![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
নেপোলিয়ন দ্য বোনাপার্ট ১৭৬৯ সালের ১৫ আগস্ট ফ্রান্সের করসিকার এজাক্সিউশ হরে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর জন্মের মাত্র একবছর আগে দ্বীপটি জেনোয়া প্রজাতন্ত্র কর্তৃক ফ্রান্সকে দেওয়া হয় । মহাবীর নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ১৭৯৮ সালে কায়রোর জামে আজহার মসজিদে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন । ইসলাম ধর্ম গ্রহন উপলক্ষে তিনি যে বানী প্রচার করেন তার দলিল কায়রোর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে এখোনো রক্ষিত আছে । তৎকালীন বিশেষ ব্যাক্তিদের ডায়েরীতে তার ইসলাম ধর্ম গ্রহনের সত্যতা পাওয়া যায় । La cases নামক একজন নেপোলিয়নের খুব কাছের মানুষ ছিলেন । তার ডায়েরীতে নেপোলিয়নের ইসলাম ধর্ম গ্রহনের নিশ্চত প্রমান পাওয়া যায় । তাঁর পিতা, কার্লো বোনাপার্ট ১৭৪৬ সালে জেনোয়া প্রজাতন্ত্রে জন্মগ্রহণ করেন । নেপোলিয়নের মা, মারিয়া লেটিজিয়া রামোলিনো তাঁর বাল্যকালে গভীর প্রভাব ফেলেন । নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ঘোড়ার চুল দিয়ে টুথব্রাশ করতেন ।
নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ছিলেন ফরাসি বিপ্লবের সময়কার একজন জেনারেল । নেপোলিয়ন ১ নামে ১১ নভেম্বর, ১৭৯৯ থেকে ৬ এপ্রিল ১৮১৪ পর্যন্ত ফ্রান্সের সম্রাট ছিলেন এবং পুনরায় ১৮১৫ সালের ২০ মার্চ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য ফ্রান্সের সম্রাট ছিলেন । তিনি ইতালির রাজাও ছিলেন । এছাড়া তিনি সুইস কনফেডারেশনের মধ্যস্থাকারী এবং কনফেডারেশন অফ রাইনের রক্ষকও ছিলেন । নেপোলিয়ন ১৮১৫ সালের ১৮ জুন ওয়াটারলুতে পরাজিত হন । নেপোলিয়ন তাঁর জীবনের বাকী ছয় বছর ব্রিটিশদের তত্ত্বাবধানে আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ সেন্ট হেলেনাতে কাটান । তিনি সারা বিশ্বে সর্বকালের অন্যতম সেরা সেনাপতি হিসেবে সুপরিচিত । নেপোলিয়ন কোড প্রতিষ্ঠাও তাঁর অন্যতম সেরা কীর্তি । তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের এবং বন্ধুদের তাঁর অর্জিত বিভিন্ন রাষ্ট্রের শাসক এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করেন । যদিও তাদের শাসন নেপোলিয়নের পতন ঠেকাতে পারেনি, নেপোলিয়নের এক ভাতিজা, নেপোলিয়ন ৩ উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ফ্রান্স শাসন করেন । তিনি বলতেন- আমি ষাটটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, কিন্তু আমি এমন কিছু শিখিনি যা আমি শুরুতে জানতাম না । ১৭৮৫ সালে স্নাতক করার সময় নেপোলিয়ন সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট কমিশন লাভ করেন । ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপল্গব প্রকাশ হওয়ার পর পর্যন্ত তিনি নানা জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছেন ।
নেপোলিয়নের বড়ভাই ছিলেন জোসেফ বোনাপার্ট । নেপোলিয়ন ছিলেন দ্বিতীয় । তাঁর অনুজরা ছিলেন- লুসিয়েন বোনাপার্ট, এলিসা বোনাপার্ট, লুই বোনাপার্ট, পউলিন বোনাপার্ট, ক্যারোলিন বোনাপার্ট এবং জেরোমি বোনাপার্ট । নেপোলিয়নের প্রথম দেখা হয় শ্যাম্পেন প্রস্তুতকারক Jean-Remy Moët-এর সাথে । এই দুজনের বন্ধুত্ব শ্যাম্পেন এবং শ্যাম্পেন প্রস্তুতকারক এলাকার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে । ব্রিয়েনের ডিগ্রী পাওয়ার পর নেপোলিয়ন ১৭৮৪ সালে প্যারিসের এলিট École Royale Militaire-এ ভর্তি হন । সেখানে তিনি মাত্র এক বছরেই দুই বছরের কোর্স সমাপ্ত করেন । একজন পরীক্ষক তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন- " বিমূর্ত বিজ্ঞানের জন্য নিবেদিত প্রাণ, অন্যান্য বিষয়ে কিছুটা আগ্রহশীল; গণিত এবং ভূগোলে ভালো জ্ঞান রয়েছে । তিনি প্রথমে ন্যাভাল বিশয়ে আগ্রহশীল থাকলেও École Militaire-তে আর্টিলারী নিয়ে পড়াশোনা করেন । ১৭৯৬ সালের ২৭ মার্চ নেপোলিয়ন ফরাসি আর্মি অফ ইতালির দায়িত্ব গ্রহণ করেন । তিনি সফলতার সাথে ইতালি আক্রমণ করেন । ১৭৯৭ সালেই নেপোলিয়ন ইতালির ফ্রান্স শাসিত রাজ্যসমূহ নিয়ে সিজালপাইন রিপাবলিক (Cisalpine Republic) গড়ে তুলেন । সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসিত থাকার সময়ও ব্রিটেনজয়ের স্বপ্ন দেখতেন ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । ময়নাতদন্তে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পাকস্থলির ক্যান্সারের কথা; যদিও আর্সেনিকের বিষক্রিয়ায় ঘটেছিল এ মৃত্যু_ এমন অনুমান করেছেন বেশকিছু বিজ্ঞানী ।
১৮১৫ সালটি ছিল নেপোলিয়নের জন্য একটি ক্রিটিক্যাল বছর । ইউরোপের সব রাষ্ট্রের সম্মিলিত বাহিনীর সঙ্গে তাঁর যুদ্ধের প্রস্তুতিতে তিনি ব্যস্ত ছিলেন । এই সময় জ্যোতিষী দরবারে ঢুকতে না পেরে তাঁর মিত্র এক অমাত্যের মারফত নেপোলিয়নের কাছে একটি ছোট্ট নোট পাঠালেন । তাতে লেখা, ১৮ জুন তারিখটি তোমার জন্য ভয়ানক খারাপ লক্ষণযুক্ত । এদিন কোনো কারণেই যুদ্ধযাত্রা করবে না কিংবা যুদ্ধরত থাকলেও ওই দিন যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকবে । নেপোলিয়ন নোটটি পেলেন । কিন্তু যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পরে নোটটির কথা ভুলে গেলেন । জুন মাসের ১৮ তারিখের কদিন আগেই জ্যোতিষী একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্যারিসের পথে যুদ্ধের বাজনা শুনতে পেলেন । তিনি শঙ্কিত হয়ে নেপোলিয়নকে সতর্ক করার জন্য রাজদরবারে ছুটে গেলেন । রক্ষীরা তাঁকে দরবারে ঢুকতে দেয়নি । কিছুক্ষণ পর জ্যোতিষী জানতে পারলেন, সম্রাট যুদ্ধযাত্রা করেছেন । তিনি সেনাবাহিনীর পিছু পিছু ছুটতে শুরু করলেন । সম্রাট হওয়ার পর নেপোলিয়ন ফরাসি সাম্রাজ্য আরও বাড়িয়ে নিতে এবং ফ্রান্সকে পরম প্রভাবশালী রাজ্যে পরিণত করতে গিয়ে অনেক যুদ্ধ ও রক্তক্ষয় ঘটালেন । এর মধ্যে ফোর্থ কোয়ালিশন যুদ্ধ, পেনিনসুলার যুদ্ধ, ফিফথ কোয়ালিশন যুদ্ধ, রাশিয়া আক্রমণ অন্যতম । পেনিনসুলার যুদ্ধে অনেক শহর ধ্বংস এবং পঞ্চাশ হাজারেরও অধিক মানুষকে হত্যা করা হলো । ১৮১২ সালে রাশিয়া আক্রমণকালে সাড়ে চার লাখেরও বেশি 'গ্র্যান্ড আর্মি'কে ছড়িয়ে দিলেন তিনি । ১৮২১ সালের এ দিনটিতে ফরাসি বীর নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বন্দি অবস্থায় পরলোকগমন করেন ।
'ক্লিসন অ্যান্ড এগুইনি' নামে একটা উপন্যাসিকা লেখেন তিনি । জনৈক সৈনিক ও তার প্রেমিকাকে নিয়ে এগিয়েছে এর গল্প । এটা আসলে ডিজেরির প্রতি নেপোলিয়নের ভালোবাসারই প্রতিরূপ । সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে ডিজেরি ক্ল্যারির সঙ্গে তরুণ নেপোলিয়নের পরিচয় ঘটেছিল পারিবারিকভাবে । ডিজেরির বোনকে বিয়ে করেছিলেন নেপোলিয়নের ভাই । পৃথিবীজয়ের নেশা তার মাথার ভেতর সারাক্ষণ ছটফট করে, তিনি কীভাবে স্থির থাকেন । স্থির কিছুটা হলেন অবশ্য, তা চিন্তায় । ডিপার্টমেন্টস, উচ্চশিক্ষা, ট্যাক্স কোড, সড়ক ও পয়ঃনিষ্কাশনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে রিফর্ম করে কেন্দ্রীভূত করলেন । প্রতিষ্ঠা করলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক । রাজ্যে ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ক্যাথলিক চার্চের সঙ্গে সমঝোতা করলেন । এরই মধ্যে পেলেন ফ্রেঞ্চ সায়েন্স একাডেমীর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব এবং সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার । সারা বিশ্বের যতগুলো যুদ্ধের ময়দানের নাম মানুষের মুখে প্রত্যহ উচ্চারিত হয় ( যেমন- পলাশী, পানিপথ) তার মধ্যে নিঃসন্দেহে ওয়াটার লু সবচেয়ে বিখ্যাত । ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়ন আর ডিউক অফ ওয়েলিংটনের ঐতিহাসিক যুদ্ধ আর নেপোলিয়নের পরাজয়, সেই সঙ্গে তার সাম্রাজ্যের যবনিকাপাত, সবকিছু মিলিয়েই ওয়াটার লুকে পরিচিত করেছে এক বিশ্ববিদিত নামে ।
১৭৯৫ সালের ফ্রান্সের নেপলিয়ান বোনাপার্টের সেনাবাহিনীর এক ভদ্রলোক- নিকোলাস জ্যাকুয়াস কন্ট, আধুনিক পেনসিল আবিষ্কার করেন । তিনি প্রথমে গ্রাফাইটগুলোকে পুড়িয়ে গুঁড়ো করতেন । সেই গুঁড়োর সঙ্গে কাদা মিশিয়ে কাঠির আকৃতি দিতেন । জোসেফাইনকে লেখা নেপোলিয়নের চিঠি-
প্রিয়,
সিটিজেনেস জোসেফাইন বোনাপার্ট এপ্রিল 3, 1796
আমি তোমার সমস্ত চিঠিই পেয়েছি ৷ কিন্তু কোনওটাই শেষ চিঠির মতো এতটা আমার মনে ছাপ ফেলতে পারেনি ৷ প্রিয়তমা, কেমন করে তুমি এরকম একটা চিঠি আমাকে লিখতে পারলে ! তুমি কি জানো না আমার দুঃখ-বেদনাকে বাদ দিয়েই আমি কতটা সঙ্কটের মুখে আছি ৷ কী স্টাইলে, কী অনুভূতি তুমি আমাকে দেখাতে চাইছ ! সেগুলো পুড়ে গেছে, এবং আমার হূদয় কেউ ছারখার করে দিয়ে গেছে ৷
আমার এক এবং একমাত্র জোসেফাইন, তুমি ছাড়া আমার জীবনে কোনও আনন্দই নেই়, তুমি ছাড়া গোটা বিশ্বই যেন মরুভূমি, যেখানে মরূদ্যান বলতে কেবল মাত্র আমিই, যেখানে আমি মনের কথা বলতে পারি না ৷ তুমি আত্মার থেকেও আরও বড় কিছু আমার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছ ৷ তুমিই আমার জীবনের একমাত্র চিন্তামণি ৷
যখন আমি কাজের ভারে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত হয়ে যাই, যখন আমি সেটা থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা খুঁজতে চাই, যখন লোকেরা আমাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করে, বিরক্ত করে, যখন বেঁচে থাকতেও আমার ঘৃণা হয়, আমি বুকের উপর হাত রাখ়ি, তোমার ছবি সেখানে টাঙানো থাকে, আমি সেটার দিকে তাকাই ৷ ভালোবাসাই আমাকে প্রকৃত আনন্দ এনে দেয়৷ সমস্ত কিছুই দূর হয়ে যায়, শুধু যে সময়টা আমি আমার প্রেমিকার সঙ্গে কাটিয়েছি ৷ কী জাদুতে তুমি আমার সমস্ত কিছুই বন্দি করে নিয়েছ ? জোসেফাইনের জন্য বেঁচে থাকা আমার কাছে ইতিহাস হয়ে থাকবে ৷
আমি তোমার কাছে আসতে চেষ্টা করছি ৷ কিন্তু আমি কী বোকা ! খেয়ালই করিনি যে তুমি আর আমি ক্রমে সরে যাচিছ ৷ কতগুলি দেশ আমাদের আলাদা করে রাখবে ! আমার প্রিয়তমা ! আমি জানি না আমার ভাগ্যে কী আছে, কিন্তু যদি তা এখনও আমার থেকে তোমাকে দূরে রাখতে চায়, তাহলে সেটা অসহ্য হয়ে উঠবে ! আর তখন এই অদম্য সাহসও আমার কাছে কম মনে হবে ৷
একসময় আমি আমার সাহস নিয়ে ভীষণ গর্ব বোধ করতাম ৷ আবার কখনও ভাবতাম যে মৃত্যু কিছু বুঝে ওঠার আগেই তা কেড়ে নিয়ে চলে যাবে৷ কিন্তু, আজকে জোসেফাইন বিপদের মধ্যে দিন কাটাচেছ বা সে অসুস্হ়, এই সমস্ত চিন্তাধারাতেই জোসেফাইন যে আমাকে ভালোবাসে তা আমাকে স্বস্তি দিচেছ না, প্রতিহিংসার সাহস এবং রাগ থাকা সত্ত্বেও আমার রক্ত চলাচল শিথিল করে দিচেছ এবং আমাকে আরও বেশি দুঃখিত ও বিষন্ন করে তুলছে ৷
তোমাকে না ভালোবাসতে পেরে মারা যাওয়া, তোমাকে না জানতে পেরে মারা যাওয়া নরক যন্ত্রণার সমান, যেন চূড়ান্ত শূন্যতার জীবন্ত প্রতিবিম্ব ৷ আমার যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে ৷ আমার একমাত্র সঙ্গিনী যাকে ভাগ্য জীবনের দুঃখসম পথে হঁাটতে বাধ্য করেছে, যেদিন আমি তোমাকে হারাব, সেদিনই প্রকৃতি তার উষ্ণতা হারাবে, আর আমার জীবন বলে কিছু থাকবে না ৷ আমি এখন থামছি প্রিয়তমা়, আমার হূদয় দুঃখে ভরে গেছে, শরীর পরিশ্রান্ত, আমার উদ্যম নিঃশেষ ৷ এখন আমার উপর মানুষ ভর করেছে ৷ আমি তাদের ঘৃণা করি ৷ তারা আমাকে হূদয় থেকে আলাদা করতে চাইছে ৷ অজনেলিয়ার কাছে পোর্ট মরিসে আছি ৷ আগামীকাল আলবেনজা যাব ৷
আমি বুয়েলিউকে নিয়ে সন্তুষ্ট়, সে তার পূর্বসূরীর থেকেও বেশি ক্ষমতাবান৷ আশা করি, আমি তাকে অজান্তেই পরাজিত করব ৷ ভয় পেয়ো না ৷ তোমার চোখের মতোই আমাকে ভালোবাসো়, কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয় ৷ তোমার মতো, তোমার থেকেও বেশি, তোমার চিন্তাধারার থেকেও বেশি, তোমার জীবনের চেয়েও, তোমার সবকিছুর থেকেও ৷
আমাকে ক্ষমা করো, প্রিয়া, আমি উন্মাদ়, কেউ যখন গভীরভাবে ভাবে, তখন তার কাছে প্রকৃতিও শূন্য মনে হয়, যখন তুমি কাউকে ভালোবাসো তখনও তার একই মনে হয় ৷
ইতি
বোনাপার্ট
২| ১৯ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ভালো পোস্ট ++++++
৩| ১৯ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: ++++++++
৪| ১৯ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
স্যার ... বলেছেন: যারা যুদ্ধ করে তাদেরকে বীর বলা হয়- হায় সভ্যতা।
৫| ১৯ শে মে, ২০১২ রাত ৮:০৮
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!! ++++++
৬| ১৯ শে মে, ২০১২ রাত ৯:১০
মাহিরাহি বলেছেন: নেপোলিয়ানের এক সেনাপতিও ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান নাম গ্রহান করেছিলেন।
নেপোলিয়ান শারিয়া আইনের কিছু আইন ফ্রান্সের আইনে বলবত করেছিলেন, যার কিছু নাকি এখনও অবশিষ্ট আছে।
তার বিখ্যাত উক্তি হল, আমার ইচ্ছে করে পৃথিবীর সব বিদ্যান মানুষকে একটি বিশ্বাসে সংঘবদ্ধ করি, আর সেটি হল ইসলাম।
৭| ১৯ শে মে, ২০১২ রাত ১০:৪৬
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: নেপোলিয়ান বোনাপার্ট ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নাম। তিনি ছাত্রজীবনে যে কতখানি মেধাবী ছিলেন, তা তার ইতিহাস থেকেই জানা যায়। তার উত্থান জোসেফান কে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধের মধ্যে, তার পতন জোসেফান এর সাথে বিচ্ছেদের মাধ্যমে। পুত্র প্রাপ্তির আশায় দ্বিতীয় বিবাহ করার পর আর কোন যুদ্ধে তিনি সম্মানের সাথে জিততে পারেন নি। বিশেষ করে রাশিয়াতে তার জয় কে তিনি নিজেই পরাজয় বলে প্রচার করেন। কিন্তু সেখানে তিনি হারান লক্ষাধিকের বেশি সৈন্য। আর একটা অদ্ভুত ব্যাপার হলো তিনি তার জীবনে নৌযুদ্ধে কখনো জিততে পারেননি। তিনি স্থল যুদ্ধেই জয়ী হয়েছেন। যুদ্ধে জিততে জিততে একসময় হয়তো মনেও করেছিলেন তিনি কোনোদিন যুদ্ধে হারবেন না।
যে জোতিষীর কথা বলা হলো তিনি বাস করতেন প্যারিসের এক অখ্যাত গলিতে। নেপোলিয়ান তখন সামান্য সৈন্য। জ্যোতিষীর কাছে পৌছলে জ্যোতিষী তার নির্ধারিত ফী আছে কিনা জানতে চান। কিন্তু তার কাছে সেই পরিমাণ না থাকায় তিনি ফেরত আসতে চান। কিন্তু জ্যোতিষী রত্ন চিনতে ভুল করেন নি। তাকে ডেকে এই ভবিষ্যত বানী করেন যে খুব দ্রুতই তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হবেন। এই জ্যোতিষীকে নেপোলিয়ান কখনো ভুলে যাননি। তার জন্য ভাল জায়গা বরাদ্দ করেন। থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে ছিলেন।
ইস নেপোলিয়ান যদি সেই ১৮ জুন যুদ্ধে না যেতেন ইতিহাস হয়তো ভিন্নভাবে লেখা হতো। তবে মানুষের ভাগ্য পূর্ব নির্ধারিত। না হলে একজন ফ্রান্সের রাজে কেন একটা দ্বীপে নির্বাসিত হয়ে মারা যাবেন?
ব্রিটিশদের সম্পর্কে তার ধারণা হলো-'ব্রিটিশরা হলো দোকানদারের জাত'। এরা ব্যবসা ছাড়া আর কিছু বোঝেনা।
নেপোলিয়ান আর হিটলার এর কিছু কিছু কর্মকান্ডে, জীবনীতে বেশ মিল আছে। দেখি এক সময় হাতে সময় নিয়ে লিখবো।
৮| ১৯ শে মে, ২০১২ রাত ১১:৪৯
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: +++++
@স্যার বলেছেনঃ যারা যুদ্ধ করে তাদের এ সভ্যতায় বীর বলা হয়। মন্দ বলেন নি।
৯| ২১ শে মে, ২০১২ রাত ৩:০৯
শিপন মোল্লা বলেছেন: অসাধারন
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সিরাজ সাঁই বলেছেন: গুড ইনফো, পোস্টে +++
কিন্তু ছবিটা বদলে দিন, আমার জানা মতে এটা চেঙ্গিজ খানের স্কাল্পচার।