নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথের কোনো বিকল্প নাই- ৮৭

২৫ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

রবীন্দ্রনাথের জন্মের সময় সারদা দেবীর বয়স ৩৪-এর মত৷ রবীন্দ্রনাথের রচনায়, রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিতে মায়ের উপস্থিতি অবিশ্বাস্য রকম কম৷ রবীন্দ্রনাথের বয়স যখন তেরো বছর দশ মাস, তখন তিনি মাকে হারান৷ ততোদিনে তাঁর কবিতা লেখা শুরু হয়ে গেছে৷ কবিতা শুনিয়ে সন্দিগ্ধ ও মুগ্ধ করেছেন সবাইকে৷ এমনকি সেকালের বিখ্যাত সাময়িক পত্র ‘তত্ত্ববোধিনী'-তে ‘অভিলাষ' নামে তাঁর একটি দীর্ঘ কবিতাও ছাপা হয়ে গেছে৷ কবিতার নিচে অবশ্য রবীন্দ্রনাথের নাম ছিলো না৷ লেখা হয়েছিলো ‘দ্বাদশ বর্ষীয় বালকের রচিত'।



অবাক করা বিষয় হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ তাঁর মায়ের সম্পর্কে কোথাও কিছু লেখেন নি তেমন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘ছেলেবেলা’ ও ‘জীবনস্মৃতি' পড়ে খুবই সামান্য তাঁর মায়ের সম্পর্কে জানা যায়।বিভিন্ন বই-পত্র পড়ে যতোটুকু জানা যায়, তাতে দেখা যায় যে- তিনি একেবারেই একজন সহজ-সরল মানুষ ছিলেন।



রবীন্দ্রনাথের এক বোন স্বর্ণকুমারী দেবী এক জায়গায় লিখেছেন-“মাতাঠাকুরাণী ত কাজকর্ম্মের অবসরে সারাদিনই একখানি বই হাতে লইয়া থাকিতেন। চাণক্যশ্লোক তাঁহার বিশেষ প্রিয় পাঠ ছিলো, প্রায়ই বইখানি লইয়া শ্লোকগুলি আওড়াইতেন। তাহাকে সংস্কৃত রামায়ণ মহাভারত পড়িয়া শুনাইবার জন্য প্রায়ই কোনো না কোনো দাদার ডাক পড়িত।” এই ডাকে রবীন্দ্রনাথকেও সাড়া দিতে হয়েছিলো। রবীন্দ্রনাথ মাকে এইসব শুনাতে পারছেন! এতে তাঁর যেমন অহঙ্কার হতো, তেমনি মায়েরও অহঙ্কার হতো যে তাঁর সন্তান এতো সুন্দর করে রামায়ণ মহাভারত পড়তে পারছে।



রবীন্দ্রনাথের মায়ের জীবন যাপন একেবারেই ছিলো সাদামাটা। ভিতর বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে গল্প-গুজব করে কাটাতেন। রবীন্দ্রনাথ মায়ের এই আড্ডার কথা লিখেছেন এভাবে, ‘মনে পড়ে বাড়ি-ভিতরের পাঁচিল-ঘেরা ছাদ। মা বসেছেন সন্ধেবেলায় মাদুর পেতে, তাঁর সঙ্গিনীরা চারদিকে ঘিরে বসে গল্প করছে। সেই গল্পে খাঁটি গল্পের দরকার ছিলো না। দরকার কেবল সময় কাটানো।... মায়ের সঙ্গিনীদের মধ্যে প্রধান ব্যক্তি ছিলেন ব্রজ আচার্য্যরি বোন, যাঁকে আচার্যিনী বলে ডাকা হ’ত। তিনি ছিলেন এ বৈঠকে দৈনিক খবর সরবরাহ করবার কাজে।”



রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একেশ্বরবাদী এবং ব্রাহ্মধর্মে বিশ্বাসী। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি মুসলমানদের সঙ্গে এই বাংলাদেশেই কাটিয়েছেন। তাঁর অজস্র রচনা, বিশেষ করে কবিতা ও ছোটগল্পে মুসলমানদের প্রসঙ্গ বারবার উচ্চারিত হয়েছে। ধর্মেকর্মে তিনি ছিলেন সর্বজনীন এবং মানবতাবাদী। তাঁর সাহিত্যের সীমানা শুধু একটি বিষয়ের মধ্যে আবদ্ধ ছিল না। তিনি ইসলাম ও ইসলাম ধর্মের 'প্রফেট' সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে সচেতন ছিলেন। ১৯৩৩ সালের ২৬ নভেম্বর পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মুম্বাই শহরে একটি সমাবেশ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মির্জা আলী আকবর খান। রবীন্দ্রনাথ এ সভায় ইসলামের আদর্শ-মহত্ত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে একটি অপূর্ব বাণী প্রেরণ করেছিলেন। সভায় তাঁর প্রদত্ত বাণী পড়ে শুনিয়েছিলেন সরোজিনী নাইডু।



রবীন্দ্রনাথ তাঁর বাণীতে লিখেছিলেন, জগতে যে সামান্য কয়েকটি মহান ধর্ম আছে, ইসলাম ধর্ম তার মধ্যে অন্যতম। মহান এই ধর্মমতের অনুগামীদের দায়িত্বও তাই বিপুল। ইসলামপন্থীদের মনে রাখা দরকার, ধর্মবিশ্বাসের মহত্ত্ব আর গভীরতা যেন তাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার ওপরও ছাপ রেখে যায়। আসলে এই দুর্ভাগা দেশের অধিবাসী দুটি সম্প্রদায়ের বোঝাপড়া শুধু তো জাতীয় স্বার্থের সাম্প্রতিক উপলব্ধির ওপর নির্ভর করে না। সত্য দ্রষ্টাদের নিঃসৃত শাশ্বত প্রেরণার ওপরও তার নির্ভরতা। সত্য ও শাশ্বতকে যাঁরা জেনেছেন ও জানিয়েছেন তাঁরা ঈশ্বরের ভালোবাসার পাত্র এবং মানুষকেও চিরকাল ভালোবেসে এসেছেন।



হাইকু সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জাপান যাত্রী তে বলেন,‘এ ছবি দেখার কবিতা, গান গাওয়ার কবিতা নয়।’

সবচেয়ে নামকরা হাইকু কবি বাশো (১৬৪৪-১৬৯৪) জেন বৌদ্ধধর্মের অনুসারী ছিলেন। এরপর দুজন নামকরা কবি হচ্ছেন বুসন (১৭১৫-১৭৮৩) ও ইসা (১৭৬৩-১৮২৭)। হাইকু অনুবাদ করা কঠিন। এর মধ্যে উদ্ধৃতি, উপমায় দ্ব্যর্থবোধক ভাব রয়েছে। এ ছাড়া বহু সিলেবল-বিশিষ্ট জাপানি ভাষা থেকে অনুবাদ করাও বেশ কঠিন। হাইকু অনেক সময় সমগ্র কোনো ভাব বা সম্পূর্ণ কোনো বক্তব্যের নিদর্শন নয়।



( চলবে...।)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: ধর্মবিশ্বাসের মহত্ত্ব আর গভীরতা যেন তাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার ওপরও ছাপ রেখে যায়। - বাহঃ কী সুন্দর করে বলেছেন ।

২| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:০৪

কসমিক রোহান বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন বিশ্ব মাপের কবি, তারপরেও রবীন্দ্র নাথের একটি কবিতাও নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার সমতূল্য নয়।
আর নজরুল তার বয়স ৪০ হবার পর থেকে আর কবিতা লিখতে পারেন নি। তবুও এই অল্প কাব্যময় জীবনে যে মাপের যত গুলো কবিতা লিখে গেছেন পৃথিবীর ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত নেই।

৩| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে ভাল একটা পোস্ট এটা। বেশ লাগল। প্লাস দিলাম।

৪| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪২

হাসান বৈদ্য বলেছেন: ভালো লাগলো

৫| ২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

শাহেদ খান বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার রবীন্দ্রনাথ সিরিজের লেখা পড়লাম। তবে শেষটায় হঠাৎ আচমকা 'হাইকু'তে চলে গেলেন?

পোস্টে ভাল লাগা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.