নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্তায় পাওয়া ডায়েরী থেকে- ২৪

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

আমি রাজনীতি করি না। বন্ধু নিয়ে রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে আড্ডা দেই না। রাস্তায় চলাফেরা করার সময় কোনো মেয়ের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকি না।কাউকে বাজে পরামর্শ দেই না।কারো আনন্দ দেখে হিংসা করি না।একা একা আপন মনে থাকি। বই পড়ি, টিভি দেখি, ব্লগিং করি-, হাতে কাজ থাকলে কাজ করি। নিজেকে আমার বয়সের চেয়ে বড় ভাবতে ভালো লাগে। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলি তেত্রিশ বছর আমার। অনেকদিন সেভ না করাতে, এখন নিজেকে মুরুব্বি মুরুব্বি মনে হয়। ছোট ছোট বাচ্চারা আংকেল বলে ডাকে। বয়সের সাথে আমার আচরনের কোনো মিল খুঁজে পাই না। তুলা রাশি আমার, তাই আবেগটা একটু বেশী। আমি খুব দ্রুত রেগে যাই এবং বিরক্ত হই। আমি খুব লক্ষ্য করে দেখেছি- রাস্তায় এলোমেলো ভাবে হাঁটলে- রাগ কমতে থাকে।



আমি সাধারনত সিনেমা-নাটক খুব একটা দেখি না। ন্যাশনাল জিওগ্রাফী আমার প্রিয় চ্যানেল। সেদিন হিমি বলল- কলকাতার মুভি "বোঝে না সে বোঝে না" দেখ। তার কথা মত মুভিটা দেখলাম।বোরিং লাগে নি। এই ছবির তামিল ভার্সনটা একদিন কিছুটা দেখে ছিলাম। এই ছবিটা সম্পর্কে বলতে গেলে- বলতে হয়, ইনস্পিরেশন আর ট্রিবিউটের মধ্যে তফাতটা কোথায়? ইনস্পিরেশনে আপনি অন্যের সৃষ্টি থেকে একটা আদল নিয়ে সেটাকে নিজের মতো করে ব্যবহার করেন! আর ট্রিবিউট মানেটা এখন দাঁড়িয়েছে, কোটেশন উইদাউট কোটেশন মার্কস! ঠিক এই রকম করেই রিমেক কথাটারও দু’রকম অর্থ হয়। একটা স্রেফ টুকলিফাই, অন্যটা পুনর্নির্মাণ।দক্ষিণের একটা ছবি স্রেফ বাংলা নামধাম বসিয়ে ছেড়ে দেওয়া নয়।



ছবির কাহিনীটা একটু বলি- একটা বাস অ্যাক্সিডেন্ট আর দু’টো প্রেমের গল্প। আর তাদের ঘিরে থাকা আরও অজস্র মুখ। সবাই-ই খুব ভালো অভিনয় করেছেন। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সুরে গানগুলো ভালই লাগে। তবে ছবির দৈর্ঘ্য মিনিট পনেরো কম হলে ভাল হত। আর বাসের বাকি চরিত্রদের মধ্যে এক দম্পতি আর এক প্রেম হব-হব যুগলের ব্যাপারটা একটু বোরিং।বাড়ির ছাদে কাপড় শুকোনো হয়, নায়ক লুঙ্গি পরে দাঁত ব্রাশ করে, আবার প্রেমিকার তাড়া খেয়ে আধুনিক দোকানে জামাকাপড় কিনতেও যায়, ক্যাফেটেরিয়ায় গল্প করতেও বসে। থ্যাঙ্ক ইউ, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী! সব কিছু মিলিয়ে ছবিটা ভালো লেগেছে। এটাই বড় কথা।যারা মুভিটি দেখেননি তারা দেখতে পারেন।



সামু ব্লগটা আমার অনেক প্রিয়।আমি নিয়মিত সামুতে লিখি। প্রায় ৩/৪ বছর হয়ে গেছে। সেদিন নাগরিক ব্লগে একটা লেখা পোষ্ট করেছিলাম, সেটা নিয়ে নাগরিকের ব্লগার'রা আমাকে বাজে মন্তব্য করেছে। সেই লেখাই আমি সামুতে দিয়েছি কেউ বাজে মন্তব্য করেনি। লেখাটির নাম হচ্ছে- "আধুনিকতার নামে চলছে বেহায়াপনা"। আসলে কয়েকটা বদমাশ ব্লগারের জন্য ব্লগের বদনাম হয়। দুঃখেরম বিষয় হচ্ছে- ব্লগ থেকে তাদের ব্যান করা হয় না। এর আগে " আমার ব্লগ" এ দেখেছি- অকথ্য ভাষায় গালা-গালি চলছে। এখন কি অবস্থা জানি না। তবে সামুকে অনেক হিংসা করা হয়। মাঝে মাঝে মনে হয়- ব্লগের মধ্যেও দল ঢুকে গেছে। কথায় বলে না- একটা কানী বক সারা বিল নষ্ট করে দেয়। একজন ব্লগার'ও ঠিক এই রকম ।



স্বপ্নে দেখলাম, এক মেয়ে আমাকে বলছে- কলিজা খাবে ? জ্যান্ত মানুষের কলিজা? অনেক স্বাদ। কলিজা হচ্ছে জমাট রক্ত। আমি বললাম খাবো না। মেয়েটি রেগে গিয়ে বলল- খাবি না ক্যান, খেতেই হবে। মেয়েটি আমাকে নিয়ে একটি ঘরে গেল। সেই ঘরে অনেক মানুষ । প্রতিটা মানুষকে বেঁধে রাখা হয়েছে। মেয়েটি বলল- বেছে নে, কার কলিজা খাবি। ভয়ে আমার হাত পা কাঁপছে। মেয়েটি আমার সামনেই একজনের বুকের মধ্যে ছুরি চালিয়ে কলিজা বের করে আনল। কলিজাটা কাঁটা মুরগীর মতন লাফাচ্ছে। মেয়েটি আমার মুখের কাছে কলিজাটা ধরে বলছে- খা। তারপর মেয়েটি পটাপট তিন কামড় দিয়ে অনেকখানি কলিজা খেয়ে নিল। মেয়েটির ঠোঁট গড়িয়ে টপ টপ করে রক্ত পড়ছে।



আমি কিছুই লিখতে জানি না। কিন্তু এমন ভাব নেই- যেন আমি অনেক পাকনা লেখক। অনেক সময় মানুষ আমার ভাব দেখে ভড়কে যায়। আমার লেখা মানেই ফালতু এবং সস্তা। কিন্তু হাতে গোনা কিছু মানুষ আমার লেখা অনেক পছন্দ করে। আমি মনে করি যারা আমার লেখা পছন্দ করে- তারা অবশ্যই বোকা। বুদ্ধিমান সস্তা লেখা পড়ে না।আসলে কিছু মানুষ যা দেখে তাতেই মুগ্ধ হয়। আফসোস, এত মুগ্ধতা নিয়ে আমি যদি জন্মাতে পারতাম! যাই হোক, এই মুহুর্তে একটি বড় মাত্রার ভুমিকম্প হলে ঢাকা শহরের অবস্থা কি হবে? সারা ঢাকা শহর পুরোটা এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে। হে আল্লাহ- আমি জানি তুমি এত নিষ্ঠুর কোনো দিনও হবে না। আমাদের দেশটাকে আমরা অনেক দূর নিয়ে যাব।আমাদের আছে- ৩২ কোটি চোখ-৩২ কোটি হাত ।



"মন মহাজন কোন সে জন

চিনলাম না আজো তারে,"।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: ইদানীং কালে দেখা, বুঝে না সে বুঝে না "- চমৎকার একটা মুভি।
পরিচালকের কাজ দারুন পছন্দ হয়ছে। সবার অভিনয় বেশ ভালো লেগেছে।

আপনি আমার খুব পছন্দের লেখক। যা বলার সরাসরি সহজ ভাষায় বলেন।এই জিনিসটাই বেশ ভালো লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.