নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় হুমকি হল সৌদি আরব

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

এই গনমৃত্যূ ঠেকাতে হবে। এটি এখন বছর বছর নিয়মিত হচ্ছে। ভারতের এলাহাবাদের কাছে গঙ্গা-যমুনার সঙ্গমস্থলে প্রতি তিন বছরে একবার কুম্ভ মেলায় ২০-৩০ কোটি মানুষ সমবেত হয় পুন্যস্নানের উদ্দেশ্যে। সেখানেও সারা পৃথিবী থেকে পূন্যার্থীরা সমবেত হয় এবং পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ এই সমাবেশ ১০/১২ দিন ধরে চলে।
কিন্তু এলাহাবাদের ত্রিবেনী সঙ্গমে বিশ্বের সর্ববৃহত এই সমাবেশে হজের মতো এমন নির্মম ও ব্যাপক প্রানহানীর ঘটনার কথা একবারও শোনা যায়নি। অথচ হজ্ব করতে গিয়ে গনপ্রানহানী নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত অসংখ্য মানুষ প্রান দিয়েছেন। এর অবসান হওয়া অতি জরুরী।

একটা বিষয় পরিষ্কার, আমেরিকার তল্পীবাহক সৌদী রাজার পক্ষে এর অবসান ঘটানো সম্ভব নয়। তার হয়তো এ নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই নেই। অথচ প্রতি হজ্ব মৌশুমে সউদী সরকারের আয় বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা। তারা হজ্বের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় করবে, অথচ হজ্বযাত্রীদের জীবনের কোনও মূল্য তাদের কাছে নেই বলেই মনে হয়।

এই কারনেই ইসলাম ধর্মের পবিত্র স্থান গুলির রক্ষনাবেক্ষন, ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব সম্পর্কে নতুন করে ভাবা উচিত। এই দায়িত্ব ভ্যাটিকানের মতো কোনও সংস্থা গঠন করে তার উপর ন্যস্ত করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি হজ্বযাত্রীদের সংখ্যা নিরাপত্তা ব্যবসথার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ন করে নির্ধারন করাও জরুরী।


মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ না করে সৌদি বাদশাকে পাথর নিক্ষেপ করা হোক। ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে লাখ লাখ টাকা দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার ঘুচাতে চান।

এই আরব শাসক, যারা মধ্য প্রাচ্যের শান্তি রক্ষায় শুধু নিরবই নয় বরং পাষাণ ভুমিকা পালন করে আসছে আজ অব্দি। ফিলিস্তিন শিশু বাচ্চার বুকে কামানের গোলা ভেদ হয়ে যাওয়া চিত্রও এই পাষাণ সৌদি সরকারের মনে একটু দয়ার উদ্রেক হয়নি। একটি বারের জন্য ইসরাইলকে একটু চোখ রাঙ্গানি দিতে চেষ্টা করেনি এই জালিম সৌদি সরকার। ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক,ইয়ামেন ধ্বংসযজ্ঞে আরবের এ ভুমিকা দেখে মুসলিম বিশ্ব হতবাক হয়েছে।

বিদায় হজে নবীজির ভাষণ আরব শেখেরা আজ বেমালুম ভুলে বসে আছে। প্রত্যেক মুসলমান একে ওপরের ভাই স্বরূপ। যেখানে আয়লান নামের ছোট শিশু বাঁচার প্রত্যয় নিয়ে সুমুদ্রের কিনারায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। আর সেখানে আরব শেখেরা সোনা মোড়ানো কমোডে আর প্রাচুর্যে নিজেদের আভিজাত্য প্রকাশ করে ।

পবিত্র আল কোরআনে বলা হয়েছে, মানুষ যখন ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে পড়ে তখন আল্লাহকে ভুলে যায়। আর তখনই আল্লাহ তাদেরকে আজাব দেন। আজ পবিত্র হজের দিনে অনেক পরিবার তাদের আত্মীয় স্বজনদের হারাল। এটাকে আরবদের বাবস্থাপনার উদাসীনতা ছাড়া আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। কাবা শরীফে ক্রেন দুর্ঘটনাও একই রকম দায়িত্বহীনদের পরিচয় দেখিয়েছে আরব সরকার।

আমি সব সময় বলি, আজ আবার বলছি- মানবতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় হুমকি হল সৌদি আরব। মুক্তিযুদ্ধের সময় সৌদি আরব আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এমনকি পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পরও বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকাকালীন সৌদি আরব বাংলাদেশকে স্বীকার করেনি।

প্রাচীনকালে আরবে মেয়েদের জীবিত কবর দেবার এক নিষ্ঠুর পদ্ধতি প্রচলিত ছিল। সন্তান প্রসবকালেই মায়ের সামনেই একটি গর্ত খনন করে রাখা হতো।

সিরিয়ার শরণার্থীরা জীবন বাঁচাতে স্বজাতিদের কাছে আশ্রয় না পেয়ে যখন ইউরোপে ছুটছেন, তখন তিন দিনের সফরে আমেরিকা গিয়ে একটি হোটেলের পুরোটাই ভাড়া নেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। এরা বোধ করি বিশ্বের সবচাইতে কামাতূর লোক।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ না করে সৌদি বাদশাকে পাথর নিক্ষেপ করা হোক। ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে লাখ লাখ টাকা দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার ঘুচাতে চান।

এই আরব শাসক, যারা মধ্য প্রাচ্যের শান্তি রক্ষায় শুধু নিরবই নয় বরং পাষাণ ভুমিকা পালন করে আসছে আজ অব্দি। ফিলিস্তিন শিশু বাচ্চার বুকে কামানের গোলা ভেদ হয়ে যাওয়া চিত্রও এই পাষাণ সৌদি সরকারের মনে একটু দয়ার উদ্রেক হয়নি। একটি বারের জন্য ইসরাইলকে একটু চোখ রাঙ্গানি দিতে চেষ্টা করেনি এই জালিম সৌদি সরকার। ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক,ইয়ামেন ধ্বংসযজ্ঞে আরবের এ ভুমিকা দেখে মুসলিম বিশ্ব হতবাক হয়েছে।

বিদায় হজে নবীজির ভাষণ আরব শেখেরা আজ বেমালুম ভুলে বসে আছে। প্রত্যেক মুসলমান একে ওপরের ভাই স্বরূপ। যেখানে আয়লান নামের ছোট শিশু বাঁচার প্রত্যয় নিয়ে সুমুদ্রের কিনারায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। আর সেখানে আরব শেখেরা সোনা মোড়ানো কমোডে আর প্রাচুর্যে নিজেদের আভিজাত্য প্রকাশ করে ।

পবিত্র আল কোরআনে বলা হয়েছে, মানুষ যখন ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে পড়ে তখন আল্লাহকে ভুলে যায়। আর তখনই আল্লাহ তাদেরকে আজাব দেন। আজ পবিত্র হজের দিনে অনেক পরিবার তাদের আত্মীয় স্বজনদের হারাল। এটাকে আরবদের বাবস্থাপনার উদাসীনতা ছাড়া আর কিছু বলতে চাচ্ছি না

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১

ফরিদ আলম বলেছেন: ভারতে কেদার এবং অনান্য অনেক তীর্থ স্থানে গুজব রটে অনেক বার প্রচুর লোক মারা গেছে। আপনি খবর না নিয়েই সৌদি আরবের প্রতি ক্রোধ উগ্রে দিচ্ছেন।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫০

সেয়ানা ০১ বলেছেন: ভারতের বিভিন্ন মন্দিরে পদ পিষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আপনি জানেন না, বা জানলেও গোপন করছেন| সবচেয়ে বেশী মরছে এলাহাবাদের কুম্ভমেলায়| আশা করি লিখার আগে একটু লেখা-পড়া করে নেবেন !

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

সেয়ানা ০১ বলেছেন: সিরিয়ার শরণার্থীরা জীবন বাঁচাতে স্বজাতিদের কাছে আশ্রয় না পেয়ে যখন ইউরোপে ছুটছেন.......???!!!

READ Man READ:

With Saudi Arabia's non-signatory status, the Syrians residing in Saudi Arabia are classified as "Arab brothers and sisters in distress" instead of refugees covered by UN treaties. According to Nabil Othman, the UNHCR regional representative to the Gulf region, there were 500,000 Syrian refugees in Saudi Arabia at the time of his statement. The government itself of Saudi Arabia has stated that it has, over the past five years since the start of the conflict hosted 2.5 million refugees.

আশা করি বাংলা ট্রান্সলেট করটে সমস্যা হবে না !! ;)

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

শফিক2003 বলেছেন: পুরো বাপারটা আরবদের বার্থতার প্রমান মিলে। আরাম আয়েশে জীবন যাপন করি এইসব আরবরা প্রতিটি দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নি। অর্থ দিয়ে ক্রেন দুর্ঘটনার বাপারটি ধামাচাপার হীন চেষ্টা করেছে। ভবিষ্যতে ও একই ঘটনার পুনরাবৃতি ঘটবে ,এটাই স্বাভাবিক। আমাদের কে এই নিয়তি মেনে চলতে হবে। অথচ আমাদের গরীব দেশে এস্তেমার সময় এই রকম মানুষের সমাগম হলেও আমরা কিন্তু আমাদের ভালোবাসার অকৃতিম হাতে তা মুকাবেলা করি। এখন পর্যন্ত কোনো বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। সাধু সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ৫ star হোটেলে ভালো থাকবেন।

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৭

রাসেল সরকার বলেছেন: সৌদী গোত্রবাদী মতবাদ শুধু মানবতার বিপরীত নয়, ঈমান দ্বীনেরও বিপরীত । কেননা ১৯৩২ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর একটা গণহত্যা, রক্তপাত এবং অসংখ্য জলিল কদর সাহাবায়ে কেরামের পবিত্র মাজার শরীফ ধ্বংস ও বহু ওলামায়ে কেরামকে শহীদ করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠীত হওয়ার সাথে সাথেই কাফের এজীদি রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করে সাধারণ মানুষের ভোটার অধিকার ও বাক স্বাধীনতা হরণ করে ।

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৬

সিপন মিয়া বলেছেন: হুমমমম।

৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

স্যার এডলফ হিটলার বলেছেন: ভাই ঠিক বলেছেন। কিন্তু আমরা বাংলাদেশীরা কতটা ভালো তা আরেকবার ভেবে দেখবেন। আমরা সৌদিকে নানা কারনে দোষ দেই, কিন্তু মিয়ানমার এর রোহিঙ্গা ও ভারতীয় মুসলিমদের পক্ষে একটাও কথা বলি না। উলটো আশ্রয় নিতে আসলে তাদের তাড়িয়ে দেই।

রামুর ঘটনার পর নানা দেশ থেকে বৌদ্ধদের জন্য সাহায্য এসেছে। আমাদের উপর হিন্দু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ প্রায়ই হিন্দুরা করে থাকে। কিন্তু আমরা মুসলিমরা এমন কিছুই করিনা।

শুধু সৌদি না আমাদের সব জাতের মুসলিমদের দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলেও ধরমের মানুষের প্রতি নেই। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা । এটাই আমাদের উন্নতির পিছনে বড় বাধা।

৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: নিঃসন্দেহে এটি একটি পরিস্কার নীল নকশা। যার দায়ভার আরব বাদশাহ কোন ভাবেই এড়াতে পারেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.