নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কপাল দোষে আমার মতো কর্মহীন অবসর প্রিয় মানুষকে নিয়ে পৃথিবীর ঘটনাবলীর তরঙ্গরাশি ছিনিমিনি খেলছে

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮



১। মিলি-তুলি নামে যমজ দুই বোন আমাকে পড়াতেন । আমি প্রতিদিন সন্ধ্যায় কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে তাদের বাসায় যেতাম পড়তে । তারা দুই বোন কুচকুচে কালো । কিন্তু তাদের চোখে মুখে অনেক মায়া ছিলো । সব সময় চোখে কাজল দিয়ে রাখত । মিলি-তুলি আপা'র বড় ভাই ছিলেন মেজর । তাদের একটা ঘর ভর্তি থাকত বই আর বই । আমি এত বই আর কোনো বাসায় কখনো দেখিনি । পড়া শেষে তারা আমাকে নুডুলস রান্না করে খাওয়াত । চা খাওয়াতো । নানান বিষয়ে আমার সাথে গল্প করতেন । আমি ছোটবলে আমাকে একটুও অবহেলা করতেন না । তুলি আপাকে দেখতাম বই পড়তেন আর খুব হাসতেন । অনেক সুন্দর করে হাসতেন । তিন মাস তাদের কাছে পড়েছিলাম । তারা দু'বোনই বাইরে বের হলে বোরকা পড়তেন । এখনও বোরকা পড়েন । ২০০৯ সালে মিলি-তুলি আপার বিয়ে হয় । প্রায়ই তাদের কে আমি রাস্তায় দেখি কিন্তু কথা বলি না । না, দেখার ভান করে এড়িয়ে যাই । কয়েকদিন আগে আমি ধূপখোলা বাজারের সামনে দেখি মিলি আপা লাল একটা গাড়িতে করে যাচ্ছেন ।

২। মসজিদে জামাতে ফজর নামাজ পড়ার জন্য এক ব্যাক্তি ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ওযূ করে মসজিদে যাচ্ছে। মাঝ পথে সে পা পিছলিয়ে পড়ে গেল। তাঁর কাপড় নষ্ট হয়ে গেল। সে বাসায় ফিরে এসে কাপড় বদলিয়ে আবার ওযূ করে মসজিদের দিকে রওয়ানা দিল।
মাঝ পথে আবার সে পা পিছলে পড়ে গেল। তাঁর কাপড় ময়লা হয়ে গেল। তিনি আবার বাসায় গেল কাপড় বদলিয়ে ওযূ করে আবার মসজিদের দিকে রওয়ানা দিল।
মাঝ পথে আসতে লন্ঠন হতে এক লোকের সাক্ষাত পেল। লোকটিকে সে জিজ্ঞাস করল, আপনি কে? সে উত্তরে বলল, আমি আপনাকে দু'বার পড়ে যেতে দেখলাম তাই ভাবলাম মসজিদের যাওয়ার জন্য আমি একটি প্রদীপের ব্যবস্থা করে দেই। লোকটি লন্ঠন হাতে তাঁকে মসজিদ পযর্ন্ত এগিয়ে দিল। লোকটি সাহায্যকারীকে বললেন, চলুন নামায পড়ে নেই। লোকটিকে বারবার বললার পরও লোকটি নামাজ পড়ল নাহ্। তখন লোকটিকে প্রশ্ন করল, আচ্ছা আপনি নামাজ পছন্দ করেন না, বলুনতো আপনি কে?
লোকটি বলল, আমি শয়তান। আমি আপনাকে প্রথম বার পা পিছলিয়ে ফেল দিয়েছিলাম যাতে মসজিদে নামায না পড়ে আপনি বাড়ী ফিরে যান। কিন্তু আপনি যখন পা পিছলিয়ে পড়ে যাওয়ার পর ও বাড়ী গিয়ে ফিরে আসলেন তখন আল্লাহ্তালা আপনার সব গোনাহ্ মাফ করে দিলেন।
দ্বিতীয়বার যখন আপনি পড়ে যাওয়ার পরও বাড়ী গিয়ে কাপড় বদলিয়ে আবার মসজিদে রওয়ানা দিলেন তখন আল্লাহ্তালা আপনার পরিবারের সকলের গোনাহ্ ক্ষমা করে দেন।
এর পর যদি আপনি আবার পড়ে গিয়ে আবার বাড়ী থেকে কাপড় বদলিয়ে আবার মসজিদে আসেন, না জানি আল্লাহ্তালা সকল এলাকাবাসীর গোনাহ্ মাফ করে দেন। সে ভয়ে আমি তাড়াতাড়ি লন্ঠন হাতে আপনাকে মসজিদে পৌছে দিয়ে গেলাম।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২২

কালীদাস বলেছেন: সেকেন্ডটা মনে হয় শুনেছি আগে। প্রথমটা কেন জানি করা হয় অনেকের সাথে। মানব-মন বোঝা টাফ :|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.