নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ম্যারি ক্রিসমাস

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩২




যেদিনটিতে সৃষ্টিকর্তা নিজেই মানুষরূপে এ পৃথিবীতে এসেছেন সেদিনটি কোনো সাধারণ ছোট দিন হতে পারে না। তাই এদিনটি বড়দিন। বড়দিন হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে অন্তরাত্মায় বড় হওয়ার দিন। এ দিন মানুষের সাথে মিলনের দিন, ক্ষমা করার দিন, নম্র হওয়ার দিন। এদিনে ভক্তমানুষ বুঝতে পারে, তার নিজের মধ্যে গর্ব করার মতো অর্জন কিছুই নেই, তার যা আছে বা সে যা-কিছু হয়েছে তার সবটাই অনুগ্রহ।

প্রত্যেক ধর্মেরই মূল বাণী মানবতা।
বড়দিন উপলক্ষে যে প্রেম, প্রীতি ও শান্তির বাণী প্রচার করা হয় তার মূলে রয়েছে মানবতা। কোন ধর্মই এই বোধ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বড়দিন মানুষকে শান্তি, প্রেম ও সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়।

জেরুজালেমের বেথেলহেম শহরের এক গোয়ালঘরে, দুই হাজার বারো বছর আগে মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নেন যিশু।

মহান সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসার মাধ্যমে বিশ্বকে মানুষের শান্তির আবাস ভূমিতে পরিণত করার লক্ষ্যে যুগে যুগে অনেক মহামানব পৃথিবীতে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে যীশুখ্রিস্ট ছিলেন অন্যতম। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার আহ্বান জানিয়েছেন, সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভের পথ দেখিয়েছেন। যুগে যুগে প্রেরিত মহামানবের আহ্বান আজও মানব জাতিকে সত্য, কল্যাণ ও শান্তির পথে চলতে অনুপ্রেরণা যোগায়।’

‘মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য দেশ, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়া। হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের অন্যায়-অবিচার প্রতিরোধে ব্রতী হওয়া সবার কর্তব্য। মহামানবদের জীবনদর্শন যথাযথ উপলব্ধি করতে পারলেই মানব কল্যাণে নিজেদের সম্পৃক্ত করা সম্ভব। আর তা হলেই স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনে আমরা সক্ষম হবো।’

খ্রিস্টের দেহধারণের ২০১৬ টি বছর অতিক্রম করতে চলছি, কিন্তু আজও মানুষ তাঁর প্রেমের ও মিলনের বাণী পূর্ণভাবে শুনতে পায়নি। যে বিশ্বাস, ভালোবাসা, মুক্তি, আশা ও মিলনের বাণী নিয়ে খ্রিস্ট পৃথিবীতে এসেছিলেন, বর্তমান পৃথিবী সেই একই ভালোবাসা ও মুক্তির প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছে। কিসের যেন এক শূন্যতা বিরাজ করছে। মানুষ আজ বড় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে জাগতিকতার মোহে। স্বার্থপরতার বেড়াজালে একজাতি-অন্য জাতির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরছে। ভালোবাসার অভাবে আমাদের খ্রিস্টীয় পরিবারগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। দিনদিন যুব সমাজ অবক্ষয় ও অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: যেদিনটিতে সৃষ্টিকর্তা নিজেই মানুষরূপে এ পৃথিবীতে এসেছেন

এটা কি বলেন ভাই। কই পাইলেন এই তত্ব?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.