নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিছিয়ে পড়তে না চাইলে বই পড়তে হয়

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮




১। জিনিসটা ঠান্ডা। অথচ ফুঁ দিয়ে খাই।
সেটা কি?

২। দশটা কাঠের বাক্সে ১০০ টা করে কাঁচের গুলি আছে। প্রতিটি গুলির ওজন ১০ গ্রাম করে, শুধু একটা বাক্সের ১০০ টা গুলিই ৯ গ্রাম করে হলে, কি করে দাঁড়ি পাল্লায় একবার ওজন করে বলবেন কত নম্বর বাক্সে ৯ গ্রাম ওজনের গুলি গুলো আছে ?

৩। কলিং বেল টিপে ধৈর্যধারণ করা বাঞ্ছনীয়। দ্বিতীয়বার টেপার আগে গৃহের বাসিন্দাদের পর্যাপ্ত সময় দিন; শোনা, আসার প্রস্তুতি নেয়া, আসা এবং দরজা খোলার জন্যে কতটুকু সময় লাগতে পারে তা হিসেব করে নিন।

৪। ছোট বাচ্চাদের প্রশ্নের উত্তরদানে ধৈর্যশীল হোন। তাদের সব প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক না-ও হতে পারে। তবুও উত্তর দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট করতে সচেষ্ট হোন। এতে শিশু আনন্দে থাকবে এবং তার জানার আগ্রহ বাড়বে।

৫। বই পড়তে না চাইলে পিছিয়ে পড়তে হয়
পিছিয়ে পড়তে না চাইলে বই পড়তে হয়।

৬। কেউ আমাকে একটু কষ্ট করে বোঝাবেন, জীবনের উদ্দেশ্য কি? সত্যি বলছি, এই ব্যাপারে বিশেষ অজ্ঞ আমি। বিশেষ সন্দিহান।
আদিম সমাজে মানুষ সারাদিন মাইলের পর মাইল চষে বেড়িয়েছে খাবারের সন্ধানে, সারা জীবনই থেকেছে আধপেটা খেয়ে। অধিকাংশ সময়ই কেটেছে হিংস্র প্রাণীদের মোকাবেলায়। জীবনের উদ্দেশ্য খোঁজার মত অবসর ও মস্তিষ্কের বিকাশ তাদের ছিল না।
বিবর্তনীয় দৃষ্টিতে যদি দেখি তবে আমাদের জীবনের আসলে উদ্দেশ্য একটিই, তা হচ্ছে নিজের জিনকে রক্ষা করা এবং এর বংশবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

ধর্ম বলে মানুষকে বিভিন্ন কাজ দিয়ে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে! কারো জীবনের উদ্দেশ্য রাজা হয়ে রাজ্য শাসন করা। কারো জীবনের উদ্দেশ্য সারাজীবন মাছ মেরে অন্যদের খাওয়ানো। কারো জীবনের উদ্দেশ্য স্বামীর সেবা করা ইত্যাদি।
“জীবনের কোন অর্থ বা যৌক্তিকতা নাই। তাই বলে জীবন উপভোগ না করারও কোন কারণ নাই। যারা জীবনের অর্থ পেয়েছে বলে দাবী করে তারা হয় মিথ্যে বলছে অথবা কোন মিথ্যা ভূয়া বিষয়ে বিশ্বাস করছে। দুটো ক্ষেত্রেই তারা মানব জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে বিফল হয়।”

আপনি রাস্তার উপর দেখতে পেলেন একটা কুকুর গভীর নিদ্রায় মগ্ন, তার পেটটা স্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য উঠছে আর নামছে। এই দৃশ্যটি আপনি গভীর মনোযোগের সাথে দেখ্তে দেখতে যদি প্রশ্ন করেন এই কুকুরটার পৃথিবীতে কি উদ্দেশ্য আছে? এর উত্তর আপনি কি দেবেন আমি জানিনা, কিন্তু আমি বলব ওই সময়ের জন্য কুকুরটির উদ্দেশ্য ঘুমানো এবং সেটাই তার ওই সময়ের পরম উদ্দেশ্য। ঘুম ভাঙ্গলে সে আরেকটি কাজে নিয়জিত হবে এবং সেটাই হবে তার ওই সময়ের পরম উদ্দেশ্য।

আইনস্টাইন মরে গিয়েও তার চিন্তার মাধ্যমে জীবন্ত থাকেন আমাদের কাছে, মানে, জীবিতদের কাছে। বস্তুত এই যে আইনস্টাইনকে নিয়ে আমরা এত মাতামাতি করছি, রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবার্ষিকি পালন করছি সাড়ম্বরে, তাকে শ্রদ্ধা জানানোর কথা বলছি, এতে ঐ মহামানবদের আসলেই কিছু এসে যায় না, কারণ তারা এই সন্মান দেখতেও পাচ্ছেন না, ভোগ করতেও পারছেন না!

তাই আইনস্টাইনের বা রবীন্দ্রনাথের বেঁচে থাকা বলতে তাদের নিজেদের বেঁচে থাকা বোঝায় বলে মনে হয় না, বরং জীবিত মানুষের নিকট তাদের চিন্তার বেঁচে থাকা বোঝায় সম্ভবত! এখন একটা মানুষ বেঁচে আছেন কিনা, আমরা কিভাবে বুঝব? সে যদি চিন্তা করতে পারে, কথা বলতে পারে, তাহলে তাকে জীবিত বলা যায়! আইনস্টাইন বা রবীন্দ্রনাথ কি প্রত্যহ আমাদের সাথে কথা বলছেন না, বা তাদের চিন্তাগুলো কি আমাদের ভাবনার সাথে মিথস্ক্রিয়া করছে না? এইজন্যই তারা জীবিত, এইজন্যই তারা সচল!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

নতুন বলেছেন: হুম...

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জানা হলো। ধন্যবাদ ভাই রাজীব নূর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.