নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আশ্চর্য মানুষ! আর আশ্চর্য তাদের জীবন!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

১। মেয়ে মানুষের মধ্যে শাশ্বত কিছুই পাওয়ার নেই। রোমিও-জুলিয়েট, লায়লা-মজনু এসব হলো ইমোশনাল ব্যাপার স্যাপার । অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি । একজন মানুষের জীবনে নারী প্রেম কতটুকু প্রয়োজন ? কিছু বোকা পুরুষরা ব্যাপারটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলেছে ! তবে এও ঠিক, যাকে পাওয়া গেল না, যাকে পাওয়ার নয়, সেই মেয়েটির জন্য দীর্ঘকাল বুকের মধ্যে যেম কেমন করে ! সেটা হয়তো প্রেম নয় । বোকা পুরুষরা যেটা দখল করতে পারে না সেটাকে মহামানিত্ব করে তোলার চেষ্টা করে ।



২। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে মরে যাই। অসৎ ব্যাক্তিরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে বছরে বই বিক্রি হয় না ১০০ কোটি টাকার। কিন্তু মাদক দ্রব্য বিক্রি হয় ৩০ হাজার কোটি টাকার।

৩। যদি কখনো মৃত্যুর মুখোমুখি হই এবং আমাকে বলা হয় ‘তোমার শেষ ইচ্ছা কি?’ আমি বলব, আমাকে বই দাও আমি পড়ব। কেউ কেউ একটি একটি করে বই পড়ে শেষ করেন। কিন্তু একসঙ্গে একাধিক বই পড়ার সুবিধাও আছে। কিছু বই রাতে পড়ার উপযোগী (যেমন: উপন্যাস বা কল্পকাহিনি)। আর প্রবন্ধ বা বিশ্লেষণধর্মী বইগুলো দিনে বা চলতে-ফিরতে গাড়িতে পড়তেই ভালো লাগে। একসঙ্গে বেশি বই ধরলে সময় অনুযায়ী পড়া চালিয়ে যেতে পারবেন।

৪। মাঝে মাঝে মনে হয়- এই আমি, আমার অস্তিত্ব, অনর্থক। আমি বেঁচে আছি, অযথা।

৫। আমার ইচ্ছা করে সারা বাংলাদেশটা গাছ লাগিয়ে ভরে ফেলি।

৬। বর্তমানে অকবিরা কবিতার সর্বনাশ করছে। ফেসবুকের ভোট যদি আপনি আপনার লেখার মানদণ্ড বলে মানেন তাহলে কোনোদিনই আপনি লেখক বা কবি নন। ফেসবুক মূলত বাজারের চায়ের দোকানেরই প্রতিচ্ছবি, এখানে কোনো গাম্ভীর্য বা সিদ্ধান্ত আশা করা বোকামী।

৭। বইটির নাম- সোফি’জ ওয়ার্ল্ড বা সোফির জগত- লেখক- ইয়োস্তেন গার্ডার।
পাশ্চাত্য দর্শনের জগতে প্রবেশের জন্য সবচেয়ে সহজ চয়েস হতে পারে এ বইটি। সারা বিশ্বে প্রায় বিশ মিলিয়ন কপি বিক্রি বলে দিচ্ছে বইটির জনপ্রিয়তার কথা।
১৪ থেকে ১৫ তে পা দিচ্ছে এমন মেয়ে সোফি স্কুল থেকে ফিরে দেখলো তার চিঠির বাক্সে তার জন্য দুটি চিঠি। প্রত্যেকটাতে একটি করে প্রশ্ন। একটাতে রয়েছে: ‘তুমি কে?’ আর অপরটাতে রয়েছে-‘পৃথিবী কোথা থেকে আসলো?’
এভাবে শুরু হলো একজন রহস্যময় দার্শনিকের সাথে পত্রবিনিময়। সেই রহস্যময় দার্শনিকের কাছ থেকে সে জানতে লাগলো সক্রেতিস থেকে একেবারে সার্ত্রে পর্যন্ত দর্শনের অভিযাত্রার কাহিনী।
বইটি মূলত একটি উপন্যাস। আছে থ্রিলার, সাসপেন্স ও রহস্যের সমাহার। মূলত শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা হলেও বড়রাই এর থেকে পুরো সুবিধা নিতে পারবে। দর্শনকে মানুষের কাছে সহজলভ্য ও সহজবোধ্য করার ক্ষেত্রে নরওয়ের লেখক ইয়োস্তেন গার্ডারের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানানো উচিত সব পাঠকের! বইটির বাংলা অনুবাদ বাজারে পাওয়া যায়!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। সোফির জগৎ বইটার অনুবাদ পড়ার ইচ্ছা হচ্ছে। দেখা যাক সংগ্রহ করতে পারি কিনা।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: পেয়েছি। ডাউনলোড।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: সবই বুঝলাম। কিন্তু পোস্টের সাথে ছবিটার সম্পর্ক কি?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো সম্পর্ক নাই, আজাইরা।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

কানিজ রিনা বলেছেন: যেখানে মাদক দ্রব্য বিক্রি হয় ৩০ হাজার
কোটি টাকা, সেখানে বই বিক্রি হয় ১০০
কোটি টাকা। দারুন এক্সজাম্পল আসলে সত্য
মাদক দ্রব্যর বাজার মাছ মাংশের মতই,
কোথায় এগুচ্ছে পরিবার সমাজ রাষ্ট্র।
মাদকের করাল গ্রাস প্রতিটা পরিবার বিকলাঙ্গ
খুব ভাল হয়েছে লেখাটা। ধন্যবাদ,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.