![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারণ মানুষ।পৃথিবীতে এই অল্প সময় বিচরণে আমি বুঝে গেছি আমার সম্বল একমাত্র আমি। প্রকৃতির মাঝে আমি আমিই। আমার অস্তিত্বও আমি। তাই নিজেকে নিয়ে খেলতেই আমি বেশি পছন্দ করি। মেতে থাকতে চাই যুক্তির খেলা নিয়ে।
“আজ আমি ছাত্রদের রক্তে রঞ্জিত। এর পর কোন গুলি হলে তা ছাত্রকে না লেগে যেন আমার গায়ে লাগে।”
- কথাগুলো বলেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের তৎকালীন অধ্যাপক ও প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা।
যিনি নিজের জীবন দিয়ে আগলে রেখেছিলেন তাঁর ছাত্রদের। শুধুমাত্র একজন প্রক্টর হিসেবে নয়, একজন বাবা হিসেবেও। যিনি তাঁর ছাত্রদের নিজ সন্তানের চেয়ে ছোট করে দেখতেন না কখনোই।
১৯৬৯ সালের এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা গণঅভ্যুত্থানের অগ্রনায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়েছিল পাক হানাদার বাহিনী হটাও আন্দোলন। সেদিন নিজের জীবনের বিনিময়ে বাঁচিয়েছিলেন হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তিনি দেশের জনগণকে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি, ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান, ১৫ ফেব্রুয়ারি, সার্জেন্ট জহুরুল হক এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক শহীদ শামসুজ্জোহার মৃত্যু দেশেবাসীকে স্বাধীনতা আন্দোলনের দিকে ধাবিত করে। শামসুজ্জোহাকে দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে গন্য করা হয়। বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময়ও তিনি প্রত্যক্ষভাবে আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
জোহা স্যারের আত্মত্যাগ ও আমাদের চেতনাঃ
জোহা স্যার শুধুমাত্র একজন শিক্ষকই ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন পিতা। ছাত্ররা তাঁর কাছে ছিল সন্তানসম। তাই তো সন্তানের বুকে তেড়ে আসা গুলির সামনে নিজের বুক পেতে দিয়েছিলেন। রক্ষা করেছেন ছাত্রদের। পালন করেছেন তাঁর উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব। একজন প্রক্টরের তো এমনই হওয়া উচিৎ। যার বুকে ছাত্ররা থাকবে নিরাপদ। মায়ের বুক থেকে ক্যাম্পাসে আসা প্রতিটি ছাত্রের নিরাপদ কোল একজন প্রক্টরের কোল। সেই কোলই পেতে দিয়েছিলেন জোহা স্যার।
কিন্তু আজকের আমরা জোহা স্যারের আত্মত্যাগ থেকে কি শিক্ষা নিচ্ছি? সেই জোহা স্যারের পরের সময় থেকে আমরা কি কোন ক্যাম্পাসে এতো নিরাপদ কোন প্রক্টর পেয়েছি যার কোল সত্যিকার অর্থেই ছাত্রদের জন্য নিরাপদ? তাহলে আমাদের শিক্ষাটা কোথায়?
লাল দল, সাদা দল, হলুদ দল, কালো দল কত নামে কত দল আজ শিক্ষকদের! কত রাজনীতি! কিন্তু ছাত্রদের জন্য নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক কেন এতো কম?
কবে আমাদের মাঝে জোহা স্যার আবার ফিরে আসবেন? নাকি এই প্রক্টর মানের পদটা বাকি দিনগুলোতে বারবার বিকৃত করবেন জোহা স্যারের অম্লান স্মৃতি?
আমরা আমাদের সেই জোহা স্যার চাই।
© রায়হানুল ফেরদৌস রাজ
ঝিনাই-কুঁড়ির পাড়
পঞ্চগড়
ছবিঃ ইন্টারনেট
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫০
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৭
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: এই মহান শিক্ষকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: জোহা স্যারকে আপনি স্মরন করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৮
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ নূর ভাই।
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০২
রাশিয়া বলেছেন: এখনকার প্রোক্টর আগে দেখে ছাত্রলীগ তাদের মারধর শেষ করেছে কিনা। ঘন্টাখানেক মারধরের পর যেয়ে উদ্ধারের নাটক করবে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৯
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: এটা খুবই পরিতাপের বিষয়।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩২
রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: জোহা স্যারকে কই পাবেন, সব ভার্সিটি তো খালি ঢাবির গোলাম রাব্বানির মত গোলাম প্রক্টরে ভড়পুর।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪০
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ইদানীং কোন প্রক্টরকে দেখলাম না ছাত্রদের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে।
৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: মৃত্যুর মাত্র একদিন আগে শিক্ষকসভায় বলা তাঁর কথাগুলো কিভাবে দুঃখজনকভাবে সত্যে পরিণত হয়ে গেল! বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবি ডঃ শামসুজ্জোহার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।
পোস্টে তৃ্তীয় ভাল লাগা + +।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শিক্ষাবিদ এবং অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি