নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
হযরত মুহাম্মদ (স বলেছেন- যে ব্যক্তি জ্যোতিষির কাছে গেল এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করল, সে মুহাম্মদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করল।একটি প্রাচীন প্রবাদ আছে-‘তুমি যদি কাউকে ১ কেজি মাছ দাও তাহলে তার ১ দিনের আহারের ব্যবস্থা করলে, আর যদি কাউকে মাছ ধরতে শিখিয়ে দাও তাহলে তুমি তার সারা জীবনের খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে।’জ্যোতিষশাস্ত্র প্রাচীন বেদেরই একটা অঙ্গ। এটা মূলতঃ ব্যবহৃত হতো শুভ মুহূর্তগুলো নির্ণয় করে, নির্দ্দিষ্ট সময়ে যজ্ঞানুষ্ঠান এবং অন্যান্য পূজা ও আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অভীষ্ট ফল লাভ করার জন্য।
ফরাসি সম্রাট একাদশ লুইয়ের শাসনামলে এক জ্যোতিষি কর্তৃক সম্রাটের এক প্রিয়তমার মৃত্যুবিষয়ক ভবিষ্যদ্বানী ফলে গেলে সম্রাট ক্রোধে অন্ধ হয়ে জ্যোতিষিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ডেকে পাঠান। জ্যোতিষি উপস্থিত হলে সম্রাট তাকে বললেন, ‘তুমি তো অন্যের ভাগ্য গণনা করো। এবার বল দেখি, তোমার ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে? জ্যোতিষি সম্রাটের পরিকল্পনার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বিচক্ষণতার সঙ্গে জবাব দিলেন, আমি দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি, আপনার মৃত্যুর তিনদিন আগে আমি মারা যাব। এবার সম্রাট জ্যোতিষিকে বাঁচানোর জন্য উঠে পড়ে লাগলেন কারণ সে মারা যাওয়ার তিনদিন পর তো আর সম্রাটও বেঁচে থাকতে পারবেন না।
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে জ্যোতিষ শাস্ত্র আজ আপনার মাউস গোড়ায়। কি-বোর্ডে হাত বাড়ালেই পেয়ে যাবেন নানা রকম তথ্য। জ্যোতিষ শাস্ত্র পরতে হবে,জান্তে হবে বুঝতে হবে সাথে পদার্থ,রসায়ন,মনবিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্দ্যা ইত্যাদির পাশাপাশি উনুমান শক্তির প্রয়গ করতে হবে ।তার পরও সাধ্য শিদ্ধি হবে কি না আমি সঠিক বলতে পারবনা ।যে কোনো মানুষেরই তার নিজের বা আপনজনের ভবিষ্যৎ জীবনের ঘটনা জানবার ইচ্ছা স্বাভাবিক। বিশেষ করে বি আপদ ও সঙ্কটের সময়ে মানুষের এই ইচ্ছা আরও প্রবল হয়ে ওঠে।
আকাশে আবর্তিত গ্রহমণ্ডলীর অব্স্থান কোটি কোটি লোকের প্রত্যেকের জীবনে কী ঘটনা ঘটবে তার সঙ্গে কী ভাবে সম্পর্কিত ? অনেকে জোয়ার ভাটার উপর চন্দ্রের প্রভাব ব্যাখ্যা করে এর উত্তর দিতে সচেষ্ট হন। কিন্তু দুটো এক জিনিষ নয়।প্রত্যেকের পূর্ব পূর্ব জীবনের সঞ্চিত কর্মফল কী ভাবে এ জীবনে ফলদান করতে চলেছে তার একটা আগাম আভাস এই সমস্ত গ্রহের অবস্থান থেকে অনুমান করা যায়।জ্যোতিষশাস্ত্রে ( astrology ) অনেক খুঁটিনাটি বিষয় আছে। এর কিছু জিনিস অত্যন্ত জটিল। অনেক কৌতূহলী পাঠক আগ্রহ নিয়ে কিছু বই কিনে পড়তে শুরু করেন এবং অনেক সময়েই আলোচ্য বিষয়ে ব্যবহৃত নানা শব্দ ও তার অর্থ ঠিকমত বুঝতে না পেরে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।
রাশিচক্র প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা পায় প্রাচীন গ্রিসে। কিন্তু প্রমাণ মিলেছে তারও প্রায় ১শ বছর আগে মিশরীরা রাশিচক্র বিষয়ে সচেতন ছিল। বিশেষ করে মিশরের রাজারা (ফারাও) রাশিচক্রের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে জানতে খুবই উৎসাহী ছিল। তারাও মনে করতো নক্ষত্রের অবস্থান ও ক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে একজন মানুষের জীবন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৫
নস্টালজিক বলেছেন: এই ব্যপারে আগ্রহ ছিলো!
ভালো লাগলো জেনে!
শুভেচ্ছা, নুর!