নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ওটির সামনে সবাই ভিড় করে আছে। শুধু জয়নাল সেখানে নেই। সে বেবিটেক্সি নিয়ে তার বাসায় চলে গেছে। বাসা থেকে সে পাসপোর্টটা নেবে। সেখান থেকে যাবে বাদামতলী। বাদামতলী থেকে একটা নৌকা ভাড়া করে সে যাবে বুড়িগঙ্গার মাঝখানে। মাঝ বুড়িগঙ্গায় সে আল্লাহকে বলবে - আল্লাহপাক, আমি আমার জীবনের সবচে' প্রিয় জিনিসের বিনিময়ে চাচাজির জীবন ভিক্ষা চাইছি। আমার সারা জীবনের শখ আমেরিকা যাওয়া। আমি আমেরিকা যাব না। আল্লাহপাক, আমি পাসপোর্টটা বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিচ্ছি।
সকাল দশটার সময় সত্যি সত্যি মাঝ বুড়িগঙ্গায় জয়নাল তার পাসপোর্ট ফেলে দিল। শামসুদ্দিন সাহেব মারা গেলেন সকাল এগারোটায়। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর জ্ঞান ছিল। তিনি চারদিকে তাকিয়ে জয়নালকে খুঁজলেন। বিড়বিড় করে বললেন, পাগলটা গেল কোথায়?
.....
সতেরো বছর পরের কথা। এক মেঘলা দুপুরে জয়নাল নিউইয়র্কে জন. এফ. কেনেডি এয়ারপোর্টে নামল। তার সঙ্গে তার স্ত্রী, দুই পুত্র-কন্যা।
জীবন তার মঙ্গলময় হাত দিয়ে জয়নালকে স্পর্শ করেছে। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় সে অনেকদূর উঠে এসেছে।
জয়নালের বড় মেয়ে শর্মি খুবই অবাক হয়ে বলল, মা দেখ তো কান্ড।! বাবা কাঁদছে। শর্মির মা ইতি বলল, বাবার দিকে এইভাবে তাকিয়ে থেকো না। সে কাঁদছে কাঁদুক।
এরকম করে কাঁদছে কেন মা?
ইতি বলল, আমেরিকা আসা নিয়ে তোমার বাবার অনেক দুঃখময় স্মৃতি আছে। এই জন্যে কাঁদছে।
জয়নালের ছোট ছেলে টগর বলল, আমেরিকা বেড়ানো শেষ হলে আমরা ইউরোপ যাব। বাবা বলেছিল নিয়ে যাবে। সত্যি কি নিয়ে যাবে?
ইতি বলল, তোমার বাবা যদি বলে থাকে নিয়ে যাবে তাহলে অবশ্যই নিয়ে যাবে।
শর্মি বলল, বাবা কেমন হাউমাউ করে কাঁদছে। সবাই তাকাচ্ছে বাবার দিকে। আমার খুব লজ্জা লাগছে। মা, আমি কি বাবার কাছে যাব?
ইতি বলল, না। তোমার বাবাকে একা কাঁদতে দাও। এসো আমরা দেখি আমাদের নিতে গাড়ি এসেছে কি-না।
নিউইয়র্কে জয়নালের একটি ব্রাঞ্চ অফিস আছে। বড় সাহেব প্রথমবারের মত আমেরিকা আসবেন এই খবর তারা পেয়েছে। তারা লিমোজিন নিয়ে এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করছে।"
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: না। জনাব।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটা কি রিভিউ ছিলো??