার নয়। এটা সারা পৃথিবীতে প্রচলিত ভদ্রতা। সব দেশে জাতীয় পোশাক আছে। আছে বিশেষ অনুষ্ঠানে পরার জন্য পোশাক (ঈদ, বিয়ে)। আছে বিশেষ কোথাও যাওয়ার জন্য পরার পোশাক (শেষকৃত্যানুষ্ঠান)। এগুলোকেই বলে ড্রেস কোড।
আমাদের দেশে ড্রেস কোড মেনে চলার চর্চা যতটুকু তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি বহির্বিশ্বে। কিন্তু এসব অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার কারণে তারা আমাদের চেয়ে কম স্মার্ট বা উন্নত নয়।
আরেকটি বিষয় কি, আমাদের দেশে একটা ঢাকা ক্লাবে এ রকম আনুষ্ঠানিকতা আছে। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে রয়েছে পদে পদে। তারা কেউই ড্রেস কোড ফলো করার কারণে হীনম্মন্যতা বোধ করে না। এটা স্বল্পোন্নত/ উন্নয়নশীল বঙ্গবাসীর মধ্যেই দেখা যায়।
এ মন্তব্যে একজনের কথা বলতে চাচ্ছিলাম। হুমায়ুন আহমেদ। ঢাকা ক্লাবের ড্রেস কোডের গ্যাড়াকলে তিনিও পড়েছিলেন। তার প্রতিক্রিয়াও ছিলো কিছুটা আপনার মতো।
আসলে এ বিষয়গুলোর ঊর্ধ্বে উঠতে পারাটাকেই আমি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ বলে মনে করি।
২৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:১৫
ডলুপূত্র বলেছেন: বৃটিশদের জারজরা হাজারো যুক্তি দাঁড় করাবে। অতএব মন খারাপের কিছু নেই। এইসব ক্লাবকে অবমুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ভুলিনি- চট্টগ্রাম ক্লাবের দরজায় (ভারতীয় ও কুকুরের প্রবেশ নিষেধ) লেখা দেখেই প্রীতিলতার মত অনেকেই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।
২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:০৫
ঘোর বলেছেন: দোস্ত ফরহাদ মজহারের লুঙ্গি কাহিনীর পর আবারো তোর এই পোস্টের কথা মনে পড়লো। হা.. হা... হা....
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৮:০৩
প্রশান্ত শিমুল বলেছেন: ঢাকা ক্লাবের সদস্যরা দেশ চালান তাই তাদের ড্রেস কোড মানার প্রয়োজনিয়তা থাকতে পারে..কিন্তু একজন সাংবাদিকতো আর ড্রেস কোডের কবলে পড়তে পারেন না। েকননা সাংবাদিকের আলাদা কোন ড্রেস কোড নেই ,নেই কোন ইউনিফর্ম তাই সাংবাদিক যে কোন যায়গায় তার পছন্দ মত পোশাকেই প্রবেশের অধিকার রাখে........
আজকের বিষয়টা নিশ্চয়ই সাংবাদিকের ব্যাক্তি ও পেশাগত স্বাতন্ত্রের পরিপন্থী আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই...