নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২০

গোপালের মেয়ের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু গোপাল বাড়ীতে জামাই আনার নাম করে না। গোপালের স্ত্রী কিছুতেই ছাড়বে না। প্রায়ই সে মেয়ে-জামাই আনার জন্যে তাকে বলে। গোপাল বলে, জামাই আনা তো নয় হাতিরখরচ। জামাইটাও তেমনি। একবার এলে আর যাবার নাম করে না। এদিকে টাকা-পয়সার টানাটানি যাচ্ছে। জামাই আসলে বিপদ হবে।

গোপালের স্ত্রী তার কথা শুনে রেগে গেল। বললো, তোমার মতন এমন হাড় কিপটে আমি দেখিনি। মহারাজ কি তোমায় কম দেন? তিনি তোমাকে দু হাত ভরেই দেন। তবু তোমার কিপটেমি যায় না।
এই বলে কাঁদতে লাগলো সে, গোপাল আর কি করে, মেয়ে-জামাইকে আনতে লোক পাঠালো। যথাক্রমে মেয়ে জামাই এলো।

বেশ কিছু দিন কেটে গেছে জামাই আর ফেরার নাম করছে না। যদি বা মাঝে মধ্যে যাবার কথা বলে, গোপালের বউ বলে, ‘আর কটা দিন থেকে যাওনা বাবা।’ এমনি করেই চলতে থাকে। এদিকে গোপাল প্রমোদ গুণতে থাকে। মাথায় হাত দেয় সে। কি করে মাজাইকে তাড়ানো যায় সেই কথা ভাবতে থাকে। অবশেষে একটা উপায় বের করে।

তার বাড়ির পেছনে একটা লেবু গাছ ছিল। তাতে খুব লেবু ধরে। সেদিন রাজসভা থেকে ফিরে এসে গোপাল জামাইকে বললো, ‘বাবা, আমাদের এখানে ছিঁচকে চোরের উপদ্রব হয়েছে। চোরের জ্বালায় গাছে লেবু থাকছে না। রোজ রাতে ঝুড়ি ঝুড়ি লেবু তুলে নিচ্ছে। তুমি বাপু একটা কাজ করবে? তুমি আজ কিছুক্ষণ বৈঠক খানায় বসে লেবুগাছের দিকে চেয়ে থাকবে। আজ ব্যাটা এলেই ধরবে।
জামাই বললো, ‘ও আপনি কিছু ভাববেন না। আমি ভালোভাবে নজর রাখবো। চোর ব্যাটা কি করে লেবু চুরি করে আমি দেখবো।’
সেদিন রাতে ভাত খেতে বসেছে গোপাল। বৌকে বলে, ‘আজ শরীরটা ভালো নেই। গাছ থেকে একটা লেবু এনে দাও তো।’
গোপালের বৌ আলো না জ্বেলেই লেবু পাড়তে গেল।
জামাই ছিল বৈঠক খানায় বেস। অন্ধকার গোপালের বৌ যেই লেবুগাছে হাত দিয়েছে জামাই দেখে, লেবু চোর লেবু চুরি করছে। ব্যাস আর কোথায় যায়? চুপি চুপি পেছনে থেকে শ্বাশুড়িকে ঝাপটে ধরলো।

এবার চলে দুজনের টানাটানি। শ্বাশুড়ি যতই ছাড়াতে চায়, জামাই ছাড়তে চায় না।
গোপাল বেরিয়ে তাড়াতাড়ি আলো নিয়ে গিয়ে দেখে জামাই শ্বাশুড়িকে ঝাপটে ধরে আছে। লণ্ঠনটা উচুঁ করে বলে, ‘তাই তো, জামাই আনার সখ কেন এত।’

শ্বাশুড়ি আর জামাই লজ্জা পেয়ে গেল।
জামাই পরদিনই মেয়েকে নিয়ে বাড়ী চলে গেল। শ্বাশুড়িও পরে আর জামাইকে আনার কথা বলতে পারেনি।


[হিহি। কেমন লাগল অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। মন্তব্য না করলে বুঝতে পারব না কিন্তু।

সবাইকে ধন্যবাদ।]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্কুলে পড়ার সময় গোপালের অনেক গল্প পড়েছিলাম। এটাও পড়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.