নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা করব জয়- একদিন

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫

আমার ভাবতে ভালো লাগে, বাংলাদেশ হবে একটি আনন্দময় দেশ। কোনো দুঃখী মানুষ থাকবে। ফুটপাতে কারো ঘর থাকবে না। প্রতিটা শিশু স্কুলে যাবে। সিগনালে গাড়ি থামলে একজনও ভিক্ষুক খুঁজে পাওয়া যাবে না। পত্রিকা খুললেই সব ভালো ভালো খবর থাকবে। কেউ কাউকে কুঁপিয়ে মারবে না। সবার প্রতি সবার থাকবে এক আকাশ ভালোবাসা।

অনেক ভেবেচিন্তে দেখলাম, বাংলাদেশের বেশির ভাগ লোকই ভালো। তারা দেশকে ভালোবাসে, ভালোবাসে দেশের মানুষকে। পৃথিবীর অনেক দেশেই মেয়েরা বাসে ট্রেনে দাঁড়িয়ে তাদের গন্তব্যে যায় কিন্তু আমাদের দেশে কোনো মেয়ে দাঁড়িয়ে তাদের গন্তব্য যায় না, আমরা সিট ছেড়ে দেই। আমি নিজে দেখেছি- আমাদের দেশের ট্রাফিক পুলিশ- রাস্তার সব গাড়ি থামিয়ে ছোট ছোট বাচ্চা আর বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাকে হাত ধরে রাস্তা পার করে দিচ্ছে।

আমি নিজে দেখেছি, আকাশ ভরা মেঘ দেখে এক রিকশাওয়ালা রাস্তার পাশে তার রিকশা থামিয়ে চা শেষ করে বেনসন সিগারেট ধরায়। কারো রক্তের প্রয়োজন হলে ছুটে যায় রক্ত দিতে। অচেনা কোথাও গিয়ে কাউকে ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে দেখবেন, সে আপনাকে খুব সুন্দরভাবে চিনিয়ে দেবে। বাসে উঠলে টাকা নেই বললে, কন্ট্যাকটরও হাসি মুখে মেনে নেয়। দেখেছি, সরকারী হাসপাতাল গুলোতে ডাক্তার দরিদ্র লোকদের এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে চিকিৎসা করছেন।

জানি, ছোট একটা দেশ, মানুষ অনেক। তাই কিছু সমস্যা তো থাকবেই। সমস্যা গুলো আমাদের সবাইকে মিলে সমাধান করতে হবে। আমরা জানি, দেশের প্রতি আমাদের কত ভালোবাসা। অন্য কোনো জাতি আমাদের মতো এতো দেশ নিয়ে ভাবে না। রাস্তার পাশে কোনো চায়ের দোকানে দাঁড়ালেই আপনি তা বুঝতে পারবেন। যখন ক্রিকেট খেলা হয়- আমরা চিৎকার করে গলা ভেঙ্গে ফেলি। যদি জিতে যাই- আনন্দে একটু পর-পর চোখ মুছি। পতাকা নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ি।

বর্তমান সরকার দেশের জন্য অনেক কাজ করছে। তারা যে বলে, ’এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ’ কথাটা খুব একটা ভুল বলে না। আপনি একটি বার ভেবে দেখুন- ছোটবেলা দেখতাম, ভিক্ষুকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিকট সুরে ভিক্ষা করত কিন্তু এখন তারা অনেক স্মার্ট হয়েছে- সিগনাল পড়লে খুব ভদ্রভাবে এসে বলে স্যার পাঁচ টা টাকা দেন। অথবা একটা হকার এসে বলবে, স্যার এডলফ হিটলারের ভালো একটা অনুবাদ বই আছে, ইচ্ছা হলে আপনি সংগ্রহে রাখতে পারেন। একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন, দেশে বেকারের সংখ্যা খুব দ্রুত কমছে।

বাজারে গেলে মনটা খুশিতে ভরে যায়- কোনো কিছুর অভাব নেই। কি সুন্দর করে সবজি গুলো সাজিয়ে রাখে। লাইটের আলোতে মাছ গুলো ঝকমক করে, দেখেই মনটা খুশিতে ভরে যায়। এখন আর এদেশে কেউ না খেয়ে থাকে না। আমি বিভিন্ন বস্তিতে গিয়ে দেখেছি- একদম দরিদ্র লোকেরা ছোট্র মাটির চুলা বা কেরোসিনের চুলায় নানান রকম খাবার রান্না করে পরিবারের সবাই মিলে খাচ্ছে। এবছর অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ইলিশ মাছ হয়েছে। দামও কম। আমি নিজেই সাতটা ইলিশ কিনে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি।

একসময় এদেশের মানুষ খুব দুঃখী ছিল। তারা ভাতে দুঃখী, কাপড়ে দুঃখী, ভালোবাসায় দুঃখী। কিন্তু আজ দেশের প্রতিটা মানুষ তিনবেলা খায়। উলঙ্গ একজন পাগলও চোখে পড়ে না, ঘরে-বাইরে, পার্কে, কলেজে, বড় বড় শপিং মলে এমন কি অফিসে পর্যন্ত মানুষের হাসিমাখা মুখ। হাসিমাখা মুখ দেখে আমার মনটা খুশিতে নেচে ওঠে। একটু আগে চা খেয়েছি, তারপরও আবার রাস্তার পাশের দোকানে দাঁড়িয়ে বলি- মামা এক কাপ চা দেন। দুধ চিনি বেশি। চা বিক্রেতা হাসি মুখে চায়ের কাপ এগিয়ে দেয়। আমিও হাসিমুখে কাপ হাতে নিই।

অনেককেই দেখি, রাস্তায় যানজটে পড়লে মুখটা কুঁচকে থাকেন। আরে ভাই, একটু ভালো করে দেখুন- একটা ছেলে কি হাসি মুখে আমড়া বিক্রি করছে। আমড়া গুলো কি সুন্দর করে সাজিয়ে ধরে রেখেছে। কেউ বাদাম বিক্রি করছে, বাদাম কিনলে সাথে আবার ছোট্র একটা কাগজে এক চিমটি লমও দিয়ে দেয়। আমড়া, বাদাম ভালো না লাগলে- ভালো করে তাকিয়ে দেখুন- একটা ছোট ছেলে খবরের কাগজ বিক্রি করছে, পাঁচ টাকা দিয়ে কিনে পড়তে শুরু করেন। যদি তাও ভালো না লাগে তাহলে মোবাইলে গেমস খেলুন।

শুধু গ্রামের মানুষ না। ঢাকা শহরের মানুষ গুলোও সহজ সরল। যখন আপনার মন মেজাজ বিক্ষিপ্ত থাকবে তখনই শুধু আপনার মনে হবে এরা বদ। বিরাট বদ। সব কিছু সহজ ভাবে দেখুন। দেশের মানুষকে ভালোবাসুন তাহলেই আপনার দেশকে ভালোবাসা হয়ে যাবে। আর এভাবে একদিন দেখবেন ঠিকই বাংলাদেশ আনন্দময় একটা দেশে পরিনত হবে। এজন্য আমাদের সবার মিলে মিশে থাকতে হবে। রাগ, হিংসা, বিদ্বেষ এবং অলসতা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। আসুন গান গাই-

''আমরা করব জয়, আমরা করব জয়- একদিন,
ও বুঁকের গভীরে আছে প্রত্যয়, আমরা করব জয় নিশ্চয়।
জয় বাংলা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪১

কিরমানী লিটন বলেছেন: আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদেরই গড়ার অপেক্ষায়...!!!
শুভকামনা রইলো ...

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: স্বয়ং সম্পূর্ণ একটা বাংলাদেশের স্বপ্ন অনেকেই দেখে। অনেকেই আবার স্বপ্নটাকে বাস্তবও করতে চায়। কিন্তু হয় নারে ভাই শেষে!
ষোল কোটি জনসংখ্যার ভিতরে থাকা কয়েকহাজার মানুষের স্বপ্ন কি আর বাস্তবায়িত হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে?

তবু চেষ্টা করে যেতে হবে - যদি একটা কিছু হয়। নিজে ভাল তো জগৎ ভালো - কথাটা সত্য-মিথ্যা দুটোই। দেখি এইটা সত্য হয় কিনা!

লেখাটা বেশ ভাল লাগলো।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধনবাদ। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২১

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: পড়লাম মন্তব্য নাই। আমি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি ক্রমশ: বাঙ্গালীর হাজার বছরের পরীক্ষিত মানবতার পুন:প্রতিষ্ঠা চাই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধনবাদ। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.