![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপন কথাকাব্যে দিন কেটে যায়, লিখতে ভালবাসি। একটু বেশিই প্রকৃতাহত।
অনেক খেয়াল করে দেখলালাম সম্প্রতি ধর্ম,প্রথা,আস্তিক,নাস্তিক এসব বিষয়ে বিশ্লেষণ আর তর্ক হচ্ছে বেশি।এসব বিতর্কে অংশগ্রহণকারীর সিংহভাগ তর্কে জেতার জন্যেই তর্ক লিপ্ত হন,কিছু জানার জন্যে নয়!কিছু বছর আগেও সমাজে সাম্প্রদায়িকতা নামক ভাইরাসটি ছিল খুবই সামান্য,হঠাৎই স্বঘোষিত আস্তিক আর নাস্তিক উভয়ের পরিমাণ চরমাকারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা সাম্প্রদায়িকতা নামক গাছের গোড়ায় নতুন আঙ্গিকে জল ঢালছে।আর এই সকল অতিমাত্রায় আস্তিক আর নাস্তিকদের মাঝে ১০ জন যুক্তি আর বিশ্বাস নিয়ে যথাযথ তর্কে লিপ্ত হয় আর বাকি ৮০জন কিছু না জেনে,না বুঝেই কেবল গলা মেলায়! সেসব সুবিধাবাদী আর হুজুগে আস্তিক আর নাস্তিকদের উদ্দেশ্যে বলতে হয়-"আপনারা ইতিহাসে আর একবার ঘুরে আসুন দেখবেন ধর্ম,বিজ্ঞান,সমাজ ব্যবস্থা এই সব কিছুর মাঝেই পরিবর্তন ঘটছে প্রতিনিয়ত,যা আগামীতেও ঘটবে। নিজ বিশ্বাস আর বিশ্লেষণের আলোকে সমাজে সাময়িক ক্যচাল সৃষ্টি করতে পারলেও হুট করে সে-সকল বিশ্বাস আর বিশ্লেষণ সমাজে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।মূর্খের ক্ষেত্রে বলুন কিংবা শিক্ষিত সুশীলদের ক্ষেত্রে,জন্মসূত্রে পাওয়া হাজার বছরের এই প্রথা আর ধর্ম বিশ্বাস উপরে ফেলা এতোটা সহজ না,আপনাদের এসব বিতর্কের প্রভাবে গোবেচারাদের ক্ষতিটাই বেশি হয়।তাই তর্ক,মারামারি,কাটাকাটি থামিয়ে একটু হিসেব করুন দিন শেষে হাতে থাকলো কি,মানবাতার পথে আসুন।"
আমি নিজেও কোন অদৃশ্য বায়বীয় শক্তিধরের শক্তিতে বিশ্বাসী নই আর তাই বলে আমার বিশ্বাস অন্যের ঘাড়ে চাপাতে হবে এমনটা আমি ভাবি না,ধার্মিকদের ক্ষেত্রেও একি কথা নিজ বিশ্বাস,প্রার্থনা,পূজা,নামাজ নিজের মতোই করুন তবে অবশ্যই অন্যের স্বাধীন ভাবনাকে বাঁধা দিয়ে নয়।যা ভালো তা ধারন করাকেই যদি ধর্ম বলা হয় তবে সেক্ষেত্রে আমাকে কিঞ্চিত ধার্মিক বলা চলে।অপরদিকে,প্রথার সাথে সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য জড়িয়ে থাকে তাই আমি সকল প্রথা বিরোধী নই।হিন্দু,মুসলমান,খ্রীষ্টান যাই বলুন না কেন দিনের শুরুটা কিন্তু একে অন্যের মুখ দেখেই হয়।আক্ষরিক অর্থে সামান্য কিছু পরিবর্তন থাকলেও সবার হাসি-কান্না,খাওয়া-পড়া,অনুভূতি প্রকাশের ধরন প্রায় একই।ইট মারলে পাটকেল আসতে থাকবেই তাই একটু সংযত হোন যাতে আপনাদের ছোট ছোট উক্তি-কটুক্তি সমাজের বৃহৎ কোন ক্ষতি না করে,এ সমাজ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয় এখানে কিছু শান্ত আর পরিষ্কার মস্তিষ্কের মানুষ বসবাস করে যারা একটু স্বস্তির জন্য,স্বজনদের একটু উচ্ছ্বাস দেখার জন্য প্রতিনিয়ত বাস্তবতাকে সাথে নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে।
সাম্প্রদায়িকতা নয় জয় হোক মানবতার।
১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১
রাহুল চক্রবর্তী বলেছেন: একম হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:১৮
সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: "সাম্প্রদায়িকতা নয় জয় হোক মানবতার।"
এই লাইনটির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত ।
"আমি নিজেও কোন অদৃশ্য বায়বীয় শক্তিধরের শক্তিতে বিশ্বাসী নই"
আপনি ঠিক কি প্রকারে এই সিন্ধান্তে উপনীত হলেন একটু ব্যাখ্যা করলে উপকৃত হতাম ।
১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬
রাহুল চক্রবর্তী বলেছেন: সহমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
সোজা হিসাব!
এমন অস্তিত্ববিহীন শক্তির
প্রত্যক্ষ প্রভাব দেখিনি বলে।
তবে এটা আমার একান্ত আপন
বিশ্বাস তাই এ ব্যপারে বিশদ
বিশ্লেষণ যাব না।
৩| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভাই আপনার লেখা খুবই চমৎকার লাগল। তবে সমস্যা হলো কিছু মূর্খ নিয়ে, আস্তিক-নাস্তিক নিয়ে নয়। কোন ধর্মেই কোথাও মারামারি কাটাকাটির কথা নেই। সব ধর্মেই কিছু মূর্খ আছে এরাই হল বড় সমস্যা। এরাই যত রষ্টের মূল।
১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
রাহুল চক্রবর্তী বলেছেন: ধন্যবাদ,ভালো পাঠক থাকলে লেখার মান আরো ভালো হবে।
হ্যাঁ,কিছু মূর্খ আস্তিক-নাস্তিক উভয় দলেই থাকে।
৪| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
জীবনের খাতা বলেছেন: “আমি নিজেও কোন অদৃশ্য বায়বীয় শক্তিধরের শক্তিতে বিশ্বাসী নই” এই কথাটি গ্রহণ করতে পারলাম না। কেন না অদৃশ্য বায়ুর যে শক্তি এবং উপকারিতা রয়েছে তা অস্বীকার করার কোন উপাই নাই।
১৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
রাহুল চক্রবর্তী বলেছেন: আমার সব কথা আপনার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে এমনটাইবা ভাবছেন কেন!!
কোথায় বায়ুর শক্তি আর কোথায় বায়বীয় "শক্তিধর"!!আগে তফাৎটা জানুন তারপর নাহয় মন্তব্য করবেন।আর আমি একবারো বলিনি আমি বায়ুতে বিশ্বাসী নই,বায়ু আমাদের শরীর স্পর্শ করে,বায়ু আমরা অনুভব করতে পারি।তাই এটাকে অবিশ্বাস করার যুক্তিযুক্ত কারন দেখছিনা।
আর যে অস্তিত্বহীন মনগড়া শক্তির প্রত্যক্ষ কর্মকাণ্ড চাক্ষুস নয় তা বিশ্বাস করা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব না।
আর আমার লেখা আপনার মস্তিষ্কে ঠিকঠাক যে ঢুকেনি তা স্পষ্ট,তা নাহলে এটা পরে আপনার মাথায় এহেন মন্তব্য আসতো না-
" আমি নিজেও কোন অদৃশ্য বায়বীয়
শক্তিধরের
শক্তিতে বিশ্বাসী নই আর তাই
বলে আমার বিশ্বাস অন্যের
ঘাড়ে চাপাতে হবে এমনটা আমি ভাবি না,ধার্মিকদের
ক্ষেত্রেও একি কথা নিজ
বিশ্বাস,প্রার্থনা,পূজা,নামাজ
নিজের মতোই করুন তবে অবশ্যই
অন্যের স্বাধীন
ভাবনাকে বাঁধা দিয়ে নয়।
যা ভালো তা ধারন করাকেই
যদি ধর্ম বলা হয়
তবে সেক্ষেত্রে আমাকে কিঞ্চিত
ধার্মিক বলা চলে।"
৫| ১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: "সেসব সুবিধাবাদী আর হুজুগে আস্তিক আর নাস্তিকদের উদ্দেশ্যে বলতে হয়-"আপনারা ইতিহাসে আর একবার ঘুরে আসুন দেখবেন ধর্ম,বিজ্ঞান,সমাজ ব্যবস্থা এই সব কিছুর মাঝেই পরিবর্তন ঘটছে প্রতিনিয়ত,যা আগামীতেও ঘটবে।"
আপনার এই কথা কোনক্রমেই মানতে পারছিনা। অন্য ধর্মের ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই কিন্তু ইসলাম ধর্মের ব্যাপারে বলতে কোন দ্বিধা নেই, দেড় হাজার বছর আগে যা হারাম ছিল - এখনো তাই হারাম। তখন যা বাধ্যতামূলক ছিল - এখনো তাই আছে। মানুষ নিজের সুবিধামত হয়তবা কিছু পরিবর্তন করে মানুষের কাছে জায়েজ করে নিচ্ছে, কিন্তু মূল ধর্ম একই আছে। এটা কোন প্রচেষ্টাতেই পরিবর্তন হবেনা।
নাস্তিকেরা যদি কোন ধর্মীয় বিধিবিধানের গঠনমূলক সমালোচনা করে, তবে তো কারো গায়ে লাগার কথা নয়, মানুষের মনে স্বাভাবিক কৌতূহলের উদ্রেক হতেই পারে। কিন্তু ঝামেলা বাধে তখন যখন অন্যের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ঠাট্টা তামাশায় মেতে ওঠে। সামান্য ঈমানের অধিকারী কোন মুসলিমের পক্ষে সম্ভব নয় কোন নবী রাসুল (স) নিয়ে কোন ঠাট্টা তামাশা সহ্য করা। তা যা হয়, সেটাই উচিত
৬| ১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪
রাহুল চক্রবর্তী বলেছেন: এইতো শুরু করে দিলেন ধর্ম শিক্ষা!
কিছু কুরুচীপূর্ণ ব্যপার দেখে কিছু কুরুচীপূর্ণ ঠাট্টা করা অস্বাভাবিক না।আচ্ছা ধরে নিলাম ঠাট্টা করেছে,তাই বলে আপনি গল্প বইয়ের একটি চরিত্রে জন্য নিশ্চয়ই মানুষ মারতে পারেন না?
হুমায়ূন আজাদের এর কথাই ধরুন সে অতিমাত্রায় বক ধার্মিকদের দোষ-ত্রুটি তুলে ধরতো বলেই তাকে কুপিয়ে মারা হলো।রগ কাটতে কিংবা চাপাতি দিয়ে কোপানোর কথা নিশ্চয়ই পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ সমূহে উল্লেখ নেই?
তো বলুন, কোন নীতিতে কিছু ধার্মিক কষাইয়ের দায়িত্ব নিচ্ছে?
৭| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১৪
দীপ্তিমান বলেছেন: নাস্তিকদের আমি সবসময় শ্রদ্ধার চোখে দেখি। অন্তত মনুষ্য-নির্মিত হাজারটা মাটির পুতুলকে পূজা করার চেয়ে কাউকেই পূজা না করা আমার কাছে বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হয়। তবে অনেকগুলোকে 'না' করে এক
কে 'হ্যাঁ' করতে পারাই চরম বুদ্ধিমানের কাজ।
১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১
রাহুল চক্রবর্তী বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
তবে আমার লেখাটির সাথে আপনার এই মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক মনে হলো!
৮| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। লেখাতে প্যারা দিলে ভাল হত।
সাম্প্রদায়িকতা নয় জয় হোক মানবতার।
১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
রাহুল চক্রবর্তী বলেছেন: ধন্যবাদ।
সাম্প্রদায়িকতার নয় জয় হোক মানবতার।
৯| ১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ভালো লিখেছেন! যার যার হিসেব সে দিবে, কে নাস্তিক আর কে নাস্তিক এইটা তার স্রষ্টার সাথে সেই বান্দার হিসাব, অন্য কেউ যখন এইখানে নাক গলাইতে আসে, সেইটা চূড়ান্ত মাত্রার অনধিকার চর্চা! আর তুমি আস্তিক নাস্তিক যেই হও, সবার আগে মানুষ হও, তারপরে অন্য হিসেব!
১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
রাহুল চক্রবর্তী বলেছেন: ধন্যবাদ " তুমি আস্তিক
নাস্তিক যেই হও, সবার আগে
মানুষ হও!"
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:২৩
ঢাকার কুতুব বলেছেন: আপনার চিন্তা ভাল লাগলো। আমিও একই ধরণের মত পোষন করি।