নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ সকাল

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫২



১। অনেকদিন আগে সুন্দরবন গিয়েছিলাম।আমার সাথে আমার ৫ বন্ধু ছিল।দুবলার চড়।আমরা হাঁটতে হাঁটতে বনের গভীরে চলে গিয়েছিলাম।হঠাৎ আমার বন্ধুরা আমাকে রেখেই দৌড়ে চলে যায়।আর কে যেন চিৎকার করে বলতে থাকল বাঘ!আমার খুব রাগ লাগল,বন্ধুদের উপর।এতো রাগ লাগল যে,আমি বাঘের দিকে পাগলের মতো দৌড়ে যাই।বাঘ আমাকে দেখে ভয় পেয়ে উলটো দিকে দৌড় শুরু করলো।একটুর জন্য বাঘ টা কে সেদিন ধরতে পারিনি।তারপর আমার বন্ধুরা আমাকে 'টাইগার' উপাধি দেয়।

২। সাহিত্যরাজ্যে চুরিবিদ্যা বড় বিদ্যা- এমন কি ধরা পড়িলেও । সাহিত্যের বড় বড় মহাজনগণ এই কাজ করিয়া আসিয়াছেন, এমন কি, শেক্সপিয়ারও বাদ যান না । সাহিত্যে যাহার ওরিজিন্যালটি অত্যন্ত অধিক সেই চুরি করিতে সাহস করে, কারণ, সে পরের জিনিসকে সম্পূর্ণ নিজের করিতে পারে ।

৩। আমাকে একটা নিরাপদ জায়গার সন্ধান দাও- হে পরম করুণাময়,
যে নিরাপদ স্থানে প্রেম-ভালোবাসা-মায়া আমাকে স্পর্শ করবে না ।

৪। "পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন " মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে, ঠাঙাড়ে বীরু রায়ের বটতলায় কি ধলচিতের খেয়াঘাটের সীমানায়? তোমাদের সোনাডাঙা মাঠ ছাড়িয়ে, ইছামতী পার হয়ে, পদ্মফুলে ভরা মধুখালি বিলের পাশ কাটিয়ে, বেত্রবতীর খেয়ায় পাড়ি দিয়ে, পথ আমার চলে গেল সামনে, সামনে, শুধুই সামনে… দেশ ছেড়ে বিদেশের দিকে, সুর্যোদয় ছেড়ে সূর্যাস্তের দিকে, জানার গন্ডি এড়িয়ে অপরিচয়ের উদ্দেশ্যে...।
দিনরাত্রি পার হয়ে, জন্ম মরণ পার হয়ে, মাস, বর্ষ, মনন্তর, মহাযুগ পার হয়ে চলে যায়.... তোমাদের মর্মর জীবন-স্বপ্ন শেওলা-ছাতার দলে ভরে আসে, পথ আমার তখনো ফুরোয় না... চলে... চলে... চলে... এগিয়েই চলে....
অনির্বাণ তার বীণা শোনে শুধু অনন্ত কাল আর অনন্ত আকাশ....
সে পথের বিচিত্র আনন্দ-যাত্রার অদৃশ্য তিলক তোমার ললাটে পরিয়েই তো তোমাকে ঘরছাড়া করে এনেছি!...
চল এগিয়ে যাই।"

প্রশ্নঃ উপন্যাসটির নাম বলুন?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

জুন বলেছেন: পথের পাঁচালী

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১০

জুন বলেছেন: অথবা দ্বিতীয় খন্ড "অপরাজিত ".

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৫

বর্ষন হোমস বলেছেন: শুভ সকালের শুভ সুচনা

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

শোভন শামস বলেছেন: সময় কেটে গেল, ধন্যবাদ

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সকালের নাস্তাটা বনরুটি আর কলা দিয়ে সাবার করেন আর অফিসে হেঁটে হেঁটে যাবেন। এতে আপনার কিছু টাকাও বাঁচবে সাথে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। এমন উপকারী কথা প্রকৃত বন্ধু ছাড়া কে বলবে!

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

রাসেল ০০৭ বলেছেন: দিনরাত্রি পার হয়ে, জন্ম মরণ পার হয়ে, মাস, বর্ষ, মনন্তর, মহাযুগ পার হয়ে চলে যায়.... তোমাদের মর্মর জীবন-স্বপ্ন শেওলা-ছাতার দলে ভরে আসে, পথ আমার তখনো ফুরোয় না... চলে... চলে... চলে... এগিয়েই চলে.... "পথের পাঁচালী"

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

রাসেল ০০৭ বলেছেন:

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

বেঙ্গল রিপন বলেছেন: গ্রন্থটির স্থানে স্থানে আরো নানা রূপ নৈকট্যের ইঙ্গিতরেখা দেখিলেও এমত আত্নিয়তা আর দেখিনাই কোথাও ... কেননা এইখানে আসিয়া যেনবা বাধ্যতামূলক ভাবে মনেপড়ে আরেকটি মহাগ্রন্থের অন্তিম বাক্যগুলিঃ একা একা দাঁড়াইয়া হঠাৎ সে কাঁদিয়া আকূল হইল, উচ্ছসিত চোখের জল ঝর-ঝর করিয়া পড়িয়া তাহার সুন্দর কপাল ভাসাইয়া দিতেই চোখ মুছিতে হাত উঠাইয়া আকূল সুরে মনে মনে বলিল – আমাদের যেন নিশ্চিন্দিপুরে ফেরাহয় – ভগবান – তুমি এই কোরো, ঠিক যেন নিশ্চিন্দিপুর যাওয়া হয় – নৈলে বাঁচবোনা – পায়ে পড়ি তোমার –
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন – মূর্খ বালক, পথতো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে, ঠ্যাঙ্গাড়ে বীরু রায়ের বটতলায় কি ধলচিতের খেয়াঘাটের সীমানায়? তোমাদের সোনাডাঙ্গা মাঠ ছাড়িয়ে, ইছামতী পারহয়ে, পদ্মফুলে ভরা মধুখালি বিলের পাশ কাটিয়ে, বেত্রবতীর খেয়ায় পাড়ি দিয়ে, পথ আমার চলে গেল, সামনে, সামনে, শুধুই সামনে ... দেশ ছেড়ে বিদেশের দিকে, সূর্যোদয় ছেড়ে সূর্যাস্তের দিকে, জানার গন্ডী এড়িয়ে অপরিচয়ের উদ্দেশে ...
দিন রাত্রি পারহয়ে, জন্ম মরণ পার হয়ে, মাস বর্ষ মন্বন্তর, মহাযুগ পারহয়ে চলেযায় ... তোমাদের মর্মর জীবন-স্বপ্ন শ্যাওলা-ছাতার দলে ভ’রে আসে, পথ আমার তখনো ফুরোয় না ... চলে ... চলে ... চলে ... এগিয়েই চলে ...
অনির্বাণ তার বীণা শোনে শুধু অনন্ত কাল আর অনন্ত আকাশ ...
সে পথের বিচিত্র আনন্দ-যাত্রার অদৃশ্য তিলক তোমার ললাটে পরিয়েই তো তোমায় ঘরছাড়া ক’রে এনেছি! ...
চল এগিয়ে যাই।
-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (পথের পাঁচালী)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.