নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। মেয়েরা হচ্ছে জন্মদাত্রী জননী। হাজার ভুল করলেও এদের উপর রাগ করতে নেই। এদের উপর রাগ করাটাই কাপুরুষতা। অক্ষম এবং দুর্বল পুরুষরাই শুধু স্ত্রীর সঙ্গে রাগারাগি করে।
--- জোছনা ও জননীর গল্প - হুমায়ূন আহমেদ
২। “নি” বিশেষশ্রেণীর ক্ষমতাধর কিছু মানুষ। অনেক বছর পর পর প্রকৃতিতে একজন “নি” আসে। প্রকৃতি এদের অসীম সৃষ্টিশীল ক্ষমতা দিয়ে পাঠিয়েছে। উপন্যাসের মুল চরিত্র “মুবিনুর” একজন “নী”। তবে সে এই বিষয়ে অবগত নয়। মাঝে মাঝেই স্বপ্নে কিছু বুড়ো মানুষকে দেখতে পায়, যাদের কথা সে কিছুই বুঝে না।
নীলগঞ্জ হাইস্কুলের জন্য “ফুড ফর ওয়ার্ক” প্রজেক্টে সরকারীভাবে ১০ বস্তা গম দেয়া হয়। হেডমাস্টার হাফিজুল কবির মুবিনুরকে দিয়ে সাইন করিয়ে গম আনেন। মূলত গম বরাদ্ধ হয়েছিল ১০০ বস্তা। বাকীগুলা উপজেলা অফিসের লোকজন খালাস করে দিয়েছে। উপর থেকে এই বিষয়ে খোঁজ করা হলে হেডমাস্টার মুবিনুরকে ফাসিয়ে দেয়……
মৃত্যুতে খুব বেশি দুঃখিত হবার কিছু নেই। প্রতিটি জীবিত প্রানীকেই একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর মরতে হবে। তবে এ মৃত্যু মানে পুরোপুরি ধ্বংস নয়। মানুষের শরীরে অযুত, কোটি,নিযুত ফান্ডামেন্টাল পার্টিকেলস যেমন- ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন-এদের কোন বিনাশ নেই। এরা থেকেই যাবে। ছড়িয়ে পড়বে সারা পৃথিবীতে। কাজেই মানুষের মৃত্যুতে খুব বেশি কষ্ট পাবার কিছু নেই।
নি # হুমায়ূন আহমেদ
৩। হাঁটতে হাঁটতে হাসান আকাশের দিকে তাকাল। আকাশে মেঘ জমতে শুরু করেছে। কে জানে আজও হয়তো বৃষ্টি হবে।
হাসানের ইচ্ছা করছে কোনো জনমানবহীন শুন্য দ্বীপে নতুন কোনো প্রোজেক্ট শুরু করতে। দ্বীপটার নাম দেয়া যাক মায়া দ্বীপ। সেই দ্বীপে শুধুই কদম গাছ থাকবে। বর্ষায় ফুটবে কদম ফুল।
কোনো এক আষাঢ় সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে। হাসান বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কদম বনে ঘুরে বেড়াবে। সে খুঁজে বেড়াবে তার প্রিয় মুখদের। যেহেতু দ্বীপের নাম মায়াদ্বীপ কাজেই খুঁজলেই সব প্রিয়জনদের সেখানে পাওয়া যাবে। তাদের খুব কাছে যাওয়া যাবে না। কিন্তু তাদের পায়ের শব্দ পাওয়া যাবে। প্রিয় পদরেখা দেখা যাবে। শোনা যাবে তাদের চাপা হাসি। হাসান যখন ডাকবে - বাবা অন্তু তুমি কোথায় গো? তখন কোনো কদম গাছের আড়াল থেকে অন্তু বলবে, আমি এখানে।
হাসান আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আকাশে বৃষ্টি ও মেঘমালা।
--- বৃষ্টি ও মেঘমালা - হুমায়ূন আহমেদ
৪। হোটেল গ্রেভার ইন # হুমায়ূন আহমেদ
বইটিতে মোট ১৭ টির মত ছোট গল্প আছে। বইটা যারা পড়েননি আমার মতে অনেক বড় কিছু একটা মিস করলেন!! বইটা পড়ার পর হয়তো হুমায়ূন স্যার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।
"হোটেল গ্রেভার ইন" এই গল্পটি বইটির প্রথম গল্প। হোটেল গ্রেভার ইন মূলত একটি হোটেলের নাম আর এই হোটেলটি তার মালিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জন্য দান করে গিয়েছেন। আর তার মধ্যেই হুমায়ূন স্যার এর থাকার ব্যবস্থা হয়।
৫। বাদশা নামদার - হুমায়ূন আহমেদ
বইয়ের ১৩৬ পৃষ্ঠায় স্ত্রী হামিদা বানু এই সম্রাটকে বলছেন, ‘আপনি দুর্বল সম্রাট; কিন্তু অত্যন্ত সবল একজন কবি।’
৭৩ পৃষ্ঠায় তার চিরশত্রু শের শাহ যিনি হুমায়ূনকে পরাজিত করে আগ্রা দখল করেছিলেন। তাঁরও নির্দেশ ছিল সম্রাট হুমায়ূনকে কোন অবস্থাতেই হত্যা করা যাবে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, “তিনি মহান মানুষদের একজন। এই মানুষটির অন্তর স্বর্ণখণ্ডের মতো উজ্জ্বল। সেখানে কলুষতার কণামাত্র নাই।”
এই বইটি পড়লে মনে হবে রাজসভা থেকে যুদ্ধক্ষেত্র, জলসাঘর থেকে হেরেমে ঢুকে পড়ছেন!!
৬।
©somewhere in net ltd.