![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কে, আমি যেমন নিজে জানি না, বাকিরাও নিশ্চিতভাবে কিছু জানেন না। বেশিরভাগ ঐতিহাসিকের মতে আমি নিতান্তই এক কাল্পনিক চরিত্র, ইতিহাসে আমার অস্তিত্ব নাই! তাদের মতে ঔপন্যাসিক, গল্পকারেরা বিবেক চরিত্র চিত্রায়নে আমাকে সৃষ্টি করেছেন। এমনকি আমার নাম নিয়েও বিভ্রাট আছে। কেউ কেউ আমার নাম গোলাম হোসেন বলেও অভিহিত করেছেন!
উৎসর্গঃ ফেসবুক পেইজ RaDiO bg24
সত্তরের দশকে ব্রুসলীর হাত ধরে মার্শাল আর্ট ভিত্তিক ছবির যে জয়জয়কার বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছিল, তার ঢেউ সহসাই আছড়ে পড়ে আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রেও। আশির দশকের শুরুতে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম ব্যাংকক থেকে মার্শাল আর্ট শিখে এসে চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি মার্শাল আর্ট শেখার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ভিসিআর তখন পর্যন্ত ব্যপকভাবে প্রচলিত না থাকায় ব্রুসলীর ছবি বা মার্শাল আর্ট সম্বন্ধে এদেশের মানুষের তেমন কোন ধারনা ছিল না। সৌভাগ্যক্রমে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর প্রযোজক-পরিচালক মাসুদ পারভেজের নজরে পড়েন। প্রতিষ্ঠিত পরিচালক এবং ব্যস্ত নায়ক মাসুদ পারভেজ ওস্তাদকে তার যাদুনগর ছবিতে কাজ করার আমন্ত্রন জানান। গতানুগতিক ঢিসুম-ঢাসুম অ্যাকশন দৃশ্যের বদলে এই প্রথম বাংলা ছবির দর্শক সম্পূর্ন নতুন ধরনের অ্যাকশনের স্বাদ পায়। এমনকি ভিসিআরের দর্শকেরাও হিন্দি ছবিতে এ ধরনের অ্যাকশন কখনো দেখেনি। খুব কম সময়ের মধ্যেই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয় মার্শাল আর্ট।
মার্শাল আর্ট প্রকৃতপক্ষেই একটি শিল্প। একজন নৃত্যশিল্পী যেমন বহু বছরের সাধনার পরে নাচের মুদ্রাগুলি নিখুঁতভাবে আয়ত্ব করতে পারে, মার্শাল আর্টে হাত-পায়ের কসরৎ রপ্ত করতেও প্রচুর সময় এবং অধ্যবসায় প্রয়োজন। তুমুল ব্যস্ত মাসুদ পারভেজের জন্য এতটা সময় ব্যয় করা সম্ভব ছিল না। ফলে খুব হালকা কিছু কায়দা নিয়েই তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হত।
মাসুদ পারভেজের ছোট ভাই মাসুম পারভেজ রুবেল ছোটবেলা থেকেই একজন অ্যাথলেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়াকালীন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় দলে ফুটবলও খেলেছেন। তিনিও মার্শাল আর্টের প্রতি উৎসাহিত হন এবং কয়েক বছর ধরে এর চর্চা করছিলেন। তখনও তিনি চলচ্চিত্রে পা রাখেননি।
শহীদুল ইসলাম খোকন ছিলেন একটানা প্রায় দশ বছর মাসুদ পারভেজের প্রধান সহকারী পরিচালক। আশির দশকের মাঝামাঝিতে তিনি পারভেজ সাহেবের আশির্বাদ নিয়ে নিজে ছবি পরিচালনা শুরু করেন। দূর্ভাগ্য, তার প্রথম ছবি পদ্মগোখরা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এমনকি দ্বিতীয় ছবিও ব্যর্থ হয়। হতাশ শিষ্যকে মাসুদ পারভেজ আবারও কাছে টেনে নেন এবং রুবেলকে নায়ক হিসেবে প্রোমোট করানোর জন্য খোকনকে বেছে নেন। এখানেই তৈরি হয় বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের সবচেয়ে সফল পরিচালক-নায়ক জুটির। পরবর্তী প্রায় পনের বছরের বেশি সময় এই জুটি বক্স অফিস শাসন করে একচেটিয়া ভাবে। তাদের প্রথম ছবির নাম লড়াকু, রুবেলের প্রথম হলেও খোকনের তৃতীয় ছবি। প্রথমবারের মত প্রকৃতপক্ষে মার্শাল আর্ট জানা একজন নায়ক নিখুঁত কায়দা কসরৎ দেখান পর্দায়। ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল লড়াকু।
বীর পুরুষ ছবিটা এসেছিল লড়াকুর বছর দু'য়েক পরে। প্রত্যেক বড় তারকার জীবনে একটা কাজ থাকে যেটা তাকে মহাতারকাতে পরিনত করে। রুবেল এবং খোকনের শিল্পীজীবনের এই টার্নিং পয়েন্টটা ছিল বীরপুরুষ ছবিটি। শুন্যে উঠে দুই পা দু'দিকে ছড়িয়ে মাটির হাড়ি ভাঙার দৃশ্যটা পুরোনো বাংলা ছবির দর্শকের চোখে লেগে আছে এখনও। কিশোর ও তরুনদের আইকনে পরিনত হন রুবেল।
মরহুম বশির চৌধুরীর দুই যমজ সন্তানের একজন আরমানকে ছোটবেলা হাফিজ নামের এক ব্যক্তি মুক্তিপণের লোভে অপহরণ করে। শিশু আরমানকে বন্ধু আবদুর রহমানের জিম্মায় রেখে হাফিজ গিয়েছিল মুক্তিপণ আনতে। নিঃসন্তান আব্দুর রহমানের স্ত্রী আরমানকে ছাড়তে রাজি না হওয়ায় তারা আরমানকে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং নিজ সন্তানের মত বড় করে। দুই ভাই বড় হয় সম্পূর্ন ভিন্ন দুই পরিবেশে, দুই শহরে।
বশির চৌধুরীর অপর সন্তান সোহেলকে বশির চৌধুরীর ভাই আসগর চৌধুরী সম্পত্তির লোভে হত্যা করে। মৃত্যুশয্যায় আব্দুর রহমান আরমানকে ছোটবেলায় ঘটে যাওয়া সব ঘটনা খুলে বলে এবং তার আসল বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতে বলে। আরমান তার নিজের বাড়িতে ফিরে এলে আসগর চৌধুরী হতাশ এবং ক্ষুদ্ধ হন। আরমান তার ভাইয়ের হত্যাকারী খুঁজে বের করার জন্য এদিক-সেদিক খোঁজখবর শুরু করে। এসময় তার সাথে দু'জনের দেখা হয় - প্রথমজন বশির চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মার্শাল আর্ট ব্ল্যাকবেল্ট হোল্ডার, পেশাগতজীবনে কবিরাজ সিরাজউদ্দিন (সিরাজ পান্না)। দ্বিতীয়জন এক রহস্যময় ব্যক্তি যে কখনো তার পরিচয় দেয় না, হঠাৎ হঠাৎ তাকে দেখা যায় আবার হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। লোকটি আরমানকে বারবার সতর্ক করছিল "সাবধান!! চারিদিকে শত্রু"।
আসগর চৌধুরীর মূল ব্যবসা চোরাচালান এবং এই কাজে তার অংশীদার ভয়ংকর হামজা (ড্যানি সিডাক)। চোরাচালান কাজে এতদিন তারা যে রুট ব্যবহার করছিল, সেখানে পরপর কয়েকবার অজ্ঞাত হামলার কারনে মালামাল খোয়া যাওয়ায় তারা নতুন রুটের সন্ধানে নামে। হামজার সাঙ্গপাঙ্গ যে নতুন রুট খুঁজে পায়, সেখানে জনৈক জমির শেখ তার স্ত্রী এবং একমাত্র ছেলে সহজ-সরল বাবলাকে (রুবেল) নিয়ে বাস করেন। মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়েও বাড়ি বিক্রি করতে রাজি করাতে না পেরে হামজা জমির শেখ এবং তার স্ত্রীকে হত্যা করে। বাবলা আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়।
মরনাপন্ন বাবলাকে পথের ধারে পেয়ে আরমান কবিরাজ সিরাজের বাড়িতে নিয়ে আসে। কবিরাজের চিকিৎসায় সুস্থ হয় বাবলা। বাবা-মায়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে বাবলা কবিরাজের কাছে মার্শাল আর্ট শিখে দুর্ধর্ষ হয়ে উঠে। আসগর-হামজা গং এর শত্রু আরমান এবং বাবলা দু'জনই কবিরাজের ঘনিষ্ঠ বলে এবার তাকেও হত্যা করা হয়। আসগর আলীর আসল রুপ আরমান এবং বাবলার চোখে ধরা পড়ে যায়। প্রতিশোধ নেবার জন্য তারা একসাথে আঘাত হানে আসগর-হামজার ঘাঁটিতে। সবশেষে মধুরেণ সমাপয়েৎ। রহস্যময় ব্যক্তির পরিচয়ও জানা যায় একদম শেষ পর্যায়ে এসে।
বানিজ্যিক বাংলা ছবিতে কাহিনীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানোর সুযোগ থাকে না। বাস্তব জীবনের সাথে মিলাতে গেলে প্রায় প্রতিটা সিকোয়েন্সেই ভুল ধরা যাবে। এছাড়া সব বাংলা ছবিই খুব বেশিরকম প্রেডিকটেবল হয়ে থাকে। বীর পুরুষও এসব দোষত্রুটি থেকে মুক্ত না। তাই সে প্রসঙ্গে আর যাচ্ছি না। সার্বিকভাবে এ ছবির কাহিনী সেন্স মেক করেছে, বাংলা ছবির সেসময়কার নিয়মিত দর্শক হিসেবে এতেই আমি খুশি। স্টাইলিশ পরিচালক খোকন জানেন দর্শককে কিভাবে ধরে রাখতে হয়। সিনেমা হলগুলির শোটাইম তিনঘন্টার বলে বাধ্য হয়ে তাকে কিছু অপ্রয়োজনীয় চরিত্র এবং সিকোয়েন্স দিয়ে ছবি লম্বা করতে হয়েছে। এদের বদলে মূল চরিত্রগুলির রোমান্টিক অ্যাঙ্গেল বিকাশের দিকে আরেকটু মনোযোগ দিতে পারতেন।
অভিনেতাদের মধ্যে সোহেল রানা এবং রুবেল ভাল কাজ করেছেন। রুবেলের কোন ছবিতেই কোন নায়িকার কিছু করার থাকে না। সুচরিতাও তার মাপের চরিত্র পাননি। তবে যতটা সময় পর্দায় ছিলেন, অন্ধ মেয়ের চরিত্র ভাল ফুটিয়ে তুলেছেন। ড্যানি সিডাককে ভয়ংকর পিশাচরুপী মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। খুব একটা আকর্ষনীয় হয়নি। খলিল মোটামুটি।
এই ছবিতে দু'জন শিল্পী তাদের যাত্রা শুরু করেছিল - সখী এবং সিরাজ পান্না। রুবেলের নায়িকা সখী থাকা বা না থাকা সমান। ছবির মূল ঘটনার সাথে তার চরিত্রের কোন সম্পর্ক ছিল না। দর্শকমনে তেমন কোন প্রভাব তিনি রাখতে পারেননি। নবাগত হিসেবে সিরাজ পান্না বিষ্মিত করেছেন। এই নতুন শিল্পীদের নিয়ে একটু আলোচনা করা যেতে পারে। শুধুমাত্র রুবেলের কারনে বাংলা ছবিতে প্রচুর নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীর আগমন ঘটেছিল। রুবেলের সব ছবিই মার্শাল আর্ট ভিত্তিক বলে তার ভিলেনও মার্শাল আর্ট জানা হওয়া বাধ্যতামূলক। তখনকার ব্যস্ত ভিলেনদের কেউই যেহেতু এই বিদ্যা জানতেন না, পরিচালক খোকন রুবেলের প্রথম ছবি লড়াকুতে ভিলেন হিসেবে নিয়ে এলেন ড্যানি সিডাককে যার একমাত্র যোগ্যতা মার্শাল আর্ট জানা। পরবর্তী ৬-৭ বছর ড্যানি নিয়মিত রুবেলের ছবিতে ভিলেনের চরিত্র করেছেন। ৯১ সালে সন্ত্রাস ছবির মাধ্যমে হুমায়ুন ফরিদীর বাংলা ছবিতে পা রাখার পর তিনিই রুবেলের ছবির নিয়মিত ভিলেন হয়ে উঠেন। অভিনয়ে অপটু প্রায় বেকার ড্যানি এরপর দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর মাধ্যমে নায়ক হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এখন তিনি প্রায় কর্মশুন্য। মার্শাল আর্ট ছবির আরেকটি অনুসঙ্গ নায়কের একজন গুরুর উপস্থিতি। এই শুন্যস্থান পূরনের জন্য বীর পুরুষ ছবিতে অভিষিক্ত হন সিরাজ পান্না। তিনিও অনেক বছর রুবেলের সাথে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। রুবেলের মার্শাল আর্ট জানা বন্ধুর চরিত্রে নব্বই দশকের শেষের দিকে আসেন আলেকজান্ডার বো। এর কিছুদিন পর রুবেল এবং খোকনের পনের বছরের বন্ধুত্বের ফাটল ধরে। একরোখা খোকন আলেকজান্ডার বোকে নিয়ে ম্যাডাম ফুলি নামে একটি ছবি তৈরি করেন। ছবিটি সফল হলেও আলেকজান্ডার বো রুবেলের জায়গা নিতে পারেননি। তিনি পরে লো বাজেটের কাটপিস নির্ভর ছবির নায়ক হয়ে যান। এখন তিনিও কর্মশুন্য। রুবেলের ছবি খুব বেশি নায়কময় হবার কারনে প্রতিষ্ঠিত নায়িকারা কখনো তার ছবিতে অভিনয় করতে চাইতেন না। ফলে পরিচালকেরা প্রচুর নতুন মেয়েকে তার নায়িকা হিসেবে সুযোগ দিয়েছেন - সখী, মিশেলা, সোহানা, সাথী এবং আরও অনেকে। এদের কেউই ক্যারিয়ার গড়তে পারেননি। ১-২টি ছবি করে বিদায় নিয়েছেন।
আলম খান কোন কালজয়ী সুর এই ছবিতে না দিলেও দুটো চমৎকার রোমান্টিক গান আছে - চোখের আলোয় দেখিনি এবং তোমাকে ভালবাসি । দুটো গানই রেডিও অনুরোধের আসর এবং বিভিন্ন গীতমালা অনুষ্ঠানে নিয়মিত বাজত।
ছবির মূল আকর্ষন অ্যাকশন দৃশ্যগুলি যার কম্পোজিশন করেছেন রুবেল নিজেই তার নিজস্ব ফাইটিং গ্রুপ দি অ্যাকশন ওয়ারিওয়ার্সের ব্যানারে। ছবিতে কোন গোলাগুলি বা বোমাবাজির ব্যাপার নেই। শুধুমাত্র মার্শাল আর্ট ধাঁচে হাত-পায়ের অ্যাকশন। রুবেল ফাইট কম্পোজিশনকে এককথায় বলা যায় অসাধারন। বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে সিরাজ পান্নার গুন্ডাদের সাথে ফাইট এবং রুবেল-ড্যানি সিডাকের দ্বৈরথের কথা।
সবশেষে একটি সম্পূর্ন ভিন্ন প্রসঙ্গ। ছবির শুরুর দিকে ধারাবিবরনীতে উপরের এই ছবিটি দেখিয়ে বলা হচ্ছিল "সক্রিয় হয়েছে হায়েনার চোখ"। বীর পুরুষ আজ থেকে ২৪ বছর আগের ছবি। আজকে ২০১১ সালে কোন পরিচালকের বোধহয় এ ধরনের ছবি ব্যবহার করার সাহস হবে না। গত ২৪ বছরে এই হায়েনার দল প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির কল্যানে (!) সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বীকৃতি পেয়ে গেছে। এখন আমরা তাদের ভয় পাই!
বীর পুরুষ ছবির ইউটিউব লিঙ্ক
----------------------------------------------------------------------------
RaDiO bg24 এর ফেইসবুক পেইজের খবর আমি বোধহয় পেয়েছিলাম ব্লগার রাজসোহানের কাছে। পেইজের অ্যাডমিন দাবি করছিলেন যে তার কাছে সত্তর/আশি/নব্বই দশকের বহু দুর্লভ ব্যান্ড এবং বাংলা ছবির গান আছে। আমার জন্য এর চেয়ে ভাল খোরাক আর হতে পারে না। তাই এই পেইজে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করলাম। এদের সংগ্রহ দেখে আমি আসলেই অবাক। যতটা আশা করেছিলাম, তার চেয়ে নিয়মিত বিরামহীনভাবে ভদ্রলোক গান পোস্ট করে যাচ্ছেন প্রতিদিন। শুনলাম, শিঘ্রি পুরোনো বাংলা ছবিও পোস্ট করা শুরু করবেন। আমার কৈশোর ও তারুন্যের হারিয়ে যাওয়া শত শত গানকে আরেকবার ফিরিয়ে দেবার জন্য পেইজটার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। এই পোস্ট সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটা খুব ছোট মাধ্যম।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৪
সবাক বলেছেন: সবশেষে একটি সম্পূর্ন ভিন্ন প্রসঙ্গ। ছবির শুরুর দিকে ধারাবিবরনীতে উপরের এই ছবিটি দেখিয়ে বলা হচ্ছিল "সক্রিয় হয়েছে হায়েনার চোখ"। বীর পুরুষ আজ থেকে ২৪ বছর আগের ছবি। আজকে ২০১১ সালে কোন পরিচালকের বোধহয় এ ধরনের ছবি ব্যবহার করার সাহস হবে না।
অসাধারণ একটি তথ্য।
-------------------------------
আমার বড় বোনের দেবর জহির নিয়মিত সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতো। আমার সে সুযোগ ছিলো না। জহির আবার মার্শাল আর্ট এর দারুন ভক্ত। আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসলে গভীর রাত পর্যন্ত তার মুখ থেকে রুবেল এর সিনেমার গল্প শুনতাম। এত সুন্দর করে বলতো সে, ছবি না দেখেই ছবি দেখার উত্তেজনা পেতাম।
আপনার বর্ণনা পড়ে সে উত্তেজনার কিছুটা পেলাম। ধন্যবাদ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: বাংলা ছবি দেখেন নাই কখনো হলে গিয়ে? তাহলে তো দারুন সব অভিজ্ঞতা মিস করেছেন। কত বিচিত্র ঘটনা যে ঘটে হলে!! আমাকে একবার পিন দিয়ে খোঁচা দিয়ে কনুইয়ের রক্ত বের করেছিল এক ইডিয়েট। পকেটমার, ঘড়ি চুরি এসব তো আছেই।
আমিও আপনার বেয়াই এর মত মার্শাল আর্ট তথা রুবেলের ছবির খুব ভক্ত ছিলাম। মোটামুটি ৯২-৯৩ পর্যন্ত রুবেলের ছবি মিস হয় নাই। আমাকে হয়ত এখন আপনার খুব খ্যাত মনে হতে পারে, কিন্তু ওইসময় ওটাই নরমাল ছিল।
যাই হোক, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। এখন পর্যন্ত আপনি আমার লেখার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশটা খেয়াল করলেন। সেটার জন্য আরও একটা ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৫
গরম সিঙ্গাড়া বলেছেন: আমি আমার জীবনের প্রথম বাংলা ছবি যেটা হলে গিয়ে দেখি তার নাম হল 'রুবেল আমার নাম'।
গ্রামের হলে গিয়ে দেখা। ওখানকার পরিবেশটাই আলাদা। আপনার লেখা দেখে অনেক পুরানো কথা মনে পড়ে গেল।
প্রিয়তে নিয়ে গেলাম। পরে সময় করে দেখব। ভালো থাকবেন।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: এটা ৯১ সালের অগাস্ট/সেপ্টেম্বরের দিকের ছবি। তারিখ এত ভাল মনে থাকার কারন ব্যাখ্যা করি, নাহলে আমার স্মরনশক্তি নিয়ে ভুল ধারনা পাবেন। এসময় সংসদীয় গনতন্ত্র নিয়ে হ্যাঁ/না ভোট হয়েছিল আর ভোটের দিনই আমি এই ছবিটা দেখতে গিয়েছিলাম। মোটামুটি ছবি। পরিচালক আবার অর্ধেক ছবি করার পর খুব অল্প বয়সে মারা গিয়েছিলেন।
গ্রামের হলে আমি কখনো ছবি দেখি নাই। সিলেটের বন্দর মোড়ে অবস্থিত বাজে এবং নোংরা একটা হলে দেখাই আমার সর্বনিম্ন অভিজ্ঞতা, হলটার নাম মনে নাই অবশ্য।
আচ্ছা, পরে পড়ে কেমন লাগল জানাবেন। আর ছবিটাও দেখবেন কিন্তু।
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৬
আমি ছড়াকার বলেছেন:
জুহালা ভাই রেডিও পেইজের কালেকশন দেইখা আমিও হতবাক। কৈশোর,তারুন্যর গান`গুলো প্রায় সবগুলোই উনি শোনাচ্ছেন আবার।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: কি বলব! কত পুরোনো গান যে খুঁজে পেয়েছি সেখানে। এককালে হয়ত সারাদিন শুনতাম, এখন ভুলেও গেছি, এরকম প্রচুর গানও পেলাম সেখানে। হ্যাটস অফ টু দেম।
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৭
তৌহিদ আলম বলেছেন: ভাল লেগেছে...................
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৯
কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাইসুল জুলাহা ভাইকে। অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। সেই সময়কার তরুণ প্রজন্মকে হলে টেনে নেয়ার জন্য রুবেল- খোকন জুটির তুলনা ছিল না। এই জুটিরসন্ত্রাস, সতর্ক শয়তান, অপহরণ,ঘাতক বিশ্বপ্রেমিক সবগুলি ছবি ছিল দারুণ ও ব্যবসা সফল। আর সামাজিক ছবির জন্য কিং ছিলেন এ জে মিন্টু যিনি সহানুর রহমান সোহান,শাহ আলম কিরণ, মনোয়ার খোকন এর গুরু ছিলেন। এ জে মিন্টু কে নিয়ে একটি লিখা আপনার কাছ থেকে আশা করছি।
আমার আপনার মত মানুষদের জন্যই রেডিও বিজি২৪ শুরু করেছি, যারা হারানো দিনের সেই উজ্জ্বল স্মৃতি ধরে রাখবে আজীবন।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: রুবেল-খোকন জুটির মত আর কখনো হবে না। কেন যে তাদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হল!! কে জানে? এ জে মিন্টুও তার জগতে সেরা। তবে অনেক ছবিই নকল, এটা সমস্যা। খোকনের আবার নকল ছবি নাই। লিখব একদিন মিন্টুর কথাও। সম্প্রতি তার দুটো ছবি আবার দেখলাম - পিতা মাতা সন্তান আর ন্যায় অন্যায়।
রেডিওর জন্য আর আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না।
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৫
ক্রন্দসী বলেছেন: শহিদুল ইসলাম খোকনের প ভীতি আছে ।পালাবি কোথায়,পাগলা ঘন্টা তুলনামূলক ভাবে বলা চলে অনেক উমদা ছবি কিনতু হিট করেনি হিট করেনি।আলেকজেন্ডার বিহীন বো- অভিনয় বাদে সবকিছুতে পারফেক্ট।আমার প্রিয় নায়ক সোহেল রানা এ লোকটার ফালতো ছবি একেবারেই কম।টিন এজে রুবেল পুরা ক্রেজ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: পালাবি কোথায় ছবিটা ভালই ছিল। পরে শুনি এটা নাকি এক তামিল ছবির শট বাই শট নকল। শুনে বেশ মেজাজ খারাপ হল। ফরিদী, শাবানা, চম্পা আর সুবর্নাকে দারুন লেগেছে ছবিতে। বো অভিনেতা হিসেবে একদম বাজে।
ধন্যবাদ ক্রন্দসী।
৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৬
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: +++++++++++
অনেক দিন পর লিখলেন!!
অনেক আগে স্কুলে থাকতে একটা ট্রেইলারের কথা মন্র পড়ে, আপনি হয়ত মনে করতে পারবেন। নায়ক রুবেল এক ঘুষিতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে বলে ওঠে "রুবেল আমার নাম"। এই সিনেমা কবে হয়েছিল মনে আছে?
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ঘুষিটা রুবেল মেরেছিল বক্সিং এর রিংয়ে দাঁড়িয়ে। এটা ৯১ সালের অগাস্ট/সেপ্টেম্বরের দিকের ছবি। তারিখ এত ভাল মনে থাকার কারন ব্যাখ্যা করি, নাহলে আমার স্মরনশক্তি নিয়ে ভুল ধারনা পাবেন। এসময় সংসদীয় গনতন্ত্র নিয়ে হ্যাঁ/না ভোট হয়েছিল আর ভোটের দিনই আমি এই ছবিটা দেখতে গিয়েছিলাম। মোটামুটি ছবি। পরিচালক আবার অর্ধেক ছবি করার পর খুব অল্প বয়সে মারা গিয়েছিলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৯
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ভাল লাগলো যদিও রুবেলের চে ওর ভাই সোহেল রানাকে ভাল লাগতো।
সুন্দর রিভিউর জন্য ধন্যবাদ
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ৮৫-৮৬ এর দিকে আমি পূর্ন কিশোর। তখন আমাদের স্বপ্নের নায়ক ছিল রুবেল। তবে অভিনেতা হিসেবে আমি সোহেল রানাকে এগিয়ে রাখব। রুবেল সামাজিক বা রোমান্টিক ছবি তো কখনো করে নাই। তাই তার অভিনয়ক্ষমতার প্রকৃত পরীক্ষাও কখনো হয় নাই। সোহেল রানা ভার্সেটাইল।
ধন্যবাদ মোজাম ভাই।
১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪০
নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: সম্পূর্ণ কাহিনীটি পড়লাম। হালকা হালকা মনে পড়ে গেল এই মুভিটির ব্যাপারে। বিশেষ করে হাড়ি ভাঙ্গার দৃশ্যটি স্পষ্ট মনে আছে।
ছোটবেলার অনেক কথাই মনে পড়ে গেলো আপনার লেখা ও ছবিগুলো দেখতে দেখতে। ছোটবেলায় রুবেল, মান্না এই দুজনের যে কত মুভি দেখেছি তার কোন হিসাব নেই........অনেক ভালো লাগতো এদের মুভিগুলো.......কি যে হয়ে গেলো এখন এই সময়ে আমাদের চলচ্চিত্রের!!! খুব খারাপ লাগে।
আগের সেই মজা এখন আর মুভিগুলোতে পাইনা। বাইরের মুভি প্রচুর দেখলেও এবং এই নিয়ে অনেক লিখলেও আমি কিন্তু প্রতিমাসে প্রায়ই হলে গিয়ে নরমাল এফডিসি মুভিগুলো দেখে আসি। কাউকে বলি না। সবাই হাসাহাসি করে। কিন্তু বলা যায় হলের পুরোটা সময় বেশ মজা করেই মুভি দেখে বেরিয়ে আসি।
আপনার এই পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ওহ, তাই নাকি! আপনি এখনো নিয়মিত ছবি দেখেন। ইউ আর দ্য ম্যান। আমিও ইদানিংকার ছবি দেখে খুব একটা মজা পাই না।
মান্নাকে আমার ভাল লাগত না। বেশি চেঁচায়।
বাংলা ছবি হঠাৎ করেই একেবারে খাদে চলে গেল। এখান থেকে উঠে আসার তেমন কোন সম্ভাবনা দেখছি না। বাস্তব অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে ভারতীয় ছবি খুব শিঘ্রি আসছে আর এগুলো আসলে বাংলাদেশি ছবিকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। ওরা এত এগিয়ে গেছে যে ওদের সাথে প্রতিযোগিতা করা অসম্ভব। কি যে হবে সামনে!
অনেক ধন্যবাদ নাফিজ। খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্যটা।
১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৬
গ্রামের মানুষ বলেছেন:
এমন ভাবে স্মৃতিচারণ করেন যেন আপনি এখনো ইচ্ছে করলেই সেই সময়ে চলে যেতে পারেন!!! যেন সব কিছু দেখে দেখে বলছেন।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। আমার এসব ব্যাপারে সবসময়ই খুব আগ্রহ। সেকারনে মনে থাকে। আমার স্মরনশক্তি কিন্তু যথেষ্ট খারাপ। শুধু এই গান, চলচ্চিত্র এসব বিষয়ে সহজে ভুলি না।
তারপরও আমার লেখাগুলির শতভাগ সঠিকতা আমি দাবি করি না। একদম স্মৃতি থেকে লেখা বলে একটু-আধটু ভুল হতেই পারে।
ধন্যবাদ।
১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩২
নির্লিপ্ত দৃষ্টি বলেছেন: আমার হলে গিয়ে দেখা প্রথম ছবি 'অপহরণ', নায়ক ছিল রুবেল, খুব সম্ভবত পরিচালক ছিলেন শহীদুল ইসলাম খোকন। ছোট বেলাতে ভালই লেগেছিল।
'খোকনের আবার নকল ছবি নাই। '
'ছবিটা কিন্তু হিন্দি ছবি 'প্রেম দিওয়ানের' নকল। ছবিটির পরিচালক যদি শহীদুল ইসলাম খোকন(প্রায় নিশ্চিত) হয়ে থাকেন তবে বলা যায় তারও নকল ছবি আছে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অপহরণ খোকনেরই ছবি। ফরিদীর 'আই আই ও আম্মা' ডায়লগের ছবিটা তো? প্রেম দিওয়ানার নকল নাকি?
না, মানে খোকনের ছবি তার সমসাময়িক পরিচালকদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম নকল, সেটাই বলতে চেয়েছিলাম আর কি।
১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬
করতাল বলেছেন: আমার বাসায় স্যাটেলাইট সংযোগ অনেক পরে আসায় বিটিভির শুক্রবারের ছবিই ছিল ভরসা। রুবেল এর অনেক ছবি দেখেছি বিটিভি তে। রুবেল এবং সোহেল রানা অভিনীত একটা ছবি ছিল " বজ্রমুষ্টি "। ছবিটা দেখার পর বন্ধু বান্ধ্বব রা মিলে মজা করে মারামারি করতে গিয়ে আহত হয়েছিলাম
পরে শুনেছিলাম ছবিটা নাকি জ্যাকি চান এর একটা জনপ্রিয় ছবির নকল। যাই হোক রিভিউ চমৎকার হয়েছে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: জ্যাকি চ্যানের ছবির কথা জানি না, তবে ব্জ্রমুষ্টির শুরুতেই বলে দেয়া হয়েছিল যে এটি চৈনিক উপকথা অবলম্বনে নির্মিত। এটা আরেকটা দুর্দান্ত ছবি। আমার খুব পছন্দ।
ধন্যবাদ।
১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪২
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: বরাবরের মত চমৎকার রিভিউ । নস্টালজিক হলাম আবারও ।মার্শাল আর্টের প্রতি দুর্বলতা থাকায় এরম কোনো ছবিই মিস দেইনি । আমি নিজেও মার্শাল আর্টে
"রুবেলের নায়িকা সখী"
রুবেলের নায়িকা ছিলেন কবিতা । আমরা একি বিল্ডিং এ থাকতাম । আমাদের সাথে পারিবারিক হূদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক্য ছিল ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মানিক ভাই। আপনিও জানেন নাকি মার্শাল আর্ট?
এই ছবিটার সময় তার নাম ছিল সখী। তেমন কোন নজরে না পড়ায় নাম পরিবর্তন করে পরে আবার কবিতা নাম নিয়ে ফিরে আসে। ৯১ এ রুবেলের সাথেই তার একটা ছবি ছিল লাওয়ারিশ। এখানে তার ছিল কবিতা। নায়িকাদের মধ্যে এ ধরনের নতুন নামে ফিরে আসার প্রবনতা বেশ দেখা যায়।
যাই হোক, তারপর কবিতা একেএ সখীর কি হল? উনি কি বিয়ে টিয়ে করে সংসারী হলেন? নাকি এখনও ছোটখাট চরিত্রে অভিনয় করছেন?
১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪
ফয়সাল তূর্য বলেছেন: দারুন রিভিউ, রিভিউ পড়েই পুরা মুভিটাই দেখে ফেল্লাম মনে হচ্ছে!
++++
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। কিন্তু এখানেই থেমে থাকবেন না। মুভিটাও দেখে ফেলুন।
ধন্যবাদ।
১৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৪
সবাক বলেছেন: প্রচুর বাংলা সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছি। সেটা অনেক পরে। প্রথম হলে গিয়ে সিনেমা দেখি ২০০১/২ এর দিকে। তখন বিষয়টা অত রোমাঞ্চকর ছিলো না। যে বয়সে চরম রোমাঞ্চকর, সে বয়সে ঘরে টিভিও ছিলো না। বাজারে গিয়ে বাবার ভয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে হতো।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে জহিরের মুখ থেকে কাহিনী শুনতেই বেশ লাগতো। এর কোন তুলনা হয় না।
সিনেমা নিয়ে কত মজার ঘটনা আছে...। প্রথম যেদিন টিভিতে সিনেমা দেখতে গেলাম, ভিলেন একজনকে জবাই করে মারছে... এমন একটা দৃশ্য (জবাই করার দৃশ্য নাই, কিন্তু তাকে যে জবাই করে মারা হচ্ছে সেটা বুঝা যাচ্ছে) দেখে ভয়ে কান্না করতে করতে বাড়ি ফিরেছিলাম। বাড়ির বড় ভাইয়েরা অনেক বুঝিয়েছে, "এটা অভিনয়"। কিন্তু কে বুঝে কার কথা! পরে কয়েক শুক্রবার পর ওই অভিনেতার আরেকটি সিনেমা টিভিতে দিলে, ওরা আমাকে নিয়ে দেখিয়ে তারপর ভুল ভাঙায়।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ওহ, আপনার বাবা খুব রক্ষনশীল ছিলেন বোধহয়। মুশকিল। আমার বাবা-চাচারাও প্রায় এরকমই। আমার বাবা অবশ্য টিভি/মুভি দেখা মেনে নিতেন। কিন্তু আমার বড় চাচা আপনার বাবার মত। চাচাতো ভাই-বোনদের বড় কষ্ট দিয়েছেন। এই রক্ষনশীলতার কারনে আমার বাবা আমাকে সিনেমা লাইনে যেতে দিল না। আফসোসের বিষয়। আমেরিকার এই জঞ্জালের জীবনে পয়সা আছে, নিরাপত্তা আছে। কিন্তু শান্তি আর পাই না যেটা আমি মুভি সেটে বসে পেতে পারতাম। এসব কথা মনে হলে এখনও রাতে ঠিকমত ঘুম হয় না। জীবন নিয়ে কি স্বপ্ন দেখলাম আর বাস্তবে কি হল! ধ্যুৎ। যাই হোক, বাদ দেই নিজের দুঃখের আলাপ।
ভাল লাগল আপনার স্মৃতিচারন। চমৎকার। আমার খুব ভাল লাগে পুরোনো কথা শুনতে এবং বলতে।
১৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৫
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
ছবিটা দেখিনি আমি তবে যে ছবির শুরুতে এমন একটি স্থির ছবি থাকে, তা না দেখে আমি থাকি কিভাবে? ছবির প্রযোজককে শুভেচ্ছা।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এমন একটি মুভির কথা শেয়ার করার জন্য.....
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: এই ছবির প্রযোজক কামাল পারভেজ যিনি পারভেজ পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য। মাসুদ পারভেজ একজন বড় মাপের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সারাজীবন গোঁড়া আওয়ামি লীগার হলেও এই আমলে তাঁর তেমন কোন বৈষয়িক উন্নতি লক্ষ্য করা গেল না! আমি ভেবেছিলাম সরকার হয়ত তাঁকে এফডিসির চেয়ারম্যান বা এই জাতীয় কিছু বানিয়ে দিবে।
ছবির প্রযোজককে আমার পক্ষ থেকেও শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৯
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:
আপনার পোস্টে মন্তব্য করার লোভ সামলানো দায়। বাধ্য হয়েই লগইন করলাম। ভাইয়া, আপনি কি অসীম ধৈর্য্যের সাথে পুরো ছবির কাহিনী বর্ননা করছেন। আমি সত্যিই অবাক। বোঝাই যাচ্ছে কেমন দর্শক ছিলেন আপনি বাংলা সিনেমার। পুরনো দিনের বাংলা সিনেমা বেশ ভালো লাগে। কিন্তু নায়ক রুবেল এর ছবি.........
(ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি)।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। রুবেলের বড় ব্যর্থতা যে তিনি নারী দর্শকদের মধ্যে কোন আবেদন সৃষ্টি করতে পারেননি। তার ছবিগুলি বড় বেশি পুরুষোচিত।
দর্শক হিসেবে ভালই ছিলাম। আসলে তখন পরিকল্পনা ছিল আমি নিজেও ফিল্ম লাইনে চলে যাব। তাই শুধু মুভিই দেখতাম না। কেন হিট হচ্ছে বা কেন ব্যর্থ হচ্ছে - এসবই বিশ্লেষন করার চেষ্টা করতাম। তবে এই ছবির কাহিনী তো আর স্মৃতি থেকে লেখা না। লেখার আগে আমি ছবিটা আবার দেখেছি।
কষ্ট করে লগইন করে মন্তব্য করেছেন, সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২২
কাউসার রুশো বলেছেন: তৈরি হয় বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের সবচেয়ে সফল পরিচালক-নায়ক জুটির
সত্যিই কী তাই?
বাংলাদেশি সিনেমা সম্পর্কে জ্ঞান কম তাই হয়ত এ মুহুর্তে শক্ত কোন যুক্তি পেশ করতে পারছিনা। তবে এ কথাটি নিয়ে আমার মাঝে ডাউট আছে।
আপনি আরেকটু ব্যাখ্যা করেন।
ছবির শুরুর দিকে ধারাবিবরনীতে উপরের এই ছবিটি দেখিয়ে বলা হচ্ছিল "সক্রিয় হয়েছে হায়েনার চোখ"।
কী আশ্চর্য সাহসিকতায় এদের মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে যেখানে আজ কালকার নাটক-সিনেমায় সরাসরি কেউ কিছু বলার সাহসিকতা দেখায়না।
আর পোস্টের ব্যাপারে বলবো যারা মুভি রিভিউ লিখে তাদের উচিত আপনাকে নিয়মিত ফলো করা। সহজ সরল ভাষায় কিন্তু কোন পয়েন্ট মিস না করে এত দারুনভাবে উপস্থাপন করা রিভিউ রাইটার সামুতে নেই বললেই চলে।
+++
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: এখন যদি আমি স্করসিস-নিরোর সাথে খোকন-রুবেল জুটির তুলনা দেই, লোকের তো আমার কথা পছন্দ হবে না। পরিচালক-শিল্পীর জুটি তখন হয় যখন তারা একসাথে অনেকগুলি সফল ছবি উপহার দিতে পারেন। একটা সময় স্করসিস আর রবার্ট ডি নিরো অথবা সত্যজিত এবং সৌমিত্র যেমন ছিলেন। বাংলা ছবিতে সেরকম দীর্ঘস্থায়ী জুটি বলা যেতে পারে ঝন্টু-জসিম, খোকন-রুবেল, কাজী হায়াৎ-মান্না জুটিগুলোকে। কিন্তু সাফল্য এবং দীর্ঘস্থায়িত্বের ভিত্তিতে খোকন-রুবেলকে ছাড়াতে পারেনি কেউই। ৮৫ সালে লড়াকু ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু। এরপর বীরপুরুষ, বজ্রমুষ্ঠি, সন্ত্রাস, টপ রংবাজ উত্থান-পতন, ঘাতক, রাক্ষস, বিশ্বপ্রেমিক, অপহরণ, সতর্ক শয়তান, চারিদিকে শত্রু, ভন্ড এরকম প্রচুর ক্লাসিক হিট ছবি তারা করেছেন একসাথে। খোকন অন্তত ১৩-১৪ বছর অন্য কারো সাথে কাজ করেননি। হ্যাঁ, পালাবি কোথায় নামে একটা কমেডি ছবি করেছিলেন ফরিদীর সাথে। তবে সেটা ফরিদীর নিজের প্রযোজনা ছিল আর প্রধান চরিত্রটাও এমন যে ফরিদী ছাড়া কেউ করতেও পারবে না। এরপর ৯৮/৯৯ এর দিকে এই জুটি ভেঙে যায় কোন এক বিবাদের কারনে যেটা তারা কখনোই প্রকাশ করেননি। খোকন এরপর আলেকজান্ডার বোকে নিয়ে পাগলাঘন্টা এবং রুবেলের চিরশত্রু মান্নাকে নিয়ে ভেজা বেড়াল তৈরি করেছিলেন। দুটোই ব্যর্থ। এরপর আস্তে আস্তে খোকন এবং রুবেল দুজনই ছবি করাই ছেড়ে দিলেন।
অন্য জুটিগুলির মধ্যে ঝন্টু-জসীমও সফল তবে তাদের ছবিগুলো ক্লাসিক হিট না। কাজী হায়াৎ-মান্নার এক ছবি বাম্পার হিট হয়েছে, তো পরের ছবির সুপার ফ্লপ। সে জায়গায় খোকন-রুবেলের সব ছবিই হিট ছিল। সেকারনে তাদের সর্বকালের সেরা জুটি বলেছিলাম।
তোমার শেষ প্যারাটা নিয়ে অনেক কথা বলা যায়। মুভির রিভিউ তিন প্রকার -১) ব্লগে সাধারনত যে রিভিউগুলি দেখা যায়, যেগুলো আসলে ব্লগারদের মুভি দেখার পর তাৎক্ষনিক অনুভূতি। ২) আমার রিভিউগুলি সাধারনত যেরকম হয়। এটা আমার কোন মৌলিক কিছু না, সাধারনত পত্রপত্রিকায় পেশাদার সমালোচকেরা এরকমই লিখেন। আমি তাদের মত পারফেক্ট অবশ্যই লিখতে পারি না, তবে কপি করার চেষ্টা করি আর কি! ৩) তোমার বন্ধু ওয়াহিদ সুজন যেভাবে রিভিউ লিখেন, একদম ভিতরে ঢুকে নির্যাস বের করে আনা রিভিউ।
ওয়াহিদের মত লেখা আমার জন্য কোনভাবে সম্ভব না। ওটা অন্য লেভেলের। আমার রিভিউগুলি ঠিক তাৎক্ষনিক অনুভূতি না। বীরপুরুষ নিয়ে এই লেখাটা শুরু হয়েছে অন্তত ৬ মাস আগে। এখন ৬ মাস ধরে তুমি কিছু লিখতে থাকলে তো ওটা বড়সড় সাইজ হবেই। কিন্তু সবাই এরকম ৬ মাস সময় নিলে ব্লগে মুভি রিভিউ আসাই বন্ধ হয়ে যাবে। সেটা হবে খুব খারাপ। তাই সেই রিভিউগুলি আমাদের অনেক বেশি দরকার।
যাই হোক। তোমার অব্যহত সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ রুশো। বাংলা ছবির প্রতি আমাদের সবার এইটুকু সমর্থন থাকলে এই ইন্ডাস্ট্রিটা আবার দাঁড়িয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
২০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৪
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: মার্শাল আর্ট প্রকৃতপক্ষেই একটি শিল্প
কথাটা শুনে খুব ভালো লাগলো, বেশীরভাগ মানুষের ধারনা মানুষ শুধু মারামারি করার জন্য মার্শাল আর্ট শেখে , যার মার্শাল আর্ট শেখে , তাদের কে প্রায়ই একটা প্রশ্নের মুখোমুখি হয় "আপনি কয়জনের সাথে পারবেন" অনেকে আবার গুন্ডা বদমাশও মনে করে
আর মাসুম পারভেজ রুবেল এখনো মার্শাল আর্টের সাথে জড়িত , তিনি বর্তমানে কারাতে ফেডারেশনের চেয়ারম্যান।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: মার্শাল আর্ট একটা শিল্প এবং যথেষ্ট কঠিন শিল্প। মানুষের উচিৎ না ভালমত না জেনে এটা নিয়ে বাজে কথা ছড়ানোর। কিন্তু সব উচিৎ-অনুচিৎ ঠিকমত মানলে তো আমরা বাঙালিই থাকব না!
হুম। গত সাফ গেমস না কিসে যেন দেখলাম তার শিষ্য স্বর্নপদক পাওয়াতে তার সে কি খুশি! বাচ্চাদের মত লাফালাফি করছিলেন। উনি প্রকৃতপক্ষেই একজন অ্যাথলেট।
২১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৭
দিপ বলেছেন: আমিও আপনার বেয়াই এর মত মার্শাল আর্ট তথা রুবেলের ছবির খুব ভক্ত ছিলাম। মোটামুটি ৯২-৯৩ পর্যন্ত রুবেলের ছবি মিস হয় নাই। আমাকে হয়ত এখন আপনার খুব খ্যাত মনে হতে পারে, কিন্তু ওইসময় ওটাই নরমাল ছিল।
আমি ১৫০০ + বাংলা মুভি দেখেছি। আগে বিটিভিতে বেশ আয়োজন করে বাসার সকল ভারাটিয়া আর গ্রামের পুরা অর্ধেক মানুষ নিয়ে দেখতাম।
তাছাড়া ২০০৪ এর পরে একটা সিডি পেয়ে যাই। যখন একটু কষ্টসাধ্য হলেও ২০০৬ এর দিকে সিডির দোকান খুলনায় এভেল এবেল। প্রচুর পরিমান বাংলা ফিল্ম আমি দেখেছি সেই সময়ে। মনে পরে ১০ টাকায় ৩ টা মুভি দিত।
আলেকজেন্ডার,অমিত হাসান,সাকিব খান,মান্না,রুবেল এদের প্রচুর মুভি দেখেছি।
ধিরে ধিরে বাংলা ফিল্ম থেকে মন উঠে গেল। হিন্দি মুখি হয়ে পরলাম। আর সেখান থেকে ইংলিশ।
যেটা বলছিলাম, বাংলা ফিল্ম দেখতে একটা মন লাগে। কলিজায় জোড় লাগে সর্বোপরি সাহস লাগে। আমাদের যাদের একটাও নেই তারাই শুধু দেখি না।
আর কারা খ্যাত তা নিশ্চই আপনি জানেন ?
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: দারুন দিপ।
এখন বাংলা ছবির অবস্থা আসলেই খারাপ। সময়ের সাথে সাথে পরিচালকেরা নিজেদের পাল্টাতে পারেননি। কাহিনী, সংলাপ, অভিনয়, পোষাক, গান প্রতিটা ক্ষেত্রে বেহাল অবস্থা। ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলেই মনে হচ্ছে।
২২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩২
ডাঃ মাহবুব গাউস বলেছেন: দারুন রিভিউ
বাংলা সিনেমা ভালা পাই
যদিও এখন তেমন দেখা হয় না, আগে দেখতাম
প্লাস লন
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৫
শায়মা বলেছেন: বাপরে!!!
কি সাংঘাতিক ভাইয়া!!!
এমন মন দিয়ে কখনও ম্যুভি রিভিউ পড়িনি।
অনেক মজা লাগলো এত কিছু জেনে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: একজন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীকে বাংলা ছবির রিভিউ পড়াতে পেরেছি, তার মানে এই পোস্টটা মোটামুটি ভাল হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়। কি বলেন?
জোকস অ্যাপার্ট, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শায়মা।
২৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৯
নির্লিপ্ত দৃষ্টি বলেছেন: হ্যাঁ রাইসুল ভাই ফরিদীর 'আই আই ও আম্মা' ডায়লগের ছবিটা, ফরিদীর কমেডি ছাড়া পূরাটাই প্রেম দিওয়ানার নকল।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ছবিটা ভাল লেগেছিল। নকল শুনে মনটা একটু খারাপ হল।
২৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৫
মিরাজ is বলেছেন: রুবেলের ভক্ত আমিও ছিলাম। একেবারে ভিন্ন ধারা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। পোষ্ট বরাবরের মত তথ্যবহুল এবং সুন্দর।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: রুবেল ভক্ত - আসুন বুক মিলাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০১
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: অনেক কথা মনে পড়ে গেল। রুবেল অনেক দিন পর্যন্ত এক নম্বর আসন টা ধরে রেখেছিল। তার নিজস্ব দর্শক ছিল। বীরপুরুষের প্রথম দৃশ্যের কথা যেনে খুব ভাল লাগল। তবে খোকন তার ছবিতে প্রায়ই রাজাকার প্রসংগটা আনতো। সন্ত্রাসেো দেখেছি যতদূর মনে পড়ে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: সন্ত্রাস পুরোটাই রাজাকারদের নিয়ে ছবি। অনেক সাহসী ছবি ছিল সেটা। দেখি, কোন একদিন সময় পেলে রিভিউ লিখব।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৫
পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন:
পোস্টটা চমৎকার, রুবেলের বহু ছবি এককালে সেই বিটিভি শুক্রবার বিকাল ৩টার সুবাদে দেখা হত, এই ছবিটাও পুরা না হলেও কিছু সিন পরিচিত মনে হচ্ছে
তবে পোস্টের সবচেয়ে চমৎকার অংশ আমার কাছে এটাই
দেশ সমাজের কথা কি বলব !! আজকে ২ বছর ধরে দেখছি, এই ব্লগেই তো এখন শুওর এবং হায়েনাদের কার্টুন / স্যাটায়ার প্রকাশ করলে ফাকিস্তানি বীর্যের কুকুর এসে আপনাকে জবাই করার হুমকি দিয়ে যায় ! কি পাপ যে করে যাচ্ছে অনুভুতিহীন আমজনতা এখন বুঝছে না ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মাঝে খুব দুঃখ লাগে জামাত শিবির চক্রের এই উত্থান দেখে। এরশাদ আমলে শিবির সম্পর্কে শুধু এটাই জানতাম যে তারা চট্টগ্রাম অঞ্চলে রগ কাটে। এছাড়া ঢাকা শহর বা দেশের অন্য কোথাও তাদের হদিসই পাওয়া যেত না। মাত্র ২০-২৫ বছর সময়ে তারা দেশের অন্যতম বৃহৎ শক্তিতে পরিনত হল দুই প্রধান দলের ক্ষমতার লোভের কারনে। ঘৃনা হয় নিজেকেই!
২৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৬
বিদ্রোহী কান্ডারী বলেছেন: পুরো ছবিটা দেখলাম ইউটিউবে। ধন্যবাদ রাইসুল জুহালা। শেষ অংশে লাস্ট ফাইটিং এর একটু জায়গা বাদ গেছে আপ্লোড করতে। ভালো লাগল পুরো মুভিটা। কি যেন একটা আকর্ষণ নিয়ে পুরো ছবিটা এক বসাতেই দেখে শেষ করে ফেললাম।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। লাস্ট ফাইটিং এর কোন জায়গায় সমস্যা? একটু বিস্তারিত বললে ভাল হয়।
২৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:১১
কবি ও কাব্য বলেছেন: রাইসুল ভাই আমি ও আমার কয়েক বন্ধু ছিলাম বাংলা সিনেমার হলের পার্মানেন্ট দর্শক। আমার আসলে ছবি দেখার অভ্যাস টা হয়েছিল আমাদের পরিবার থেকেই। ৮০র দশকে লড়াকু, নুরী, নিতিবান,শিমুল পারুল, ঝিনুক মালা, বাঞ্জারান, অপেক্ষা, স্বর্গ নরক, দুই জীবন, নিষ্পাপ, সারেন্ডার, বিজয়য়, দুনিয়া, ব্যবধান এমন অনেক অনেক সেরা ছবি আমি আম্মা, খালা,পাশের বাসার কাকিমা, দিদি ,বড় দা ও আমার ছোট চাচা সহ সবাই প্রতি সপ্তাহে দল বেধে হলে দেখতে যেতাম। আমার পরিবারের সবাই মিলে দেখা হলে শেষ ছবি ছল কেয়ামত থেকে কেয়ামত। এরপর থেকে মা, খালারা আর হলে যাননি, কিন্তু আমি ২০০০ সাল পর্যন্ত টানা হলের দর্শক ছিলাম সেই ৮৪ সাল থেকে। ৮০ দশকের সব ছবির গল্প আমার খুব মনে নেই কারণ আমি ছোট ছিলাম, কিন্তু ৮৯ থেকে ২০০০ সালের ছবি গুলোর কথা মনে আছে,। আমার এক সময় স্বপ্ন ছিল আমি সিনেমার নায়ক হবো। সেই জন্য আমি প্রায় সময় কথায় কথায় ইয়াহু, খামোশ, এই জাতীয় কথা বলতাম। আমাকে নিয়ে বাসার সবাই হাসতো। আমার বড় ভাই ও ছোট বোন তো আমাকে একসময় ' রিকশাওয়ালা' নামে ডাকতো। তাতে আমার ছবি দেখা বন্ধ হয়নি। সিনেমার সাপ্তাহিক চিত্রালির বছর শেষ সংখ্যায় সারা বছরের রিভিউ দেখে হিসেব করে আমি ও বন্ধুরা হিসেব মিলাতাম কোন কোন ছবি দেখেছি। ৯৬ সালের শেষে দেখলাম ঐ বছরের মুক্তিপ্রাপ্ত সবগুলি ছবি দেখা। তখন বছরে ৮০/৯০ টির মতো ছবি মুক্তি পেতো।
এ জে মিন্টু আমার প্রিয় ছিল একটা কারণে, তিনি খুব যত্ন করে ছবি বানাতেন এবং প্রায় সব দৃশ্য তিনি বাস্তব সম্মত করার চেষ্টা করতেন। সামাজিক ছবিতে তাকে বলা হতো ' মাস্টার মেকার' পরিচালক। যার প্রতিটা ছবিই ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত। সত্যিই আমি তাঁর মতো এতো পুরস্কার পাওয়া বাংলাদেশে আর কোন পরিচালক দেখিনি। আপনি তাঁর ৮৫- ৯৯ পর্যন্ত যতগুলি ছবি পাবেন তাঁর সবগুলোই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার কোন না কোন বিভাগে পেয়েছেন। আমার এখনও মনে আছে তিনি পরপর কয়েক বছর সত্য মিথ্যা, পিতা মাতা সন্তান,ন্যায় অন্যায়, বাংলার বধূ এই ছবি গুলোর জন্য পুরস্কার পেয়েছেন । এই ছবিগুলো বিভিন্ন বিভাগেও পুরস্কার পায়। ৯০ দশকের প্রথম প্রেম ও বাপের টাকা তাকে কোন পুরস্কার না দিলেও অন্য বিভাগে ছবিগুলো ঠিকই পুরস্কার পেয়েছে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আহা! এরকম একটা মন্তব্য পাওয়ার জন্যই ব্লগ লিখতে ইচ্ছা করে। অসাম ম্যান।
৩০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:১৮
কবি ও কাব্য বলেছেন: আরেকটা কথা, আলেক কে নিয়ে খোকনের একক ছবি পাগলা ঘণ্টা নয়, ম্যাডাম ফুলি (যে ছবির জন্য শিমলা পুরস্কার পায়, শিমলার প্রথম ছবি), পাগলা ঘণ্টার নায়ক রুবেল ও শিমলার ২য় ছবি। ২টি ছবিই আমার হলে দেখা। ম্যাডাম ফুলি ঢাকার জোনাকিতে আর পাগলা ঘণ্টা সিলেটের মনিকায়। ২ টা ছবিই চমৎকার। তবে পাগলা ঘণ্টায় এটিএম শামসুজ্জামান ও ফরিদির জন্য মনে থাকবে। পুরো ছবিতেই দম ফাটানো হাসিয়েছে ২জন সবাইকে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ইয়েস, ইউ আর রাইট। ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ততদিনে দেশ ছেড়ে দিয়েছি তো, তাই এই সময়টার জ্ঞানে অনেক ফাঁকফোকর রয়ে গেছে। রেডিওতে দশ মিনিটের বিজ্ঞাপন শুনতে শুনতে একটা ছবি দেখার প্রস্তুতি নেয়া, হলে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে ছবি দেখা এক জিনিস। আর নষ্ট ভিডিও ক্যাসেটে রিলিজের বছর বা দুই বছর পর দেখা আরেক জিনিস।
মূল পোস্টে সংশোধন করে দিচ্ছি।
৩১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৬
নস্টালজিক বলেছেন: বীরপুরুষ নিয়ে এর চেয়ে ভালো রিভিউ আর হতেই পারে না, আই বেট!
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমি আমার লেখার জন্য এর চেয়ে ভাল কোন কমপ্লিমেন্ট পেতেই পারি না, আই বেট!
অনেক ধন্যবাদ কবি। আপনারা ভাল বলেন বলেই লিখতে ইচ্ছা করে।
৩২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৫
সাইফুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: রুবেল আমার নাম। আমার নামে নাম নায়কের মুভি তো আমার পছন্দ হওয়ারই কথা। এই মুভি টি দেখেছি কিনা বলতে পারছি না।
তবে রুবেলের বহু মুভিই আমার দেখা আছে।
আমার নামকরনও হইছিল ওনার নামে।আমার বাপেরও ফেভারিট ছিল রুবেল সেট বুঝা যাচ্ছে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ও্য়াও! আপনার বাবা তো খুব বড় মাপের ভক্ত ছিলেন দেখা যাচ্ছে। ওনাকে আমার সালাম জানাবেন।
দেখে ফেলুন এই ছবিটা এখন। ভাল লাগবে।
৩৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৮
কবি ও কাব্য বলেছেন: রাইসুল ভাই ,আরেকটা তথ্য দিচ্ছি রুবেল ও জসীম সম্পর্কে। রুবেল ও জসীম একসাথে 'ওমর আকবর' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন যেখানে ২ অ্যাকশন কিং একসাথে বলা যায়। সেই ছবিতে রুবেল ও জসীম এর একটি মারামারির দৃশ্য রয়েছে, সেখানে জসীম ভাই রুবেল কে শুটিং এর সময় রুবেল কে ভুলবশত জোরে ঘুষি মারেন, সেই ঘুসিতে রুবেল ভাইয়ের উপরের পাটির একটি দাঁত নড়ে যায়, এই মজার তথ্যটা কিন্তু সেই সময় সাপ্তাহিক চিত্রালি তে রুবেল ভাই জসীম ভাইয়ের স্মৃতি বলতে গিয়ে শেয়ার করেন। ছবিটা না দেখে থাকলে দেখে নিবেন। রুবেল এর আরও ২ জন পরিচালক আছেন যারা হলেন আবুল খায়ের বুলবুল ও এ জে রানা। এ জে রানার প্রথম দিকের সব ছবিই ছিল রুবেল কে নিয়ে। মহাগুরু দিয়ে এ জে রানা প্রথম পূর্ণ পরিচালক হিসেবে আসেন। এরপর থেকে সব ছবিই ছিল রুবেল কে নিয়ে। মহাগুরুতে ফরিদির একটা চমৎকার ডায়লগ ছিল '' আমার নাম অমিতাভ বচ্চন , বম্বের হিরো না, বাংলার শাহেনশাহ ''।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আরে আল্লাহ! তাই নাকি? এই ঘটনা জানতাম না, তবে ছবিটা আমি দেখেছি। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এই পরিচালকদের চিনি। বুলবুল খোকনের সাথেই মাসুদ পারভেজের সহকারী ছিলেন। খোকনের মত অত সফল হয়ত হননি, কিন্তু ভালই করেছিলেন। এজে রানা ছিলেন আহমেদ সাত্তারের সহকারী। রুবেল আমার নাম ছবির কাজ চলাকালীন আহমেদ সাত্তার মারা গেলে রানা ছবির বাকি কাজ শেষ করেছিলেন। মহাগুরু ছবির নাম মনে করতে পারলাম না অবশ্য। আমি বোধহয় তখন আর দেশে নাই। এটা কবে বের হল?
অনেক ধন্যবাদ কবি ও কাব্য। আপনার প্রতিটা মন্তব্য পোস্টটাকে সমৃদ্ধ করছে।
৩৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৬
বড় বিলাই বলেছেন: দেখা হয়নি এই ছবি। অবশ্য রুবেলের কোন ছবিই মনে হয় দেখা হয়নি। ভালো লাগল সাহসী ধারাবিবরণীসহ পোস্টারটি দেখে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: মহিলা দর্শকদের মধ্যে রুবেল কোনকালেই জনপ্রিয় ছিল না। সেজন্য হয়ত আপনার দেখা হয়নি। বেটার লেট দ্যান নেভার। এই সুযোগে দেখে ফেলুন।
অনেক ধন্যবাদ।
৩৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৬
কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ রাইসুল ভাই। আমি আসলে বাংলা ছায়াছবির এক চরম ভক্ত। হলে গিয়ে বাংলা ছবি দেখতে পারিনা বলেই ঘরে বসেও হিন্দি, ইংরেজি কোন ছবিই এখন আর দেখি না। অর্থাৎ ছবি দেখার পুরো অভ্যাসটাই বদলে ফেলেছি।
এ জে রানার মহাগুরু ৯২ সালের ছবি। জাম্বু এসে বস্তিতে হামলা চালায়া আর সবাইরে জিজ্ঞেস করে 'কোথায় তোদের মহাগুরু? কোথায় তোদের মহাগুরু? এই বলে ছোট্ট একটা কোলের শিশুকে উপরের দিকে ছুঁড়ে ফেলে আর তখনি ঐ বাচ্চা টাকে রুবেল হাতে লুফে নেয়, আহ তখন হল ভর্তি দর্শকের তালি যেন আর থামেই না। এখনও মনে হলে ইচ্ছে করে হলের ব্লেকার হয়ে হলে চাকরি নিয়ে নিই....... উফ কি সেইস্মৃতি!!!!!!! আপনি গতকাল এই পোস্ট টা দিয়ে আমার খুব ক্ষতি করেছেন, কারণ কাল থেকে চোখের মাঝে বারবার সেই স্মৃতি গুলো ভেসে উঠে, তখন আর হলে না যাওয়ার কষ্ট ভুলে থাকতে পারি না। তবুও অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ আপনাদের মত এই মাটির মানুষ আছে বলেই আমরা খ্যাঁত রা এখনও সাহস করে আমাদের সোনালি স্মৃতির কথা বলতে পারি যা বুকের ভেতরে বারবার রক্ত ক্ষরণ করে যায় দিনের পর দিন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার বর্ননা শুনে মনে হল না আমি মহাগুরু ছবিটা দেখেছি। ৯২ সাল আমার জন্য খুব ক্রিটিকাল একটা সময় ছিল। দেশে থাকব নাকি বাইরে চলে যাব, এটা নিয়ে নিজের সাথে এবং পরিবারের সাথে দোটানা চলছে। আমি কিছুদিনের জন্য দেশের বাইরে গিয়েছিলামও। পরে আবার পরিবারের সাথে নানান দরবার করে ফেরত চলে আসি। আবার ঠেলে তারা আমাকে পাঠিয়ে দিল । আরও নানান ঘটনা।
আমি হলের ব্ল্যাকার হতে চাই নাই। আমি নিজেই ছবি বানাতে চেয়েছিলাম। বানিজ্যিক বাংলা ছবি।
আপনার শেষ ক'টা লাইন পড়ে নিজেও খুব আবেগাপ্লুত হলাম।
৩৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:২১
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
এখন মনে হচ্ছে বাংলা ছবি দেখা উচিৎ ছিল ।
ছবির শুরুতে এমন একটা লেখা যা এখন কেউ
লিখতে পারেনা তা ঐ সময় লিখেছেন ভাবতেই
শ্রদ্ধা এসে যাচ্ছে ।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার জন্য একটা বিশেষ ভিডিও আপলোড করলাম।
বীর পুরুষের আরও চার বছর '৯১ সালে একই পরিচালক নির্মান করেন সন্ত্রাস ছবিটা। মূল ছবি শেষ হবার পর পরিচালক নিজে স্ক্রীনে এসে স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্বন্ধে কি বলেছিলেন, সেটা দেখে নিন -
৩৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪১
কবি ও কাব্য বলেছেন: ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
এখন মনে হচ্ছে বাংলা ছবি দেখা উচিৎ ছিল ।
ছবির শুরুতে এমন একটা লেখা যা এখন কেউ
লিখতে পারেনা তা ঐ সময় লিখেছেন ভাবতেই
শ্রদ্ধা এসে যাচ্ছে ।
হেলাল ভাই যারা হলে গিয়ে বাংলা ছবি দেখে নাই তাঁরা জীবনের অনেক বড় একটা আনন্দ মিস করেছেন। আমাদের সময় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্ররা দল বেঁধে ঈদের খুশির মতো খুব আনন্দ নিয়ে হলে যেতো আর চরম উত্তেজনায় ঠাসা পুরো অবসর সময় পার হতো। আহ, কি আনন্দ! কি রঙ্গিন দিন!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: কথা সত্য।
এখন লোকে বাংলা ছবি দেখতে যায় মাফলার দিয়ে মুখ ভালমত পেঁচিয়ে যাতে পরিচিত কেউ আবার চিনে না ফেলে!
৩৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১২
হাবিবউল্যাহ বলেছেন: পুরান কালের কথা মনে করাইয়া দিলেন ভাই।তখঙ্কার দিনে তাদের মুভি মানেই হিট।সাথে এজে রানা ও ছিল।
লম্পট আর ভন্ড'র কথা কি বলব।মধুমিতা আর অভিসার ৪দিন হাউস্ফুল ছিল!এই জুটির চরম দুইটা মুভি ছিল।শেষকালে রুবেল ও কিছু উলটা পালটা মুভি করা শুরু করেছিল।না হলে তাদের মার্কেট এখনো থাকার কথা।
এখন তো পরিচালকরা কমেডির নামে ভাড়ামো করে।খোকন দেখাইত নির্ভেজাল কমেডি।
আর পালাবি কোথায় মুভিটা হলিউডের একটি মুভির ছায়া অবলম্বনে বানানো।খোকন সেটা বলেছিল ঐ সময়।
ভালো থাকবেন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আরে, আপনি কোথায় ছিলেন এতক্ষন! আপনাকে এই পোস্টে মিস করছিলাম। একবার ভাবলাম ফেসবুকে আপনাকে লিঙ্ক দিয়ে আসি। কিন্তু নিজের পোস্টের লিঙ্ক বিলি করতে বড় সংকোচ হয়।
রুবেলের শেষের দিকের ছবিগুলি আসলেই ভাল হয় নাই। আমি দেখেছি কয়েকটা। কাটা রাইফেল, বাঘের থাবা এরকম আরও কয়েকটা। নামও ভুলে গেছি। বাজে, একদম বাজে।
ওহ, পালাবি কোথায় আসলে হলিউড মুভির কপি নাকি! এটা আমি জানতাম না। ফ্লপ হোক বা যাই হোক, আমার কিন্তু মুভিটা দারুন লেগেছে। শেষের দিকে ফরিদীকে যে তিনকন্যা সিলিং এর সাথে ঝুলিয়ে রাখে, দারুন ফানি একটা দৃশ্য ছিল।
আপনিও ভাল থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
@কবি ও কাব্য, হাবিবউল্যাহ আরেকজন পাঁড় বাংলা ছবি ভক্ত।
৩৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৬
শিশির সিন্ধু বলেছেন: ভাল্লাগছে
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ।
কিন্তু ভাল লাগার কারন কি? এখানে তো খাওয়াদাওয়ার কোন বাতচিৎ নাই!
৪০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩১
দারাশিকো বলেছেন: দেরী করে ফেল্লাম পোস্টা পড়তে, গত দুইদিন বাসায় নেট ছিল না, আজ সকালে আবার পা্ওয়া গেল - তাই এই দেরী।
রুবেল যখন খ্যাতির শীর্ষে তখন আমরা নিতান্তই বাচ্চা, কিন্তু লাথি দিয়ে মাটির হাড়ি ভাঙ্গার এই দৃশ্যটা যে আমি দেখেছি সেটা ঠিক ঠিক মনে আছে, অবশ্যই বিটিভিতে। স্কুল লাইফ পর্যন্ত সিনেমা বলতে অ্যাকশন সিনেমাই বুঝতাম, বিশেষ করে মার্শাল আর্ট আর কারাতে ভিত্তিক সিনেমা। পরবর্তীতে সেটা পাল্টে গিয়ে ইংরেজী সিনেমার দিকে মোড় নেয়, অবশ্য সেখানেও ভ্যান ড্যাম আর জ্যাকি চ্যানের সিনেমা।
বাঙলা সিনেমায় জনরা খুব একটা চলে না বর্তমানে কিন্তু রুবেলের এই সিনেমাগুলো অ্যাকশন জনরা হিসেবে বেশ ভালো। অবশ্য পরবর্তীতে এই অ্যাকশন জনরাই সামাজিক অ্যাকশন হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সম্ভবত সামাজিক অ্যাকশন সিনেমা ভারতীয় মশালা সিনেমার বাঙলাদেশী সংস্করন।
রুবেলের পরে আলেকজান্ডার বো'র অ্যাকশন দৃশ্যগুলো ভালো লেগেছিল। বিশেষ করে ফুটবল কারাতে নিয়ে তার একটা সিনেমা ছিল। ইউটিউবে ঘাটাঘাটি করলে হয়তো পা্ওয়া যাবে - নতুনত্ব ছিল ওই সিনেমায়। আলেক্সান্ডার বো'কে দিয়ে আরও বহুদূরে যা্ওয়া যেত - কাহিনীর একঘেয়েমিই তাকে এই দিক থেকে সরিয়েছে বলে মনে হয়, অবশ্য তার অভিনয় যোগ্যতা্ও খুব ভালো না, বাঙলা সিনেমার প্রচলিত ধারায় চলনসই ছিল।
ভালো লাগলো ভাইয়া। বাঙলা সিনেমার রিভিউ নিয়ে আমরা একটা সমন্বিত চেষ্টা চালাচ্ছি, মনে হচ্ছে আপনাকেও সেই গ্রুপে নিয়ে নিতে হবে। পুরানো সিনেমাগুলো নিয়ে আপনার জ্ঞানভান্ডার অনেক সাহায্য করবে। ভালো থাকুন ভাইয়া
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার দীর্ঘ মন্তব্যটা পেয়ে খুব ভাল লাগল দারাশিকো। ব্লগে আপনাদের এই ছোট মুভি বাফ গ্রুপের মানুষদের আমি খুব পছন্দ করি, বিশেষ করে আপনার মত যারা একটু বাংলা ছবি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে।
বাংলা চলচ্চিত্রেই না শুধু, বাংলার কিশোর-তরুনদের মধ্যেও সেসময়টাতে রুবেলের প্রভাব ছিল অসামান্য। পোস্টেই তো বলেছি যে শুধু রুবেলের কারনে প্রচুর অভিনেতা/অভিনেত্রী/পরিচালক বাংলা ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। বেশিরভাগই সফল হয়নি, সেটা তাদের ব্যর্থতা। এছাড়া ঢাকা এবং মফস্বল শহরে পাড়ায় পাড়ায় যে অসংখ্য কুংফু শেখার স্কুল গড়ে উঠেছিল, তার পেছনেও রুবেলের ছবি এবং তার ইমেজের অনেকাংশে অবদান আছে। তখন তো রোপ এমনকি হলিউডের ছবিতে ব্যবহার করা হত না। এসব প্রযুক্তি ছাড়াই তিনি যে শারীরিক কসরৎ দেখিয়েছেন, সেটাকে সম্মান দেখাতেই হবে।
আলেকজান্ডার বো কেন যেন দাঁড়াতেই পারল না। অবশ্য তিনি এসেছিলেন বাংলা ছবির সবচেয়ে বাজে সময়টাতে। তখন সময় এতই খারাপ ছিল যে এমনকি রুবেলও প্রচুর লো বাজেটের বিতর্কিত ছবিতে কাজ শুরু করলেন।
বাংলা ছবিকে নিয়ে যেকোন কাজে আমি আছি। সবসময়।
আপনিও ভাল থাকবেন দারাশিকো। আর বেশি বেশি করে সিনেমা নিয়ে ভাববেন।
৪১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৮
রাজীব বলেছেন: মার্শাল আর্ট শুধু একটি শিল্পই নয়, ফিটনেস ধরে রাখার একটি ভালো উপায়ও।
অনেকেই যেটি জানে না, মার্শাল আর্টের সাথে কিন্তু আদি যোগ ব্যায়ামেরও সম্পর্ক আছে ফলে এটি করলে মান ভালো থাকে ও আ্ত্মবিশ্বাস বাড়ে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এক-আধটু মার্শাল আর্ট চর্চা করতেন নাকি?
৪২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২১
আকাশটালাল বলেছেন: মেরী ক্রিসমাস জুহালা ভাই
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: মেরী ক্রিসমাস আকাশটালাল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫১
আকাশটালাল বলেছেন: এই মুভিটার একটা স্মৃতি আমারও আছে। ৮৭ সালে কেজি ওয়ানে পড়ি। টিভিতে মুভিটা ট্রেইলার দেখাতো- রুবেল মার্শাল আর্ট প্রাকটিস করছে, হঠাত লাফিয়ে উঠত আর দুইপাশে দুইটা হাড়ি, ফুল স্ট্রেচ করে ভেন্গে ফেলতো। ওটা টিভিতে দেখে পুরাই মাথা নস্ট। আব্বার কাছে বায়না ধরলাম যে, মুভিটা দেখতে যাবো, আমি আর পাশের বাসার আমার বয়সিই আমার আর এক ফ্রেন্ড। এখন এত ছোট, একাতো যেতে দেয়া যায়না, এদিকে আব্বারও টাইম কম। যাই হোক, মুভিটা রিলিজ হবার পরের সপ্তাহে বাইকে করে (আব্বার তখন বাইক ছিলো) সামনে আমি, পিছনে আমার ফ্রেন্ডরে নিয়ে সানাই সিনেমা হলে গেলো মুভি দেখাতে, ম্যাটনি শো। এখন হলে গিয়ে দেখি টিকিট নাই। ব্যাস, সানাই ছিনেমা হলে হাজার হাজার মানুষের সামনে আমি কান্নাকাটি জুড়ে দিলাম। সেদিন আবার ছিলো আবাহনী-মোহামেডানের খেলা। ঢাকা থেকে সাব্বির, কায়সার হামিদ মোহামেডানে হয়ে খেলতে এসেছে। প্রচন্ড ফুটবল ভক্ত আমি, সাথে আব্বাও। আব্বা তখন আমাদের ফুটবল দেখাতে স্টেডিয়ামে নিয়ে গেলো। ওখানে গিয়ে আরো খুশি, সিনেমার কথাই ভুলে গেলাম
পরে প্রায় ৬ মাস পর ভিসিডিতে মনে হয় দেখেছিলাম।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। আমি এই দৃশ্যটা কল্পনা করার চেষ্টা করছি যে আপনি হাজার মানুষের সামনে ভ্যাঁ করে কাঁদছেন আর আপনার বাবা আপনাকে বাবারে, সোনারে বলে মানানোর চেষ্টা করছে।
রুবেলের এই মটকা ভাঙার দৃশ্যটা খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। বাংলা ছবির ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় শট।
সিনেমাটা নিয়ে আপনার এই চমৎকার স্মৃতিটা পড়ে দারুন লাগল।
৪৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৭
আউলা বলেছেন: রুবেল ভাই যে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ছিল এইটা লিখেন নি। ব্যাপারটা দুঃখজনক
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: সিরিয়াসলি? আমি জানি না এই বিষয়ে!
উনি জাতীয় কারাতে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, এটাই আমি শুধু জানি।
৪৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪১
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: হলে যেয়ে বাংলা মুভি দেখেছি কয়েকটা। রিভিউ চমৎকার হয়েছে +++++
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: সেসব মুভির দু'একটার রিভিউ লিখে ফেল। অন্তত জানাও যে কেমন লেগেছিল।
ধন্যবাদ চয়ন।
৪৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৫
রাজীব বলেছেন: ৮৭-তে মনে হয় ৫-এ পড়তাম। অতএম তখন সিনেমা দেখার বয়স হয়নি।
তবে ৯০-৯১-এ টিভিতে রেভ্যান নামক একটি ইংরেজী সিরিজ হতো যেখানে নায়ক এরকম দুই পা দুদিকে দিয়ে শুন্যে লাথি ছুড়তো।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: এখন তো অনেক বয়স। এখন দেখে ফেলুন।
৪৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৭
আজমান আন্দালিব বলেছেন: সিনেমা দেখা ছেড়েছি আশির দশকের মাঝামাঝি। ভার্সিটি থাকতে বন্ধুদের সাথে চট্টগ্রামে একবার সিনেমা দেখতে গেলাম। এত বিরক্ত লাগছিল বিরতির সময় বের হয়ে চলে এসেছিলাম। তারপর আর কখনো হলমুখো হইনি। টিভিতেও দেকা হয় না। এসএসসি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত প্রচুর বাংলা সিনেমা দেখেছি। তবে মুক্তি পাওয়া পুরাতন ছবিগুলো দেখতাম। মানসী, রানীমহল, শ্যামলী সিনেমা হলে। ঢাকা শহরের সবগুলো হলে অন্তত একবার হলেও সিনেমা দেখেছি।
রুবেলের ছবি দেখেছি কিনা মনে পড়ছে না। তবে সোহেল রানার ছবির ভক্ত ছিলাম।
আমাদের সময়ে মাসে একটা করে বাংলা সিনেমা বিটিভিতে দেখানো হতো। সেই সিনেমা দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকতাম।
সিনেমা জগত নিয়ে তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। ভালো লাগলো।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ভাল লাগল আপনার অভিজ্ঞতার কথা শুনে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৮
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আপনার পোস্টের যে দিকটা আমার সবচেয়ে ভাল লাগে সেটা হল আপনি বাংলা মুভির রিভিউ লেখেন ।
এই দিকটা অনেকেই খেয়াল করে না যে আমরা বাংলা মুভি নিয়ে লিখলে অন্তত মানুষ ভাল মন্দ একটা কিছু জানতে পারবে ।
নিরপেক্ষ ভাবে এবং বাংলা ছবির সামর্থের বিচারে এমন রিভিউ আরো আসুক
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ তানিম। আমার হাতে সময় খুব কম থাকে, তা নাহলে এরকম আরও অনেক রিভিউ আপনাদের সামনে নিয়ে আসতাম।
৪৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৩
নিখিলেস প্যারিসে বলেছেন: ভালো লিখেছেন...
প্লাস রইল.. ++
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার নিকটা ভাল লেগেছে। দেখি গানের ওই অংশটা মনে করতে পারি কিনা!
নিখিলেশ প্যারিসে
মঈদুল ঢাকাতে
নেই তারা আজ কোন খবরে।
গ্র্যান্ডের গিটারিস্ট
গোয়ানিজ ডি সুজা
ঘুমিয়ে রয়েছে আজ কবরে।
কাকে যেন ভালবেসে
আঘাতে পেয়ে যে শেষে
পাগলা গারদে আছে রমা রয়।
অমলটা ধুঁকছে
দুরন্ত ক্যানসারে
জীবন করেনি তাকে ক্ষমা হায়।
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা...........
৫০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৭
শিশির সিন্ধু বলেছেন: খাওন দাওনের ব্যপার নাই তাও কেন ভালা লাগছে সেটা পরে অন্য কোনো দিন কমু নে
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আচ্ছা। জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
৫১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২০
রেজোওয়ানা বলেছেন: সত্যি কথা বলতে ভাইয়া, বাংলাদেশি সিনেমা নিয়ে এত চমৎকার ইতিহাস নির্ভর রিভিউ আমি আর পড়িনি।
বীরপুরুষ সিনেমাটা দেখা হয়নি, আচ্ছা এটাতে কি এমন একটা সিকোয়েন্স ছিল যে, রুবেল মাটির নীচ দিয়ে এসে ভিলেন গ্রুপকে আক্রমন করবে? না কি অন্য কোন ছবিতে এটা দেখানো হয়েছিল!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে বাংলা ছবি নিয়ে তো পজেটিভ রিভিউই তেমন হয় না, তাই চেষ্টা করলাম।
মাটির নিচে দিয়ে এসে আক্রমন করার দৃশ্যটা বীর পুরুষের না। রুবেলের কোন ছবিতে এরকম দৃশ্য ছিল কিনা আমি ঠিক মনে করতে পারছি না। ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলমের একটা ছবি ছিল যেখানে উনি নিজেও ছিলেন, সাথে সোহেল রানা ছিল। ছবিটার নাম এই মুহুর্তে মনে আসছে না। সেই ছবিতে এরকম একটা দৃশ্য ছিল।
৫২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫৭
জুন বলেছেন: সুন্দর রিভিউ রাইসুল । অত্যন্ত তথ্য সমৃদ্ধ লেখাটি সহজ ভাষায় বর্ননা অসাধারণ লাগলো।
+
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুন।
বাংলা ছবিটবি দেখতেন নাকি? শেষ হলে গেছেন কবে?
৫৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৮
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
ধন্যবাদ রাইসুল ,
এখন যা বলা যায় না ,বলা হয় না ঐ সময় তা করা হয়েছে
আমরা ক্রমাগত উল্টো পায়ে হাটছি ।
প্রথম বারের মত আমি আড্ডায়
দেখেছেন নিশ্চয়ই ।
হাহা
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: কথা সত্য স্যার। আমরা আসলেই উলটো পথে হাঁটি।
আড্ডার সময়টা আপনারা সবাই খুব উপভোগ করেছেন মনে হল। বরিশালের পানি খুব লবনাক্ত না? লবন পানি কি চুলের জন্য খুব ভাল নাকি? পঞ্চাশ বছর বয়সেও দেখি সবার ঘন চুল।
শুভ নববর্ষ।
৫৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৯
আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন:
প্রথমে দারাশিকো ভাইকে ধন্যবাদ।
তিনি এই পোষ্টের লিংক ফেসবুকে মেসেজ করে দিয়েছিলেন।
আপনার লেখার আড্ডাসুলভ মুডটা আমার বেশ লাগে। এই লেখাটেও বেশ লাগল। বাংলাদেশী মুভি নিয়ে লোকের ছ্যা ছ্যা করার যুগে চমৎকার সব পোষ্টের জন্য স্যালুট।
আহা... সে সময়গুলার কথা মনে পড়ছে।
ছোট ছিলাম- তাই হলে যাবার কোন সুযোগও ছিলো না। হলে গিয়ে মার্শাল আর্টের কোন মুভি দেখি নাই। তবে বড়দের কাছে প্রচুর গল্প শুনতাম- তারা মার্শাল আর্টের নানা কসরত করার চেষ্ঠা করত। বেশিরভাগ সময় এটা ছিলো খবরদারি করার বড় অস্ত্র। চোখ বড় বড় হয়ে যেত। ভালো থাকুন।
আরো লেখা আশা করছি। শুভ কামনা থাকল।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকে আমার পোস্টে নিয়ে আসার জন্য দারাশিকোকে আমারও ধন্যবাদ ।
আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য। অবশ্যই বাংলা ছবি নিয়ে আরও লেখার, আরও ভাল লেখার চেষ্টা করব।
৫৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৯
আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন:
শহিদুল ইসলাম খোকন আর রুবেল জুটির কয়েকটি মুভি টিভিতে আর ভিসিডি-তে দেখেছিলাম।
এরমধ্যে একটা হলো 'অপহরণ। বেশ কমেডি ছিলো সেই সিনেমায়। সুবর্ণা মুস্তফা, সাথী ও সোহেল রানা ছিলো। খুব মজার মুভি।
ভন্ড দেখেছিলাম একুশে টিভিতে। এটিও বেশ হিট মুভি। আচ্ছা.. ভুলেই গেছিলাম। এই মুভিতে গানের তালে তালে মারপিটের একটা ধরণ ছিলো। হুমায়ুন ফরিদী আর এ টি এম শামসুজ্জামান অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন।
এখন আরো মনে পড়তেছে সোহেল, শাবানার সাথে রুবেল-খোকন জুটির কি একটা মুভি হলে গিয়ে দেখেছিলাম। সেখানে হুমায়ুন ফরিদীর ডাবল রোল ছিলো।
বাংলাদেশী মুভি'র কথা আসলে দুটো মুভি'র নাম খুব মনে পড়ে-
'বড় ভালো লোক ছিলো' ও 'ভেজা চোখ'। মুভি দুটি দেখে অনেকদিন মন খারাপ ছিলো। এই দুই মুভির গানগুলোও অসম্ভব সুন্দর।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অপহরন আর ভন্ড আমার নিজেরও খুব প্রিয় ছবি। ভন্ডকে তো বাংলা ছবির ওয়ান অফ দ্য বেস্ট কমেডি বলা যায়।
এখন আরো মনে পড়তেছে সোহেল, শাবানার সাথে রুবেল-খোকন জুটির কি একটা মুভি হলে গিয়ে দেখেছিলাম। সেখানে হুমায়ুন ফরিদীর ডাবল রোল ছিলো।
এই ছবিটার নাম শত্রু ভয়ংকর।
'বড় ভালো লোক ছিলো' ও 'ভেজা চোখ' ছবি দুটোও খুব ভাল। 'বড় ভালো লোক ছিলো' ছবির হায়রে মানুষ এবং 'ভেজা চোখ' ছবির জীবনের গল্প গান দুটো বাংলা গানের ইতিহাসে লেখা থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। দুটো ছবির সুরকার কিন্তু একজনই - আলম খান।
৫৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৩১
নামহীনা বলেছেন: তখন ক্লাশ নাইনে পড়ি মনে হয়.... সিনেমা হলে গিয়ে দুই বার দেখেছিলাম এই ছবিটা। কয়েকটা দৃশ্য এখনো চোখে ভাসে..
পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৫৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৪
আহমাদ জাদীদ বলেছেন: আমি নতুন একটা দেখলাম......রিভিউও লিখে ফেললাম......
View this link
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ। আমি অবশ্য আপনার এই মন্তব্য দেখার আগেই আপনার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে এসেছি।
৫৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:১৬
উসীমজদ্দীন বলেছেন: রুবেলের দেখি অনেক ভক্ত। আসলে ঐ সময়টাই যারা কিশোর বয়সী ছিল প্রায় সবাই রূবেলের ছবি দেখত। বীর পুরুষ হলে গিয়ে দেখা আমার ২য় ছবি। প্রথম ছবি ছিল মিন্টু আমার নাম। জীবনে যত বাংলা ছবি দেখিছি তার শতকরা ৯০ ভাগই রুবেলের। অভিনয় কেমন তা নিয়ে কারো মাথাব্যতা ছিল না কিন্তু মার্শাল আর্ট দেখতে ছুটত সবাই।
২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:২৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। আমি নিজেও তাই। রুবেলের অভিনয় আসলে বেশ দূর্বল বলা যায়। কিন্তু সেই বয়সে অভিনয় নিয়ে মাথা ঘামায় কে! আমরা মার্শাল আর্ট দেখতেই যেতাম।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১২
নির্লিপ্ত দৃষ্টি বলেছেন: বরাবরের মত চমৎকার রিভিউ ।++++