নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ভালো মানুষ কখনও অন্যকে অপমান করে না

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩১



এক জীবনে একজন মানুষ কত বার অপমানিত হয়? আমি তো রোজ অপমানিত হচ্ছি। ঘরে বাইরে, অফিসে। সবচেয়ে বড় কথা বিনা কারণেই অপমানিত হচ্ছি। অফিসে কর্তা ব্যাক্তিরা অপমান কছে। কটু কথা বলছে, ঝাড়ি দিচ্ছে। কটাক্ষ করছে। মানবতা কি শুধু অভিধানেই থাকবে? তারা যদি সামান্য শুদ্ধ মানুষ হতো- তাহলে আমি সব মেনে নিতাম। আমার শিক্ষক বলতেন, একজন ভালো মানুষ কখনও অন্যকে অপমান করে না। অপমান শুধু তারাই করে যাদের মন ছোট।

কেউ খারাপ ব্যবহার করলেই কি, পাল্টা খারাপ ব্যবহার করতে হবে? কোন বইতে যেন পড়েছিলাম- 'একজন আহত ব্যক্তি তার যন্ত্রনা যত সহজে ভুলে যায়, একজন অপমানিত ব্যক্তি তত সহজে অপমান ভোলে না'। ধর্মীয় কোনো বইতে পরেছিলাম- ' যে ব্যাক্তি বিনা কারনে ক্ষমতার দাপটে তোমাকে অপমান করবে, আল্লাহ তাকে অপমান করবে। সারারাদিন অফিসের কাজে আমাকে বাইরে-বাইরে থাকতে হয়। চারপাশে তাকিয়ে আমার শুধু মনে হয়- না। আমাদের দেশের বেশির ভাগ লোকই তো ইডিয়েট আর ছাগল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলীতে বলেছে- 'হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান,/ অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান!/ মানুষের অধিকারে/ বঞ্চিত করেছ যারে,/ সম্মুখে দাঁড়ায়ে রেখে তবু কোলে দাও নাই স্থান,/ অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।' আমি ছোট্র একটা চাকরি করি, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে চাকরি ছেড়ে দেই। পর মুহূর্তেই ভাবি, চাকরি ছেড়ে দিলে সংসার চলবে কেমন করে!

তখন আমি অনেক ছোট, মৃত্যু বুঝতাম, যুদ্ধ বুঝতাম না। এখন আমি অনেক বড়, যুদ্ধ বুঝি, মৃত্যু বুঝি না। আমি জানি এবং বুঝি- মিথ্যাবাদী ও দুর্বল মানুষ অন্যদের ছোট করাতে একটা বিকৃত আনন্দ পায়, নিজেদের শক্তিশালী ভাবে কিছুক্ষণের জন্য । যারা আমাকে অপমান করে, অপহেলা করে- তাদের প্রতি প্রতিশোধ নিবে প্রকৃতির। কারণ প্রকৃতি সবচেয়ে নির্মম প্রতিশোধ গ্রহণকারী।

আমি ঠিক করেছি, কারো পমানেই আর রাগ করবো না, বরং মাথা ঠান্ডা রাখব। কারণ রাগ এমন এক বিধ্বংসী আবেগ যা সুনামির মতো সবকিছুকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তাই কেউ খারাপ ব্যবহার করলে বা অন্যায় সুযোগ নিতে চাইলে প্রথমত শান্ত থাকতে হবে এবং ঠান্ডা মাথায় কৌশল ভাবতে হবে। মহামতি বুদ্ধ, যীশুখ্রিষ্ট বা নবীজী (স) কখনো বিরুদ্ধবাদীদের অন্যায় আচরণে ক্ষুব্ধ হন নি। নবীজী (স) যখন তায়েফে ধর্মপ্রচার করতে গিয়েছিলেন, তখন তায়েফবাসীরা পাথরের পর পাথর মেরে তাঁকে রক্তাক্ত করেছিলো। কিন্তু তারপরও তিনি তাদের ক্ষমা করেছেন, তাদের কল্যাণের জন্যে প্রার্থনা করেছেন।

সবচেয়ে বড় কথা, রেগে যাওয়াটা পৌরুষ না, শক্তিমত্তা না। এটা হলো আহাম্মকি। যে অপমান বোধ করে, তার আসলে কোনো আত্মসম্মানবোধ নেই। আরেকজন গালি দিলেই আপনি অপমানিত হলেন না। গালি দিয়েছে সে, মুখ খারাপ করেছে সে। এটা তার সমস্যা। আপনার নয়। একটা কুকুর এসে ঘেউ ঘেউ করলে আপনি কি অপমানিত হন? তাহলে আরেকজন চিল্লাচিল্লি করলে আপনি কেন অপমানিত হবেন

এখন বাইরের বাস্তবতার আঁচ বড় বেশী টের পাচ্ছি। মানুষের হিংস্রতা, লোভ, কুটিলতা-জটিলতা। এ যুগের মানুষরা ইচ্ছা করে মানুষ কে কষ্ট দেয়, অপমান করে এবং অন্যের সুখ কেড়ে নিয়ে আনন্দ পায়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি সমস্যা বুঝেন, সমাধান জানেন, ভালো, ভালো

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: এতো সমাধান নয়, নিজেকে নিজে স্বান্ত্বনা দেয়া, ওস্তাদ।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
রাগ হলে মাটির দিকে তাকাবেন। ব্যাস! রাগ শেষ।




কমেন্টের উত্তর দেওয়া লাগবে না। ধন্যবাদ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভ্রমরের ডানা আপনার ভালো নাম কি? আপনি কি ছেলে না মেয়ে?

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ভ্রমর সাধারণত ছেলেরাই হয়। আর ভ্রমর যদি ছেলে হয় তবে তার,ডানার লিঙ্গ কি সেটা বলে দিতে হবে না নিশ্চয়!



আপনার বই নিয়ে লেখা গুলো ভালই লাগত। তবে কমেন্টের প্রতি উত্তর না পাওয়াতে খুব অপমানিত বোধ করেছি। আমার কাছে আপনি একজন অহংকারী মানুষ। তবুও আপনার নিজের অপমানিত হওয়া দেখে খুব কষ্ট পেলাম।


আমার থিউরি কাজে লাগিয়ে দেখুন। আশা করি নিরাশ হবেন না। শুভরাত্রি!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু শুধু আমাকে ভুল বুঝেছেন ভায়া। আমি একটুও অহংকারী নই। রাগে দুঃখে মন্তব্যের উত্তর দেই না। আমি রিকশাওয়ার পাশে বসে চা খাই। ভিক্ষুককে টাকা দিয়ে জোর করে মাথা পেতে দোয়া নেই। একদিন সময় করে আমার পাশে এক কাপ চা খাবেন, তাহলেই বুঝবেন আমি কতটা আন্তরিক। আপনার ভুল ভেঙ্গে যাবে। যাবেই। জয় বাংলা।

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

চা খেতে বইয়ে গেল! তবে মাটন বিরানি হইলে

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
জয় বাংলা!

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: জয় বাংলা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.