নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেকদিন ভোরের আকাশ দেখি না

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৭



কীর্তনখোলা নদী।
আমি আর সুরভি নৌকায় করে যাচ্ছি। নদী শান্ত। ঠান্ডা বাতাস। বাতাসে সুরভি'র শাড়ির আঁচল উড়ছে। মাঝি আপন মনে নৌকা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সুন্দর বিকেল।

আমাদের নৌকাটা যাচ্ছে নাম না জানা একটা গ্রামের পাশ দিয়ে। ছোট ছেলে-মেয়েরা নদীতে লাফা-লাফি করছে। একলোক তার মহিষকে গোছল করাচ্ছে।

হঠাত মুহূর্তের মধ্যে আকাশ ভরা মেঘ দেখা দিল। চারপাশ গাঢ় অন্ধকার হয়ে গেল। মাঝির মুখে আতঙ্ক। বলল, তুফান আইতাছে। প্রচন্ড ঝড় শুরু হলো।

আমরা দু'জন জানি না সাঁতার। আমি সুরভি'র হাত ধরলাম। আর কি আশ্চর্য, বিশাল এক ঢেউ এসে আমাদের নৌকাটা উলটে দিল। আমরা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছি। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।

ঠিক তখন আমার ঘুম ভাঙল। দেখি, ঘুমের মধ্যে সুরভি আমার হাত ধরে রেখেছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ভোর সাড়ে চারটা। সুরভি'কে ঘরে রেখে আমি ছাদে গেলাম। অনেকদিন ভোরের আকাশ দেখি না।


#######################################################################


গ্রিক দার্শনিক প্রবর নাকি দিনের বেলা বাতি জ্বালিয়ে কোনো কিছু খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। এক পথচারী তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, মহোদয় আপনি দিনের বেলায় এমন করে কী খুঁজছেন? উত্তরে দার্শনিক বলেছিলেন মানুষ। দার্শনিক প্রবরের খুঁজে বেড়ানোর ধারা আর উত্তরের মধ্যে বেশ অভিনবত্ব আছে এ কথা স্বীকার করতেই হবে। কারণ মানুষ যেখানে চারপাশেই ভিড় করে আছে সেখানে তাকে খুঁজে বেড়াতে হয় না। আবার দিনের বেলায় বাতি জ্বালিয়ে খোঁজা সে তো এক দেখার মতো ব্যাপার। কাজেই সব ব্যাপারটার মধ্যে যদি অন্য কোনো তাৎর্পয না থাকে তাহলে এটাকে পাগলামি বলা ছাড়া গত্যন্তর নেই।

বিচক্ষণ ব্যক্তি মাত্রই বলবেন, না, ব্যাপারটা পাগলামি নয় এর মধ্যে তাৎর্পয তো আছেই, তদপুরি আছে একটি শাশ্বত তথ্য। অর্থাৎ এমনি দিনের বেলায় বাতি জ্বালিয়ে মানুষ খোঁজার ব্যাপারটি দার্শনিকের সঙ্গেই শেষ হয়ে যায়নি। প্রতি যুগেই এমনি মানুষ খোঁজার একটা প্রচেষ্টা আমরা লক্ষ্য করে থাকি। অতীতেও তা ছিল, আর এখনো আছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, মানুষ তাহলে মানুষ নয় আর দিনের আলোও আলো নয়। চারদিকে অজ্ঞানতার অন্ধকারে ছেয়ে আছে। এর সামনে দিনের আলো আর রাতের কালো সবই এক সমান। আর সেই অন্ধকারে মানুষের চেহারা নিয়ে যারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা সবাই মানুষ নয়, ভিন্নতর কোনো জীব। দার্শনিক জ্ঞানের মশাল নিয়ে তাই মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৯

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার লেখা। ধন্যবাদ

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৩

অনর্থদর্শী বলেছেন: দুটি অংশের কী সাযুজ্য আছে বোঝা গেল না।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শেষেরটায় গভীর চিন্তার অবকাশ রাখে!

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: গভীর দার্শনিক চিন্তা-ভাবনা।
ভাললেগেছে।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব ভালো লাগছে, ধন্যবাদ

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: চমৎকার লেখা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.