নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই সুখি

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩২



স্বপ্নে দেখি- আমি জাহাজে করে কোথায় যেন যাচ্ছি। জাহাজের কেবিনে শুয়ে আছি। হঠাৎ খুব হৈচৈ শুনতে পেলাম- জাহাজ ডুবে যাচ্ছে। আমি জানি না সাঁতার। আমি একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছি।
ডুবে যাওয়ার পর, একটা হাঙর আমার কাছে এসে বলল- স্যার কোনো চিন্তা নাই আমি আছি। আপনি আমার পিঠে উঠে বসুন। আমি বললাম- মশকরা করো- তোমার পিঠে তো কাঁটা। হাঙরটি হাসতে হাসতে বলল- স্যার, কাঁটার আঘাত সইবেন না মরে যাবেন সিদ্দান্ত আপনার।

১। ভাবছি রাস্তার পাশে একটা চায়ের দোকান দেব। গরম ধোঁয়া ওঠা চা। হাজার হাজার মানূষ আমার কাছে চা খেতে আসবে। দুঃখ একটাই জীবনানন্দকে চা খাওয়াতে পারবো না। "সব পাখি ঘরে আসে- সব নদী-ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন; থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।"
আজ সন্ধ্যায় মগবাজার মোড়ে একটা গাড়ির নিচে পড়তে পড়তে বেঁচে গেলাম। যদি একটু উনিশ-বিশ হতো, তাহলে আমি এতক্ষনে স্বর্গে বসে বসে আইনষ্টাইনের সাথে বিয়ার খেতাম বা শরৎচন্দের সাথে প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে ব্যাপক আলাপ আলোচনা করতাম অথবা রবীন্দ্রনাথের সাথে চা খেতে খেতে আধুনিক ছোট গল্প নিয়ে তর্ক করতাম অথবা কার্ল মার্কসের সাথে কফি খেতে খেতে আইএস জঙ্গি বিষয়ে তার মতামত জেনে নিতাম কিংবা ওসব কিছুই না করে পরী বা হূরদের সাথে বসে আড্ডা দিতাম।

২। ৮০ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একবার ভাষণ দিতে ওঠেন। সকলের অনুরোধে বৃদ্ধ ভাষণ দিতে স্টেজে উঠতে যেয়ে হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যান। বৃদ্ধের এমন অবস্থা দেখে সবাই কিছুটা বিব্রত বোধ করেন। বৃদ্ধ কারও দিকে না তাকিয়ে হাসি-মুখেই ভাষণ দিতে ওঠেন এবং শুরুতেই মাইক্রোফোনের সামনে বলেন, “পড়ে গেছিলাম বলেই এখানে উঠতে পেরেছি। যখন উঠতে গিয়েছি তখন আমার ধারণা হয়েছিল এতো উঁচু জায়গার উপর আমি উঠতে পারবো না। ঠিক তাই হয়েছে- চেষ্টা করা মাত্র পড়ে গেছি। আর যখনই পড়ে গেছি তখনই মাথায় চিন্তা এসেছে আমি উঠেই ছাড়বো আর তাই উঠতে পেরেছি। তার মানে এখানে আমার জন্য পড়ে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তা না হলে উপরে ওঠার মতো মানসিকতার সৃষ্টি হতো না”।

৩। আমি যেদিন আমার স্ত্রীকে খুন করবো বলে ঠিক করেছিলাম, ঠিক সেদিনই অফিস থেকে আসার পথে রোড এক্সিডেন্টে আমার দুহাত হারালাম! আমার স্ত্রী এখন আমায় মুখে তুলে খাওয়ে দেয়, আমার যাবতীয় প্রয়োজনীয় লেখা লিখে দেয়। এবং আমাকে শান্তনা দেয় হাত নাই ভেবে আমি যেন কখনই কোন রকম হীনমন্যতায় না ভুগি, তার হাতকেই সবসময় যেন আমার নিজের হাত মনে করি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

ধমনী বলেছেন: আপনার টুকরো টুকরো লেখাগুলো অনেক সৌন্দর্য বহন করে। পড়তে ভালো লাগে।
প্রথম এবং শেষটা দারুণ লেগেছে।

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লাগল্

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: সুন্দর। অর্থবহ!

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.