নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফোটোগ্রাফী- ৩১

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

যেহেতু আমি একটা পত্রিকা অফিসে ফটোসাংবাদিক হিসেবে কাজ করি, তাই ফটোগ্রাফী নিয়ে অনেকের নানান রকম প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তাদের প্রশ্ন গুলো এই রকমঃ
১। পুরান ঢাকায় কি কোনো ভালো প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি কোর্স করায়?
২। ফটোগ্রাফি শেখার ভালো কোন বই আছে কী?
৩। দেশে কারা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি কোর্স করায়?
৪। ফটোগ্রাফি করতে চাইলে কোন ধরনের ক্যামেরা কিনতে হবে?
৫। উড়ন্ত পাখীর ছবি তোলার জন্য কোন ফোকাসিং মোড ইউজ করবো?
৬। নয়েজ রিডাকশন এর কাজ কী?
৭। নাইকন ভালো না ক্যানন ভালো?
৮। পেছনে ঘোলা করে কিভাবে?
৯। ক্যামেরার ISO কি?
১০। ফটোগ্রাফি শিখতে চাই কিভাবে শুরু করব ?
১১। কোন লেন্স কিনব?
১২। একটি ক্যামেরা কিনতে চাই। বাজেট ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কী ক্যামেরা কেনা যায় ?
১৩। ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে সর্বোচ্চ কতটি ছবি তোলা যায়?

ড. জাকির নায়েক প্রশ্ন করা হয়েছিল- ইসলামে ফটোগ্রাফি (ছবি তোলা) অনুমোদিত কি নিষিদ্ধ?
উত্তরে ড.জাকির নায়েক ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন- এ প্রশ্নের পিছনে রয়েছে মুলত একটি হাদীস যেটা আছে সহীহ্ বুখারিতে। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ(সা.) বলেছেন: “কিয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন শাস্তি ভোগ করবে [জীবন্ত বস্তুর] ছবি তৈরী কারিরা।” [বুখারী: ৫৯৫০; মুসলিম: ২১০৯]
এবং ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীস থেকে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “যে কেউই ছবি তৈরী করল, আল্লাহ তাকে [কিয়ামতের দিন] ততক্ষণ শাস্তি দিতে থাকবেন যতক্ষণ না সে এতে প্রাণ সঞ্চার করে, আর সে কখনোই তা করতে সমর্থ হবে না।” [বুখারী:২২২৫; মুসলিম: ২১১০]

এখন একজন মানুষের পক্ষে তো ছবিতে জীবন দেয়া সম্ভব না।এ হাদীস টা বলছে আসলে হাতে আঁকা ছবি ও ভাস্কর্যের কথা। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন যে এর মধ্যে ফটোগ্রাফ ও পরবে। তবে পরে যখন ফটোগ্রাফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। এ হাদীসটা ফটোগ্রাফ এর কথা বলছে না কারণ ফটোগ্রাফি হল আসলে প্রতিবিম্ব, যেটা ধারণ করা হয় কাগজে।ভিডিওগ্রাফি ও একি রকম,ভিডিওগ্রাফি এক ধরনের প্রতিবিম্ব যেটা হয়ত ধারণ করা হয় ফিল্মে। নবীজির সময় কোন সাহাবী যদি পানিতে প্রতিবিম্ব দেখে চুল আচরাতেন। নবী (সা:) তাকে কখনই বাঁধা দেন নি, তিনি কখনো মুসলিমদের আয়না দেখতে নিষেধ করেন নি। এ ভাবে আমরা জানতে পেরেছি যে ফটোগ্রাফি এ ক্যাটাগরিতে পরে না ছবি আঁকার যে ক্যাটাগরিটাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানে মুলত বলা হচ্ছে হাতে আঁকা ছবি ও ভাস্কর্যের কথা। ফটোগ্রাফি জিনিসটা আসলে নিষিদ্ধ না। তবে এখানে আমাদের এটা দেখতে হবে যে কোন উদ্দেশ্যে সেটা ব্যাবহার করছি।

এখন যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ছুরি জিনিসটা ভাল না খারাপ, যদি ছুরি দিয়ে শাক-সবজি কাটা হয় তাহলে ভাল, যদি ডাকাতির জন্য ব্যবহার করা হয় তাহলে খারাপ, একি ভাবে ফটোগ্রাফির ব্যাপারেও। যদি ফটোগ্রাফি ব্যাবহার করেন কোন ভাল উদ্দেশ্যে, তাহলে অবশ্যই অনুমতি আছে, তবে যদি ফটো ব্যবহার করেন খারাপ উদ্দেশ্যে যেমন - [পর্নোগ্রাফি, অশ্লীলতা] ইত্যাদি, তাহলে ইসলামে এটা নিষিদ্ধ এবং কেউ যদি অশ্লীল ফটো তুলে, যেটা শরিয়ত বিরোধী। তাহলে এর দ্বারা উপার্জিত অর্থও হারাম হবে।

শুধু ছবি তুললে হবে? ধাঁধাও জাণোটে হবে- রফিক সাহেব কিছু খরগোশ নিয়ে বাগানে বেড়াতে গেছেন। তার এক বন্ধু তখন পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, সে জিজ্ঞাসা করল, আপনার কয়টি খরগোশ? রফিক সাহেব একটি ধাঁধার মাধ্যমে উত্তর দিলেন, তিনি বলেন, “দুইটি খরগোশের ডানে দুটি খরগোশ, দুইটি খরগোশের বামে দুটি খরগোশ, দুইটি খরগোশের সামনে দুটি খরগোশ, দুইটি খরগোশের পিছনে দুটি খরগোশ।"
তখন তার বন্ধু সাথে সাথে উত্তরটি সঠিক ভাবে বলে দিলেন। বলুন তো রফিক সাহেব এর কয়টি খরগোশ? আর তার বন্ধুই বা এত দ্রুত উত্তর কিভাবে দিলেন?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
++++

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাস্কর্য, চিত্রকর্ম নিষিদ্ধ হে হে। গুড =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.