নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মুসোলিনি একই সঙ্গে ১৪ জন নারীর সঙ্গে প্রেম করতেন। মুসোলিনির এক প্রেমিকা ক্লারেত্তা পেতাচ্চি তাঁর দিনলিপিতে (ডায়েরি) এ কথা লিখেছেন।ওই দিনলিপিতে ক্লারেত্তা ১৯৩২ থেকে ১৯৩৮ সালে মুসোলিনির জীবনের নানা ঘটনার কথা লিপিবদ্ধ করেন। ভ্যাটিকানের একজন চিকিত্সকের মেয়ে ছিলেন তিনি। ১৯৩২ সালে তাঁর বয়স ছিল ২০ বছর। ওই বয়সে প্রথম দেখাতেই তিনি তাঁর চেয়ে বয়সে ২৯ বছরের বড় মুসোলিনির প্রেমে পড়ে যান। মুসোলিনির জীবনে তখন যে নারীরা ছিলেন তাঁদের তিনি ঈর্ষা করতেন।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র দেশের পাশাপাশি ইতালি যেন তার লড়াই চালিয়ে যেতে পারে, সেই লক্ষ্যে প্রচারণা চালানোর জন্যই মুসোলিনিকে সপ্তাহে ১০০ পাউন্ড করে দিত ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ফাইভ। মুসোলিনি ওই সময় সাংবাদিকতা করতেন। বর্তমানে ওই অর্থের মূল্যমান প্রায় ছয় হাজার পাউন্ড।
বেনিতো মুসোলিনি ছিলেন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ কালে ইতালির সর্বাধিনায়ক। ইতালির এই একনায়ক ১৯২২ সাল থেকে ১৯৪৩ সালে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত সমগ্র রাষ্ট্রের ক্ষমতাধর ছিলেন। মুসোলিনি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালে জার্মান একনায়ক এডল্ফ হিটলার- এর একান্ত বন্ধুতে পরিনত হন আর তাকে প্রভাবিত করেন। মুসোলিনি ১৯৪০ সালে অক্ষশক্তির পক্ষে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যোগদান করেন । তিন বছর পর মিত্রবাহিনী ইতালী আক্রমণ করে। ১৯৪৫ সালে সুইজারল্যান্ডে পালাবার সময় তিনি কম্যুনিস্ট প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে ধরা পরেন এবং পরে তাকে হত্যা করা হয়।
বেনিতো মুসোলিনি (১৮৮৩-১৯৪৫): ভোটে জিতে ১৯২২ সালে ইতালির প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯২৫ সাল থেকে ‘দ্বিতীয় দুচে’ নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ। ফ্যাসিবাদের জনক। মুসোলিনির জন্ম ১৮৮৩ সালের ২৯ জুলাই ইতালির ফোরলি শহরের একটি কামার পরিবারে। জীবনের শুরুর দিকে সৈনিক, সোশ্যালিস্ট এমনকি স্থানীয় পত্রিকা সম্পাদনার কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে উচ্চাভিলাষী মুসোলিনি ১৯২২ সালে ন্যাশনাল ফ্যাসিস্ট পার্টি থেকে নির্বাচন করে ইতালির ৪০তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিষ্ঠিত হন।
সমগ্র ভূখণ্ডে ইতালির রাজত্ব কায়েমের জন্য হিটলারের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন তিনি। মুসোলিনি ১৯৪০ সালে অক্ষশক্তির পক্ষে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করেন। ১৯৪৩ সালে সিসিলিতে ক্ষমতাচ্যুত হলে তাকে বন্দী করা হয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে জার্মান সেনাদের কারসাজিতে মুক্তি পান মুসোলিনি। ১৯২২ সালে মুসোলিনি রোম অভিযান করে দখল করে নেন । ইটালির রাজা ভিক্টর তৃতীয় ইমানুয়েল বিনা প্রতিবাদে মুসোলিনির হাতে ক্ষমতা তুলে দেন ।
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরে ইটালিতে দারুন অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হয়, সর্বস্তরে চরম বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা দেখা দেয় । ইটালি তখন এই অবস্থা সামাল দিয়ে উঠতে পারে নি । ফলে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে । ইটালিতে এই শক্তির যারা উৎস তাদেরকে ফ্যাসিস্ট বলা হত ।এবং তাদের অনুসৃত নীতি হল ফ্যাসিবাদ ।মুসোলিনি ৭০০০-এর বেশি ইহুদিকে ইতালি থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। এদের মধ্যে প্রায় ৬০০০ ইহুদিকে পরে হত্যা করা হয়েছিল।
১৯২৫-এর শেষ দিকে মুসোলিনি ইতালীয় সাহিত্যের বিপুল সম্ভার-সহ অধ্যাপক জিওসেপ্পে তুচ্চি ও ফর্মিকিকে বিশ্বভারতীতে অধ্যাপনার জন্য পাঠান। ১৯২৬-এ রোমে মুসোলিনির সঙ্গে দেখা করে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন রবীন্দ্রনাথ। স্বভাবতই, তার ফলে বিতর্ক তৈরি হয়। পরে রম্যাঁ রোলাঁ ফাসিস্ত মুসোলিনির সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথকে জানান। ফাসিস্ত ইতালির বিরুদ্ধে অ্যান্ড্রুজকে লেখা খোলা চিঠি প্রকাশিত হয় ‘ম্যাঞ্চেস্টার গার্ডিয়ান’ পত্রিকায়। তার বিরুদ্ধে মুসোলিনির নিজস্ব পত্রিকা ‘পোপোলো দ’ইতালিয়া’ রবীন্দ্রনাথকে ‘তৈলাক্ত ও অসহ্য লোক’, ‘অসৎ তাতর্ুযফ’ ইত্যাদি বলে রীতিমত ব্যক্তি-আক্রমণে নামে। পরে রবীন্দ্রনাথ বহু সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মুসোলিনির ওই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা তিনি না-জেনেই করেছিলেন।মুসোলিনির সঙ্গে ‘দুর্ভাগ্যবশত’ ঘটে যাওয়া ‘ভুল বোঝাবুঝি’র অবসান চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
জীবদ্দশায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দু'বার ইতালি সফর করেছেন। একবার ১৯২৫ সালে, আরেকবার ১৯২৬ সালে। যদিও ইংল্যান্ড সফরের আগে এবং ইংল্যান্ডে যাওয়ার সময় অনেকবারই তাকে ইতালি হয়ে যেতে হয়েছে।ইতালিতে তার দ্বিতীয় সফরের সময় তিনি দু'বার মুসোলিনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।রবীন্দ্রনাথের কাছে ইতালি সফরের প্রথম দাফতরিক আমন্ত্রণ আসে শিক্ষাবিদদের একটি বেসরকারি সংঘ 'দ্য ফিলোলজিক্যাল সোসাইটি অব মিলান' থেকে। এছাড়া তার ২৫ দিনব্যাপী প্রথম সফর পরিকল্পনায় ফ্লোরেন্স ও তুরিন ভ্রমণও অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার সফর সংক্ষিপ্ত করতে হয়। ইতালির মেডিকেল টিম কোনো অঘটনের সুযোগ দিতে রাজি নয়। তারা তাকে ভারতে ফেরার পরামর্শ দিল। পরে ভেনিস হয়ে ব্রিনদিসি গেলেন, সেখান থেকে জাহাজে ভারতের পথ ধরলেন।
রবীন্দ্রনাথ ইতালীয় ভাষা জানতেন না, ইতালির রাজনীতি সম্পর্কে ততটা জ্ঞাত ছিলেন না।১ থেকে ১৩ জুন, ১৯২৬ পরের দু'সপ্তাহ রবীন্দ্রনাথ রোমের বিখ্যাত স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করলেন। রাজার সঙ্গে দেখা করলেন। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন করলেন। রোমের গভর্নর তাকে কলোসিয়ামে স্বাগত জানালেন। তিনি অনেক পত্রিকার প্রতিবেদককে সাক্ষাৎকার দিলেন। যদিও তার কিছু বক্তব্য ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ছাপা হয়েছে। তিনি যেহেতু ইতালীয় ভাষা জানতেন না_ কী ছাপা হয়েছে, তাতে কী বৈসাদৃশ্য রয়েছে তা বোঝা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। রোম বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তাকে বরণ করা হয়েছে। বেশ ক'টা ভাষণ দেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে 'ইউনিয়ন অব ইন্টেলেকচুয়াল' সমাবেশে দেওয়া 'দ্য মিনিং অব আর্ট' শীর্ষক বক্তৃতা। মুসোলিনি এই বক্তৃতা শুনতে হাজির হয়েছিলেন।
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩৭
মুখশ বলেছেন: ভালো লাগলো,,,,,,,,,,,,,,,,,,, keep it up
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৭
েসাহাগ২৫কগগ বলেছেন: ভালো লাগলো।++
ভাই আবার ও এরকম কিছু লিখবেন আশা করি।