নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। যারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে জন্মায় তারা ছোটবেলা থেকেই একটু অন্যরকম । নিজেকে কেউকেটা না ভাবলেও তাদের মধ্যে দেখা যায় অন্য এক ধরনের গরিমা । এই বিষয়ে বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ও কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়ের শ্রীকান্ত উপন্যাসের ইন্দ্রনাথ চরিত্রটির উদাহরণ দেবার মতন ।
শ্রীকান্ত উপন্যাসের ইন্দ্রনাথ বাঘ ভয় পায় না, বরং এগিয়ে গিয়ে দেখতে যায় সত্যি বাঘ কিনা । সে গভীর অন্ধকারে গভীর নদীতে মৃত্যুকে উপেক্ষা করে মাছ ধরতে যায় ।
২। দেবতা জিউসের নির্দেশে প্রমিথিউস মানুষ ও পশু গড়লেন। কাজ শেষ করার পর দেখা গেল মানুষের চে পশুর সংখ্যা বেশি। তা দেখে জিউস আদেশ করলেন কিছু পশু ভেঙ্গে মানুষ গড়ে মানুষের সংখ্যা বাড়াতে। প্রমিথিউস সেইমতো কাজ করলেন। কিন্তু যেসব মানুষ পশু ভেঙ্গে গড়া হল তারা মনের দিক থেকে পশুই রয়ে গেল।
এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে তারা একটা বিশেষ পেশা নিয়ে পৃথিবীতে আসল- রাজনীতিবিদ। আর পৃথিবীকে পশুর খোঁয়াড় বানানোর চেষ্টা করে যেতে লাগল এবং এখনো যাচ্ছে।
৩। স্বপ্নে দেখি,আমি রবীন্দ্রনাথের সাথে দেখা করতে শিলং পাহাড়ে যাই।রবীন্দ্রনাথ পাহাড়ের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে দূরে নদীর দিকে তাকিয়ে আছেন।তার হাতে 'বাইবেল'। আকাশ ভয়ানক মেঘলা।যে কোন সময় বৃষ্টি নামবে।আমার হাতে ভদকা'র পেট চ্যাপ্টা বোতল।আমি খুব নিরবে রবীন্দ্রনাথের পাশে গিয়ে দাঁড়াই।তিনি আমার দিকে না তাকিয়েই বললেন- এই বিশ্রী জিনিস খায় কি করে ছেলেরা?ওয়াক থু!এর চেয়ে চিরতার রস অনেক ভালো।আমি বললাম,আমি খাব।আজ নেশা করে ছাড়ব।রবীন্দ্রনাথ খুব'ই কোমল গলায় বললেন- দেখিস আবার মাতলামো শুরু করিস না যেন।তারপর বিড়বিড় করে বললেন- আশ্চর্য মানুষ,আর তাদের আশ্চর্য জীবন।
এক চুমুক ভদকা পেটে পড়তেই হঠাৎ আমার 'ঈশপ' এর কথা মনে পড়ল।ঐ যে জ্ঞানী ঈশপ।(ঈশপের গল্প)পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে ঈশপ মরেছিল।পেট চ্যাপ্টা বোতলে আমি আর একটা চুমুক দেই।আহ্ !প্রথম জীবনে ঈশপ ছিলেন ক্রীতদাসী।তারপর তার গল্পের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তার মনিব তাকে মুক্তি দেয়.....পরে সেই দেশের রাজাও তার গল্পে মুগ্ধ হয়ে তাকে মন্ত্রী বানিয়ে দেয়.... কিন্তু রাজ দরবারের অন্য লোকেরা হিংসা করে ঈশপ কে পাহাড় থেকে ছুড়ে ফেলে নিচে.... তিনি গড়িয়ে পড়তে পড়তে.....। রবীন্দ্রনাথ চিৎকার করে বলে উঠলেন,উফ তোর বক বকবকানি বন্ধ করবি?
রবীন্দ্রনাথের চিৎকারে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
৪। নিজের উপর বিশ্বাস না আসিলে ঈশ্বরে বিশ্বাস আসে না।জগতের যা কিছু উন্নতি, সব মানুষের শক্তিতে হয়েছে, উৎসাহের শক্তিতে হইয়াছে। বিশ্বাসের শক্তিতে হইয়াছে। প্রাচীন ধর্ম বলিত, যে ঈশ্বরে বিশ্বাস না করে সে নাস্তিক। নতুন ধর্ম বলিতেছে, যে আপনাতে বিশ্বাস স্থাপন না করে সে ই নাস্তিক।
৫। এন্টিকের দোকানে আলাদিনের চেরাগ খুঁজে পেল এক সেলসম্যান। ঘষা দিতেই দৈত্য হাজির সঙ্গে হাজির দোকানের ক্লার্ক আর ম্যানেজার। বের হয়েই দৈত্য যথারীতি তিনজনকে তিনটা উইশ করতে বলল।
সেলসম্যান বলল, "এক্ষুনি আমারে পাতায়া বিচে পাঠাও, মাস্তি করে আসি।"
দৈত্য বলল "তথাস্তু", সাথে সাথে সেলসম্যান উধাও।
এবার ক্লার্ক বলল "আমারে লুভর মিউজিয়ামে নিয়া যাও, মোমের মুর্তি দেখুম।" দৈত্য বলল "তথাস্তু", সাথে সাথে ক্লার্কও উধাও।
এবার দৈত্য ম্যানেজারের দিকে তাকায়া দেখে বস ক্ষেপে লাল হয়ে আছে, দৈত্যের চোখে চোখ পড়তেই সে খেকিয়ে উঠল, "আমারে জিজ্ঞেস না করে ওরা ক্যামনে গেল, আর তুমিও ক্যামনে পাঠাইলা? যাহোক,এক্ষুনি ঐ দুইটারেই দোকানে দেখতে চাই।" দৈত্য বলল "তথাস্তু", অমনি সেলসম্যান আর ক্লার্ক মুখ আমসি করে ফেরত আসল।
গল্পের মোরালঃ
আগে বসের মতামতটা জেনে নিন।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২১
Saikat Palash বলেছেন: ভাল লেখা পড়লাম
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩০
কানিজ রিনা বলেছেন: বেশ লেগেছে।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
আহা রুবন বলেছেন: পড়াটা বেশ উপভোগ্য হল, ধন্যবাদ।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
আনিসা নাসরীন বলেছেন: নিজের উপর বিশ্বাস রাখাটা জরুরী
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০১
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটি !