নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন পাকিস্তান দেশটি সম্পর্কে জানি

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ সব আর্থ-সামাজিক সূচকে এগিয়ে আছে । বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা শহর পাকিস্তানের করাচি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িতক চেতনার দেশ। ভারতও তাই। কিন্তু পাকিস্তান সেই দ্বিজাতি তত্ত্বকে আজো স্মরণ করে যাচ্ছে মহাধুমধামের মধ্য দিয়ে। এই দ্বিজাতি তত্ত্বের সৃষ্টি পাকিস্তানের কাছে থেকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আশা করা সম্ভব কি? ধর্মের নামে দেশটিতে রক্তপাত চলছে। মসজিদ, মন্দির, গির্জায় আত্মঘাতী হামলা হচ্ছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে দিন দুপুরে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে ভিন্ন ধর্মের মানুষদের। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট একটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়।

আমেরিকার দার্শনিক মারডেলের বলেছিলেন, ‘যতদিন ইসরাইল ও পাকিস্তানের মতো দুটি রাষ্ট্র টিকে থাকবে, ততদিন পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কোনো আশা নেই।’ পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের অসংখ্য এবং বড় বড় অমীমাংসিত সমস্যা এখনও বিরাজমান। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য পাকিস্তানের কোনো সরকারই কখনও আগ্রহ বা সদিচ্ছা দেখায়নি। বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অস্তিত্বকে ধ্বংস করার জন্য দেশটির জন্ম থেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পাকিয়েছে এবং এখনও পাকাচ্ছে।

পাকিস্তান ভারতীয় উপমহাদেশের অংশ। ইসলামাবাদ পাকিস্তানের রাজধানী। করাচি দেশটির বৃহত্তম শহর। আত্মঘাতী গৃহযুদ্ধে দেশটি জর্জরিত। বিশ্বের ৩৭তম নিম্ন জিডিপির দেশ পাকিস্তান। নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের শীর্ষ ধনীদের একজন। রীতিমতো ধনকুবের প্রধানমন্ত্রী তিনি। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৪৭, ১৯৬৫ ও ১৯৯৯ সালে তিন তিনবার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এবং বাংলাদেশ নিয়ে ১৯৭১ সালে।

পাকিস্তানে গণতন্ত্রকে রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন সেই পঞ্চাশের দশকে একজন বাঙালী, মৌলভী তমিজুদ্দিন খান। করাচির একটি প্রধান সড়ক এখনো তার নামে নামাঙ্কিত আছে। পাকিস্তানের গণতন্ত্র হত্যায় সে দেশের বিচারপতিরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। প্রথম সমস্যা তালেবানি ও জাতিগত সন্ত্রাস । এমন কোন দিন নেই যেদিন কোথাও না কোথাও বোমা বিষ্ফোরণে নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে । পাকিস্তানের সাধারন জনগন দীর্ঘ ৬৬ বছরের দূঃশাসন আর অপশাসনে অতিষ্ঠ ।

দেশে জ্বালানি ও অর্থনৈতক সংকট প্রকট । করাচি লাহোরের মতো শহরে দিনে বার হতে ষোল ঘন্টা পর্যন্ত লোড শেডিং হয় । জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৪% এর নীচে আর মূদ্রাষ্ফিতী ১১% এর উপর । কোন কোন মাসে তা ২৫% পর্যন্ত হয়েছে । আইন শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে অনেক আগে । স্বাস্থ ও শিক্ষা খাত কোন রকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে । দূর্নীতি পাকিস্তানে একটি শিল্প হিসেবে গড়ে উঠেছে । তবে সব চেয়ে বড় চ্যলেঞ্জ হচ্ছে সেনা বাহিনীর সাথে সমঝোতা রেখে চলা । গত পাঁচ বছর সেনা বাহিনী বেশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে । আগামীতে সেনা বাহিনীর সাথে সরকারের সম্পর্ক কতটুকু ইতিবাচক হয় তাও দেখার বিষয় ।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে পাকিস্তানি জেনারেলদের অনেকেই লিখেছেন। যারা পড়েছেন তারা জানেন এসব বইয়ের প্রায় সবটাই মিথ্যাচারে ভরপুর।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানের কাছে পাওনা অর্থ, সম্পদ ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ভাগ পাওয়ার কথা ছিল। পাকিস্তান তা দেয়নি। বাংলাদেশে আটকে পড়া কয়েক লাখ অবাঙালি পাকিস্তানি নাগরিককে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেয়ার কথা ছিল। পাকিস্তান নানা গড়িমসির পরও তাদের সবাইকে ফেরত নেয়নি। বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদারদের এতো ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটনের পরও বঙ্গবন্ধুর সরকার স্বাধীনতা লাভের আড়াই বছরের মধ্যে পাকিস্তানের দিকে মৈত্রীর হাত বাড়ান এবং দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তিনি সব তিক্ততা ভুলে লাহোরে ছুটে গিয়েছিলেন এবং পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিলেন। ভুট্টোকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছিলেন, খরাব and let live- তোমরা বাঁচো এবং আমাদেরও বাঁচতে দাও।

বাংলাদেশের এই উদারতা ও মহত্ত্বের প্রতিদান ভুট্টো এবং পাকিস্তান কীভাবে দিয়েছেন? ঢাকায় এসেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী মহলটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা চক্রের গোপন ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেন। পাকিস্তান ’৭১ সালে বাংলাদেশে বর্বর গণহত্যা চালানোর জন্য আজ পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। বিশ্বের মানবতাবাদী মানুষরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে ঘৃণা করে।

একবার এক আফগান করাচী বিমানবন্দরে নেমে নিজে নিজেই তার জন্যে ভিআইপি ট্রিটমেন্ট দাবী করে বসলো। তার দাবী সে আফগানিস্তানের নৌমন্ত্রী। একথা শুনে ইমিগ্রেশনের অফিসারেরা তাকে পাগল ভেবে বসলো। তারা বললো যে যে দেশে নদী বা সমুদ্র নেই, সেই দেশে নৌমন্ত্রী আসে কোত্থেকে! তারা আফগানকে পাগল আখ্যায়িত করে তাড়িয়ে দিতে উদ্দত হলে আফগান মুচকি হেসে বলে আফগানিস্তানে নদী-সমুদ্র না থাকার কারনে যদি নৌমন্ত্রী না থাকতে পারে তবে রে ভোদাই তোদের পাকিস্তানে আইন ও বিচার মন্ত্রী এলো কোত্থেকে?

পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় হলো পাকিস্তানের সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় । মুঘলদের পতনের পর ১৭৬৭ সালে লাহোর একটি শিখ রাজ্যের রাজধানীতে পরিণত হয়। পাকিস্তানে বসবাসরত বাঙালিদের একটি পল্লী আছে। পাকিস্তানে বাঙালিরা মারাত্বক ভাবে বৈষম্যের শিকার । পুলিশের অত্যাচারও তুঙ্গে, দোষ একটাই- তাঁরা বাঙালি । ( এই বাঙ্গালী হচ্ছে- ৭১ এ পালিয়ে যাওয়া রাজাকার ও তাদের পরিবার)

যদি তারা ঐতিহাসিক ভুল থেকে শিক্ষা নেয় তাহলে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক পাকিস্তান।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০২

আলী বলেছেন: আফগানিস্তানে নদী-সমুদ্র না থাকার কারনে যদি নৌমন্ত্রী না থাকতে পারে তবে রে ভোদাই তোদের পাকিস্তানে আইন ও বিচার মন্ত্রী এলো কোত্থেকে?

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: পাকিস্তানীরা মূখে যা বলে অন্তরে তা বিশ্বাস করে না, তাছাড়া বর্নবিদ্বেষী প্রবল। প্রবাসে যারা এদের সাথে মেলামেশা করেছেন তারা এটা জানে।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

কোলড বলেছেন: Regurgitation of old info..I expected something new and it seems you have not even read any new books on Pakistan. Try reading "Pakistan, a Hard country" by Lieven or "Fighting to the end" by Christine Fair, a known pakistan hater.
Despite all the flaws, Pakistan has successful transfer of power between 2 rivals which we, Bangladeshi, couldn't do in last 30 years after Ershad's fall and their current judiciary is known to be fiercely independent whereas less said is better about our supreme court justices.

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৩

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: হায়রে বাঙ্গালী স্বাধীনতার ৪০ বচর শেষ হল কিন্তু তোরা এখন ও নিজ দেশ নিয়া ভাবার সময় হলনা , ভাবলি সুধু ভারত পাকিস্তান নিয়া কে ভাল ভারত ? নাকি পাকিস্তান ?
আলোচনার সারাংশ গ্রহণীয় । কিছু বলার আগে একটা কাহানি শুনাই

গত কিছু দিন আগে মাক্কার হারাম এলাকায় এক পাকিস্তানির সাথে আমার দেখা হয় , টুকিটাকি আলোচনা সুরু করি তার সাথে । আলোচনার এক সময় সে আমাকে বলে ( বেটা তুমহারা বাংলাদেশ কা আযাদি আভি তক পাকিস্তান কি এক ইলান পর খাতাম হ সেক্তা হায় )
মাথাটা সাথে সাথে জিম ধরে যায় ,ঘটনা কোন খানে ?
তার সাথে কথা না বাড়িয়ে ভাবতে থাকি , আর ফলাফল মিলাতে থাকি ,না মেলেনা
ভাগ্য ভালই মনে হয় আপনার লিখা থেকে একটা উত্তর মিলে গেল সেই পাকিস্তানির ইঙ্গিত মনে হয় এটাই ছিল ।

লিখক তাঁর একটা জায়গায় লিখলেন ,
(কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৪৭, ১৯৬৫ ও ১৯৯৯ সালে তিন তিনবার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এবং বাংলাদেশ নিয়ে ১৯৭১ সালে। )
আমার মাথা বেথা এখানে ই

কারন আমরা যানি যখন কোন দুই দল খেলে তখন এক দল হারে , আর এক দল জিতে, যারা জয়লাভ করে তারা পুরুস্কার টা পায় ,
১৯৭১ সালের যুদ্ধ টা যদি ভারত পাকিস্তান এর মাজেই হয়ে থাকে তা হলে তো পাকিস্তান ভারতের কাছে হেরে যায় এবং বাংলাদেশ নামক এলাকাটা ভারত লাভ করে
যদি এটাই আমরা মেনে নেই তা হলে তো স্বাধীন বাংলাদেশ নামক কোন রাষ্ট্রই নেই , যেটা আছে সেটা হোল বাংলাদেশ নামক ভারতের কোন প্রদেশ ।
অবশ্য গত কয়েক বচর আগেই আমাদের বর্তমান প্রধান মন্ত্রীকে বাংলাদেশের মুখ্য মন্ত্রি বলে ভারত সে দিকেই একটা যানান দিলেন , এটা আমাদের প্রধান মন্ত্রীর কুরসিতে আঘাত করেছে কিনা আমি যানিনা তবে আমার স্বাধীন সত্তার উপর আঘাত করেছে কিন্তু কিছুই বলতে পারিনাই ,কারন পাছে লোকে কিছু বলে ।

কংগ্রেসের সদস্য হওয়ার পরেও যখন মহাম্মাদ আলি জিন্নাহ পাকিস্তান মুসলিম লীগ ঘঠন করে তখন গান্দিজি কে অখন্ড ভারত প্রস্নে প্রশ্ন করা হলে তিনি যা বললেন ।

কংগ্রেস অখন্ড ভারত নীতি ত্যাগ করিয়াছে এই কথা সত্য নয় , তবে সাময়িক ভাবে আমরা মুসলিম লীগ কে মানিয়া নিয়াছি এই সর্তে যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দুই দেশ হবে তা হলে আমরা এই পথেই আমদের অখন্ড ভারত পুনরায় পিরে পেতে পারি ।

গোলাম আযম গংগ রা মনে হয় এই চক্করেই পড়েছে

স্বাধীনতার বিজয়ের আগ মুহূর্তে তাজ উদ্দিন সাহেবের করা ভারতের সাথের চুক্তির ধারা গুলা এক বার পড়ে দেখেন তা হলে আর ও অনেক কিছুই পরিস্কার হবে

আমাদের দেশের অনেক হিন্দুই বলে থাকেন এমন হবে যানলে আমি যুদ্ধই করতাম না
কিন্তু বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধ প্রস্নে মুসল্মান রা কোন কিছুই ভাবে নাই তারা সপ্ন দেখছে সুধু একটা স্বাধীন আবাশ ভূমির যেটা পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে যিম্মি

পরিশেষে বলব বাংলাদেশ এর স্বাধীনতা কাহার ও দয়ার দান নয় এটা রক্ত দিয়ে কেনা হয়েছে ।

সতরাং এর মুল্লকে অবহেলা করার সাহস কেউ যেন না করে ,১৯৭১ ভারত পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ নয় জীবন বাজি রাখা বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ , যেখানে পাকিস্তান হেরেছে হাঁ পাকিস্তান হেরেছে মুজিবের কাছে ও তাঁর লক্ষ সন্তানের কাছে ।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

সানি ফরায়েজি বলেছেন: জানতে পেরে ভাল লাগল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.